ভারতে সম্প্রতি রাত্রিকালীন তাপমাত্রা ও আর্দ্রতা বৃদ্ধি নিয়ে মারাত্মক স্বাস্থ্যঝুঁকি দেখা দিয়েছে। দিল্লিভিত্তিক চিন্তক সংস্থা কাউন্সিল অন এনার্জি, এনভায়রনমেন্ট অ্যান্ড ওয়াটার (সিইইডব্লিউ) থেকে মঙ্গলবার (২০ মে) প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে দেখা গেছে, দেশটির প্রায় ৬০ শতাংশ এলাকায় বসবাসকারী তিন-চতুর্থাংশ মানুষ তীব্র তাপের কারণে উচ্চ থেকে অত্যন্ত উচ্চ ঝুঁকিতে আছেন। ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স এ খবর জানিয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, ভারতের প্রায় ৫৭ শতাংশ জেলার মানুষ তীব্র তাপের উচ্চ থেকে অতি উচ্চ ঝুঁকিতে রয়েছে। এই এলাকায় অত্যন্ত ৭৬ শতাংশ মানুষের বাস।
তীব্র তাপের ঝুঁকিতে থাকা জেলার তালিকায় রাজধানী নয়াদিল্লির নাম সবার ওপরে রয়েছে।
এই প্রতিবেদন যখন প্রকাশিত হলো, তখন উত্তর ভারতের অধিকাংশ এলাকা তীব্র তাপদাহে পর্যদুস্ত। বিশ্লেষকরা বলছেন, মনুষ্যসৃষ্ট কারণে জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবে প্রতিবছর উষ্ণতার মাত্রা বৃদ্ধি পাচ্ছে, যার শিকার হচ্ছেন দক্ষিণ এশিয়ার কোটি কোটি মানুষ।
গবেষণায় আরও দেখা গেছে, উত্তর ভারতের শুষ্ক অঞ্চলে ইদানীং আপেক্ষিক আর্দ্রতা বৃদ্ধি পাচ্ছে। এর ফলে, তাপমাত্রা বৃদ্ধি পেলে মানবদেহ থেকে ঘাম আকারে তাপ বেরিয়ে যাওয়ার প্রাকৃতিক প্রক্রিয়ার গতি হ্রাস পাচ্ছে, যা স্বাস্থ্যঝুঁকি বৃদ্ধি পাওয়ার আরেকটি কারণ।
গত বছরের ১ মার্চ থেকে ১৮ জুন পর্যন্ত সময়ে পরিচালিত জরিপে দেখা গেছে, ভারতের উত্তর পশ্চিমাঞ্চলীয় এবং পূর্বাঞ্চলীয় অংশে স্বাভাবিকের চেয়ে দ্বিগুণ সংখ্যক দিনে তাপ প্রবাহ বয়ে গেছে। ওই সময় চল্লিশ হাজারের বেশি হিটস্ট্রোকে আক্রান্তের ঘটনা ঘটেছে বলে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের আশঙ্কা। গত বছর দাবদাহে ভারতে অন্তত ১১০ জন মানুষের মৃত্য নিশ্চিত করতে পেরেছে কর্তৃপক্ষ।
বুধবার, ২১ মে ২০২৫
ভারতে সম্প্রতি রাত্রিকালীন তাপমাত্রা ও আর্দ্রতা বৃদ্ধি নিয়ে মারাত্মক স্বাস্থ্যঝুঁকি দেখা দিয়েছে। দিল্লিভিত্তিক চিন্তক সংস্থা কাউন্সিল অন এনার্জি, এনভায়রনমেন্ট অ্যান্ড ওয়াটার (সিইইডব্লিউ) থেকে মঙ্গলবার (২০ মে) প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে দেখা গেছে, দেশটির প্রায় ৬০ শতাংশ এলাকায় বসবাসকারী তিন-চতুর্থাংশ মানুষ তীব্র তাপের কারণে উচ্চ থেকে অত্যন্ত উচ্চ ঝুঁকিতে আছেন। ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স এ খবর জানিয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, ভারতের প্রায় ৫৭ শতাংশ জেলার মানুষ তীব্র তাপের উচ্চ থেকে অতি উচ্চ ঝুঁকিতে রয়েছে। এই এলাকায় অত্যন্ত ৭৬ শতাংশ মানুষের বাস।
তীব্র তাপের ঝুঁকিতে থাকা জেলার তালিকায় রাজধানী নয়াদিল্লির নাম সবার ওপরে রয়েছে।
এই প্রতিবেদন যখন প্রকাশিত হলো, তখন উত্তর ভারতের অধিকাংশ এলাকা তীব্র তাপদাহে পর্যদুস্ত। বিশ্লেষকরা বলছেন, মনুষ্যসৃষ্ট কারণে জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবে প্রতিবছর উষ্ণতার মাত্রা বৃদ্ধি পাচ্ছে, যার শিকার হচ্ছেন দক্ষিণ এশিয়ার কোটি কোটি মানুষ।
গবেষণায় আরও দেখা গেছে, উত্তর ভারতের শুষ্ক অঞ্চলে ইদানীং আপেক্ষিক আর্দ্রতা বৃদ্ধি পাচ্ছে। এর ফলে, তাপমাত্রা বৃদ্ধি পেলে মানবদেহ থেকে ঘাম আকারে তাপ বেরিয়ে যাওয়ার প্রাকৃতিক প্রক্রিয়ার গতি হ্রাস পাচ্ছে, যা স্বাস্থ্যঝুঁকি বৃদ্ধি পাওয়ার আরেকটি কারণ।
গত বছরের ১ মার্চ থেকে ১৮ জুন পর্যন্ত সময়ে পরিচালিত জরিপে দেখা গেছে, ভারতের উত্তর পশ্চিমাঞ্চলীয় এবং পূর্বাঞ্চলীয় অংশে স্বাভাবিকের চেয়ে দ্বিগুণ সংখ্যক দিনে তাপ প্রবাহ বয়ে গেছে। ওই সময় চল্লিশ হাজারের বেশি হিটস্ট্রোকে আক্রান্তের ঘটনা ঘটেছে বলে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের আশঙ্কা। গত বছর দাবদাহে ভারতে অন্তত ১১০ জন মানুষের মৃত্য নিশ্চিত করতে পেরেছে কর্তৃপক্ষ।