সিরিয়ার যুদ্ধপূর্ব জনসংখ্যার অর্ধেকই এখন বাস্তুচ্যুত- বিবিসি
সিরিয়ায় আগামী কয়েক সপ্তাহের মধ্যে গৃহযুদ্ধ শুরু হতে পারে এবং দেশটি টুকরো টুকরো হয়ে যেতে পারে। মঙ্গলবার (২০ মে) এমন সতর্কতাই দিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও। সিরিয়ার নতুন প্রেসিডেন্ট আহমেদ আল সারার সঙ্গে কয়েকদিন আগে বৈঠকের পর এ তথ্য জানিয়েছেন তিনি।
রুবিও দেশটির সিনেটরদের এক শুনানিতে বলেছেন, “আমাদের মূল্যায়ন হলো, সত্যি বলতে সিরিয়ার অন্তর্বর্তী সরকার, যে চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করছে, হয়ত— কয়েক মাস নয়, কয়েক সপ্তাহের মধ্যে তাদের পতন ঘটতে পারে এবং পূর্ণাঙ্গ গৃহযুদ্ধ শুরু হতে পারে। বলতে গেলে দেশটি টুকরো টুকরো হয়ে যেতে পারে।”
গত বছরের ডিসেম্বরে সাবেক স্বৈরশাসক বাসার আল আসাদকে ক্ষমতাচ্যুত করে সিরিয়ার নিয়ন্ত্রণ নেয় আহমেদ আল সারার নেতৃত্বাধীন ইসলামপন্থি দল হায়াত তাহরির আল শাম। এরপর সারা প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব নেন। সারা আগে আল-কায়েদার সঙ্গে জড়িত ছিলেন। তবে সশস্ত্র এ গোষ্ঠীর সঙ্গ ত্যাগ করে তিনি হায়াত তাহরির আল শাম নামে নতুন দল গঠন করেন। তিনি সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট হয়ে নিজেকে ‘উদারপন্থি’ হিসেবে উপস্থাপনের চেষ্টা করেন। সারা আগে আরব পোশাক পরলেও; পরবর্তীতে স্যুট টাই পরা শুরু করেন। তার সঙ্গে সিরিয়ায় গিয়ে অনেক পশ্চিমা নেতাও বৈঠক করেন।
তার সবচেয়ে বড় অর্জন হলো, গত সপ্তাহে সিরিয়ার ওপর থেকে সব ধরনের অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়ার ঘোষণা দেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। আর ট্রাম্পের এমন সিদ্ধান্তে সিরিয়ায় আবারও অর্থনৈতিক উন্নয়নের সম্ভাবনা তৈরি হয়। তবে এমন আশার মাঝেই গৃহযুদ্ধ ও সিরিয়া ভেঙে টুকরো টুকরো হওয়ার ব্যাপারে সতর্কতা দিলেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
এদিকে, ইউরোপীয় ইউনিয়নের পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা সিরিয়ার ওপর আরোপিত অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারে সম্মত হয়েছেন বলে জানিয়েছেন ইইউর পররাষ্ট্রনীতিবিষয়ক প্রধান কায়া কাল্লাস। ব্রাসেলসে মন্ত্রীদের সঙ্গে আলোচনার পর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্স-এ করা এক পোস্টে কাল্লাস বলেন, আমরা সিরিয়ার জনগণকে একটি নতুন, অন্তর্ভুক্তিমূলক এবং শান্তিপূর্ণ সিরিয়া গড়ে তুলতে সহায়তা করতে চাই।
গত সপ্তাহে ডনাল্ড ট্রাম্প ঘোষণা দেন সিরিয়ার ওপর থেকে মার্কিন নিষেধাজ্ঞা তুলে নেবেন। এরপরই ইউরোপীয় ইউনিয়ন এমন সিদ্ধান্ত নিলো। কাল্লাস বলেন, গত ১৪ বছর ধরেই ইউরোপীয় ইউনিয়ন সিরিয়ার জনগণের পাশে রয়েছে এবং আগামীতেও থাকবে।
সিরিয়ার যুদ্ধপূর্ব জনসংখ্যার অর্ধেকই এখন বাস্তুচ্যুত- বিবিসি
বুধবার, ২১ মে ২০২৫
সিরিয়ায় আগামী কয়েক সপ্তাহের মধ্যে গৃহযুদ্ধ শুরু হতে পারে এবং দেশটি টুকরো টুকরো হয়ে যেতে পারে। মঙ্গলবার (২০ মে) এমন সতর্কতাই দিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও। সিরিয়ার নতুন প্রেসিডেন্ট আহমেদ আল সারার সঙ্গে কয়েকদিন আগে বৈঠকের পর এ তথ্য জানিয়েছেন তিনি।
রুবিও দেশটির সিনেটরদের এক শুনানিতে বলেছেন, “আমাদের মূল্যায়ন হলো, সত্যি বলতে সিরিয়ার অন্তর্বর্তী সরকার, যে চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করছে, হয়ত— কয়েক মাস নয়, কয়েক সপ্তাহের মধ্যে তাদের পতন ঘটতে পারে এবং পূর্ণাঙ্গ গৃহযুদ্ধ শুরু হতে পারে। বলতে গেলে দেশটি টুকরো টুকরো হয়ে যেতে পারে।”
গত বছরের ডিসেম্বরে সাবেক স্বৈরশাসক বাসার আল আসাদকে ক্ষমতাচ্যুত করে সিরিয়ার নিয়ন্ত্রণ নেয় আহমেদ আল সারার নেতৃত্বাধীন ইসলামপন্থি দল হায়াত তাহরির আল শাম। এরপর সারা প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব নেন। সারা আগে আল-কায়েদার সঙ্গে জড়িত ছিলেন। তবে সশস্ত্র এ গোষ্ঠীর সঙ্গ ত্যাগ করে তিনি হায়াত তাহরির আল শাম নামে নতুন দল গঠন করেন। তিনি সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট হয়ে নিজেকে ‘উদারপন্থি’ হিসেবে উপস্থাপনের চেষ্টা করেন। সারা আগে আরব পোশাক পরলেও; পরবর্তীতে স্যুট টাই পরা শুরু করেন। তার সঙ্গে সিরিয়ায় গিয়ে অনেক পশ্চিমা নেতাও বৈঠক করেন।
তার সবচেয়ে বড় অর্জন হলো, গত সপ্তাহে সিরিয়ার ওপর থেকে সব ধরনের অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়ার ঘোষণা দেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। আর ট্রাম্পের এমন সিদ্ধান্তে সিরিয়ায় আবারও অর্থনৈতিক উন্নয়নের সম্ভাবনা তৈরি হয়। তবে এমন আশার মাঝেই গৃহযুদ্ধ ও সিরিয়া ভেঙে টুকরো টুকরো হওয়ার ব্যাপারে সতর্কতা দিলেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
এদিকে, ইউরোপীয় ইউনিয়নের পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা সিরিয়ার ওপর আরোপিত অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারে সম্মত হয়েছেন বলে জানিয়েছেন ইইউর পররাষ্ট্রনীতিবিষয়ক প্রধান কায়া কাল্লাস। ব্রাসেলসে মন্ত্রীদের সঙ্গে আলোচনার পর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্স-এ করা এক পোস্টে কাল্লাস বলেন, আমরা সিরিয়ার জনগণকে একটি নতুন, অন্তর্ভুক্তিমূলক এবং শান্তিপূর্ণ সিরিয়া গড়ে তুলতে সহায়তা করতে চাই।
গত সপ্তাহে ডনাল্ড ট্রাম্প ঘোষণা দেন সিরিয়ার ওপর থেকে মার্কিন নিষেধাজ্ঞা তুলে নেবেন। এরপরই ইউরোপীয় ইউনিয়ন এমন সিদ্ধান্ত নিলো। কাল্লাস বলেন, গত ১৪ বছর ধরেই ইউরোপীয় ইউনিয়ন সিরিয়ার জনগণের পাশে রয়েছে এবং আগামীতেও থাকবে।