ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে সাম্প্রতিক সামরিক উত্তেজনার প্রেক্ষাপটে বিবিসিকে দেওয়া এক বিশেষ সাক্ষাৎকারে কঠোর হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেছেন পাকিস্তান আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তরের (আইএসপিআর) মহাপরিচালক লেফটেন্যান্ট জেনারেল আহমেদ শরিফ চৌধুরী। তিনি বলেন, “ভারত আগুন নিয়ে খেলছে।” তাঁর দাবি, ভারতের উস্কানিমূলক আখ্যান ও আচরণ যেকোনো মুহূর্তে ভয়াবহ সংঘাতের জন্ম দিতে পারে।
সাক্ষাৎকারে শরিফ চৌধুরী বলেন, “পাকিস্তান শান্তি চায়, কিন্তু কেউ যুদ্ধ চাপিয়ে দিলে আমরা প্রতিরোধের জন্য সর্বদা প্রস্তুত।” তাঁর ভাষায়, “ভারত ও পাকিস্তান দুটোই পরমাণু শক্তিধর দেশ। এ অবস্থায় যুদ্ধ হলে তা হবে ‘পারস্পরিক ধ্বংসের’ পথে যাত্রা, যা পুরোপুরি অবিবেচকের কাজ।”
সম্প্রতি কাশ্মীরের পেহেলগামে বন্দুকধারীদের হামলায় ২৬ জন নিহত হন। এ ঘটনার পর ভারতের পক্ষ থেকে পাকিস্তানের ভূখণ্ডে বিমান হামলা চালানো হয়, যার জবাবে পাকিস্তানও পাল্টা হামলা চালায়। উভয়পক্ষের পাল্টাপাল্টি আক্রমণের পর শেষ পর্যন্ত যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয় দুই দেশ।
শরিফ চৌধুরীর দাবি, ওই সংঘর্ষে পাকিস্তান চীনের তৈরি ‘জে-১০সি’ যুদ্ধবিমান ব্যবহার করে ভারতের ছয়টি সামরিক উড়োজাহাজ ভূপাতিত করেছে। তাঁর ভাষায়, “আমরা চাইলে আরও ভূপাতিত করতে পারতাম, কিন্তু দায়িত্বশীলতার পরিচয় দিয়েছি।”
তিনি বলেন, “ভারতের আখ্যান আজও বদলায়নি। একের পর এক ভিত্তিহীন অভিযোগ তুলে তারা পাকিস্তানকে ঘায়েল করার চেষ্টা চালায়। আমাদের দেশে কোথাও কোনো সন্ত্রাসী ঘাঁটি নেই। তারা যেসব স্থানে হামলা চালিয়েছে, সেগুলো মসজিদ। সংবাদমাধ্যমের সামনে সেসব এলাকা দেখানো হয়েছে।”
ভারত সরকারের উদ্দেশ্য নিয়ে প্রশ্ন তুলে তিনি বলেন, “ভারত যে ‘সন্ত্রাসবাদ বিরোধী’ লড়াইয়ের কথা বলছে, তা আসলে তাদের অভ্যন্তরীণ রাজনৈতিক স্বার্থ রক্ষার কৌশল।”
বাক্চ্যানেল যোগাযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, “এসব রাজনৈতিক ও কূটনৈতিক বিষয়। প্রতিরক্ষা বাহিনী তাতে প্রধান ভূমিকা পালন করে না।” তবে তিনি দাবি করেন, ৬–৭ মে’র সংঘর্ষের পর ভারত থেকেই যুদ্ধবিরতির আলোচনার প্রস্তাব আসে।
ভারতের পক্ষ থেকে বলা হয়েছিল, হামলার আগে পাকিস্তানকে জানানো হয়েছিল। এ বিষয়ে শরিফ চৌধুরী বলেন, “এটা পুরোপুরি হাস্যকর দাবি। আমরা ভারতের কোনো তথ্যে নির্ভর করি না। আমাদের নিজস্ব গোয়েন্দা সক্ষমতাই যথেষ্ট।”
সাক্ষাৎকারের শেষদিকে তিনি বলেন, “আমরা সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থানে আছি। যদি কেউ প্রমাণ দেয়, কোনো পাকিস্তানি নাগরিক সন্ত্রাসে জড়িত, তাহলে আমরা নিজেরাই ব্যবস্থা নেব।”
শনিবার, ২৪ মে ২০২৫
ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে সাম্প্রতিক সামরিক উত্তেজনার প্রেক্ষাপটে বিবিসিকে দেওয়া এক বিশেষ সাক্ষাৎকারে কঠোর হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেছেন পাকিস্তান আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তরের (আইএসপিআর) মহাপরিচালক লেফটেন্যান্ট জেনারেল আহমেদ শরিফ চৌধুরী। তিনি বলেন, “ভারত আগুন নিয়ে খেলছে।” তাঁর দাবি, ভারতের উস্কানিমূলক আখ্যান ও আচরণ যেকোনো মুহূর্তে ভয়াবহ সংঘাতের জন্ম দিতে পারে।
সাক্ষাৎকারে শরিফ চৌধুরী বলেন, “পাকিস্তান শান্তি চায়, কিন্তু কেউ যুদ্ধ চাপিয়ে দিলে আমরা প্রতিরোধের জন্য সর্বদা প্রস্তুত।” তাঁর ভাষায়, “ভারত ও পাকিস্তান দুটোই পরমাণু শক্তিধর দেশ। এ অবস্থায় যুদ্ধ হলে তা হবে ‘পারস্পরিক ধ্বংসের’ পথে যাত্রা, যা পুরোপুরি অবিবেচকের কাজ।”
সম্প্রতি কাশ্মীরের পেহেলগামে বন্দুকধারীদের হামলায় ২৬ জন নিহত হন। এ ঘটনার পর ভারতের পক্ষ থেকে পাকিস্তানের ভূখণ্ডে বিমান হামলা চালানো হয়, যার জবাবে পাকিস্তানও পাল্টা হামলা চালায়। উভয়পক্ষের পাল্টাপাল্টি আক্রমণের পর শেষ পর্যন্ত যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয় দুই দেশ।
শরিফ চৌধুরীর দাবি, ওই সংঘর্ষে পাকিস্তান চীনের তৈরি ‘জে-১০সি’ যুদ্ধবিমান ব্যবহার করে ভারতের ছয়টি সামরিক উড়োজাহাজ ভূপাতিত করেছে। তাঁর ভাষায়, “আমরা চাইলে আরও ভূপাতিত করতে পারতাম, কিন্তু দায়িত্বশীলতার পরিচয় দিয়েছি।”
তিনি বলেন, “ভারতের আখ্যান আজও বদলায়নি। একের পর এক ভিত্তিহীন অভিযোগ তুলে তারা পাকিস্তানকে ঘায়েল করার চেষ্টা চালায়। আমাদের দেশে কোথাও কোনো সন্ত্রাসী ঘাঁটি নেই। তারা যেসব স্থানে হামলা চালিয়েছে, সেগুলো মসজিদ। সংবাদমাধ্যমের সামনে সেসব এলাকা দেখানো হয়েছে।”
ভারত সরকারের উদ্দেশ্য নিয়ে প্রশ্ন তুলে তিনি বলেন, “ভারত যে ‘সন্ত্রাসবাদ বিরোধী’ লড়াইয়ের কথা বলছে, তা আসলে তাদের অভ্যন্তরীণ রাজনৈতিক স্বার্থ রক্ষার কৌশল।”
বাক্চ্যানেল যোগাযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, “এসব রাজনৈতিক ও কূটনৈতিক বিষয়। প্রতিরক্ষা বাহিনী তাতে প্রধান ভূমিকা পালন করে না।” তবে তিনি দাবি করেন, ৬–৭ মে’র সংঘর্ষের পর ভারত থেকেই যুদ্ধবিরতির আলোচনার প্রস্তাব আসে।
ভারতের পক্ষ থেকে বলা হয়েছিল, হামলার আগে পাকিস্তানকে জানানো হয়েছিল। এ বিষয়ে শরিফ চৌধুরী বলেন, “এটা পুরোপুরি হাস্যকর দাবি। আমরা ভারতের কোনো তথ্যে নির্ভর করি না। আমাদের নিজস্ব গোয়েন্দা সক্ষমতাই যথেষ্ট।”
সাক্ষাৎকারের শেষদিকে তিনি বলেন, “আমরা সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থানে আছি। যদি কেউ প্রমাণ দেয়, কোনো পাকিস্তানি নাগরিক সন্ত্রাসে জড়িত, তাহলে আমরা নিজেরাই ব্যবস্থা নেব।”