গাজায় খাবারের আশায় ভিড় করছেন ফিলিস্তিনিরা -এপি
গাজায় সীমিত ত্রাণ সহায়তা, জাতিসংঘ জানিয়েছে, গাজা উপত্যকায় চলমান মানবিক সংকট মোকাবিলায় আরও খাদ্য সহায়তা প্রয়োজন। কারণ সহায়তা বহনকারী ট্রাকগুলো লুটপাটের শিকার হওয়ায় খাদ্য বিতরণ মারাত্মকভাবে বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। এর মধ্যেই গাজায় সাহায্যবাহী ট্রাকগুলো লুটের হাত থেকে রক্ষাকারীদের ওপর বিমান হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল। শুক্রবার হামাস কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, এতে ৬ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএন এ খবর জানিয়েছে।
বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচি (ডব্লিউএফপি) জানায়, মানুষের মধ্যে ক্ষুধা, হতাশা ও নিরাপত্তাহীনতা এতটাই বেড়েছে যে কিছু সাহায্যবাহী ট্রাক পথে লুটপাট হয়ে যাচ্ছে। তারা সতর্ক করেছে, যদি অবিলম্বে নিরাপদ ও টেকসই সহায়তা প্রবাহ নিশ্চিত না করা যায়, তাহলে সংকট আরও ভয়াবহ রূপ নিতে পারে।
জাতিসংঘের ফিলিস্তিনি শরণার্থীদের জন্য ত্রাণ ও কর্মসংস্থান সংস্থা-ইউএনআরডব্লিউএ প্রধান ফিলিপ লাজারিনি বলেন, ‘গাজায় যা চলছে তা একটি মানবিক বিপর্যয়। এখন যে পরিমাণ সহায়তা ঢুকছে তা প্রয়োজনের তুলনায় নগণ্য। ভুসির গাদায় সুচ খোঁজার মতো।’ তিনি আরও বলেন, ‘সহায়তা ঠিকমতো পৌঁছাচ্ছে না কোনোটা রাস্তায় লুট হচ্ছে, আবার কোনোটা নিরাপত্তাহীনতার কারণে আটকে আছে।’
গত ২ মার্চ থেকে আরোপিত পূর্ণ অবরোধের পর এই সপ্তাহে প্রথমবারের মতো খাদ্য ও মানবিক সহায়তা বহনকারী ট্রাক গাজায় প্রবেশ করতে দেয় ইসরায়েল। তাদের দাবি, সোমবার থেকে ৩০০টিরও বেশি সহায়তাবাহী ট্রাক গাজায় প্রবেশ করেছে। তবে জাতিসংঘ বলছে, যুদ্ধ শুরুর আগে প্রতিদিন গাজায় ৫০০ থেকে ৬০০ ট্রাক প্রবেশ করত, তাই বর্তমান সহায়তা এর মাত্র একাংশ। বৃহস্পতিবার ইসরায়েল দাবি করে, ‘গাজায় কোনো খাদ্যসংকট নেই।’ যদিও ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর কার্যালয় ওই একই সপ্তাহে বলেছিল, ‘মানবিক সংকট ঠেকাতে ইসরায়েল গাজায় একটি ন্যূনতম মাত্রায় খাদ্য সরবরাহ করছে তারা।’
তবে ফিলিপ লাজারিনি বলেছেন, গাজার সাধারণ মানুষের হাতে সব সহায়তা পৌঁছাচ্ছে না। কোনও ট্রাকই উত্তর গাজায় পৌঁছায়নি। সেখানে সম্প্রতি ইসরায়েল একাধিকবার স্থানান্তরের নির্দেশ দিয়েছে। গাজার পরিবহণ সমিতির প্রধান নাহিদ শুহাইবার জানান, বৃহস্পতিবার গভীর রাতে দক্ষিণ ও মধ্য গাজায় ৩০টি সহায়তাবাহী ট্রাক আক্রান্ত ও ভাঙচুরের শিকার হয়। হামাসের সরকারি মিডিয়া অফিস জানিয়েছে, দেইর আল-বালাহ এলাকায় সশস্ত্র গ্যাং ট্রাকের ওপর গুলি চালায় ও সেগুলো লুট করে। ঘটনাস্থলে স্থানীয় নিরাপত্তা বাহিনী ও হামাসের সহায়তা পৌঁছানোর পর ইসরায়েলি বিমান হামলায় ছয়জন নিহত হয়।
ইসরায়েলি নিরাপত্তা বাহিনী সিএনএনকে জানায়, একটি বিমান হামাস জঙ্গিসহ কয়েকজন অস্ত্রধারীকে লক্ষ্য করে হামলা চালায়। তবে এই হামলায় মানবিক সহায়তা ক্ষতিগ্রস্ত হয়নি বলে দাবি করে তারা। যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েলের যৌথ সহায়তা পরিকল্পনা ‘গাজা মানবিক ফাউন্ডেশন’-এর এই মাসের শেষের দিকে চারটি বিতরণ কেন্দ্র চালু করার কথা। কিন্তু জাতিসংঘ ও অন্যান্য মানবিক সংস্থা এই নতুন উদ্যোগে কাজ করতে অস্বীকৃতি জানিয়েছে।
জাতিসংঘের মানবিক সহায়তা বিষয়ক বিভাগের প্রধান টম ফ্লেচার গত সপ্তাহে এক্সে লেখেন, ‘গাজায় বিকল্প সহায়তা পরিকল্পনা নিয়ে সময় নষ্ট না করে আমাদের বর্তমান পরিকল্পনাটিকেই এগিয়ে নেয়া উচিত।’ শুক্রবার গাজা বেকারি মালিক সমিতি ঘোষণা দেয়, ‘গাজায় বিদ্যমান কঠিন পরিস্থিতির কারণে বেকারিগুলো কাজ করবে না। তারা ডব্লিউএফপিকে প্রথমে পরিবারগুলোর মধ্যে সরাসরি আটা বিতরণের আহ্বান জানায়। সমিতির সভাপতি আবদেল নাসের আল-আজরামি আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোর প্রতি আহ্বান জানান, তারা যেন আবশ্যিকভাবে ইসরায়েলের সঙ্গে আলোচনা করে গাজায় আটা, চিনি, ইস্ট, লবণ ও ডিজেল প্রবেশ নিশ্চিত করে যাতে সবার জন্য রুটি নিশ্চিত করা যায়।
এদিকে ইসরায়েলকে অবিলম্বে গাজায় সামরিক অভিযান বন্ধ করতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন গ্রিসের প্রধানমন্ত্রী কিরিয়াকোস মিতসোতাকিস। একই সঙ্গে গাজায় মানবিক সহায়তা প্রবেশের অনুমতি দিতে হবে বলেও জানান তিনি। বার্তা সংস্থা আনাদোলু জানায়, বৃহস্পতিবার রাতে এক বক্তব্যে তিনি বলেন, গত কিছু দিনে গাজায় যা ঘটছে তা অযৌক্তিক ও অগ্রহণযোগ্য। ইসরায়েলকে অবিলম্বে এসব অভিযান বন্ধ করতে হবে এবং জাতিসংঘসহ অন্যান্য মানবিক সংস্থাকে সহায়তা দিতে হবে, যাতে দ্রুত খাদ্য, ওষুধসহ প্রয়োজনীয় সামগ্রী গাজার মানুষের কাছে পৌঁছাতে পারে।
তিনি স্বীকার করেন, গাজায় ইসরায়েলি হামলা ও অবরোধের বিষয়ে নীরব থাকার অভিযোগে সরকার ব্যাপক জনসমালোচনার মুখে পড়েছে, এমনকি বিরোধী দলগুলোর পক্ষ থেকেও সমালোচনা হচ্ছে। এর জবাবে মিতসোতাকিস বলেন, আমরা নীরব নই।
গ্রিস ও ইসরায়েলের কৌশলগত মিত্রতা থাকলেও আমাদের অবশ্যই মিত্রদের কাছে কঠিন সত্যগুলো বলতে হবে। অন্যদিকে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু ফ্রান্স, ব্রিটেন ও কানাডার নেতাদের বিরুদ্ধে হামাসকে ‘উৎসাহিত’ করার অভিযোগ এনেছেন। গাজায় চলমান ইসরায়েলি সামরিক অভিযানে বিরতি না এলে এসব দেশ ‘কঠোর পদক্ষেপ’ নিতে পারে বলে হুঁশিয়ারি দেয়ার পরিপ্রেক্ষিতে এই মন্তব্য করেন তিনি। বৃহস্পতিবার ইসরায়েলি পররাষ্ট্রমন্ত্রী গিডিওন সারের অনুরূপ মন্তব্যের পুনরাবৃত্তি করে নেতানিয়াহু বলেন, আপনারা মানবতার বিপক্ষে অবস্থান নিয়েছেন। ইতিহাসের ভুল পাশে দাঁড়িয়েছেন। এক্স-এ দেওয়া এক বিবৃতিতে তিনি বলেন, হামাস ফিলিস্তিন রাষ্ট্র চায় না, তারা ইহুদি রাষ্ট্র ধ্বংস করতে চায়। তবু ফ্রান্স, ব্রিটেন, কানাডার নেতারা কেন এটা বোঝেন না তা আমার বোধগম্য নয়। বিশ্ব জুড়ে গাজায় ধ্বংসযজ্ঞ ও দুর্ভিক্ষের চিত্র ছড়িয়ে পড়ায় জনমত ইসরায়েলের বিরুদ্ধে প্রবলভাবে ঘুরে দাঁড়াচ্ছে। এতে তেল আবিবের ওপর চাপ বাড়ছে।
খাবারের জন্য হাহাকার ও লুটপাট
গাজায় খাবারের আশায় ভিড় করছেন ফিলিস্তিনিরা -এপি
শনিবার, ২৪ মে ২০২৫
গাজায় সীমিত ত্রাণ সহায়তা, জাতিসংঘ জানিয়েছে, গাজা উপত্যকায় চলমান মানবিক সংকট মোকাবিলায় আরও খাদ্য সহায়তা প্রয়োজন। কারণ সহায়তা বহনকারী ট্রাকগুলো লুটপাটের শিকার হওয়ায় খাদ্য বিতরণ মারাত্মকভাবে বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। এর মধ্যেই গাজায় সাহায্যবাহী ট্রাকগুলো লুটের হাত থেকে রক্ষাকারীদের ওপর বিমান হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল। শুক্রবার হামাস কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, এতে ৬ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএন এ খবর জানিয়েছে।
বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচি (ডব্লিউএফপি) জানায়, মানুষের মধ্যে ক্ষুধা, হতাশা ও নিরাপত্তাহীনতা এতটাই বেড়েছে যে কিছু সাহায্যবাহী ট্রাক পথে লুটপাট হয়ে যাচ্ছে। তারা সতর্ক করেছে, যদি অবিলম্বে নিরাপদ ও টেকসই সহায়তা প্রবাহ নিশ্চিত না করা যায়, তাহলে সংকট আরও ভয়াবহ রূপ নিতে পারে।
জাতিসংঘের ফিলিস্তিনি শরণার্থীদের জন্য ত্রাণ ও কর্মসংস্থান সংস্থা-ইউএনআরডব্লিউএ প্রধান ফিলিপ লাজারিনি বলেন, ‘গাজায় যা চলছে তা একটি মানবিক বিপর্যয়। এখন যে পরিমাণ সহায়তা ঢুকছে তা প্রয়োজনের তুলনায় নগণ্য। ভুসির গাদায় সুচ খোঁজার মতো।’ তিনি আরও বলেন, ‘সহায়তা ঠিকমতো পৌঁছাচ্ছে না কোনোটা রাস্তায় লুট হচ্ছে, আবার কোনোটা নিরাপত্তাহীনতার কারণে আটকে আছে।’
গত ২ মার্চ থেকে আরোপিত পূর্ণ অবরোধের পর এই সপ্তাহে প্রথমবারের মতো খাদ্য ও মানবিক সহায়তা বহনকারী ট্রাক গাজায় প্রবেশ করতে দেয় ইসরায়েল। তাদের দাবি, সোমবার থেকে ৩০০টিরও বেশি সহায়তাবাহী ট্রাক গাজায় প্রবেশ করেছে। তবে জাতিসংঘ বলছে, যুদ্ধ শুরুর আগে প্রতিদিন গাজায় ৫০০ থেকে ৬০০ ট্রাক প্রবেশ করত, তাই বর্তমান সহায়তা এর মাত্র একাংশ। বৃহস্পতিবার ইসরায়েল দাবি করে, ‘গাজায় কোনো খাদ্যসংকট নেই।’ যদিও ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর কার্যালয় ওই একই সপ্তাহে বলেছিল, ‘মানবিক সংকট ঠেকাতে ইসরায়েল গাজায় একটি ন্যূনতম মাত্রায় খাদ্য সরবরাহ করছে তারা।’
তবে ফিলিপ লাজারিনি বলেছেন, গাজার সাধারণ মানুষের হাতে সব সহায়তা পৌঁছাচ্ছে না। কোনও ট্রাকই উত্তর গাজায় পৌঁছায়নি। সেখানে সম্প্রতি ইসরায়েল একাধিকবার স্থানান্তরের নির্দেশ দিয়েছে। গাজার পরিবহণ সমিতির প্রধান নাহিদ শুহাইবার জানান, বৃহস্পতিবার গভীর রাতে দক্ষিণ ও মধ্য গাজায় ৩০টি সহায়তাবাহী ট্রাক আক্রান্ত ও ভাঙচুরের শিকার হয়। হামাসের সরকারি মিডিয়া অফিস জানিয়েছে, দেইর আল-বালাহ এলাকায় সশস্ত্র গ্যাং ট্রাকের ওপর গুলি চালায় ও সেগুলো লুট করে। ঘটনাস্থলে স্থানীয় নিরাপত্তা বাহিনী ও হামাসের সহায়তা পৌঁছানোর পর ইসরায়েলি বিমান হামলায় ছয়জন নিহত হয়।
ইসরায়েলি নিরাপত্তা বাহিনী সিএনএনকে জানায়, একটি বিমান হামাস জঙ্গিসহ কয়েকজন অস্ত্রধারীকে লক্ষ্য করে হামলা চালায়। তবে এই হামলায় মানবিক সহায়তা ক্ষতিগ্রস্ত হয়নি বলে দাবি করে তারা। যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েলের যৌথ সহায়তা পরিকল্পনা ‘গাজা মানবিক ফাউন্ডেশন’-এর এই মাসের শেষের দিকে চারটি বিতরণ কেন্দ্র চালু করার কথা। কিন্তু জাতিসংঘ ও অন্যান্য মানবিক সংস্থা এই নতুন উদ্যোগে কাজ করতে অস্বীকৃতি জানিয়েছে।
জাতিসংঘের মানবিক সহায়তা বিষয়ক বিভাগের প্রধান টম ফ্লেচার গত সপ্তাহে এক্সে লেখেন, ‘গাজায় বিকল্প সহায়তা পরিকল্পনা নিয়ে সময় নষ্ট না করে আমাদের বর্তমান পরিকল্পনাটিকেই এগিয়ে নেয়া উচিত।’ শুক্রবার গাজা বেকারি মালিক সমিতি ঘোষণা দেয়, ‘গাজায় বিদ্যমান কঠিন পরিস্থিতির কারণে বেকারিগুলো কাজ করবে না। তারা ডব্লিউএফপিকে প্রথমে পরিবারগুলোর মধ্যে সরাসরি আটা বিতরণের আহ্বান জানায়। সমিতির সভাপতি আবদেল নাসের আল-আজরামি আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোর প্রতি আহ্বান জানান, তারা যেন আবশ্যিকভাবে ইসরায়েলের সঙ্গে আলোচনা করে গাজায় আটা, চিনি, ইস্ট, লবণ ও ডিজেল প্রবেশ নিশ্চিত করে যাতে সবার জন্য রুটি নিশ্চিত করা যায়।
এদিকে ইসরায়েলকে অবিলম্বে গাজায় সামরিক অভিযান বন্ধ করতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন গ্রিসের প্রধানমন্ত্রী কিরিয়াকোস মিতসোতাকিস। একই সঙ্গে গাজায় মানবিক সহায়তা প্রবেশের অনুমতি দিতে হবে বলেও জানান তিনি। বার্তা সংস্থা আনাদোলু জানায়, বৃহস্পতিবার রাতে এক বক্তব্যে তিনি বলেন, গত কিছু দিনে গাজায় যা ঘটছে তা অযৌক্তিক ও অগ্রহণযোগ্য। ইসরায়েলকে অবিলম্বে এসব অভিযান বন্ধ করতে হবে এবং জাতিসংঘসহ অন্যান্য মানবিক সংস্থাকে সহায়তা দিতে হবে, যাতে দ্রুত খাদ্য, ওষুধসহ প্রয়োজনীয় সামগ্রী গাজার মানুষের কাছে পৌঁছাতে পারে।
তিনি স্বীকার করেন, গাজায় ইসরায়েলি হামলা ও অবরোধের বিষয়ে নীরব থাকার অভিযোগে সরকার ব্যাপক জনসমালোচনার মুখে পড়েছে, এমনকি বিরোধী দলগুলোর পক্ষ থেকেও সমালোচনা হচ্ছে। এর জবাবে মিতসোতাকিস বলেন, আমরা নীরব নই।
গ্রিস ও ইসরায়েলের কৌশলগত মিত্রতা থাকলেও আমাদের অবশ্যই মিত্রদের কাছে কঠিন সত্যগুলো বলতে হবে। অন্যদিকে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু ফ্রান্স, ব্রিটেন ও কানাডার নেতাদের বিরুদ্ধে হামাসকে ‘উৎসাহিত’ করার অভিযোগ এনেছেন। গাজায় চলমান ইসরায়েলি সামরিক অভিযানে বিরতি না এলে এসব দেশ ‘কঠোর পদক্ষেপ’ নিতে পারে বলে হুঁশিয়ারি দেয়ার পরিপ্রেক্ষিতে এই মন্তব্য করেন তিনি। বৃহস্পতিবার ইসরায়েলি পররাষ্ট্রমন্ত্রী গিডিওন সারের অনুরূপ মন্তব্যের পুনরাবৃত্তি করে নেতানিয়াহু বলেন, আপনারা মানবতার বিপক্ষে অবস্থান নিয়েছেন। ইতিহাসের ভুল পাশে দাঁড়িয়েছেন। এক্স-এ দেওয়া এক বিবৃতিতে তিনি বলেন, হামাস ফিলিস্তিন রাষ্ট্র চায় না, তারা ইহুদি রাষ্ট্র ধ্বংস করতে চায়। তবু ফ্রান্স, ব্রিটেন, কানাডার নেতারা কেন এটা বোঝেন না তা আমার বোধগম্য নয়। বিশ্ব জুড়ে গাজায় ধ্বংসযজ্ঞ ও দুর্ভিক্ষের চিত্র ছড়িয়ে পড়ায় জনমত ইসরায়েলের বিরুদ্ধে প্রবলভাবে ঘুরে দাঁড়াচ্ছে। এতে তেল আবিবের ওপর চাপ বাড়ছে।
খাবারের জন্য হাহাকার ও লুটপাট