গাজার স্কুলে ইসরায়েলি বিমান হামলা
গাজা শহরের ফাহমি আল-জারগাওয়ি স্কুলে আশ্রয় নিয়েছিলেন গাজার বেইত লাহিয়ার কয়েকশ’ প্যালেস্টাইনি। গতকাল রোববার রাতভর ইসরায়েলি বিমান হামলায় সেখানে অন্তত ৫৪ জন নিহত হয়েছেন। হাসপাতাল সূত্রে জানিয়েছে বিবিসি।
গাজায় বর্তমানে ইসরায়েলের আরেক দফা তীব্র সামরিক অভিযান চলছে।
হামাস-পরিচালিত গাজার সিভিল ডিফেন্স জানিয়েছে, নিহতদের মধ্যে শিশুরাও রয়েছে। অনেকগুলো মৃতদেহ পুড়ে গেছে।
ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনী- আইডিএফ জানিয়েছে, যেটাকে স্কুল বলা হচ্ছে সেটা আসলে ‘হামাস ও ইসলামিক জিহাদের একটি কমান্ড ও নিয়ন্ত্রণ কেন্দ্র।’
আইডিএফ আরও দাবি করে, ‘জঙ্গিরা স্কুলের ওই এলাকাটিতে বসে ইসরায়েলি বেসামরিক নাগরিক ও আইডিএফ সৈন্যদের বিরুদ্ধে হামলার পরিকল্পনা করছিল।’ এছাড়া আবারও হামাসের বিরুদ্ধে ‘গাজার জনগণকে মানবঢাল হিসেবে ব্যবহারের’ অভিযোগ তো আছেই।
হামলার পর অনলাইনে ছড়িয়ে পড়া ভিডিওতে দেখা যায়, স্কুলটি আগুনে জ্বলছে। মারাত্মকভাবে দগ্ধ শিশুরা রয়েছে আহতদের মধ্যে।
উত্তর গাজার অ্যাম্বুলেন্স সার্ভিসের ব্যবস্থাপক ফারিস আফানা জানিয়েছেন, তিনি এবং তার টিম ঘটনাস্থলে পৌঁছে তিনটি শ্রেণীকক্ষ আগুনে পুড়ে যেতে দেখেন। ‘সেখানে ঘুমন্ত শিশু ও নারীরা ছিল,’ তিনি বলেন। ‘তাদের কেউ কেউ চিৎকার করছিল, কিন্তু আগুনের তীব্রতার কারণে আমরা কাউকে উদ্ধার করতে পারিনি। আমরা যা দেখেছি, তা ভাষায় প্রকাশ করার মতো নয়। এতটা ভয়াবহ।’
ওই হামলায় স্ত্রী ও সন্তানসহ উত্তর গাজার পুলিশের এক উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাও রয়েছেন।
এদিকে উত্তর গাজার জাবালিয়ায় একটি বাড়িতে ইসরায়েলের বিমান হামলায় নিহত হন আরও ১৯ জন। তবে এই হামলা নিয়ে এখনও কোনো মন্তব্য করেনি ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী।
গত সপ্তাহ থেকে গাজার উত্তর অংশে হামলা জোরদার করেছে ইসরায়েলি বাহিনী। বোঝাই যাচ্ছে, বৃহত্তর সেই অভিযানের অংশ হিসেবে এই দুটি হামলা চালানো হয়েছে।
আইডিএফ জানিয়েছে, ৪৮ ঘণ্টায় ‘সন্ত্রাসী সংগঠন’ হামাসকে লক্ষ্য করে গাজার ২০০টি লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত করেছে তারা।
এর আগে শুক্রবার গাজায় প্যালেস্টাইনি এক ডাক্তারের বাড়িতে ইসরায়েলি হামলায় একই পরিবারের ৯ জন নিহত হয়। তাদেরও অধিকাংশই শিশু।
এদিকে আন্তর্জাতিক রেডক্রস কমিটি জানিয়েছে, গত শনিবার খান ইউনিসে নিজ বাড়িতে ইসরায়েলি হামলায় নিহত হয়েছেন তাদের দুই কর্মী।
এ নিয়ে ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর গাজায় নিহতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে অন্তত ৫৩,৯৩৯। যাদের মধ্যে অন্তত ১৬,৫০০ জনই শিশু।
গাজার স্কুলে ইসরায়েলি বিমান হামলা
সোমবার, ২৬ মে ২০২৫
গাজা শহরের ফাহমি আল-জারগাওয়ি স্কুলে আশ্রয় নিয়েছিলেন গাজার বেইত লাহিয়ার কয়েকশ’ প্যালেস্টাইনি। গতকাল রোববার রাতভর ইসরায়েলি বিমান হামলায় সেখানে অন্তত ৫৪ জন নিহত হয়েছেন। হাসপাতাল সূত্রে জানিয়েছে বিবিসি।
গাজায় বর্তমানে ইসরায়েলের আরেক দফা তীব্র সামরিক অভিযান চলছে।
হামাস-পরিচালিত গাজার সিভিল ডিফেন্স জানিয়েছে, নিহতদের মধ্যে শিশুরাও রয়েছে। অনেকগুলো মৃতদেহ পুড়ে গেছে।
ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনী- আইডিএফ জানিয়েছে, যেটাকে স্কুল বলা হচ্ছে সেটা আসলে ‘হামাস ও ইসলামিক জিহাদের একটি কমান্ড ও নিয়ন্ত্রণ কেন্দ্র।’
আইডিএফ আরও দাবি করে, ‘জঙ্গিরা স্কুলের ওই এলাকাটিতে বসে ইসরায়েলি বেসামরিক নাগরিক ও আইডিএফ সৈন্যদের বিরুদ্ধে হামলার পরিকল্পনা করছিল।’ এছাড়া আবারও হামাসের বিরুদ্ধে ‘গাজার জনগণকে মানবঢাল হিসেবে ব্যবহারের’ অভিযোগ তো আছেই।
হামলার পর অনলাইনে ছড়িয়ে পড়া ভিডিওতে দেখা যায়, স্কুলটি আগুনে জ্বলছে। মারাত্মকভাবে দগ্ধ শিশুরা রয়েছে আহতদের মধ্যে।
উত্তর গাজার অ্যাম্বুলেন্স সার্ভিসের ব্যবস্থাপক ফারিস আফানা জানিয়েছেন, তিনি এবং তার টিম ঘটনাস্থলে পৌঁছে তিনটি শ্রেণীকক্ষ আগুনে পুড়ে যেতে দেখেন। ‘সেখানে ঘুমন্ত শিশু ও নারীরা ছিল,’ তিনি বলেন। ‘তাদের কেউ কেউ চিৎকার করছিল, কিন্তু আগুনের তীব্রতার কারণে আমরা কাউকে উদ্ধার করতে পারিনি। আমরা যা দেখেছি, তা ভাষায় প্রকাশ করার মতো নয়। এতটা ভয়াবহ।’
ওই হামলায় স্ত্রী ও সন্তানসহ উত্তর গাজার পুলিশের এক উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাও রয়েছেন।
এদিকে উত্তর গাজার জাবালিয়ায় একটি বাড়িতে ইসরায়েলের বিমান হামলায় নিহত হন আরও ১৯ জন। তবে এই হামলা নিয়ে এখনও কোনো মন্তব্য করেনি ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী।
গত সপ্তাহ থেকে গাজার উত্তর অংশে হামলা জোরদার করেছে ইসরায়েলি বাহিনী। বোঝাই যাচ্ছে, বৃহত্তর সেই অভিযানের অংশ হিসেবে এই দুটি হামলা চালানো হয়েছে।
আইডিএফ জানিয়েছে, ৪৮ ঘণ্টায় ‘সন্ত্রাসী সংগঠন’ হামাসকে লক্ষ্য করে গাজার ২০০টি লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত করেছে তারা।
এর আগে শুক্রবার গাজায় প্যালেস্টাইনি এক ডাক্তারের বাড়িতে ইসরায়েলি হামলায় একই পরিবারের ৯ জন নিহত হয়। তাদেরও অধিকাংশই শিশু।
এদিকে আন্তর্জাতিক রেডক্রস কমিটি জানিয়েছে, গত শনিবার খান ইউনিসে নিজ বাড়িতে ইসরায়েলি হামলায় নিহত হয়েছেন তাদের দুই কর্মী।
এ নিয়ে ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর গাজায় নিহতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে অন্তত ৫৩,৯৩৯। যাদের মধ্যে অন্তত ১৬,৫০০ জনই শিশু।