ইউক্রেনের উত্তরপূর্বাঞ্চলীয় সুমি অঞ্চলে আক্রমণ চালানোর জন্য রাশিয়া ৫০ হাজারেরও বেশি সেনা জড়ো করেছে বলে অভিযোগ করেছেন প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি। এছাড়া চীন রাশিয়ার অস্ত্রশিল্পে সহায়তা করছে বলে অভিযোগ করেছে ইউক্রেন।
মঙ্গলবার (২৭ মে) ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি বলেন, আক্রমণের জন্য রাশিয়া তাদের সেরা কিছু বাহিনী মোতায়েন করেছে। কিন্তু তারা যেন বড় ধরনের হামলা চালাতে না পারে সেজন্য কিয়েভ পদক্ষেপ নিয়েছে বলে দাবি করেন তিনি। জানা গেছে, রাশিয়া তাদের গ্রীষ্মকালীন আক্রমণের জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছে বলে মনে হচ্ছে, অপরদিকে কিয়েভ মস্কোর একটি খসড়া সমঝোতা স্মারকের জন্য অপেক্ষা করছে-যেটিতে যুদ্ধবিরতি আলোচনা এগিয়ে নিতে তাদের শর্তগুলো উল্লেখ করা থাকবে। সুমি অঞ্চলটির অবস্থান রাশিয়ার কুরস্ক অঞ্চলের সীমান্তের অপর পাশে। এর আগে রাশিয়ার এই কুরস্ক অঞ্চল দখল করে নিয়ে কয়েক মাস তা ধরে রেখেছিল ইউক্রেন।
কিন্তু গতমাসে রুশ বাহিনী কুরস্ক থেকে তাদের প্রায় পুরোপুরি হটিয়ে দিয়েছে। তারপরও তারা সেখানে কিছু ছোট এলাকার দখল ধরে রেখেছে বলে দাবি ইউক্রেনের। জেলেনস্কি সাংবাদিকদের বলেন, আমাদের সেনাদের কুরস্ক অঞ্চল থেকে বের করে দিতে ও সুমি অঞ্চলের বিরুদ্ধে আক্রমণের প্রস্তুতি নিতে তাদের বৃহত্তম, সবচেয়ে শক্তিশালী বাহিনীগুলো এখন কুরস্ক যুদ্ধক্ষেত্রে। পুতিন বলেছেন, ইউক্রেনের সঙ্গে রাশিয়ার সীমান্ত বরাবর তিনি একটি ‘বাফার জোন’ চান।
জেলেনস্কি জানান, তার বিশ্বাস, রাশিয়া ইউক্রেনের ভূখ-ের ১০ কিলোমিটার ভিতর পর্যন্ত একটি এলাকা দখলে নিতে চায়। সম্প্রতি সুমি অঞ্চলে রাশিয়া অন্তত চারটি ইউক্রেনীয় গ্রামের দখল নিয়েছে। এরপর গত কয়েক সপ্তাহ ধরে তারা ইউক্রেনের কোস্টিয়ান্টিনিভকা শহরের কাছে পূর্বাঞ্চলীয় যুদ্ধক্ষেত্রের দিকে ধীরে ধীরে এগিয়ে যাচ্ছে। তবে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট দাবি করেন, দুই দিনে তাদের বাহিনীগুলো রুশদের চার কিলোমিটার পেছনে ঠেলে দিয়েছে।
এক ব্রিফিংয়ে জেলেনস্কি বলেন, তার সরকার যে কোনো ফরম্যাটে ফের শান্তি আলোচনায় বসার জন্য প্রস্তুত আছে। তিনি জানান, তিনি আশা করছেন, পরবর্তী পর্বের আলোচনা টেকনিক্যাল স্তরে হবে। এজন্য তিনি মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প, রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির পুতিনসহ ত্রিমুখী বৈঠকের জন্যও প্রস্তুত আছেন বলে জানান। তিনি জানান, তিনি চান না যুক্তরাষ্ট্র ইউক্রেন শান্তি প্রক্রিয়া থেকে সরে যাক। এই শান্তি প্রক্রিয়ার অগ্রগতি না হলে ওয়াশিংটন এটি থেকে বের হয়ে যাওয়ার হুমকি দিয়ে রেখেছে।
এদিকে টানা তিন বছরেরও বেশি সময় ধরে চলছে রাশিয়া ও ইউক্রেনের যুদ্ধ। দীর্ঘ এই সময়ে রুশ আগ্রাসন ও ইউক্রেনের পালটা হামলায় হয়েছে হাজারও মানুষের প্রাণহানি। হামলার লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত হয়েছে সামরিক ও বেসামরিক সব অবকাঠামো। এমন অবস্থায় চীনের বিরুদ্ধে রাশিয়ার অস্ত্রশিল্পে সহায়তার অভিযোগ করেছে ইউক্রেন। চীন অবশ্য বরাবরই এই অভিযোগ অস্বীকার করে এসেছে।
এশীয় পরাশক্তি এই দেশটির দাবি, ইউক্রেন যুদ্ধ নিয়ে তারা নিরপেক্ষ অবস্থানে রয়েছে। সোমবার এক প্রতিবেদনে সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা জানায়, ইউক্রেন অভিযোগ করেছে, চীন সরাসরি রাশিয়ার সামরিক শিল্পে সহায়তা দিচ্ছে এমন তথ্য তাদের কাছে রয়েছে। কিয়েভের বৈদেশিক গোয়েন্দা সংস্থার প্রধান ওলেহ ইভাশচেস্কো এই তথ্য জানান। সোমবার ইউক্রেনের রাষ্ট্রীয় বার্তাসংস্থা ইউক্রইনফর্মুএ প্রকাশিত এক সাক্ষাৎকারে ইভাশচেঙ্কো বলেন, আমাদের কাছে নিশ্চিত প্রমাণ রয়েছে যে, চীন রাশিয়ার অন্তত ২০টি সামরিক কারখানায় গুরুত্বপূর্ণ যন্ত্রপাতি ও কাঁচামাল সরবরাহ করছে।
বৃহস্পতিবার, ২৯ মে ২০২৫
ইউক্রেনের উত্তরপূর্বাঞ্চলীয় সুমি অঞ্চলে আক্রমণ চালানোর জন্য রাশিয়া ৫০ হাজারেরও বেশি সেনা জড়ো করেছে বলে অভিযোগ করেছেন প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি। এছাড়া চীন রাশিয়ার অস্ত্রশিল্পে সহায়তা করছে বলে অভিযোগ করেছে ইউক্রেন।
মঙ্গলবার (২৭ মে) ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি বলেন, আক্রমণের জন্য রাশিয়া তাদের সেরা কিছু বাহিনী মোতায়েন করেছে। কিন্তু তারা যেন বড় ধরনের হামলা চালাতে না পারে সেজন্য কিয়েভ পদক্ষেপ নিয়েছে বলে দাবি করেন তিনি। জানা গেছে, রাশিয়া তাদের গ্রীষ্মকালীন আক্রমণের জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছে বলে মনে হচ্ছে, অপরদিকে কিয়েভ মস্কোর একটি খসড়া সমঝোতা স্মারকের জন্য অপেক্ষা করছে-যেটিতে যুদ্ধবিরতি আলোচনা এগিয়ে নিতে তাদের শর্তগুলো উল্লেখ করা থাকবে। সুমি অঞ্চলটির অবস্থান রাশিয়ার কুরস্ক অঞ্চলের সীমান্তের অপর পাশে। এর আগে রাশিয়ার এই কুরস্ক অঞ্চল দখল করে নিয়ে কয়েক মাস তা ধরে রেখেছিল ইউক্রেন।
কিন্তু গতমাসে রুশ বাহিনী কুরস্ক থেকে তাদের প্রায় পুরোপুরি হটিয়ে দিয়েছে। তারপরও তারা সেখানে কিছু ছোট এলাকার দখল ধরে রেখেছে বলে দাবি ইউক্রেনের। জেলেনস্কি সাংবাদিকদের বলেন, আমাদের সেনাদের কুরস্ক অঞ্চল থেকে বের করে দিতে ও সুমি অঞ্চলের বিরুদ্ধে আক্রমণের প্রস্তুতি নিতে তাদের বৃহত্তম, সবচেয়ে শক্তিশালী বাহিনীগুলো এখন কুরস্ক যুদ্ধক্ষেত্রে। পুতিন বলেছেন, ইউক্রেনের সঙ্গে রাশিয়ার সীমান্ত বরাবর তিনি একটি ‘বাফার জোন’ চান।
জেলেনস্কি জানান, তার বিশ্বাস, রাশিয়া ইউক্রেনের ভূখ-ের ১০ কিলোমিটার ভিতর পর্যন্ত একটি এলাকা দখলে নিতে চায়। সম্প্রতি সুমি অঞ্চলে রাশিয়া অন্তত চারটি ইউক্রেনীয় গ্রামের দখল নিয়েছে। এরপর গত কয়েক সপ্তাহ ধরে তারা ইউক্রেনের কোস্টিয়ান্টিনিভকা শহরের কাছে পূর্বাঞ্চলীয় যুদ্ধক্ষেত্রের দিকে ধীরে ধীরে এগিয়ে যাচ্ছে। তবে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট দাবি করেন, দুই দিনে তাদের বাহিনীগুলো রুশদের চার কিলোমিটার পেছনে ঠেলে দিয়েছে।
এক ব্রিফিংয়ে জেলেনস্কি বলেন, তার সরকার যে কোনো ফরম্যাটে ফের শান্তি আলোচনায় বসার জন্য প্রস্তুত আছে। তিনি জানান, তিনি আশা করছেন, পরবর্তী পর্বের আলোচনা টেকনিক্যাল স্তরে হবে। এজন্য তিনি মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প, রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির পুতিনসহ ত্রিমুখী বৈঠকের জন্যও প্রস্তুত আছেন বলে জানান। তিনি জানান, তিনি চান না যুক্তরাষ্ট্র ইউক্রেন শান্তি প্রক্রিয়া থেকে সরে যাক। এই শান্তি প্রক্রিয়ার অগ্রগতি না হলে ওয়াশিংটন এটি থেকে বের হয়ে যাওয়ার হুমকি দিয়ে রেখেছে।
এদিকে টানা তিন বছরেরও বেশি সময় ধরে চলছে রাশিয়া ও ইউক্রেনের যুদ্ধ। দীর্ঘ এই সময়ে রুশ আগ্রাসন ও ইউক্রেনের পালটা হামলায় হয়েছে হাজারও মানুষের প্রাণহানি। হামলার লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত হয়েছে সামরিক ও বেসামরিক সব অবকাঠামো। এমন অবস্থায় চীনের বিরুদ্ধে রাশিয়ার অস্ত্রশিল্পে সহায়তার অভিযোগ করেছে ইউক্রেন। চীন অবশ্য বরাবরই এই অভিযোগ অস্বীকার করে এসেছে।
এশীয় পরাশক্তি এই দেশটির দাবি, ইউক্রেন যুদ্ধ নিয়ে তারা নিরপেক্ষ অবস্থানে রয়েছে। সোমবার এক প্রতিবেদনে সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা জানায়, ইউক্রেন অভিযোগ করেছে, চীন সরাসরি রাশিয়ার সামরিক শিল্পে সহায়তা দিচ্ছে এমন তথ্য তাদের কাছে রয়েছে। কিয়েভের বৈদেশিক গোয়েন্দা সংস্থার প্রধান ওলেহ ইভাশচেস্কো এই তথ্য জানান। সোমবার ইউক্রেনের রাষ্ট্রীয় বার্তাসংস্থা ইউক্রইনফর্মুএ প্রকাশিত এক সাক্ষাৎকারে ইভাশচেঙ্কো বলেন, আমাদের কাছে নিশ্চিত প্রমাণ রয়েছে যে, চীন রাশিয়ার অন্তত ২০টি সামরিক কারখানায় গুরুত্বপূর্ণ যন্ত্রপাতি ও কাঁচামাল সরবরাহ করছে।