রাশিয়ার সাইবেরিয়া অঞ্চলের গভীরে অবস্থিত চারটি সামরিক বিমানঘাঁটিতে একযোগে ড্রোন হামলা চালিয়েছে ইউক্রেন। ইউক্রেনের গোয়েন্দা সংস্থার এই অভিযানে রাশিয়ার ৪০টিরও বেশি কৌশলগত বোমারু বিমান ধ্বংস হয়েছে বলে দাবি করেছেন কিয়েভের এক শীর্ষ নিরাপত্তা কর্মকর্তা। যদিও ক্ষয়ক্ষতির এই দাবির স্বপক্ষে স্বাধীনভাবে কোনো প্রমাণ এখনো মেলেনি।
জানা গেছে, টিইউ-৯৫ ও টিইউ-২২ মডেলের বিমানগুলো এই হামলায় সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। রাশিয়া দীর্ঘদিন ধরে এই বোমারু বিমান ব্যবহার করে ইউক্রেনের বিভিন্ন শহরে ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়ে আসছিল। এ হামলা সেই সক্ষমতাকে বড় ধাক্কা দিতে পারে বলে মনে করছেন সামরিক বিশ্লেষকেরা।
রাশিয়ার সেনাঘাঁটিগুলোর আশপাশ থেকেই ট্রাকে করে আনা ড্রোনগুলো উৎক্ষেপণ করা হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। ইউক্রেনভিত্তিক সংবাদমাধ্যমগুলোর দাবি, ‘স্পাইডারওয়েব’ নামের বিশেষ এই অভিযানের প্রস্তুতি চলেছে দীর্ঘ ১৮ মাস। শুরুতে ড্রোনগুলো রাশিয়ার ভেতরে পাঠিয়ে ছোট কাঠের ঘর বা কাঠামোর ছাদের নিচে লুকিয়ে রাখা হয়, পরে ট্রাকে তুলে হামলা চালানো হয়।
এই অভিযানের অন্যতম নিশানা ছিল সাইবেরিয়ার বেলায়া বিমানঘাঁটি, যেটি ইউক্রেন সীমান্ত থেকে প্রায় ৪ হাজার কিলোমিটার দূরে। ইউক্রেনের গোয়েন্দা সংস্থা এসবিইউ এই হামলার নেতৃত্ব দিয়েছে বলে জানা গেছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ইউক্রেনীয় এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, এই বিশেষ অভিযানের লক্ষ্য ছিল ‘ফ্রন্টলাইন থেকে অনেক দূরের শত্রুঘাঁটিতে আঘাত হানা।’
রাশিয়ার বিভিন্ন সংবাদমাধ্যম এবং টেলিগ্রাম চ্যানেলগুলোতেও বিমানঘাঁটিতে আগুন লাগা, ধ্বংস হওয়া যুদ্ধবিমান এবং সেনাসদস্যদের হাহাকারের দৃশ্য উঠে এসেছে। মস্কো অঞ্চলের ভসক্রেসেনস্কে পুড়ে যাওয়া একটি বিমানঘাঁটির ভিডিওতে এক সেনা সদস্যকে বলতে শোনা যায়, "এখানে সব ধ্বংস হয়ে গেছে।"
অন্যদিকে, ড্রোন হামলার মাত্র কয়েক ঘণ্টা আগে রাশিয়ার ব্রিয়ানস্ক ও কুরস্ক অঞ্চলে দুটি সেতু ধসে ট্রেন লাইনচ্যুত হয়। এই ঘটনায় অন্তত সাতজন নিহত হয়েছেন। বিস্ফোরণের কারণে সেতু ধসে পড়েছে বলে ধারণা করছে রুশ কর্তৃপক্ষ।
সোমবার, ০২ জুন ২০২৫
রাশিয়ার সাইবেরিয়া অঞ্চলের গভীরে অবস্থিত চারটি সামরিক বিমানঘাঁটিতে একযোগে ড্রোন হামলা চালিয়েছে ইউক্রেন। ইউক্রেনের গোয়েন্দা সংস্থার এই অভিযানে রাশিয়ার ৪০টিরও বেশি কৌশলগত বোমারু বিমান ধ্বংস হয়েছে বলে দাবি করেছেন কিয়েভের এক শীর্ষ নিরাপত্তা কর্মকর্তা। যদিও ক্ষয়ক্ষতির এই দাবির স্বপক্ষে স্বাধীনভাবে কোনো প্রমাণ এখনো মেলেনি।
জানা গেছে, টিইউ-৯৫ ও টিইউ-২২ মডেলের বিমানগুলো এই হামলায় সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। রাশিয়া দীর্ঘদিন ধরে এই বোমারু বিমান ব্যবহার করে ইউক্রেনের বিভিন্ন শহরে ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়ে আসছিল। এ হামলা সেই সক্ষমতাকে বড় ধাক্কা দিতে পারে বলে মনে করছেন সামরিক বিশ্লেষকেরা।
রাশিয়ার সেনাঘাঁটিগুলোর আশপাশ থেকেই ট্রাকে করে আনা ড্রোনগুলো উৎক্ষেপণ করা হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। ইউক্রেনভিত্তিক সংবাদমাধ্যমগুলোর দাবি, ‘স্পাইডারওয়েব’ নামের বিশেষ এই অভিযানের প্রস্তুতি চলেছে দীর্ঘ ১৮ মাস। শুরুতে ড্রোনগুলো রাশিয়ার ভেতরে পাঠিয়ে ছোট কাঠের ঘর বা কাঠামোর ছাদের নিচে লুকিয়ে রাখা হয়, পরে ট্রাকে তুলে হামলা চালানো হয়।
এই অভিযানের অন্যতম নিশানা ছিল সাইবেরিয়ার বেলায়া বিমানঘাঁটি, যেটি ইউক্রেন সীমান্ত থেকে প্রায় ৪ হাজার কিলোমিটার দূরে। ইউক্রেনের গোয়েন্দা সংস্থা এসবিইউ এই হামলার নেতৃত্ব দিয়েছে বলে জানা গেছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ইউক্রেনীয় এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, এই বিশেষ অভিযানের লক্ষ্য ছিল ‘ফ্রন্টলাইন থেকে অনেক দূরের শত্রুঘাঁটিতে আঘাত হানা।’
রাশিয়ার বিভিন্ন সংবাদমাধ্যম এবং টেলিগ্রাম চ্যানেলগুলোতেও বিমানঘাঁটিতে আগুন লাগা, ধ্বংস হওয়া যুদ্ধবিমান এবং সেনাসদস্যদের হাহাকারের দৃশ্য উঠে এসেছে। মস্কো অঞ্চলের ভসক্রেসেনস্কে পুড়ে যাওয়া একটি বিমানঘাঁটির ভিডিওতে এক সেনা সদস্যকে বলতে শোনা যায়, "এখানে সব ধ্বংস হয়ে গেছে।"
অন্যদিকে, ড্রোন হামলার মাত্র কয়েক ঘণ্টা আগে রাশিয়ার ব্রিয়ানস্ক ও কুরস্ক অঞ্চলে দুটি সেতু ধসে ট্রেন লাইনচ্যুত হয়। এই ঘটনায় অন্তত সাতজন নিহত হয়েছেন। বিস্ফোরণের কারণে সেতু ধসে পড়েছে বলে ধারণা করছে রুশ কর্তৃপক্ষ।