ফিলিস্তিনের গাজায় ঈদুল আজহার পরদিন ইসরায়েলি বাহিনীর হামলায় অন্তত ৭৫ জনের প্রাণ গেছে।
আল জাজিরা জানিয়েছে, শনিবার গাজার শহরের একটি আবাসিক এলাকায় বোমা হামলার পর ধ্বংসস্তূপের মধ্য থেকে মরদেহ খুঁজে বের করতে তৎপরতা চালাচ্ছেন উদ্ধারকর্মীরা।
ফিলিস্তিনসহ মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশে কোরবানির ঈদ উদযাপন হয়েছে শুক্রবার; ঈদের দিনও ইসরায়েলের হামলায় গাজাজুড়ে অন্তত ৪২ জন নিহত হয়েছে।
প্যালেস্টিনিয়ান সিভিল ডিফেন্সের মুখপাত্র মাহমুদ বাসেল বলেন, শনিবারের হামলার আগে কোনো সতর্কতা দেয়নি ইসরায়েলি বাহিনী। গাজা শহরের পাশে সাবরা এলাকার একটি বাড়িতে হামলায় নারী ও শিশুসহ অন্তত ১৬ জনের প্রাণ গেছে।
সেইসঙ্গে একটি ভবনে হামলার পর সেখানকার ৮৫ জনের ধ্বংসস্তূপের নিচে চাপা পড়ার তথ্য দেন বাসেল।
হামলার স্থল এলাকার বাসিন্দাদের একজন হামেদ কেহিল বলেন, “আক্রমণ চালানো হয়েছে ঈদের দ্বিতীয় দিন। আমাদের ঘুম ভাঙে হামলা, ধ্বংস, চিৎকারে। ঘুম থেকে উঠে ঈদ উদযাপনে ছেলেমেয়েদের আনন্দ আর জামাকাপড় পরানোর পরিবর্তে ধ্বংসস্তূপের নিচ থেকে আমরা নারী-শিশুদেরর লাশ টেনে বের করি।”
ঈদুল আজহার দিনে গাজায় ইসরায়েলি হামলায় নিহত ৪২
হাসান আলখোর নামে আরেকজন বলেন, “হামলা চালানো ভবনটি ছিল আবু শরিয়া পরিবারের। ইসরায়েলি বাহিনী ও নেতানিয়াহুর (ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী) বিচার আল্লাহ করবেন।”
টাইমস অব ইসরায়েলের বরাতে আলজাজিরা লিখেছে, হামলার পর দেশটির সামরিক বাহিনী বলছে তারা মুজাহিদীন ব্রিগেডের নেতা আসাদ আবু শরিয়াকে হত্যা করেছেন, যিনি ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে হামলায় ‘অংশ নিয়েছিলেন’।
গাজায় ইসরায়েলের এ সবশেষ হামলায় প্রাণহানির তথ্য দিয়ে এক বিবৃতিতে হামাস বলেছে, আবু শরিয়ার ভাই আহমেদ আবু শরিয়াও মারা গেছেন। ঘটনাটিকে বেসামরিক নাগরিকদের ওপর ইসরায়েলের ধারাবাহিক গণহত্যা বলছে হামাস।
রোববার, ০৮ জুন ২০২৫
ফিলিস্তিনের গাজায় ঈদুল আজহার পরদিন ইসরায়েলি বাহিনীর হামলায় অন্তত ৭৫ জনের প্রাণ গেছে।
আল জাজিরা জানিয়েছে, শনিবার গাজার শহরের একটি আবাসিক এলাকায় বোমা হামলার পর ধ্বংসস্তূপের মধ্য থেকে মরদেহ খুঁজে বের করতে তৎপরতা চালাচ্ছেন উদ্ধারকর্মীরা।
ফিলিস্তিনসহ মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশে কোরবানির ঈদ উদযাপন হয়েছে শুক্রবার; ঈদের দিনও ইসরায়েলের হামলায় গাজাজুড়ে অন্তত ৪২ জন নিহত হয়েছে।
প্যালেস্টিনিয়ান সিভিল ডিফেন্সের মুখপাত্র মাহমুদ বাসেল বলেন, শনিবারের হামলার আগে কোনো সতর্কতা দেয়নি ইসরায়েলি বাহিনী। গাজা শহরের পাশে সাবরা এলাকার একটি বাড়িতে হামলায় নারী ও শিশুসহ অন্তত ১৬ জনের প্রাণ গেছে।
সেইসঙ্গে একটি ভবনে হামলার পর সেখানকার ৮৫ জনের ধ্বংসস্তূপের নিচে চাপা পড়ার তথ্য দেন বাসেল।
হামলার স্থল এলাকার বাসিন্দাদের একজন হামেদ কেহিল বলেন, “আক্রমণ চালানো হয়েছে ঈদের দ্বিতীয় দিন। আমাদের ঘুম ভাঙে হামলা, ধ্বংস, চিৎকারে। ঘুম থেকে উঠে ঈদ উদযাপনে ছেলেমেয়েদের আনন্দ আর জামাকাপড় পরানোর পরিবর্তে ধ্বংসস্তূপের নিচ থেকে আমরা নারী-শিশুদেরর লাশ টেনে বের করি।”
ঈদুল আজহার দিনে গাজায় ইসরায়েলি হামলায় নিহত ৪২
হাসান আলখোর নামে আরেকজন বলেন, “হামলা চালানো ভবনটি ছিল আবু শরিয়া পরিবারের। ইসরায়েলি বাহিনী ও নেতানিয়াহুর (ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী) বিচার আল্লাহ করবেন।”
টাইমস অব ইসরায়েলের বরাতে আলজাজিরা লিখেছে, হামলার পর দেশটির সামরিক বাহিনী বলছে তারা মুজাহিদীন ব্রিগেডের নেতা আসাদ আবু শরিয়াকে হত্যা করেছেন, যিনি ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে হামলায় ‘অংশ নিয়েছিলেন’।
গাজায় ইসরায়েলের এ সবশেষ হামলায় প্রাণহানির তথ্য দিয়ে এক বিবৃতিতে হামাস বলেছে, আবু শরিয়ার ভাই আহমেদ আবু শরিয়াও মারা গেছেন। ঘটনাটিকে বেসামরিক নাগরিকদের ওপর ইসরায়েলের ধারাবাহিক গণহত্যা বলছে হামাস।