যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়া অঙ্গরাজ্যের লস অ্যাঞ্জেলেস শহর অভিবাসনবিরোধী অভিযানের প্রতিবাদে টানা তিন দিন ধরে বিক্ষোভ ও সহিংসতায় উত্তাল। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্পের নির্দেশে সেখানে ন্যাশনাল গার্ডের ২,০০০ সেনা মোতায়েন করা হয়েছে, যেটিকে অঙ্গরাজ্যের গভর্নর গ্যাভিন নিউজম ‘বেআইনি’ হিসেবে বর্ণনা করেছেন।
বিক্ষোভের কেন্দ্রস্থল লস অ্যাঞ্জেলেসে পুলিশের সঙ্গে বিক্ষোভকারীদের একাধিকবার সংঘর্ষ হয়। পুলিশ জানিয়েছে, শনিবার রাতে ২৯ জন এবং রোববার অন্তত ১০ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। শহরের কেন্দ্রস্থলে আগুন দেওয়া হয়েছে বেশ কয়েকটি গাড়িতে।
সেনা মোতায়েন নিয়ে গভর্নরের আপত্তি
গভর্নর নিউজম বলেন, “ট্রাম্প একটি সংকট তৈরির চেষ্টা করছেন এবং ক্যালিফোর্নিয়ার সার্বভৌমত্ব লঙ্ঘন করছেন।” তিনি জানিয়েছেন, ন্যাশনাল গার্ড মোতায়েনের আদেশ প্রত্যাহারের অনুরোধ করেছেন এবং আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার কথাও বিবেচনা করছেন।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে (সাবেক টুইটার) দেওয়া এক পোস্টে তিনি লিখেছেন, “এগুলো একজন স্বৈরশাসকের কাজ, একজন প্রেসিডেন্টের নয়।”
হোয়াইট হাউজের পাল্টা প্রতিক্রিয়া
হোয়াইট হাউজ এক বিবৃতিতে গভর্নরের অবস্থানের বিরোধিতা করে বলেছে, “প্রত্যেকেই এই বিশৃঙ্খলা, সহিংসতা ও অনাচার দেখেছে।” প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ট্রুথ সোশ্যালে দেওয়া পোস্টে লস অ্যাঞ্জেলেসের পুলিশ প্রধান জিম ম্যাকডোনালকে দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানিয়ে বলেন, “এখনই!!! এরপরও এইসব গুন্ডাদের পর পেতে দিও না। আমেরিকাকে আবার মহান করে তুলুন!!!”
সহিংসতা এবং নিরাপত্তা ব্যবস্থা
লস অ্যাঞ্জেলেস পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, কিছু বিক্ষোভকারীর বিরুদ্ধে ‘অবৈধ সমাবেশ’ এবং পুলিশের দিকে কংক্রিট, বোতল ছোড়ার অভিযোগ উঠেছে। পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে পুলিশ প্রধান ম্যাকডোনাল বলেন, “আজ রাতের সহিংসতা দেখে মনে হচ্ছে আমাদের পুনর্মূল্যায়ন করতে হবে।”
রয়টার্স জানায়, শহরের ফেডারেল ভবনগুলোতে ন্যাশনাল গার্ডের সদস্যদের মোতায়েন করা হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের নর্দান কমান্ড জানিয়েছে, লস অ্যাঞ্জেলেসের তিনটি এলাকায় ৩০০ ন্যাশনাল গার্ড সদস্য মোতায়েন রয়েছে এবং অতিরিক্ত ৫০০ সেনা প্রস্তুত রাখা হয়েছে।
রাজনৈতিক উত্তেজনার পাশাপাশি আন্দোলন
বিক্ষোভকারীদের মধ্যে অনেকে মেক্সিকোর পতাকা বহন করছিলেন এবং মার্কিন অভিবাসন নীতির বিরোধিতা করে স্লোগান দিচ্ছিলেন। ‘পার্টি ফর সোশ্যালিজম অ্যান্ড লিবারেশন’-এর লস অ্যাঞ্জেলেস শাখা শহরের সিটি হলের সামনে একটি প্রতিবাদ সমাবেশ আয়োজন করে।
মেয়রের প্রতিক্রিয়া
লস অ্যাঞ্জেলেসের মেয়র ক্যারেন ব্যাস সেনা মোতায়েনের সিদ্ধান্তের জন্য ট্রাম্প প্রশাসনকে দায়ী করেছেন। একই সঙ্গে তিনি সহিংস বিক্ষোভের নিন্দা জানিয়েছেন।
সম্ভাব্য সামরিক পদক্ষেপ
যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষামন্ত্রী পিট হেগসেথ সতর্ক করে বলেছেন, সহিংসতা অব্যাহত থাকলে পেন্টাগন সেনা মোতায়েনের জন্য প্রস্তুত রয়েছে। ক্যালিফোর্নিয়ার নিকটবর্তী ক্যাম্প পেন্ডলটনে মেরিন সেনারা উচ্চ সতর্কাবস্থায় রয়েছে।
---
সোমবার, ০৯ জুন ২০২৫
যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়া অঙ্গরাজ্যের লস অ্যাঞ্জেলেস শহর অভিবাসনবিরোধী অভিযানের প্রতিবাদে টানা তিন দিন ধরে বিক্ষোভ ও সহিংসতায় উত্তাল। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্পের নির্দেশে সেখানে ন্যাশনাল গার্ডের ২,০০০ সেনা মোতায়েন করা হয়েছে, যেটিকে অঙ্গরাজ্যের গভর্নর গ্যাভিন নিউজম ‘বেআইনি’ হিসেবে বর্ণনা করেছেন।
বিক্ষোভের কেন্দ্রস্থল লস অ্যাঞ্জেলেসে পুলিশের সঙ্গে বিক্ষোভকারীদের একাধিকবার সংঘর্ষ হয়। পুলিশ জানিয়েছে, শনিবার রাতে ২৯ জন এবং রোববার অন্তত ১০ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। শহরের কেন্দ্রস্থলে আগুন দেওয়া হয়েছে বেশ কয়েকটি গাড়িতে।
সেনা মোতায়েন নিয়ে গভর্নরের আপত্তি
গভর্নর নিউজম বলেন, “ট্রাম্প একটি সংকট তৈরির চেষ্টা করছেন এবং ক্যালিফোর্নিয়ার সার্বভৌমত্ব লঙ্ঘন করছেন।” তিনি জানিয়েছেন, ন্যাশনাল গার্ড মোতায়েনের আদেশ প্রত্যাহারের অনুরোধ করেছেন এবং আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার কথাও বিবেচনা করছেন।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে (সাবেক টুইটার) দেওয়া এক পোস্টে তিনি লিখেছেন, “এগুলো একজন স্বৈরশাসকের কাজ, একজন প্রেসিডেন্টের নয়।”
হোয়াইট হাউজের পাল্টা প্রতিক্রিয়া
হোয়াইট হাউজ এক বিবৃতিতে গভর্নরের অবস্থানের বিরোধিতা করে বলেছে, “প্রত্যেকেই এই বিশৃঙ্খলা, সহিংসতা ও অনাচার দেখেছে।” প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ট্রুথ সোশ্যালে দেওয়া পোস্টে লস অ্যাঞ্জেলেসের পুলিশ প্রধান জিম ম্যাকডোনালকে দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানিয়ে বলেন, “এখনই!!! এরপরও এইসব গুন্ডাদের পর পেতে দিও না। আমেরিকাকে আবার মহান করে তুলুন!!!”
সহিংসতা এবং নিরাপত্তা ব্যবস্থা
লস অ্যাঞ্জেলেস পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, কিছু বিক্ষোভকারীর বিরুদ্ধে ‘অবৈধ সমাবেশ’ এবং পুলিশের দিকে কংক্রিট, বোতল ছোড়ার অভিযোগ উঠেছে। পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে পুলিশ প্রধান ম্যাকডোনাল বলেন, “আজ রাতের সহিংসতা দেখে মনে হচ্ছে আমাদের পুনর্মূল্যায়ন করতে হবে।”
রয়টার্স জানায়, শহরের ফেডারেল ভবনগুলোতে ন্যাশনাল গার্ডের সদস্যদের মোতায়েন করা হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের নর্দান কমান্ড জানিয়েছে, লস অ্যাঞ্জেলেসের তিনটি এলাকায় ৩০০ ন্যাশনাল গার্ড সদস্য মোতায়েন রয়েছে এবং অতিরিক্ত ৫০০ সেনা প্রস্তুত রাখা হয়েছে।
রাজনৈতিক উত্তেজনার পাশাপাশি আন্দোলন
বিক্ষোভকারীদের মধ্যে অনেকে মেক্সিকোর পতাকা বহন করছিলেন এবং মার্কিন অভিবাসন নীতির বিরোধিতা করে স্লোগান দিচ্ছিলেন। ‘পার্টি ফর সোশ্যালিজম অ্যান্ড লিবারেশন’-এর লস অ্যাঞ্জেলেস শাখা শহরের সিটি হলের সামনে একটি প্রতিবাদ সমাবেশ আয়োজন করে।
মেয়রের প্রতিক্রিয়া
লস অ্যাঞ্জেলেসের মেয়র ক্যারেন ব্যাস সেনা মোতায়েনের সিদ্ধান্তের জন্য ট্রাম্প প্রশাসনকে দায়ী করেছেন। একই সঙ্গে তিনি সহিংস বিক্ষোভের নিন্দা জানিয়েছেন।
সম্ভাব্য সামরিক পদক্ষেপ
যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষামন্ত্রী পিট হেগসেথ সতর্ক করে বলেছেন, সহিংসতা অব্যাহত থাকলে পেন্টাগন সেনা মোতায়েনের জন্য প্রস্তুত রয়েছে। ক্যালিফোর্নিয়ার নিকটবর্তী ক্যাম্প পেন্ডলটনে মেরিন সেনারা উচ্চ সতর্কাবস্থায় রয়েছে।
---