ইসরায়েলের সঙ্গে ইরানের চলমান সংঘাতে যদি যুক্তরাষ্ট্র জড়িয়ে পড়ে, সেক্ষেত্রে মধ্যপ্রাচ্য অঞ্চলে যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক ঘাঁটিগুলোতে হামলা শুরু করবে ইরান। দেশটির সামরিক বাহিনীর অন্তত দু’জন উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা মার্কিন সংবাদমাধ্যম নিউইয়র্ক টাইমসকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
কর্মকর্তারা বলেছেন, তাদের প্রস্তুতি প্রায় চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে এবং যদি সত্যিই যুক্তরাষ্ট্র ইসরায়েলের সঙ্গে যৌথভাবে ইরানে হামলা শুরু করে, সেক্ষেত্রে ইরাকে অবস্থিত সামরিক ঘাঁটিগুলোতে প্রথম আক্রমণ করা হবে। পরে ধীরে ধীরে অন্যান্য ঘাঁটিগুলোকেও লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত হবে।
এ ব্যাপারে মার্কিন সামরিক কর্মকর্তাদের সঙ্গেও যোগাযোগ করেছিল নিউইয়র্ক টাইমস। তারা জানিয়েছেন, ইরান যদি মধ্যপ্রাচ্যের সামরিক ঘাঁটিগুলোতে হামলা চালাতে চায়— সেক্ষেত্রে দেশটির সেনাবাহিনীর বেশি প্রস্তুতির প্রয়োজন নেই। কারণ তেহরানের কাছে অল্প, মাঝারি ও দূরপাল্লার যেসব ক্ষেপণাস্ত্র আছে, তাতে খুব সহজেই ইরাক, বাহরাইন, কাতার ও সংযুক্ত আরব আমিরাতের মার্কিন ঘাঁটিগুলোকে লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত করতে পরবে ইরানের সেনাবাহিনী। কর্মকর্তারা আরও জানিয়েছেন, ইরানের সম্ভাব্য হামলা নিয়ে উচ্চ সতর্কতায় আছে মধ্যপ্রাচ্য অঞ্চলের সামরিক ঘাঁটিগুলো। বিভিন্ন ঘাঁটিতে এ পর্যন্ত সর্বমোট ৪০ হাজারেরও বেশি নতুন সেনা মোতায়েন করা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, গতকাল মঙ্গলবার ইরানকে নিঃশর্ত আত্মসমর্পণের আহ্বান জানিয়েছেন এদিকে, যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প। তার জবাবে যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েলের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করেছেন ইরানের সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনি।
এদিকে, প্রায় ৬০ শতাংশ আমেরিকান মনে করেন যে মার্কিন সেনাবাহিনীর চলমান ইরান-ইসরায়েল যুদ্ধে জড়িত হওয়া উচিত নয়। আন্তর্জাতিক অনলাইন গবেষণা তথ্য এবং বিশ্লেষণ প্রযুক্তি সংস্থা ইউগভ-এর এক জরিপে অংশগ্রহণকারী মার্কিনিরা এই মত দেন। জরিপে মাত্র ১৬ শতাংশ মার্কিন সম্পৃক্ততার পক্ষে, যেখানে ২৪ শতাংশ বলেছেন যে তারা নিশ্চিত নন। অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে ডেমোক্র্যাট সমর্থক, যারা মার্কিন হস্তক্ষেপের বিরোধিতা করেছিলেন তাদের সংখ্যা ছিল ৬৫ শতাংশ।এবং রিপাবলিকানদের মধ্যে এই হার ছিল ৫৩ শতাংশ। প্রায় ৬১ শতাংশ স্বাধীনভাবে এই পদক্ষেপের বিরোধিতা করেছিলেন। জরিপে আরও দেখা গেছে, অর্ধেক আমেরিকান ইরানকে তাদের শত্রু হিসেবে দেখে। ২৫ শতাংশ মানুষ বলেছেন যে এই সম্পর্ক অন্তত বন্ধুত্বপূর্ণ নয়।
বুধবার, ১৮ জুন ২০২৫
ইসরায়েলের সঙ্গে ইরানের চলমান সংঘাতে যদি যুক্তরাষ্ট্র জড়িয়ে পড়ে, সেক্ষেত্রে মধ্যপ্রাচ্য অঞ্চলে যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক ঘাঁটিগুলোতে হামলা শুরু করবে ইরান। দেশটির সামরিক বাহিনীর অন্তত দু’জন উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা মার্কিন সংবাদমাধ্যম নিউইয়র্ক টাইমসকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
কর্মকর্তারা বলেছেন, তাদের প্রস্তুতি প্রায় চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে এবং যদি সত্যিই যুক্তরাষ্ট্র ইসরায়েলের সঙ্গে যৌথভাবে ইরানে হামলা শুরু করে, সেক্ষেত্রে ইরাকে অবস্থিত সামরিক ঘাঁটিগুলোতে প্রথম আক্রমণ করা হবে। পরে ধীরে ধীরে অন্যান্য ঘাঁটিগুলোকেও লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত হবে।
এ ব্যাপারে মার্কিন সামরিক কর্মকর্তাদের সঙ্গেও যোগাযোগ করেছিল নিউইয়র্ক টাইমস। তারা জানিয়েছেন, ইরান যদি মধ্যপ্রাচ্যের সামরিক ঘাঁটিগুলোতে হামলা চালাতে চায়— সেক্ষেত্রে দেশটির সেনাবাহিনীর বেশি প্রস্তুতির প্রয়োজন নেই। কারণ তেহরানের কাছে অল্প, মাঝারি ও দূরপাল্লার যেসব ক্ষেপণাস্ত্র আছে, তাতে খুব সহজেই ইরাক, বাহরাইন, কাতার ও সংযুক্ত আরব আমিরাতের মার্কিন ঘাঁটিগুলোকে লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত করতে পরবে ইরানের সেনাবাহিনী। কর্মকর্তারা আরও জানিয়েছেন, ইরানের সম্ভাব্য হামলা নিয়ে উচ্চ সতর্কতায় আছে মধ্যপ্রাচ্য অঞ্চলের সামরিক ঘাঁটিগুলো। বিভিন্ন ঘাঁটিতে এ পর্যন্ত সর্বমোট ৪০ হাজারেরও বেশি নতুন সেনা মোতায়েন করা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, গতকাল মঙ্গলবার ইরানকে নিঃশর্ত আত্মসমর্পণের আহ্বান জানিয়েছেন এদিকে, যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প। তার জবাবে যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েলের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করেছেন ইরানের সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনি।
এদিকে, প্রায় ৬০ শতাংশ আমেরিকান মনে করেন যে মার্কিন সেনাবাহিনীর চলমান ইরান-ইসরায়েল যুদ্ধে জড়িত হওয়া উচিত নয়। আন্তর্জাতিক অনলাইন গবেষণা তথ্য এবং বিশ্লেষণ প্রযুক্তি সংস্থা ইউগভ-এর এক জরিপে অংশগ্রহণকারী মার্কিনিরা এই মত দেন। জরিপে মাত্র ১৬ শতাংশ মার্কিন সম্পৃক্ততার পক্ষে, যেখানে ২৪ শতাংশ বলেছেন যে তারা নিশ্চিত নন। অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে ডেমোক্র্যাট সমর্থক, যারা মার্কিন হস্তক্ষেপের বিরোধিতা করেছিলেন তাদের সংখ্যা ছিল ৬৫ শতাংশ।এবং রিপাবলিকানদের মধ্যে এই হার ছিল ৫৩ শতাংশ। প্রায় ৬১ শতাংশ স্বাধীনভাবে এই পদক্ষেপের বিরোধিতা করেছিলেন। জরিপে আরও দেখা গেছে, অর্ধেক আমেরিকান ইরানকে তাদের শত্রু হিসেবে দেখে। ২৫ শতাংশ মানুষ বলেছেন যে এই সম্পর্ক অন্তত বন্ধুত্বপূর্ণ নয়।