মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প ইরানে হামলার পরিকল্পনা অনুমোদন করেছেন বলে জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের গণমাধ্যম সিবিএস। তবে এখনই হামলার সিদ্ধান্ত কার্যকর করতে চান না তিনি। মূলত ইরান যাতে পারমাণবিক কর্মসূচি বন্ধ করে, সেটাই ট্রাম্প প্রশাসনের তাৎক্ষণিক উদ্দেশ্য বলে গোপন গোয়েন্দা সূত্রকে উদ্ধৃত করে দাবি করা হয়েছে।
ট্রাম্প বর্তমানে ইরানের ‘ফর্দো ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণ কেন্দ্র’ লক্ষ্য করে হামলার বিষয়টি বিবেচনা করছেন। যদিও সরাসরি হামলার বিষয়ে স্পষ্ট সিদ্ধান্তের কথা এখনো জানাননি। সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, "আমি এটা করতেও পারি, না–ও করতে পারি।"
ট্রাম্পের ‘নিঃশর্ত আত্মসমর্পণের’ দাবিকে কঠোরভাবে প্রত্যাখ্যান করেছেন ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনি। তিনি বলেন, “যেকোনো মার্কিন সামরিক হস্তক্ষেপের খেসারত দিতে হবে। ইরানি জাতি কখনোই আত্মসমর্পণ করবে না।”
ট্রাম্প অবশ্য এসব হুমকি ও প্রত্যাখ্যানকে গুরুত্ব না দিয়ে পাল্টা বলেন, “শুভকামনা রইল।” তিনি তাঁর পরিকল্পনার বিস্তারিত কিছু প্রকাশ না করে বলেন, “আমি কী করব, সেটা কেউ জানে না।”
ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল প্রথম এই পরিকল্পনার খবর প্রকাশ করে। এরপর থেকেই মধ্যপ্রাচ্যে যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক শক্তি জড়ো হওয়ার ঘটনা আরও স্পষ্ট হয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্র ইতোমধ্যে এফ-২২ ও এফ-৩৫ যুদ্ধবিমান, জ্বালানি ট্যাংকার ও ইউএসএস নিমিৎসের মতো বিমানবাহী রণতরি মধ্যপ্রাচ্যের দিকে পাঠিয়েছে। ইউরোপ থেকেও অন্তত ৩০টি সামরিক বিমান স্থানান্তর করা হয়েছে।
প্রতিরক্ষামন্ত্রী পিট হেগসেথ জানিয়েছেন, ট্রাম্প নির্দেশ দিলেই সেনাবাহিনী হামলা বাস্তবায়নে প্রস্তুত।
ইসরায়েল ইতোমধ্যে ইরানে বেশ কয়েকটি ক্ষেপণাস্ত্র ও পারমাণবিক স্থাপনায় হামলা চালিয়েছে। জবাবে ইরানও হাইপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করেছে বলে জানিয়েছে। যদিও ইসরায়েল দাবি করেছে, তাদের ক্ষয়ক্ষতি সীমিত।
ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু বলেন, “আমরা তেহরানের আকাশ নিয়ন্ত্রণ করছি… পারমাণবিক স্থাপনা, ক্ষেপণাস্ত্র, সদর দপ্তর ও শাসকের প্রতীকগুলোকে নিশানা করছি।”
জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তনিও গুতেরেস এই সংঘাতকে “ভয়াবহ পরিণতির পূর্বাভাস” হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন। তিনি বলেন, “আরও সামরিক হস্তক্ষেপ শুধু মধ্যপ্রাচ্য নয়, বরং গোটা বিশ্বের নিরাপত্তা বিপন্ন করবে।”
যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও এবং ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডেভিড ল্যামি বৃহস্পতিবার ওয়াশিংটনে বৈঠক করবেন। সেখানে ইরান প্রসঙ্গেই মূল আলোচনা হবে বলে বিবিসির এক প্রতিবেদন জানিয়েছে।
তবে যুক্তরাষ্ট্র এখনো ব্রিটিশ সামরিক ঘাঁটি—ডিয়েগো গার্সিয়া কিংবা সাইপ্রাস—ব্যবহারের জন্য আনুষ্ঠানিকভাবে অনুরোধ জানায়নি বলে লন্ডনের এক সূত্র জানিয়েছে।
বৃহস্পতিবার, ১৯ জুন ২০২৫
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প ইরানে হামলার পরিকল্পনা অনুমোদন করেছেন বলে জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের গণমাধ্যম সিবিএস। তবে এখনই হামলার সিদ্ধান্ত কার্যকর করতে চান না তিনি। মূলত ইরান যাতে পারমাণবিক কর্মসূচি বন্ধ করে, সেটাই ট্রাম্প প্রশাসনের তাৎক্ষণিক উদ্দেশ্য বলে গোপন গোয়েন্দা সূত্রকে উদ্ধৃত করে দাবি করা হয়েছে।
ট্রাম্প বর্তমানে ইরানের ‘ফর্দো ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণ কেন্দ্র’ লক্ষ্য করে হামলার বিষয়টি বিবেচনা করছেন। যদিও সরাসরি হামলার বিষয়ে স্পষ্ট সিদ্ধান্তের কথা এখনো জানাননি। সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, "আমি এটা করতেও পারি, না–ও করতে পারি।"
ট্রাম্পের ‘নিঃশর্ত আত্মসমর্পণের’ দাবিকে কঠোরভাবে প্রত্যাখ্যান করেছেন ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনি। তিনি বলেন, “যেকোনো মার্কিন সামরিক হস্তক্ষেপের খেসারত দিতে হবে। ইরানি জাতি কখনোই আত্মসমর্পণ করবে না।”
ট্রাম্প অবশ্য এসব হুমকি ও প্রত্যাখ্যানকে গুরুত্ব না দিয়ে পাল্টা বলেন, “শুভকামনা রইল।” তিনি তাঁর পরিকল্পনার বিস্তারিত কিছু প্রকাশ না করে বলেন, “আমি কী করব, সেটা কেউ জানে না।”
ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল প্রথম এই পরিকল্পনার খবর প্রকাশ করে। এরপর থেকেই মধ্যপ্রাচ্যে যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক শক্তি জড়ো হওয়ার ঘটনা আরও স্পষ্ট হয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্র ইতোমধ্যে এফ-২২ ও এফ-৩৫ যুদ্ধবিমান, জ্বালানি ট্যাংকার ও ইউএসএস নিমিৎসের মতো বিমানবাহী রণতরি মধ্যপ্রাচ্যের দিকে পাঠিয়েছে। ইউরোপ থেকেও অন্তত ৩০টি সামরিক বিমান স্থানান্তর করা হয়েছে।
প্রতিরক্ষামন্ত্রী পিট হেগসেথ জানিয়েছেন, ট্রাম্প নির্দেশ দিলেই সেনাবাহিনী হামলা বাস্তবায়নে প্রস্তুত।
ইসরায়েল ইতোমধ্যে ইরানে বেশ কয়েকটি ক্ষেপণাস্ত্র ও পারমাণবিক স্থাপনায় হামলা চালিয়েছে। জবাবে ইরানও হাইপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করেছে বলে জানিয়েছে। যদিও ইসরায়েল দাবি করেছে, তাদের ক্ষয়ক্ষতি সীমিত।
ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু বলেন, “আমরা তেহরানের আকাশ নিয়ন্ত্রণ করছি… পারমাণবিক স্থাপনা, ক্ষেপণাস্ত্র, সদর দপ্তর ও শাসকের প্রতীকগুলোকে নিশানা করছি।”
জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তনিও গুতেরেস এই সংঘাতকে “ভয়াবহ পরিণতির পূর্বাভাস” হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন। তিনি বলেন, “আরও সামরিক হস্তক্ষেপ শুধু মধ্যপ্রাচ্য নয়, বরং গোটা বিশ্বের নিরাপত্তা বিপন্ন করবে।”
যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও এবং ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডেভিড ল্যামি বৃহস্পতিবার ওয়াশিংটনে বৈঠক করবেন। সেখানে ইরান প্রসঙ্গেই মূল আলোচনা হবে বলে বিবিসির এক প্রতিবেদন জানিয়েছে।
তবে যুক্তরাষ্ট্র এখনো ব্রিটিশ সামরিক ঘাঁটি—ডিয়েগো গার্সিয়া কিংবা সাইপ্রাস—ব্যবহারের জন্য আনুষ্ঠানিকভাবে অনুরোধ জানায়নি বলে লন্ডনের এক সূত্র জানিয়েছে।