পররাষ্ট্রবিষয়ক স্থায়ী কমিটির পক্ষে শশী থারুর বৈঠকে নেতৃত্ব দেন। ছবি: এএনআই
ভারতের সংসদের পররাষ্ট্রবিষয়ক স্থায়ী কমিটির উদ্যোগে আয়োজিত এক বিশেষ মতবিনিময় সভায় বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্ক এগিয়ে নেওয়ার আগ্রহ প্রকাশ করেছেন দলমত–নির্বিশেষে দেশটির সংসদ সদস্যরা।
শুক্রবার কংগ্রেস নেতা ও সংসদ সদস্য শশী থারুরের নেতৃত্বে আয়োজিত এ সভায় অংশ নেন ভারতের চারজন শীর্ষস্থানীয় কূটনৈতিক ও নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞ।
সভার আলোচনার বিষয়ে অবগত সূত্রগুলো জানায়, সম্প্রতি বাংলাদেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি, ভারত–বাংলাদেশ সম্পর্কের টানাপড়েন, এবং চীন-পাকিস্তান-নেপথ্য কূটনীতির মতো ইস্যুগুলো নিয়ে বিস্তর আলোচনা হয়। আলোচনায় সংসদ সদস্যরা দুই দেশের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক পুনঃস্থাপনে সকল সম্ভাবনা বিবেচনার কথা বলেন।
মতবিনিময় সভায় অংশ নেওয়া বিশেষজ্ঞরা হলেন ভারতের সাবেক জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা শিব শঙ্কর মেনন, ঢাকায় ভারতের সাবেক হাইকমিশনার রিভা গাঙ্গুলি দাস, অবসরপ্রাপ্ত লেফটেন্যান্ট জেনারেল সৈয়দ আতা হাসনাইন এবং জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের অধ্যাপক অমিতাভ মাত্তু।
দুই ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে চলা আলোচনায় উঠে আসে সাংস্কৃতিক কূটনীতির গুরুত্বও। সংসদ সদস্যরা মত দেন, পশ্চিমবঙ্গকে সম্পৃক্ত করে বাংলাদেশ–ভারতের মধ্যে সংস্কৃতি ও ভাষাভিত্তিক প্যারা-ডিপ্লোম্যাসি জোরদার করা যেতে পারে। একইসঙ্গে নজরুল-রবীন্দ্র ঐতিহ্যের আলোকে দুই বাংলার সম্পর্ক আরও মানবিক ও সাংস্কৃতিক ঘনিষ্ঠতায় এগিয়ে নেওয়ার প্রয়োজনীয়তার কথাও উঠে আসে।
সম্প্রতি বাংলাদেশের হাইকমিশনার এম রিয়াজ হামিদুল্লাহর পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে সাক্ষাৎকে ইতিবাচক অগ্রগতি হিসেবে দেখা হচ্ছে। পাশাপাশি আলোচনা হয়েছে বাংলাদেশে চীনের ক্রমবর্ধমান প্রভাব, কথিত অনুপ্রবেশ সমস্যা ও ১৯ জুন কুনমিংয়ে বাংলাদেশ–চীন–পাকিস্তান কূটনৈতিক বৈঠক নিয়েও।
একাধিক সংসদ সদস্যের মতে, বাংলাদেশকে পাকিস্তানের মতো ‘শত্রুপ্রতিম’ রাষ্ট্র হিসেবে দেখার মানসিকতা পরিহার করে, অভিন্ন ইতিহাস ও ভাষাগত ঐতিহ্যের ভিত্তিতে সম্পর্ক গঠনের দিকেই এগিয়ে যাওয়া উচিত ভারতের।
পররাষ্ট্রবিষয়ক স্থায়ী কমিটির পক্ষে শশী থারুর বৈঠকে নেতৃত্ব দেন। ছবি: এএনআই
শনিবার, ২৮ জুন ২০২৫
ভারতের সংসদের পররাষ্ট্রবিষয়ক স্থায়ী কমিটির উদ্যোগে আয়োজিত এক বিশেষ মতবিনিময় সভায় বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্ক এগিয়ে নেওয়ার আগ্রহ প্রকাশ করেছেন দলমত–নির্বিশেষে দেশটির সংসদ সদস্যরা।
শুক্রবার কংগ্রেস নেতা ও সংসদ সদস্য শশী থারুরের নেতৃত্বে আয়োজিত এ সভায় অংশ নেন ভারতের চারজন শীর্ষস্থানীয় কূটনৈতিক ও নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞ।
সভার আলোচনার বিষয়ে অবগত সূত্রগুলো জানায়, সম্প্রতি বাংলাদেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি, ভারত–বাংলাদেশ সম্পর্কের টানাপড়েন, এবং চীন-পাকিস্তান-নেপথ্য কূটনীতির মতো ইস্যুগুলো নিয়ে বিস্তর আলোচনা হয়। আলোচনায় সংসদ সদস্যরা দুই দেশের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক পুনঃস্থাপনে সকল সম্ভাবনা বিবেচনার কথা বলেন।
মতবিনিময় সভায় অংশ নেওয়া বিশেষজ্ঞরা হলেন ভারতের সাবেক জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা শিব শঙ্কর মেনন, ঢাকায় ভারতের সাবেক হাইকমিশনার রিভা গাঙ্গুলি দাস, অবসরপ্রাপ্ত লেফটেন্যান্ট জেনারেল সৈয়দ আতা হাসনাইন এবং জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের অধ্যাপক অমিতাভ মাত্তু।
দুই ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে চলা আলোচনায় উঠে আসে সাংস্কৃতিক কূটনীতির গুরুত্বও। সংসদ সদস্যরা মত দেন, পশ্চিমবঙ্গকে সম্পৃক্ত করে বাংলাদেশ–ভারতের মধ্যে সংস্কৃতি ও ভাষাভিত্তিক প্যারা-ডিপ্লোম্যাসি জোরদার করা যেতে পারে। একইসঙ্গে নজরুল-রবীন্দ্র ঐতিহ্যের আলোকে দুই বাংলার সম্পর্ক আরও মানবিক ও সাংস্কৃতিক ঘনিষ্ঠতায় এগিয়ে নেওয়ার প্রয়োজনীয়তার কথাও উঠে আসে।
সম্প্রতি বাংলাদেশের হাইকমিশনার এম রিয়াজ হামিদুল্লাহর পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে সাক্ষাৎকে ইতিবাচক অগ্রগতি হিসেবে দেখা হচ্ছে। পাশাপাশি আলোচনা হয়েছে বাংলাদেশে চীনের ক্রমবর্ধমান প্রভাব, কথিত অনুপ্রবেশ সমস্যা ও ১৯ জুন কুনমিংয়ে বাংলাদেশ–চীন–পাকিস্তান কূটনৈতিক বৈঠক নিয়েও।
একাধিক সংসদ সদস্যের মতে, বাংলাদেশকে পাকিস্তানের মতো ‘শত্রুপ্রতিম’ রাষ্ট্র হিসেবে দেখার মানসিকতা পরিহার করে, অভিন্ন ইতিহাস ও ভাষাগত ঐতিহ্যের ভিত্তিতে সম্পর্ক গঠনের দিকেই এগিয়ে যাওয়া উচিত ভারতের।