থাইল্যান্ডের সাংবিধানিক আদালত প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে পায়েতংটার্ন সিনাওয়াত্রাকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করেছে। তাকে বরখাস্তের কারণ হিসেবে দেখা হচ্ছে একটি গোপন ফোনালাপ ফাঁস হওয়া, যেখানে তিনি প্রাক্তন কম্বোডিয়ান নেতা হুন সেনের সঙ্গে কথা বলেন।
ফাঁস হওয়া ফোনালাপে পায়েতংটার্ন কম্বোডিয়ার নেতাকে “চাচা” বলে সম্বোধন করেন এবং একজন থাই সামরিক কমান্ডারের সমালোচনা করেন, যা জনসাধারণের মধ্যে ক্ষোভের ঝড় তোলে। এই ঘটনার পর তাকে বরখাস্ত করার জন্য আবেদন করা হয় এবং সাংবিধানিক আদালত ৭-২ ভোটে এই সিদ্ধান্তে সায় দেয়। বর্তমানে আদালত তার বরখাস্তের মামলা বিচারাধীন রয়েছে এবং পায়েতংটার্নকে তার পক্ষে আত্মপক্ষ সমর্থনের জন্য ১৫ দিন সময় দিয়েছে।
পায়েতংটার্ন হলেন সিনাওয়াত্রা বংশের তৃতীয় রাজনীতিবিদ, যিনি ক্ষমতায় আসার আগেই পদ হারাচ্ছেন। তার ক্ষমতাসীন জোট ইতোমধ্যে একটি গুরুত্বপূর্ণ রক্ষণশীল মিত্র জোট ত্যাগ করার পর ক্রমেই ক্ষীণ সংখ্যাগরিষ্ঠতার মুখে পড়েছে।সাংবিধানিক আদালতের এই সিদ্ধান্তের পর ডেপুটি প্রধানমন্ত্রী সুরিয়া জুংরুংরুয়াংকিত দেশটির ভারপ্রাপ্ত প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব গ্রহণ করেছেন।
পায়েতংটার্ন সিনাওয়াত্রা, যিনি ৩৮ বছর বয়সে থাইল্যান্ডের সর্বকনিষ্ঠ প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্বে আসেন, তার ক্ষমতার শেষ সময়ে দুর্বল অর্থনীতির পুনরুদ্ধারের লড়াইয়ে হিমশিম খাচ্ছিলেন। গত সপ্তাহে তার জনপ্রিয়তা মাত্র ৯.২ শতাংশে নেমে আসে, যা মার্চ মাসে ছিল ৩০.৯ শতাংশ।
ফাঁস হওয়া ফোনালাপে যে বক্তব্য তিনি দিয়েছিলেন, তার জন্য তিনি ক্ষমা চেয়েছেন এবং সেটিকে ‘আলোচনার কৌশল’ হিসেবে ব্যাখ্যা দিয়েছেন। তবে রক্ষণশীল আইনপ্রণেতারা তাকে কম্বোডিয়ার কাছে মাথা নত করার এবং দেশীয় সামরিক বাহিনীকে দুর্বল করার অভিযোগ এনেছেন। এমন সংকটের মধ্যে, পায়েতংটার্নের বাবা ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী থাকসিন সিনাওয়াত্রা নিজের রাজনৈতিক জটিলতার মুখোমুখি। নয় বছর নির্বাসনের পর ২০২৩ সালে দেশে ফিরে আসা থাকসিন রাজতন্ত্র অবমাননার অভিযোগে বিচারাধীন রয়েছেন। থাইল্যান্ডের রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে তিনি এখনও প্রভাবশালী চরিত্র।
সিনাওয়াত্রা পরিবার দীর্ঘদিন ধরে থাইল্যান্ডের রাজনীতিতে আধিপত্য বিস্তার করে আসলেও সাম্প্রতিক বছরগুলোতে তাদের রাজনৈতিক অবস্থান দুর্বল হচ্ছে। এর পেছনে রয়েছে সামরিক হস্তক্ষেপ, রক্ষণশীল মহল ও রাজতন্ত্রপন্থী গোষ্ঠীর বিরোধিতা।
মঙ্গলবার, ০১ জুলাই ২০২৫
থাইল্যান্ডের সাংবিধানিক আদালত প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে পায়েতংটার্ন সিনাওয়াত্রাকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করেছে। তাকে বরখাস্তের কারণ হিসেবে দেখা হচ্ছে একটি গোপন ফোনালাপ ফাঁস হওয়া, যেখানে তিনি প্রাক্তন কম্বোডিয়ান নেতা হুন সেনের সঙ্গে কথা বলেন।
ফাঁস হওয়া ফোনালাপে পায়েতংটার্ন কম্বোডিয়ার নেতাকে “চাচা” বলে সম্বোধন করেন এবং একজন থাই সামরিক কমান্ডারের সমালোচনা করেন, যা জনসাধারণের মধ্যে ক্ষোভের ঝড় তোলে। এই ঘটনার পর তাকে বরখাস্ত করার জন্য আবেদন করা হয় এবং সাংবিধানিক আদালত ৭-২ ভোটে এই সিদ্ধান্তে সায় দেয়। বর্তমানে আদালত তার বরখাস্তের মামলা বিচারাধীন রয়েছে এবং পায়েতংটার্নকে তার পক্ষে আত্মপক্ষ সমর্থনের জন্য ১৫ দিন সময় দিয়েছে।
পায়েতংটার্ন হলেন সিনাওয়াত্রা বংশের তৃতীয় রাজনীতিবিদ, যিনি ক্ষমতায় আসার আগেই পদ হারাচ্ছেন। তার ক্ষমতাসীন জোট ইতোমধ্যে একটি গুরুত্বপূর্ণ রক্ষণশীল মিত্র জোট ত্যাগ করার পর ক্রমেই ক্ষীণ সংখ্যাগরিষ্ঠতার মুখে পড়েছে।সাংবিধানিক আদালতের এই সিদ্ধান্তের পর ডেপুটি প্রধানমন্ত্রী সুরিয়া জুংরুংরুয়াংকিত দেশটির ভারপ্রাপ্ত প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব গ্রহণ করেছেন।
পায়েতংটার্ন সিনাওয়াত্রা, যিনি ৩৮ বছর বয়সে থাইল্যান্ডের সর্বকনিষ্ঠ প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্বে আসেন, তার ক্ষমতার শেষ সময়ে দুর্বল অর্থনীতির পুনরুদ্ধারের লড়াইয়ে হিমশিম খাচ্ছিলেন। গত সপ্তাহে তার জনপ্রিয়তা মাত্র ৯.২ শতাংশে নেমে আসে, যা মার্চ মাসে ছিল ৩০.৯ শতাংশ।
ফাঁস হওয়া ফোনালাপে যে বক্তব্য তিনি দিয়েছিলেন, তার জন্য তিনি ক্ষমা চেয়েছেন এবং সেটিকে ‘আলোচনার কৌশল’ হিসেবে ব্যাখ্যা দিয়েছেন। তবে রক্ষণশীল আইনপ্রণেতারা তাকে কম্বোডিয়ার কাছে মাথা নত করার এবং দেশীয় সামরিক বাহিনীকে দুর্বল করার অভিযোগ এনেছেন। এমন সংকটের মধ্যে, পায়েতংটার্নের বাবা ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী থাকসিন সিনাওয়াত্রা নিজের রাজনৈতিক জটিলতার মুখোমুখি। নয় বছর নির্বাসনের পর ২০২৩ সালে দেশে ফিরে আসা থাকসিন রাজতন্ত্র অবমাননার অভিযোগে বিচারাধীন রয়েছেন। থাইল্যান্ডের রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে তিনি এখনও প্রভাবশালী চরিত্র।
সিনাওয়াত্রা পরিবার দীর্ঘদিন ধরে থাইল্যান্ডের রাজনীতিতে আধিপত্য বিস্তার করে আসলেও সাম্প্রতিক বছরগুলোতে তাদের রাজনৈতিক অবস্থান দুর্বল হচ্ছে। এর পেছনে রয়েছে সামরিক হস্তক্ষেপ, রক্ষণশীল মহল ও রাজতন্ত্রপন্থী গোষ্ঠীর বিরোধিতা।