ভারতের তেলেঙ্গানায় একটি ওষুধ কারখানায় বিস্ফোরণে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৪৪ জনে পৌঁছেছে। এর মধ্যে ১৫ জন চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাতে মারা যান।
সোমবার সকালে সাঙ্গারেড্ডি জেলার পাসামাইলারাম শিল্প এলাকায় সিগাচি ইন্ডাস্ট্রিজের ওই কারখানায় ভয়াবহ বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। ঘটনাস্থলটি হায়দরাবাদ শহর থেকে প্রায় ৫০ কিলোমিটার দূরে।
মঙ্গলবার দুর্ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে মুখ্যমন্ত্রী এ রেভন্ত রেড্ডি বলেন, রাজ্য এর আগে এমন মর্মান্তিক ঘটনার মুখোমুখি হয়নি। নিহতদের পরিবারকে এক লাখ রুপি এবং আহতদের ৫০ হাজার রুপি করে তাৎক্ষণিক সহায়তা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। নিহত প্রত্যেকের পরিবারকে ১ কোটি রুপি এবং গুরুতর আহতদের ১০ লাখ রুপি করে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার ঘোষণাও দেওয়া হয়েছে। স্বাস্থ্যমন্ত্রী দমোদর রাজা নারসিমহা ইতোমধ্যে আহতদের হাতে আর্থিক সহায়তা তুলে দেওয়ার কাজ শুরু করেছেন।
এই বিস্ফোরণকে তেলেঙ্গানার ইতিহাসে অন্যতম ভয়াবহ শিল্প দুর্ঘটনা হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে। বিস্ফোরণে তিনতলা একটি ভবন ধসে পড়ে। এখনো উদ্ধার তৎপরতা চলমান থাকায় মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে।
বিস্ফোরণটি ঘটে মাইক্রোক্রিস্টালাইন সেলুলোজ শুকানোর ইউনিটে। এতে অন্তত ৩৫ জন শ্রমিক আহত হয়েছেন, যাদের মধ্যে ১১ জনের অবস্থা সংকটজনক। সরকারি তথ্য অনুযায়ী, এখনো ১২ জন শ্রমিক নিখোঁজ রয়েছেন এবং ধারণা করা হচ্ছে তারা ধ্বংসস্তূপের নিচে আটকে আছেন।
উদ্ধারকাজে রাজ্যের বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী (এসডিআরএফ), হায়দরাবাদ ডিজাস্টার রেসপন্স অ্যান্ড অ্যাসেট প্রোটেকশন এজেন্সি, রাজস্ব বিভাগ ও পুলিশ যৌথভাবে কাজ করছে।
নিহতদের মধ্যে বেশিরভাগই অভিবাসী শ্রমিক, যারা বিহার, উত্তরপ্রদেশ ও উড়িষ্যা থেকে এসেছেন। বিস্ফোরণের সময় কারখানায় মোট ১৪৩ জন কর্মী উপস্থিত ছিলেন। বিস্ফোরণের শব্দ প্রায় পাঁচ কিলোমিটার দূর থেকেও শোনা যায়। বিস্ফোরণের পর দাউ দাউ করে আগুন ধরে যায়, যেটি নেভাতে ১৫টি দমকল ইউনিট কাজ করে।
প্রত্যক্ষদর্শীদের ভাষ্য অনুযায়ী, বিস্ফোরণের প্রচণ্ডতায় অনেক শ্রমিক ছিটকে গিয়ে বেশ দূরে পড়ে যান। বিস্ফোরণে নিহতদের অনেকের দেহ ছিন্নভিন্ন হয়ে গেছে বা আগুনে পুড়ে যাওয়ায় শনাক্ত করা সম্ভব হয়নি। তাদের পরিচয় নিশ্চিত করতে ডিএনএ পরীক্ষার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী দমোদর রাজা নারসিমহা জানিয়েছেন, বিস্ফোরণের প্রকৃত কারণ এখনও নিশ্চিত হওয়া যায়নি। তার ভাষ্যে, প্রায় ৪০ থেকে ৪৫ বছরের পুরনো এই প্রতিষ্ঠান মাইক্রোক্রিস্টালাইন সেলুলোজ উৎপাদন করে থাকে।
শ্রমমন্ত্রী জি বিবেক বলেন, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে এটি কোনো রিঅ্যাক্টরের বিস্ফোরণ নয়, বরং এয়ার ড্রায়ার সিস্টেমে ত্রুটির কারণেই বিস্ফোরণ ও অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে থাকতে পারে।
মুখ্যমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে জানানো হয়েছে, এই ঘটনায় তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। ভবিষ্যতে এমন দুর্ঘটনা প্রতিরোধে প্রয়োজনীয় সুপারিশও তুলে ধরবে এই কমিটি।
মঙ্গলবার, ০১ জুলাই ২০২৫
ভারতের তেলেঙ্গানায় একটি ওষুধ কারখানায় বিস্ফোরণে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৪৪ জনে পৌঁছেছে। এর মধ্যে ১৫ জন চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাতে মারা যান।
সোমবার সকালে সাঙ্গারেড্ডি জেলার পাসামাইলারাম শিল্প এলাকায় সিগাচি ইন্ডাস্ট্রিজের ওই কারখানায় ভয়াবহ বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। ঘটনাস্থলটি হায়দরাবাদ শহর থেকে প্রায় ৫০ কিলোমিটার দূরে।
মঙ্গলবার দুর্ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে মুখ্যমন্ত্রী এ রেভন্ত রেড্ডি বলেন, রাজ্য এর আগে এমন মর্মান্তিক ঘটনার মুখোমুখি হয়নি। নিহতদের পরিবারকে এক লাখ রুপি এবং আহতদের ৫০ হাজার রুপি করে তাৎক্ষণিক সহায়তা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। নিহত প্রত্যেকের পরিবারকে ১ কোটি রুপি এবং গুরুতর আহতদের ১০ লাখ রুপি করে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার ঘোষণাও দেওয়া হয়েছে। স্বাস্থ্যমন্ত্রী দমোদর রাজা নারসিমহা ইতোমধ্যে আহতদের হাতে আর্থিক সহায়তা তুলে দেওয়ার কাজ শুরু করেছেন।
এই বিস্ফোরণকে তেলেঙ্গানার ইতিহাসে অন্যতম ভয়াবহ শিল্প দুর্ঘটনা হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে। বিস্ফোরণে তিনতলা একটি ভবন ধসে পড়ে। এখনো উদ্ধার তৎপরতা চলমান থাকায় মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে।
বিস্ফোরণটি ঘটে মাইক্রোক্রিস্টালাইন সেলুলোজ শুকানোর ইউনিটে। এতে অন্তত ৩৫ জন শ্রমিক আহত হয়েছেন, যাদের মধ্যে ১১ জনের অবস্থা সংকটজনক। সরকারি তথ্য অনুযায়ী, এখনো ১২ জন শ্রমিক নিখোঁজ রয়েছেন এবং ধারণা করা হচ্ছে তারা ধ্বংসস্তূপের নিচে আটকে আছেন।
উদ্ধারকাজে রাজ্যের বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী (এসডিআরএফ), হায়দরাবাদ ডিজাস্টার রেসপন্স অ্যান্ড অ্যাসেট প্রোটেকশন এজেন্সি, রাজস্ব বিভাগ ও পুলিশ যৌথভাবে কাজ করছে।
নিহতদের মধ্যে বেশিরভাগই অভিবাসী শ্রমিক, যারা বিহার, উত্তরপ্রদেশ ও উড়িষ্যা থেকে এসেছেন। বিস্ফোরণের সময় কারখানায় মোট ১৪৩ জন কর্মী উপস্থিত ছিলেন। বিস্ফোরণের শব্দ প্রায় পাঁচ কিলোমিটার দূর থেকেও শোনা যায়। বিস্ফোরণের পর দাউ দাউ করে আগুন ধরে যায়, যেটি নেভাতে ১৫টি দমকল ইউনিট কাজ করে।
প্রত্যক্ষদর্শীদের ভাষ্য অনুযায়ী, বিস্ফোরণের প্রচণ্ডতায় অনেক শ্রমিক ছিটকে গিয়ে বেশ দূরে পড়ে যান। বিস্ফোরণে নিহতদের অনেকের দেহ ছিন্নভিন্ন হয়ে গেছে বা আগুনে পুড়ে যাওয়ায় শনাক্ত করা সম্ভব হয়নি। তাদের পরিচয় নিশ্চিত করতে ডিএনএ পরীক্ষার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী দমোদর রাজা নারসিমহা জানিয়েছেন, বিস্ফোরণের প্রকৃত কারণ এখনও নিশ্চিত হওয়া যায়নি। তার ভাষ্যে, প্রায় ৪০ থেকে ৪৫ বছরের পুরনো এই প্রতিষ্ঠান মাইক্রোক্রিস্টালাইন সেলুলোজ উৎপাদন করে থাকে।
শ্রমমন্ত্রী জি বিবেক বলেন, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে এটি কোনো রিঅ্যাক্টরের বিস্ফোরণ নয়, বরং এয়ার ড্রায়ার সিস্টেমে ত্রুটির কারণেই বিস্ফোরণ ও অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে থাকতে পারে।
মুখ্যমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে জানানো হয়েছে, এই ঘটনায় তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। ভবিষ্যতে এমন দুর্ঘটনা প্রতিরোধে প্রয়োজনীয় সুপারিশও তুলে ধরবে এই কমিটি।