রাশিয়া ও ইউক্রেনের মধ্যে সাম্প্রতিক সময়ে পাল্টাপাল্টি হামলা বেড়েছে। নির্বাচিত হলে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ইউক্রেন যুদ্ধ থামিয়ে দেওয়ার সংকল্প করেছিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প। কিন্তু তিনি তা পারেননি। বরং সামনের দিনগুলোতে আক্রমণ পাল্টা-আক্রমণ বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা তৈরি হচ্ছে।
রাশিয়ার ওপর আরও নিষেধাজ্ঞার পরিকল্পনা এবং কিয়েভে আরও অস্ত্র পাঠাবে যুক্তরাষ্ট্র
রাশিয়া তাদের গ্রীষ্মকালীন আক্রমণ বাড়িয়ে দিয়েছে। এতে রাশিয়ার সেনাদের হাতে প্রতিদিনই ইউক্রেনের নতুন নতুন গ্রামের পতন ঘটছে। তারা ইউক্রেনের বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ শহর ঘিরে ফেলা অথবা দখলে নেওয়ার দ্বারপ্রান্তে আছে। পাল্টা হামলা চালিয়ে যাচ্ছে ইউক্রেনও।
বৃহস্পতিবার(৯-৭-২০২৫) ট্রাম্প ও পুতিনের মধ্যে ফোনালাপ হয়। পরে ট্রাম্প সাংবাদিকদের বলেন, আমার কথোপকথনে কোনো অগ্রগতি হয়নি। আমি খুবই হতাশ। পুতিন যুদ্ধ থামাতে চান বলে মনে হয় না। পুতিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ বিবিসিকে বলেন, যুদ্ধের মূল কারণগুলো সমাধান না হওয়া পর্যন্ত রাশিয়া তাদের বিশেষ সামরিক অভিযান চালিয়ে যাবে। রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় সোমবার জানিয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় রুশ বাহিনী দিনিপ্রোপেট্রোভস্ক অঞ্চলের গুরুত্বপূর্ণ গ্রাম দাচনোয়ে এবং সুমি অঞ্চলের বেসসালোভকা গ্রাম দখল করেছে। দাচনোয়ে হলো দিনিপ্রোপেট্রোভস্ক অঞ্চলে রাশিয়ার দখল করা প্রথম জনপদ।
দোনেৎস্ক অঞ্চলের গুরুত্বপূর্ণ শহর চাসিভ ইয়ার এবং এর আশপাশের সেটেলমেন্টগুলো সম্পূর্ণ দখলের নেওয়ার কাছাকাছি পৌঁছে গেছে রাশিয়ার সেনারা। বিশ্লেষকদের মতে, রাশিয়া যদি চাসিভ ইয়ার দখল করতে সক্ষম হয়, তাহলে তা সম্ভবত ক্রামাতোরস্ক ও স্লোভিয়ানস্ক শহরের দিকে আরও অগ্রসর হওয়ার সুযোগ করে দেবে। এগুলোই এখন রাশিয়ার দখলের বাইরে থাকা দোনেৎস্ক অঞ্চলের সবচেয়ে বড় বসতি।
যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক থিঙ্ক ট্যাঙ্ক ইনস্টিটিউট ফর দ্য স্টাডি অব ওয়ার (আইএসডব্লিউ) জানিয়েছে, ইউক্রেনীয় বাহিনী সুমিতে কিছু এলাকা পুনর্দখল করেছে এবং ওই অঞ্চলে রুশ অগ্রগতি এখন ধীর হয়ে এসেছে। বর্তমানে যুদ্ধ যেভাবে এগোচ্ছে তাতে রাশিয়ার দাবি করা বাকি অঞ্চলগুলো দখলে নিতে তাদের কয়েক বছর লেগে যেতে পারে। দুই দেশের মধ্যে একটি যুদ্ধবিরতি কার্যকরে ট্রাম্প প্রশাসনের চেষ্টা এখনও সফলতার মুখ দেখেনি। অন্যদিকে, পশ্চিমাদের কঠোর নিষেধাজ্ঞার পরও রাশিয়ার অর্থনীতি এখন পর্যন্ত বেশ ভালোভাবেই সামলে চলেছেন পুতিন। এমন অবস্থায় ২০২৫ সালজুড়ে সংঘাত চলতে পারে এবং ২০২৬ সালেও গড়াতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন বিশ্লেষকরা। ট্রাম্প জানিয়েছেন, যুদ্ধবিধ্বস্ত ইউক্রেনকে রাশিয়ার ক্রমবর্ধমান হামলা থেকে আত্মরক্ষার সহায়তা করতে যুক্তরাষ্ট্র আরও অস্ত্র পাঠাবে। তবে এসব অস্ত্রের বেশির ভাগই হবে প্রতিরক্ষামূলক। সোমবার হোয়াইট হাউসে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর সঙ্গে নৈশভোজের শুরুতেই সাংবাদিকদের এ কথা বলেন ট্রাম্প।
হোয়াইট হাউসে সাংবাদিকদের ট্রাম্প বলেন, আমরা আরও কিছু অস্ত্র পাঠাতে যাচ্ছি। আমাদের সেটা করতেই হবে। তাদের আত্মরক্ষার সক্ষমতা থাকতে হবে। তাদের এখন খুব কঠিনভাবে আঘাত করা হচ্ছে। আমাদের আরও অস্ত্র পাঠাতে হবে, প্রধানত প্রতিরক্ষামূলক অস্ত্র।
এদিকে, যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, ইউক্রেনে যুদ্ধ চালিয়ে যাওয়ার কারণে তিনি রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভøাদিমির পুতিনের ওপর খুশি নন। রাশিয়ার বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্র নতুন করে নিষেধাজ্ঞা আরোপের কথা ভাবছে বলেও ইঙ্গিত দিয়েছেন তিনি।
মঙ্গলবার হোয়াইট হাউসে নিজের মন্ত্রিসভার সঙ্গে এক বৈঠকে ট্রাম্প বলেন, ‘পুতিন আমাদের উদ্দেশ্য করে অনেক আজেবাজে কথা বলেছেন।’ ট্রাম্প আরও বলেন, পুতিন অনেক মানুষকে হত্যা করছেন। এর মধ্যে অনেকেই তার নিজের সেনা, আবার অনেকে ইউক্রেনের সেনা। রাশিয়ার ওপর আরও নিষেধাজ্ঞা আরোপের বিষয়ে সিনেটের প্রস্তাবিত একটি বিলের বিষয়ে জানতে চাইলে ট্রাম্প বলেন, ‘আমি এটাকে খুব গুরুত্ব দিয়ে দেখছি।’ তবে ভবিষ্যতে কী পদক্ষেপ নেওয়ার পরিকল্পনা করছেন, সেই বিষয়ে সাংবাদিকেরা প্রশ্ন করলে বিস্তারিত কিছু জানাতে রাজি হননি ট্রাম্প।
ট্রাম্প বলেন, ‘আমি আপনাদের বলব না। আমরা কি একটু চমক রাখতে পারি না?’ এরপর তিনি ইরানের পারমাণবিক স্থাপনায় গত মাসে যুক্তরাষ্ট্রের চালানো হামলার প্রসঙ্গের দিকে কথা ঘুরিয়ে নেন। বলেন, দীর্ঘ পরিকল্পনার পর ওই হামলা চালানো হয়েছে। ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট এমানুয়েল মাখোঁ যুক্তরাজ্যের পার্লামেন্টে দেয়া এক বক্তব্যে বলেছেন, ‘ইউরোপ কখনোই ইউক্রেনকে ছেড়ে যাবে না।’
মাখোঁ বলেন, যেসব দেশ নিজেদের ইচ্ছায় ইউক্রেনকে সাহায্য করতে চায়, তাদের নিয়ে যুক্তরাজ্য ও ফ্রান্স মিলে একটি জোট গড়ে তুলবে। ফরাসি প্রেসিডেন্ট মাখোঁ আরও বলেন, ‘আমরা শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত লড়াই করব, যেন যুদ্ধবিরতি নিশ্চিত করা যায়, যেন শান্তি প্রতিষ্ঠার আলোচনা শুরু করা যায়। কারণ, ইউক্রেনে শুধু তাদের নিরাপত্তাই নয়, আমাদের নিরাপত্তা ও মূল মূল্যবোধও এখন ঝুঁকিতে পড়েছে।’ এর আগে ট্রাম্প বলেন, তার প্রশাসন ইউক্রেনে আরও অস্ত্র পাঠাবে।
নতুন চালানটিতে মূলত ‘আত্মরক্ষামূলক’ অস্ত্র থাকবে।
যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদনে বলা হয়, নিজেদের অস্ত্রের মজুত কমে আসার কারণে ওয়াশিংটন কিছু ক্ষেপণাস্ত্র ও গোলাবারুদের সরবরাহ সাময়িকভাবে বন্ধ রেখেছিল। পেন্টাগন বলেছে, তারা যুক্তরাষ্ট্রের অস্ত্রের সক্ষমতা ‘পর্যালোচনা’ করছে। নির্বাচনী প্রচার চলাকালে ট্রাম্প প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন, তিনি প্রেসিডেন্ট হলে ইউক্রেনে দ্রুত যুদ্ধ থামাবেন। ইতোমধ্যে কয়েকবার টেলিফোনে পুতিনের সঙ্গে কথা বলাসহ বেশ কিছু কূটনৈতিক প্রচেষ্টা চালিয়েছেন তিনি। তবে এখন পর্যন্ত তিনি সহিংসতা থামাতে সক্ষম হননি।
গত মে মাসে ইউক্রেন ও রাশিয়ার কর্মকর্তারা তুরস্কে সরাসরি আলোচনায় অংশ নেন এবং বন্দিবিনিময়ের বিষয়ে সম্মত হন। তবে স্থায়ী যুদ্ধবিরতিতে পৌঁছানো তো পরের কথা, দুই পক্ষ এখনো সাময়িক যুদ্ধবিরতিতেই সম্মত হতে পারেনি। ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ বলেন, ইউক্রেনের পক্ষ থেকে আলোচনার জন্য সম্ভাব্য তারিখ জানতে মস্কো অপেক্ষা করছে। আলোচনার তারিখ চূড়ান্ত হলে তা ঘোষণা দিয়ে জানিয়ে দেওয়া হবে বলেও উল্লেখ করেন পেসকভ।
গত কয়েক সপ্তাহে রাশিয়া ইউক্রেনের শহরগুলোতে দূরপাল্লার হামলা বাড়িয়েছে। কয়েক মাস ধরে ইউক্রেনের যুদ্ধক্ষেত্রের বিভিন্ন অংশের দিকে ধীরে ধীরে অগ্রসর হয়েছে। গত সোমবার তারা ইউক্রেনের দনিপ্রোপেত্রোভস্ক অঞ্চলের ডাচনে নামক গ্রাম দখলে নেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে।
বুধবার, ০৯ জুলাই ২০২৫
রাশিয়া ও ইউক্রেনের মধ্যে সাম্প্রতিক সময়ে পাল্টাপাল্টি হামলা বেড়েছে। নির্বাচিত হলে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ইউক্রেন যুদ্ধ থামিয়ে দেওয়ার সংকল্প করেছিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প। কিন্তু তিনি তা পারেননি। বরং সামনের দিনগুলোতে আক্রমণ পাল্টা-আক্রমণ বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা তৈরি হচ্ছে।
রাশিয়ার ওপর আরও নিষেধাজ্ঞার পরিকল্পনা এবং কিয়েভে আরও অস্ত্র পাঠাবে যুক্তরাষ্ট্র
রাশিয়া তাদের গ্রীষ্মকালীন আক্রমণ বাড়িয়ে দিয়েছে। এতে রাশিয়ার সেনাদের হাতে প্রতিদিনই ইউক্রেনের নতুন নতুন গ্রামের পতন ঘটছে। তারা ইউক্রেনের বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ শহর ঘিরে ফেলা অথবা দখলে নেওয়ার দ্বারপ্রান্তে আছে। পাল্টা হামলা চালিয়ে যাচ্ছে ইউক্রেনও।
বৃহস্পতিবার(৯-৭-২০২৫) ট্রাম্প ও পুতিনের মধ্যে ফোনালাপ হয়। পরে ট্রাম্প সাংবাদিকদের বলেন, আমার কথোপকথনে কোনো অগ্রগতি হয়নি। আমি খুবই হতাশ। পুতিন যুদ্ধ থামাতে চান বলে মনে হয় না। পুতিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ বিবিসিকে বলেন, যুদ্ধের মূল কারণগুলো সমাধান না হওয়া পর্যন্ত রাশিয়া তাদের বিশেষ সামরিক অভিযান চালিয়ে যাবে। রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় সোমবার জানিয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় রুশ বাহিনী দিনিপ্রোপেট্রোভস্ক অঞ্চলের গুরুত্বপূর্ণ গ্রাম দাচনোয়ে এবং সুমি অঞ্চলের বেসসালোভকা গ্রাম দখল করেছে। দাচনোয়ে হলো দিনিপ্রোপেট্রোভস্ক অঞ্চলে রাশিয়ার দখল করা প্রথম জনপদ।
দোনেৎস্ক অঞ্চলের গুরুত্বপূর্ণ শহর চাসিভ ইয়ার এবং এর আশপাশের সেটেলমেন্টগুলো সম্পূর্ণ দখলের নেওয়ার কাছাকাছি পৌঁছে গেছে রাশিয়ার সেনারা। বিশ্লেষকদের মতে, রাশিয়া যদি চাসিভ ইয়ার দখল করতে সক্ষম হয়, তাহলে তা সম্ভবত ক্রামাতোরস্ক ও স্লোভিয়ানস্ক শহরের দিকে আরও অগ্রসর হওয়ার সুযোগ করে দেবে। এগুলোই এখন রাশিয়ার দখলের বাইরে থাকা দোনেৎস্ক অঞ্চলের সবচেয়ে বড় বসতি।
যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক থিঙ্ক ট্যাঙ্ক ইনস্টিটিউট ফর দ্য স্টাডি অব ওয়ার (আইএসডব্লিউ) জানিয়েছে, ইউক্রেনীয় বাহিনী সুমিতে কিছু এলাকা পুনর্দখল করেছে এবং ওই অঞ্চলে রুশ অগ্রগতি এখন ধীর হয়ে এসেছে। বর্তমানে যুদ্ধ যেভাবে এগোচ্ছে তাতে রাশিয়ার দাবি করা বাকি অঞ্চলগুলো দখলে নিতে তাদের কয়েক বছর লেগে যেতে পারে। দুই দেশের মধ্যে একটি যুদ্ধবিরতি কার্যকরে ট্রাম্প প্রশাসনের চেষ্টা এখনও সফলতার মুখ দেখেনি। অন্যদিকে, পশ্চিমাদের কঠোর নিষেধাজ্ঞার পরও রাশিয়ার অর্থনীতি এখন পর্যন্ত বেশ ভালোভাবেই সামলে চলেছেন পুতিন। এমন অবস্থায় ২০২৫ সালজুড়ে সংঘাত চলতে পারে এবং ২০২৬ সালেও গড়াতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন বিশ্লেষকরা। ট্রাম্প জানিয়েছেন, যুদ্ধবিধ্বস্ত ইউক্রেনকে রাশিয়ার ক্রমবর্ধমান হামলা থেকে আত্মরক্ষার সহায়তা করতে যুক্তরাষ্ট্র আরও অস্ত্র পাঠাবে। তবে এসব অস্ত্রের বেশির ভাগই হবে প্রতিরক্ষামূলক। সোমবার হোয়াইট হাউসে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর সঙ্গে নৈশভোজের শুরুতেই সাংবাদিকদের এ কথা বলেন ট্রাম্প।
হোয়াইট হাউসে সাংবাদিকদের ট্রাম্প বলেন, আমরা আরও কিছু অস্ত্র পাঠাতে যাচ্ছি। আমাদের সেটা করতেই হবে। তাদের আত্মরক্ষার সক্ষমতা থাকতে হবে। তাদের এখন খুব কঠিনভাবে আঘাত করা হচ্ছে। আমাদের আরও অস্ত্র পাঠাতে হবে, প্রধানত প্রতিরক্ষামূলক অস্ত্র।
এদিকে, যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, ইউক্রেনে যুদ্ধ চালিয়ে যাওয়ার কারণে তিনি রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভøাদিমির পুতিনের ওপর খুশি নন। রাশিয়ার বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্র নতুন করে নিষেধাজ্ঞা আরোপের কথা ভাবছে বলেও ইঙ্গিত দিয়েছেন তিনি।
মঙ্গলবার হোয়াইট হাউসে নিজের মন্ত্রিসভার সঙ্গে এক বৈঠকে ট্রাম্প বলেন, ‘পুতিন আমাদের উদ্দেশ্য করে অনেক আজেবাজে কথা বলেছেন।’ ট্রাম্প আরও বলেন, পুতিন অনেক মানুষকে হত্যা করছেন। এর মধ্যে অনেকেই তার নিজের সেনা, আবার অনেকে ইউক্রেনের সেনা। রাশিয়ার ওপর আরও নিষেধাজ্ঞা আরোপের বিষয়ে সিনেটের প্রস্তাবিত একটি বিলের বিষয়ে জানতে চাইলে ট্রাম্প বলেন, ‘আমি এটাকে খুব গুরুত্ব দিয়ে দেখছি।’ তবে ভবিষ্যতে কী পদক্ষেপ নেওয়ার পরিকল্পনা করছেন, সেই বিষয়ে সাংবাদিকেরা প্রশ্ন করলে বিস্তারিত কিছু জানাতে রাজি হননি ট্রাম্প।
ট্রাম্প বলেন, ‘আমি আপনাদের বলব না। আমরা কি একটু চমক রাখতে পারি না?’ এরপর তিনি ইরানের পারমাণবিক স্থাপনায় গত মাসে যুক্তরাষ্ট্রের চালানো হামলার প্রসঙ্গের দিকে কথা ঘুরিয়ে নেন। বলেন, দীর্ঘ পরিকল্পনার পর ওই হামলা চালানো হয়েছে। ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট এমানুয়েল মাখোঁ যুক্তরাজ্যের পার্লামেন্টে দেয়া এক বক্তব্যে বলেছেন, ‘ইউরোপ কখনোই ইউক্রেনকে ছেড়ে যাবে না।’
মাখোঁ বলেন, যেসব দেশ নিজেদের ইচ্ছায় ইউক্রেনকে সাহায্য করতে চায়, তাদের নিয়ে যুক্তরাজ্য ও ফ্রান্স মিলে একটি জোট গড়ে তুলবে। ফরাসি প্রেসিডেন্ট মাখোঁ আরও বলেন, ‘আমরা শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত লড়াই করব, যেন যুদ্ধবিরতি নিশ্চিত করা যায়, যেন শান্তি প্রতিষ্ঠার আলোচনা শুরু করা যায়। কারণ, ইউক্রেনে শুধু তাদের নিরাপত্তাই নয়, আমাদের নিরাপত্তা ও মূল মূল্যবোধও এখন ঝুঁকিতে পড়েছে।’ এর আগে ট্রাম্প বলেন, তার প্রশাসন ইউক্রেনে আরও অস্ত্র পাঠাবে।
নতুন চালানটিতে মূলত ‘আত্মরক্ষামূলক’ অস্ত্র থাকবে।
যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদনে বলা হয়, নিজেদের অস্ত্রের মজুত কমে আসার কারণে ওয়াশিংটন কিছু ক্ষেপণাস্ত্র ও গোলাবারুদের সরবরাহ সাময়িকভাবে বন্ধ রেখেছিল। পেন্টাগন বলেছে, তারা যুক্তরাষ্ট্রের অস্ত্রের সক্ষমতা ‘পর্যালোচনা’ করছে। নির্বাচনী প্রচার চলাকালে ট্রাম্প প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন, তিনি প্রেসিডেন্ট হলে ইউক্রেনে দ্রুত যুদ্ধ থামাবেন। ইতোমধ্যে কয়েকবার টেলিফোনে পুতিনের সঙ্গে কথা বলাসহ বেশ কিছু কূটনৈতিক প্রচেষ্টা চালিয়েছেন তিনি। তবে এখন পর্যন্ত তিনি সহিংসতা থামাতে সক্ষম হননি।
গত মে মাসে ইউক্রেন ও রাশিয়ার কর্মকর্তারা তুরস্কে সরাসরি আলোচনায় অংশ নেন এবং বন্দিবিনিময়ের বিষয়ে সম্মত হন। তবে স্থায়ী যুদ্ধবিরতিতে পৌঁছানো তো পরের কথা, দুই পক্ষ এখনো সাময়িক যুদ্ধবিরতিতেই সম্মত হতে পারেনি। ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ বলেন, ইউক্রেনের পক্ষ থেকে আলোচনার জন্য সম্ভাব্য তারিখ জানতে মস্কো অপেক্ষা করছে। আলোচনার তারিখ চূড়ান্ত হলে তা ঘোষণা দিয়ে জানিয়ে দেওয়া হবে বলেও উল্লেখ করেন পেসকভ।
গত কয়েক সপ্তাহে রাশিয়া ইউক্রেনের শহরগুলোতে দূরপাল্লার হামলা বাড়িয়েছে। কয়েক মাস ধরে ইউক্রেনের যুদ্ধক্ষেত্রের বিভিন্ন অংশের দিকে ধীরে ধীরে অগ্রসর হয়েছে। গত সোমবার তারা ইউক্রেনের দনিপ্রোপেত্রোভস্ক অঞ্চলের ডাচনে নামক গ্রাম দখলে নেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে।