মায়ানমারের কাচিন রাজ্যের বিরল খনিজ উত্তোলন অঞ্চল নিয়ে কাচিন ইন্ডিপেনডেন্স আর্মির (কেআইএ) ওপর কৌশলগত চাপ সৃষ্টি করেছে চীন। অঞ্চলটি নিয়ন্ত্রণে কেআইএ’র চলমান তৎপরতা বন্ধ না হলে সেখান থেকে উত্তোলিত খনিজ কিনবে না বলে হুমকি দিয়েছে বেইজিং। ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্সের এক অনুসন্ধান প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, চলতি বছরের মে মাসে চীনা পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা কেআইএ’র সঙ্গে এক বৈঠকে এই আল্টিমেটাম দেন। তবে বৈঠক কোথায় হয়েছে, তা জানানো হয়নি।
বিশ্বের ভারী বিরল খনিজের প্রায় অর্ধেক উত্তোলন হয় মায়ানমারের কাচিন রাজ্যে, বিশেষ করে বাহমো শহরের উত্তরে। খনিজগুলো চীনে রফতানি করে সেখানে প্রক্রিয়াজাত করা হয়। যা বৈদ্যুতিক গাড়ি ও উইন্ড টারবাইনের মতো প্রযুক্তিতে ব্যবহৃত চুম্বকে রূপান্তরিত হয়। বাহমো শহরটি কৌশলগত দিক থেকে গুরুত্বপূর্ণ। চীন সীমান্ত থেকে মাত্র ১০০ কিলোমিটার দূরত্বে অবস্থিত এই শহরটিতে নিয়ন্ত্রণ নিতে ডিসেম্বর থেকে কেআইএ মায়ানমার জান্তা সরকারের বিরুদ্ধে লড়াই চালিয়ে আসছে। কেআইএ’র এক কর্মকর্তা রয়টার্সকে জানান, চীন আমাদের স্পষ্ট করেছে, বাহমো দখলের প্রচেষ্টা বন্ধ না করলে কাচিন থেকে রপ্তানিযোগ্য বিরল খনিজ তারা কিনবে না। এমনকি পুরো অঞ্চলের ওপর অর্থনৈতিক অবরোধ আরোপ করা হবে। চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এ প্রসঙ্গে মন্তব্য করতে গিয়ে জানিয়েছে, মায়ানমারের সেনাবাহিনী ও কেআইএ’র মধ্যে যুদ্ধবিরতি এবং শান্তি আলোচনা মায়ানমার ও চীনের জনগণের পারস্পরিক স্বার্থে।
তবে বিশ্লেষকেরা বলছেন, চীনের মূল লক্ষ্য গৃহযুদ্ধ বন্ধ নয়। বরং সীমান্ত অঞ্চলের স্থিতিশীলতা নিশ্চিত করে অর্থনৈতিক স্বার্থ রক্ষা করা। মায়ানমারভিত্তিক বিশ্লেষক ডেভিড ম্যাথিসন বলেন, চীনের চাপ আসলে সংঘর্ষ হ্রাসের একটি সাধারণ কৌশল।
এতে তারা জান্তা সরকারের মাধ্যমে নিজেদের অর্থনৈতিক প্রবেশাধিকার অটুট রাখতে চায়। রয়টার্সের তথ্য অনুযায়ী, চলমান সংঘর্ষের কারণে কাচিন অঞ্চলে বিরল খনিজ উত্তোলন ব্যাহত হয়েছে এবং চলতি বছরে মায়ানমার থেকে খনিজ রপ্তানি কমে গেছে। তবে চীন হুমকি কার্যকর করেছে কি না, তা এখনও নিশ্চিত নয়।
এর আগে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্পের শুল্কের জবাবে চলতি বসন্তে চীন খনিজ রফতানিতে বিধিনিষেধ আরোপ করলে বৈশ্বিক সরবরাহ চেইনে ব্যাপক প্রভাব পড়ে। এবার তারা মায়ানমারের জান্তা সরকারের পক্ষে অবস্থান নিয়ে একই খনিজকে কৌশলগত অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করছে।
বুধবার, ০৯ জুলাই ২০২৫
মায়ানমারের কাচিন রাজ্যের বিরল খনিজ উত্তোলন অঞ্চল নিয়ে কাচিন ইন্ডিপেনডেন্স আর্মির (কেআইএ) ওপর কৌশলগত চাপ সৃষ্টি করেছে চীন। অঞ্চলটি নিয়ন্ত্রণে কেআইএ’র চলমান তৎপরতা বন্ধ না হলে সেখান থেকে উত্তোলিত খনিজ কিনবে না বলে হুমকি দিয়েছে বেইজিং। ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্সের এক অনুসন্ধান প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, চলতি বছরের মে মাসে চীনা পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা কেআইএ’র সঙ্গে এক বৈঠকে এই আল্টিমেটাম দেন। তবে বৈঠক কোথায় হয়েছে, তা জানানো হয়নি।
বিশ্বের ভারী বিরল খনিজের প্রায় অর্ধেক উত্তোলন হয় মায়ানমারের কাচিন রাজ্যে, বিশেষ করে বাহমো শহরের উত্তরে। খনিজগুলো চীনে রফতানি করে সেখানে প্রক্রিয়াজাত করা হয়। যা বৈদ্যুতিক গাড়ি ও উইন্ড টারবাইনের মতো প্রযুক্তিতে ব্যবহৃত চুম্বকে রূপান্তরিত হয়। বাহমো শহরটি কৌশলগত দিক থেকে গুরুত্বপূর্ণ। চীন সীমান্ত থেকে মাত্র ১০০ কিলোমিটার দূরত্বে অবস্থিত এই শহরটিতে নিয়ন্ত্রণ নিতে ডিসেম্বর থেকে কেআইএ মায়ানমার জান্তা সরকারের বিরুদ্ধে লড়াই চালিয়ে আসছে। কেআইএ’র এক কর্মকর্তা রয়টার্সকে জানান, চীন আমাদের স্পষ্ট করেছে, বাহমো দখলের প্রচেষ্টা বন্ধ না করলে কাচিন থেকে রপ্তানিযোগ্য বিরল খনিজ তারা কিনবে না। এমনকি পুরো অঞ্চলের ওপর অর্থনৈতিক অবরোধ আরোপ করা হবে। চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এ প্রসঙ্গে মন্তব্য করতে গিয়ে জানিয়েছে, মায়ানমারের সেনাবাহিনী ও কেআইএ’র মধ্যে যুদ্ধবিরতি এবং শান্তি আলোচনা মায়ানমার ও চীনের জনগণের পারস্পরিক স্বার্থে।
তবে বিশ্লেষকেরা বলছেন, চীনের মূল লক্ষ্য গৃহযুদ্ধ বন্ধ নয়। বরং সীমান্ত অঞ্চলের স্থিতিশীলতা নিশ্চিত করে অর্থনৈতিক স্বার্থ রক্ষা করা। মায়ানমারভিত্তিক বিশ্লেষক ডেভিড ম্যাথিসন বলেন, চীনের চাপ আসলে সংঘর্ষ হ্রাসের একটি সাধারণ কৌশল।
এতে তারা জান্তা সরকারের মাধ্যমে নিজেদের অর্থনৈতিক প্রবেশাধিকার অটুট রাখতে চায়। রয়টার্সের তথ্য অনুযায়ী, চলমান সংঘর্ষের কারণে কাচিন অঞ্চলে বিরল খনিজ উত্তোলন ব্যাহত হয়েছে এবং চলতি বছরে মায়ানমার থেকে খনিজ রপ্তানি কমে গেছে। তবে চীন হুমকি কার্যকর করেছে কি না, তা এখনও নিশ্চিত নয়।
এর আগে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্পের শুল্কের জবাবে চলতি বসন্তে চীন খনিজ রফতানিতে বিধিনিষেধ আরোপ করলে বৈশ্বিক সরবরাহ চেইনে ব্যাপক প্রভাব পড়ে। এবার তারা মায়ানমারের জান্তা সরকারের পক্ষে অবস্থান নিয়ে একই খনিজকে কৌশলগত অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করছে।