ভারতের গুজরাটের ভদোদরায় মহিসাগর নদীর ওপর নির্মিত ৪৩ বছরের পুরোনো একটি সেতু আজ বুধবার ভোরে ধসে পড়ে। এতে অন্তত ১০ জন নিহত হয়েছেন। এছাড়া ৯ জনকে উদ্ধার করা হয়েছে। সেতু ধসে পড়লে বেশ কয়েকটি যানবাহন নদীতে পড়ে যায়।
এই সেতু ভদোদরার পাদ্রার মুজপুরকে আনন্দ জেলার গম্ভীরার সঙ্গে এবং মধ্য গুজরাটকে সৌরাষ্ট্র অঞ্চলের সঙ্গে সংযুক্ত করত।
ঘটনার ভিডিওতে দেখা যায়, সেতুর একাংশ ভেঙে পড়ার পর একটি ট্যাংকার বিপজ্জনকভাবে ঝুলে আছে। নদীতে উল্টে থাকা একটি ভ্যানে আটকে থাকা একজন নারী তাঁর ছেলের জন্য সাহায্য চেয়ে কাঁদছেন।
ভদোদরার জেলা কালেক্টর অনিল ধামেলিয়া জানান, সামান্য আহত হয়েছেন এমন পাঁচজনকে উদ্ধার করা হয়েছে। এ ছাড়া দুজনের মৃত্যুর খবর নিশ্চিত হওয়া গেছে। দুর্ঘটনাস্থলে উদ্ধারকাজ চলছে। জানা গেছে, দুটি ট্রাক, একটি ইকো ভ্যান, একটি পিকআপ ভ্যান এবং একটি অটোরিকশা নদীতে পড়ে গেছে।
ভদোদরার ফায়ার সার্ভিস ও জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী (এনডিআরএফ) দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে উদ্ধার অভিযান শুরু করে। এনডিআরএফের ভদোদরা ৬ ব্যাটালিয়ন নদীতে উদ্ধার অভিযান চালাতে একটি ডুবুরি দল নামিয়েছে।
ধামেলিয়া আরও বলেন, নদীর যে অংশে সেতু ধসে পড়েছে, সেটি খুব গভীর নয়। দুর্ঘটনার সময় সেতুতে দুটি মোটরসাইকেলও ছিল বলে জানা গেছে। তবে তারা নদীতে পড়েছে কি না, তা এখনো নিশ্চিত নয়। নিহতদের পরিচয় জানা যায়নি।
আহত ব্যক্তিদের ভদোদরার স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। উদ্ধার হওয়া পাঁচজনের মধ্যে চারজনের আঘাত গুরুতর নয়।
ধামেলিয়া জানান, ৪৩ বছরের পুরোনো এই সেতু গত বছর মেরামত করা হয়েছিল। সড়ক ও সেতু বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলীরা ঘটনাস্থলে যাচ্ছেন। উদ্ধারকাজ শেষ হলে সেতু সম্পর্কে বিস্তারিত তদন্ত করা হবে।
আনন্দ জেলার কালেক্টর প্রবীণ চৌধুরী জানান, ভদোদরা জেলা প্রশাসনের তত্ত্বাবধানে উদ্ধারকাজ চলছে। আনন্দ জেলা থেকে তিনটি ফায়ার সার্ভিস পাঠানো হয়েছে এবং প্রয়োজন হলে আরও সহায়তা করা হবে।
আনন্দ জেলার অঙ্কলাভ আসনের কংগ্রেস এমএলএ অমিত চাবদা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে লিখেছেন, একাধিক যানবাহন নদীতে পড়ে গেছে এবং বড় ধরনের প্রাণহানির আশঙ্কা রয়েছে। সরকারকে দ্রুত উদ্ধার কার্যক্রম শুরু করতে হবে এবং ট্রাফিক অন্য পথে ঘুরিয়ে দিতে হবে।
বুধবার, ০৯ জুলাই ২০২৫
ভারতের গুজরাটের ভদোদরায় মহিসাগর নদীর ওপর নির্মিত ৪৩ বছরের পুরোনো একটি সেতু আজ বুধবার ভোরে ধসে পড়ে। এতে অন্তত ১০ জন নিহত হয়েছেন। এছাড়া ৯ জনকে উদ্ধার করা হয়েছে। সেতু ধসে পড়লে বেশ কয়েকটি যানবাহন নদীতে পড়ে যায়।
এই সেতু ভদোদরার পাদ্রার মুজপুরকে আনন্দ জেলার গম্ভীরার সঙ্গে এবং মধ্য গুজরাটকে সৌরাষ্ট্র অঞ্চলের সঙ্গে সংযুক্ত করত।
ঘটনার ভিডিওতে দেখা যায়, সেতুর একাংশ ভেঙে পড়ার পর একটি ট্যাংকার বিপজ্জনকভাবে ঝুলে আছে। নদীতে উল্টে থাকা একটি ভ্যানে আটকে থাকা একজন নারী তাঁর ছেলের জন্য সাহায্য চেয়ে কাঁদছেন।
ভদোদরার জেলা কালেক্টর অনিল ধামেলিয়া জানান, সামান্য আহত হয়েছেন এমন পাঁচজনকে উদ্ধার করা হয়েছে। এ ছাড়া দুজনের মৃত্যুর খবর নিশ্চিত হওয়া গেছে। দুর্ঘটনাস্থলে উদ্ধারকাজ চলছে। জানা গেছে, দুটি ট্রাক, একটি ইকো ভ্যান, একটি পিকআপ ভ্যান এবং একটি অটোরিকশা নদীতে পড়ে গেছে।
ভদোদরার ফায়ার সার্ভিস ও জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী (এনডিআরএফ) দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে উদ্ধার অভিযান শুরু করে। এনডিআরএফের ভদোদরা ৬ ব্যাটালিয়ন নদীতে উদ্ধার অভিযান চালাতে একটি ডুবুরি দল নামিয়েছে।
ধামেলিয়া আরও বলেন, নদীর যে অংশে সেতু ধসে পড়েছে, সেটি খুব গভীর নয়। দুর্ঘটনার সময় সেতুতে দুটি মোটরসাইকেলও ছিল বলে জানা গেছে। তবে তারা নদীতে পড়েছে কি না, তা এখনো নিশ্চিত নয়। নিহতদের পরিচয় জানা যায়নি।
আহত ব্যক্তিদের ভদোদরার স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। উদ্ধার হওয়া পাঁচজনের মধ্যে চারজনের আঘাত গুরুতর নয়।
ধামেলিয়া জানান, ৪৩ বছরের পুরোনো এই সেতু গত বছর মেরামত করা হয়েছিল। সড়ক ও সেতু বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলীরা ঘটনাস্থলে যাচ্ছেন। উদ্ধারকাজ শেষ হলে সেতু সম্পর্কে বিস্তারিত তদন্ত করা হবে।
আনন্দ জেলার কালেক্টর প্রবীণ চৌধুরী জানান, ভদোদরা জেলা প্রশাসনের তত্ত্বাবধানে উদ্ধারকাজ চলছে। আনন্দ জেলা থেকে তিনটি ফায়ার সার্ভিস পাঠানো হয়েছে এবং প্রয়োজন হলে আরও সহায়তা করা হবে।
আনন্দ জেলার অঙ্কলাভ আসনের কংগ্রেস এমএলএ অমিত চাবদা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে লিখেছেন, একাধিক যানবাহন নদীতে পড়ে গেছে এবং বড় ধরনের প্রাণহানির আশঙ্কা রয়েছে। সরকারকে দ্রুত উদ্ধার কার্যক্রম শুরু করতে হবে এবং ট্রাফিক অন্য পথে ঘুরিয়ে দিতে হবে।