এয়ার ইনডিয়া বিধ্বস্তের প্রতিবেদন
ভারতের আহমেদাবাদে এয়ার ইনডিয়ার লন্ডনগামী উড়োজাহাজ বিধ্বস্ত হওয়ার এক মাস পর প্রকাশিত প্রাথমিক তদন্ত প্রতিবেদনে উঠে এসেছে মর্মান্তিক কারণ। বোয়িং ৭৮৭-৮ ড্রিমলাইনার উড্ডয়নের ঠিক পরপরই উভয় ইঞ্জিনের জ্বালানি সুইচ ‘রান’ (চালু) থেকে ‘কাটঅফ’ (বন্ধ) অবস্থায় চলে যায়, যার ফলে ইঞ্জিন বন্ধ হয়ে পড়ে এবং উড়োজাহাজটি আকাশে ছিল মাত্র ৩২ সেকেন্ড।
ভারতের বিমান দুর্ঘটনা তদন্ত ব্যুরো (এএআইবি) শনিবার ১৫ পৃষ্ঠার এক প্রতিবেদন প্রকাশ করে জানায়, উড্ডয়নের সঙ্গে সঙ্গেই ইঞ্জিন বন্ধ হয়ে যাওয়ার মূল কারণ জ্বালানি সরবরাহের ত্রুটি। ককপিটের ভয়েস রেকর্ডিং অনুযায়ী, এক পাইলট বিস্মিত হয়ে আরেকজনকে প্রশ্ন করেন, “আপনি কেন বন্ধ করলেন?” জবাবে অপর পাইলট বলেন, “আমি বন্ধ করিনি।”
তদন্তে বলা হয়, ইঞ্জিন বন্ধ হয়ে যাওয়ার পর পাইলটরা ‘রান’ মোডে ফিরিয়ে আনতে চেষ্টাও করেন। যদিও বোয়িং ৭৮৭ এক ইঞ্জিনে উড্ডয়ন সম্পন্ন করতে সক্ষম, কিন্তু অতিক্ষুদ্র সময়ের মধ্যে উচ্চতা হারানো, জ্বালানির সম্পূর্ণ বন্ধ হয়ে যাওয়া এবং বিকল্প ব্যবস্থা কাজ না করায় ফ্লাইটটি দ্রুত ভূপতিত হয়।
উড়োজাহাজটি একটি মেডিকেল ছাত্রাবাসে বিধ্বস্ত হয়, যেখানে সঙ্গে সঙ্গে বিস্ফোরণ ঘটে। এতে উড়োজাহাজের ২৪২ আরোহীর মধ্যে একজন ছাড়া কেউই বাঁচেননি, পাশাপাশি মাটিতে থাকা আরও অন্তত ৩০ জন নিহত হন।
তদন্তে জানা গেছে, বিমাসটি চালাচ্ছিলেন লাইন ট্রেনিং ক্যাপ্টেন সুমিত সাবরওয়াল, যার ৮,২০০ ঘণ্টা ফ্লাইং অভিজ্ঞতা ছিল, এবং সঙ্গে ছিলেন ফার্স্ট অফিসার ক্লাইভ কুন্দর। উভয়েরই স্বাস্থ্যগত ও বিশ্রামসংক্রান্ত কোনো সমস্যা ছিল না।
প্রতিবেদন বলছে, কোনো ধরনের নাশকতার প্রমাণ মেলেনি। তবে এফএএ পূর্বেই জ্বালানি সুইচ ত্রুটি সম্পর্কে সতর্ক করেছিল, যেখানে ফুয়েল সুইচে লকিং ব্যবস্থা না থাকলে দুর্ঘটনার সম্ভাবনা বাড়ে। যদিও তখন একে ‘অনিরাপদ অবস্থা’ হিসেবে বিবেচনা করা হয়নি।
সিসিটিভি ফুটেজে দেখা যায়, উড্ডয়নের পরপরই চালু হয় ‘র্যাম এয়ার টারবাইন’—যা ইঞ্জিন ও বৈদ্যুতিক ব্যবস্থা ব্যর্থ হলে স্বয়ংক্রিয়ভাবে চালু হয়। এটিও প্রমাণ করে যে উড়োজাহাজটি সংকটাপন্ন অবস্থায় পড়েছিল।
তুলনামূলকভাবে অতীতে এমন একটি ঘটনা ঘটে ১৯৮০-এর দশকে, যখন ডেল্টা এয়ারলাইন্সের এক পাইলট ভুল করে বোয়িং ৭৬৭-এর জ্বালানি সুইচ বন্ধ করে দিয়েছিলেন, তবে উচ্চতায় থাকার কারণে তিনি ইঞ্জিন পুনরায় চালু করতে পেরেছিলেন।
এয়ার ইনডিয়া বিধ্বস্তের প্রতিবেদন
শনিবার, ১২ জুলাই ২০২৫
ভারতের আহমেদাবাদে এয়ার ইনডিয়ার লন্ডনগামী উড়োজাহাজ বিধ্বস্ত হওয়ার এক মাস পর প্রকাশিত প্রাথমিক তদন্ত প্রতিবেদনে উঠে এসেছে মর্মান্তিক কারণ। বোয়িং ৭৮৭-৮ ড্রিমলাইনার উড্ডয়নের ঠিক পরপরই উভয় ইঞ্জিনের জ্বালানি সুইচ ‘রান’ (চালু) থেকে ‘কাটঅফ’ (বন্ধ) অবস্থায় চলে যায়, যার ফলে ইঞ্জিন বন্ধ হয়ে পড়ে এবং উড়োজাহাজটি আকাশে ছিল মাত্র ৩২ সেকেন্ড।
ভারতের বিমান দুর্ঘটনা তদন্ত ব্যুরো (এএআইবি) শনিবার ১৫ পৃষ্ঠার এক প্রতিবেদন প্রকাশ করে জানায়, উড্ডয়নের সঙ্গে সঙ্গেই ইঞ্জিন বন্ধ হয়ে যাওয়ার মূল কারণ জ্বালানি সরবরাহের ত্রুটি। ককপিটের ভয়েস রেকর্ডিং অনুযায়ী, এক পাইলট বিস্মিত হয়ে আরেকজনকে প্রশ্ন করেন, “আপনি কেন বন্ধ করলেন?” জবাবে অপর পাইলট বলেন, “আমি বন্ধ করিনি।”
তদন্তে বলা হয়, ইঞ্জিন বন্ধ হয়ে যাওয়ার পর পাইলটরা ‘রান’ মোডে ফিরিয়ে আনতে চেষ্টাও করেন। যদিও বোয়িং ৭৮৭ এক ইঞ্জিনে উড্ডয়ন সম্পন্ন করতে সক্ষম, কিন্তু অতিক্ষুদ্র সময়ের মধ্যে উচ্চতা হারানো, জ্বালানির সম্পূর্ণ বন্ধ হয়ে যাওয়া এবং বিকল্প ব্যবস্থা কাজ না করায় ফ্লাইটটি দ্রুত ভূপতিত হয়।
উড়োজাহাজটি একটি মেডিকেল ছাত্রাবাসে বিধ্বস্ত হয়, যেখানে সঙ্গে সঙ্গে বিস্ফোরণ ঘটে। এতে উড়োজাহাজের ২৪২ আরোহীর মধ্যে একজন ছাড়া কেউই বাঁচেননি, পাশাপাশি মাটিতে থাকা আরও অন্তত ৩০ জন নিহত হন।
তদন্তে জানা গেছে, বিমাসটি চালাচ্ছিলেন লাইন ট্রেনিং ক্যাপ্টেন সুমিত সাবরওয়াল, যার ৮,২০০ ঘণ্টা ফ্লাইং অভিজ্ঞতা ছিল, এবং সঙ্গে ছিলেন ফার্স্ট অফিসার ক্লাইভ কুন্দর। উভয়েরই স্বাস্থ্যগত ও বিশ্রামসংক্রান্ত কোনো সমস্যা ছিল না।
প্রতিবেদন বলছে, কোনো ধরনের নাশকতার প্রমাণ মেলেনি। তবে এফএএ পূর্বেই জ্বালানি সুইচ ত্রুটি সম্পর্কে সতর্ক করেছিল, যেখানে ফুয়েল সুইচে লকিং ব্যবস্থা না থাকলে দুর্ঘটনার সম্ভাবনা বাড়ে। যদিও তখন একে ‘অনিরাপদ অবস্থা’ হিসেবে বিবেচনা করা হয়নি।
সিসিটিভি ফুটেজে দেখা যায়, উড্ডয়নের পরপরই চালু হয় ‘র্যাম এয়ার টারবাইন’—যা ইঞ্জিন ও বৈদ্যুতিক ব্যবস্থা ব্যর্থ হলে স্বয়ংক্রিয়ভাবে চালু হয়। এটিও প্রমাণ করে যে উড়োজাহাজটি সংকটাপন্ন অবস্থায় পড়েছিল।
তুলনামূলকভাবে অতীতে এমন একটি ঘটনা ঘটে ১৯৮০-এর দশকে, যখন ডেল্টা এয়ারলাইন্সের এক পাইলট ভুল করে বোয়িং ৭৬৭-এর জ্বালানি সুইচ বন্ধ করে দিয়েছিলেন, তবে উচ্চতায় থাকার কারণে তিনি ইঞ্জিন পুনরায় চালু করতে পেরেছিলেন।