সম্প্রতি ইয়েমেনের হুথি বিদ্রোহীদের হামলায় লোহিত সাগরে একটি কার্গো জাহাজ ডুবে গেছে। এই ঘটনায় ১০ জন ক্রুকে উদ্ধার করা হয়েছে এবং নিহত হয়েছে অন্তত তিনজন। ২০২৩ সালের নভেম্বর থেকে প্রায় ৭০টি বাণিজ্যিক জাহাজের ওপর ক্ষেপণাস্ত্র, ড্রোন ও ছোট নৌকা দিয়ে হামলা চালিয়েছে তারা। চারটি জাহাজ ডুবিয়ে দেওয়া হয়েছে, একটি জাহাজ দখল এবং অন্তত সাতজন ক্রুকে হত্যা করা হয়েছে।
হুতি বিদ্রোহীরা মূলত ইরান-সমর্থিত একটি সশস্ত্র গোষ্ঠী। তারা গাজার হামাস ও লেবাননের হিজবুল্লাহর মতোই ইসরায়েলবিরোধী ‘এক্সিস অব রেসিস্টেন্স’ বা ‘প্রতিরোধ অক্ষের’ অংশ। ইসরায়েলের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সন্দেহে জাহাজগুলোয় হামলা চালায় এই গোষ্ঠী।
যুক্তরাষ্ট্র বলছে, জাহাজে হামলা চালাতে হুথিদের সহায়তা করেছে ইরান। তবে ইরান এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে। সৌদি আরব ও যুক্তরাষ্ট্রের দাবি, ইয়েমেনের গৃহযুদ্ধের সময় জাতিসংঘের অস্ত্র নিষেধাজ্ঞা লঙ্ঘন করে ইরান হুথিদের কাছে ড্রোন, ক্রুজ এবং ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রসহ নানা ধরনের অস্ত্র পাচার করেছে। তারা বলছে, সৌদি আরব ও দেশটির মিত্র সংযুক্ত আরব আমিরাতের ওপর হামলায় এ ধরনের ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন ব্যবহার করা হয়েছে। হুথিদের কাছে অস্ত্র সরবরাহের কথা অস্বীকার করেছে ইরান। দেশটির দাবি, কেবল রাজনৈতিকভাবে তারা হুথিদের সমর্থন করে।
ইরানি অস্ত্র, প্রশিক্ষণ এবং গোয়েন্দা সহায়তা ছাড়া হুথিরা এই পর্যায়ের কাজ করতে পারতো না বলে উল্লেখ করেছেন ক্যামব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যপ্রাচ্য বিষয়ক বিশেষজ্ঞ ড. এলিজাবেথ কেন্ডাল। তবে হুথিদের ওপর ইরানের সরাসরি নিয়ন্ত্রণের বিষয়টি স্পষ্ট নয় বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
ইটালিয়ান ইনস্টিটিউট অব ইন্টারন্যাশনাল পলিটিক্যাল স্টাডিজের মতে, ইরান ইয়েমেনে ড্রোন তৈরির কারখানা গড়ে তুলতে হুথিদের সহায়তা করেছে।
হুথিরা লেবাননের ইসলামপন্থি গোষ্ঠী হিজবুল্লাহর কাছ থেকেও সামরিক পরামর্শ ও সহায়তা পেয়েছে বলে জানিয়েছে ওয়েস্ট পয়েন্ট মিলিটারি একাডেমির যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক কমব্যাটিং টেরোরিজম সেন্টার।
২০২৫ সালের জুন মাসে ইরানের পারমাণবিক ও সামরিক স্থাপনায় অতর্কিত হামলা চালায় ইসরায়েল। এর জবাবে ইরান ইসরায়েলের ওপর বিমান হামলা চালায়। মার্কিন মধ্যস্থতায় যুদ্ধবিরতির মাধ্যমে ১২ দিনের এই যুদ্ধ শেষ হয়। হামলার ফলে ইরানের পারমাণবিক সক্ষমতা সম্ভবত উল্লেখযোগ্যভাবে দুর্বল হয়ে পড়েছে। এর আগে ২০২৪ সালের সেপ্টেম্বর থেকে ইসরায়েল লেবাননের হিজবুল্লাহর উপর একের পর এক হামলা চালিয়ে যাচ্ছিল।
শনিবার, ১২ জুলাই ২০২৫
সম্প্রতি ইয়েমেনের হুথি বিদ্রোহীদের হামলায় লোহিত সাগরে একটি কার্গো জাহাজ ডুবে গেছে। এই ঘটনায় ১০ জন ক্রুকে উদ্ধার করা হয়েছে এবং নিহত হয়েছে অন্তত তিনজন। ২০২৩ সালের নভেম্বর থেকে প্রায় ৭০টি বাণিজ্যিক জাহাজের ওপর ক্ষেপণাস্ত্র, ড্রোন ও ছোট নৌকা দিয়ে হামলা চালিয়েছে তারা। চারটি জাহাজ ডুবিয়ে দেওয়া হয়েছে, একটি জাহাজ দখল এবং অন্তত সাতজন ক্রুকে হত্যা করা হয়েছে।
হুতি বিদ্রোহীরা মূলত ইরান-সমর্থিত একটি সশস্ত্র গোষ্ঠী। তারা গাজার হামাস ও লেবাননের হিজবুল্লাহর মতোই ইসরায়েলবিরোধী ‘এক্সিস অব রেসিস্টেন্স’ বা ‘প্রতিরোধ অক্ষের’ অংশ। ইসরায়েলের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সন্দেহে জাহাজগুলোয় হামলা চালায় এই গোষ্ঠী।
যুক্তরাষ্ট্র বলছে, জাহাজে হামলা চালাতে হুথিদের সহায়তা করেছে ইরান। তবে ইরান এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে। সৌদি আরব ও যুক্তরাষ্ট্রের দাবি, ইয়েমেনের গৃহযুদ্ধের সময় জাতিসংঘের অস্ত্র নিষেধাজ্ঞা লঙ্ঘন করে ইরান হুথিদের কাছে ড্রোন, ক্রুজ এবং ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রসহ নানা ধরনের অস্ত্র পাচার করেছে। তারা বলছে, সৌদি আরব ও দেশটির মিত্র সংযুক্ত আরব আমিরাতের ওপর হামলায় এ ধরনের ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন ব্যবহার করা হয়েছে। হুথিদের কাছে অস্ত্র সরবরাহের কথা অস্বীকার করেছে ইরান। দেশটির দাবি, কেবল রাজনৈতিকভাবে তারা হুথিদের সমর্থন করে।
ইরানি অস্ত্র, প্রশিক্ষণ এবং গোয়েন্দা সহায়তা ছাড়া হুথিরা এই পর্যায়ের কাজ করতে পারতো না বলে উল্লেখ করেছেন ক্যামব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যপ্রাচ্য বিষয়ক বিশেষজ্ঞ ড. এলিজাবেথ কেন্ডাল। তবে হুথিদের ওপর ইরানের সরাসরি নিয়ন্ত্রণের বিষয়টি স্পষ্ট নয় বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
ইটালিয়ান ইনস্টিটিউট অব ইন্টারন্যাশনাল পলিটিক্যাল স্টাডিজের মতে, ইরান ইয়েমেনে ড্রোন তৈরির কারখানা গড়ে তুলতে হুথিদের সহায়তা করেছে।
হুথিরা লেবাননের ইসলামপন্থি গোষ্ঠী হিজবুল্লাহর কাছ থেকেও সামরিক পরামর্শ ও সহায়তা পেয়েছে বলে জানিয়েছে ওয়েস্ট পয়েন্ট মিলিটারি একাডেমির যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক কমব্যাটিং টেরোরিজম সেন্টার।
২০২৫ সালের জুন মাসে ইরানের পারমাণবিক ও সামরিক স্থাপনায় অতর্কিত হামলা চালায় ইসরায়েল। এর জবাবে ইরান ইসরায়েলের ওপর বিমান হামলা চালায়। মার্কিন মধ্যস্থতায় যুদ্ধবিরতির মাধ্যমে ১২ দিনের এই যুদ্ধ শেষ হয়। হামলার ফলে ইরানের পারমাণবিক সক্ষমতা সম্ভবত উল্লেখযোগ্যভাবে দুর্বল হয়ে পড়েছে। এর আগে ২০২৪ সালের সেপ্টেম্বর থেকে ইসরায়েল লেবাননের হিজবুল্লাহর উপর একের পর এক হামলা চালিয়ে যাচ্ছিল।