দক্ষিণ গাজায় ত্রাণ নিতে আসা ফিলিস্তিনিদের লক্ষ্য করে ইসরায়েলি সেনাদের গুলিতে অন্তত ২৪ জন নিহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে স্থানীয় নাসের হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
শনিবার খাদ্যসংকটে বিপর্যস্ত খান ইউনুসের একটি ত্রাণ বিতরণ কেন্দ্রের পাশে এ ঘটনা ঘটে।
প্রত্যক্ষদর্শীদের ভাষ্য অনুযায়ী, লোকজন খাবারের জন্য জড়ো হলে ইসরায়েলি সেনারা তাদের লক্ষ্য করে গুলি চালায়। তারা দাবি করেন, টানা পাঁচ মিনিট ধরে মাথা ও শরীর লক্ষ্য করে গুলি চালানো হয়।
একজন প্যারামেডিক অভিযোগ করেন, “সেনারা ঠান্ডা মাথায় মানুষ হত্যা করেছে।”
তবে ইসরায়েলের দাবি ভিন্ন। তাদের প্রতিরক্ষা বাহিনী বলছে, সেখানে গুলিতে কেউ হতাহত হয়েছে, এমন তথ্য তাদের জানা নেই। এক ইসরায়েলি সামরিক কর্মকর্তা বলেন, “লোকজন হুমকি হয়ে উঠেছিল, তাই ছত্রভঙ্গ করতে সতর্কতামূলক গুলি চালানো হয়।”
বিবিসি ও অন্যান্য আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম এখনো এ ঘটনার স্বাধীন যাচাই করতে পারেনি, কারণ ইসরায়েল গাজায় তাদের প্রবেশের অনুমতি দেয় না।
বিবিসির হাতে আসা একটি ভিডিওতে দেখা যায়, নাসের হাসপাতালের আঙিনায় সাদা কাফনে মোড়ানো লাশ পড়ে আছে। পাশে কান্নায় ভেঙে পড়েছেন স্বজনরা। রয়টার্সের বরাতেও হাসপাতাল চত্বরে রক্তমাখা পোশাক পরা মানুষ ও নার্সদের উপস্থিতির তথ্য এসেছে।
জাতিসংঘের মানবাধিকার দপ্তর জানিয়েছে, চলমান যুদ্ধে এখন পর্যন্ত ত্রাণ বিতরণ সংশ্লিষ্ট সহিংসতায় ৭৯৮ জন নিহত হয়েছেন। এর মধ্যে ৬১৫ জন নিহত হয়েছেন যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েল-সমর্থিত জিএইচএফ পরিচালিত ত্রাণকেন্দ্র এলাকায়।
জাতিসংঘের ফিলিস্তিনি শরণার্থীবিষয়ক সংস্থা জানিয়েছে, গাজায় হাজার হাজার শিশু অপুষ্টিতে ভুগছে এবং খাদ্য, ওষুধ, জ্বালানির তীব্র সংকট চলছে।
২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর হামাসের হামলায় ইসরায়েলে ১,২০০ জন নিহত ও ২৫১ জন জিম্মি হয়। তার জবাবে ইসরায়েল গাজায় টানা সামরিক অভিযান চালিয়ে যাচ্ছে। হামাস-নিয়ন্ত্রিত স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্যমতে, এখন পর্যন্ত নিহত হয়েছেন অন্তত ৫৭,৮২৩ জন।
রোববার, ১৩ জুলাই ২০২৫
দক্ষিণ গাজায় ত্রাণ নিতে আসা ফিলিস্তিনিদের লক্ষ্য করে ইসরায়েলি সেনাদের গুলিতে অন্তত ২৪ জন নিহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে স্থানীয় নাসের হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
শনিবার খাদ্যসংকটে বিপর্যস্ত খান ইউনুসের একটি ত্রাণ বিতরণ কেন্দ্রের পাশে এ ঘটনা ঘটে।
প্রত্যক্ষদর্শীদের ভাষ্য অনুযায়ী, লোকজন খাবারের জন্য জড়ো হলে ইসরায়েলি সেনারা তাদের লক্ষ্য করে গুলি চালায়। তারা দাবি করেন, টানা পাঁচ মিনিট ধরে মাথা ও শরীর লক্ষ্য করে গুলি চালানো হয়।
একজন প্যারামেডিক অভিযোগ করেন, “সেনারা ঠান্ডা মাথায় মানুষ হত্যা করেছে।”
তবে ইসরায়েলের দাবি ভিন্ন। তাদের প্রতিরক্ষা বাহিনী বলছে, সেখানে গুলিতে কেউ হতাহত হয়েছে, এমন তথ্য তাদের জানা নেই। এক ইসরায়েলি সামরিক কর্মকর্তা বলেন, “লোকজন হুমকি হয়ে উঠেছিল, তাই ছত্রভঙ্গ করতে সতর্কতামূলক গুলি চালানো হয়।”
বিবিসি ও অন্যান্য আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম এখনো এ ঘটনার স্বাধীন যাচাই করতে পারেনি, কারণ ইসরায়েল গাজায় তাদের প্রবেশের অনুমতি দেয় না।
বিবিসির হাতে আসা একটি ভিডিওতে দেখা যায়, নাসের হাসপাতালের আঙিনায় সাদা কাফনে মোড়ানো লাশ পড়ে আছে। পাশে কান্নায় ভেঙে পড়েছেন স্বজনরা। রয়টার্সের বরাতেও হাসপাতাল চত্বরে রক্তমাখা পোশাক পরা মানুষ ও নার্সদের উপস্থিতির তথ্য এসেছে।
জাতিসংঘের মানবাধিকার দপ্তর জানিয়েছে, চলমান যুদ্ধে এখন পর্যন্ত ত্রাণ বিতরণ সংশ্লিষ্ট সহিংসতায় ৭৯৮ জন নিহত হয়েছেন। এর মধ্যে ৬১৫ জন নিহত হয়েছেন যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েল-সমর্থিত জিএইচএফ পরিচালিত ত্রাণকেন্দ্র এলাকায়।
জাতিসংঘের ফিলিস্তিনি শরণার্থীবিষয়ক সংস্থা জানিয়েছে, গাজায় হাজার হাজার শিশু অপুষ্টিতে ভুগছে এবং খাদ্য, ওষুধ, জ্বালানির তীব্র সংকট চলছে।
২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর হামাসের হামলায় ইসরায়েলে ১,২০০ জন নিহত ও ২৫১ জন জিম্মি হয়। তার জবাবে ইসরায়েল গাজায় টানা সামরিক অভিযান চালিয়ে যাচ্ছে। হামাস-নিয়ন্ত্রিত স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্যমতে, এখন পর্যন্ত নিহত হয়েছেন অন্তত ৫৭,৮২৩ জন।