মায়ানমারে জাতিগত বিদ্রোহীদের তীব্র হামলার জেরে শনিবার (১২ জুলাই) পাঁচশ’র বেশি মানুষ পালিয়ে থাইল্যান্ডে আশ্রয় নিয়েছেন। এদের মধ্যে শতাধিক মায়ানমার সেনা ও প্রায় ৪৬৭ জন বেসামরিক ব্যক্তি রয়েছেন বলে জানিয়েছে থাই সামরিক বাহিনী। থাই সামরিক বাহিনীর বিবৃতিতে বলা হয়েছে, স্থানীয় সময় শনিবার বিকেল ৩টার দিকে কারেন ন্যাশনাল লিবারেশন আর্মি (কেএনএলএ) কাইয়িন রাজ্যের একটি সেনাঘাঁটিতে হামলা চালায়। এরপর ওই এলাকা থেকে পালিয়ে অনেকে সীমান্ত পেরিয়ে থাইল্যান্ডে প্রবেশ করেন।
থাই সেনাবাহিনী ও পুলিশ সীমান্তে পালিয়ে আসা মায়ানমার সেনাদের নিরস্ত্র করে তাদের প্রাথমিক চিকিৎসা ও মানবিক সহায়তা দিয়েছে।
কেএনএলএর রাজনৈতিক শাখার নেতা সাও থামাইন তুন জানিয়েছেন, সীমান্ত এলাকায় সংঘর্ষের সময় বিদ্রোহীরা কিছু সামরিক ফ্রন্ট পোস্ট নিয়ন্ত্রণে নিয়েছে। তিনি বলেন, কিছু সেনা আমাদের পক্ষে যোগ দিয়েছে, আবার কেউ কেউ পালিয়ে থাইল্যান্ডে চলে গেছে। ২০২১ সালে সামরিক অভ্যুত্থানের পর থেকে মায়ানমার রক্তক্ষয়ী গৃহযুদ্ধে জর্জরিত। সেনাবাহিনী এখন দেশব্যাপী জাতিগত সশস্ত্র গোষ্ঠী ও গণতন্ত্রপন্থি প্রতিরোধ বাহিনীর সম্মিলিত জোটের বিরুদ্ধে লড়াই চালাচ্ছে।
জাতিসংঘের তথ্য অনুযায়ী, মায়ানমারে চলমান সংঘর্ষের কারণে এ পর্যন্ত প্রায় ৮১ হাজার মানুষ থাইল্যান্ডে আশ্রয় নিয়েছেন।
এদিকে, মায়ানমারের কেন্দ্রীয় সাগাইং অঞ্চলে একটি বৌদ্ধ মঠে সামরিক বাহিনীর বিমান হামলায় অন্তত ২২ জন বেসামরিক লোক নিহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে প্রতিরোধ বাহিনী ও স্থানীয়রা। নিহতদের মধ্যে তিনজন শিশু রয়েছে। শুক্রবার গভীর রাতে লিন তা লু নামের গ্রামে এ হামলা চালানো হয়। এক প্রতিরোধ যোদ্ধা বলেন, অন্তর্বর্তীকালীন বাস্তুচ্যুতরা ওই মঠে আশ্রয় নিয়েছিল। তারা ভেবেছিল মঠে থাকলে নিরাপদ থাকবে। কিন্তু সেখানেও বোমা ফেলা হয়েছে।
রোববার, ১৩ জুলাই ২০২৫
মায়ানমারে জাতিগত বিদ্রোহীদের তীব্র হামলার জেরে শনিবার (১২ জুলাই) পাঁচশ’র বেশি মানুষ পালিয়ে থাইল্যান্ডে আশ্রয় নিয়েছেন। এদের মধ্যে শতাধিক মায়ানমার সেনা ও প্রায় ৪৬৭ জন বেসামরিক ব্যক্তি রয়েছেন বলে জানিয়েছে থাই সামরিক বাহিনী। থাই সামরিক বাহিনীর বিবৃতিতে বলা হয়েছে, স্থানীয় সময় শনিবার বিকেল ৩টার দিকে কারেন ন্যাশনাল লিবারেশন আর্মি (কেএনএলএ) কাইয়িন রাজ্যের একটি সেনাঘাঁটিতে হামলা চালায়। এরপর ওই এলাকা থেকে পালিয়ে অনেকে সীমান্ত পেরিয়ে থাইল্যান্ডে প্রবেশ করেন।
থাই সেনাবাহিনী ও পুলিশ সীমান্তে পালিয়ে আসা মায়ানমার সেনাদের নিরস্ত্র করে তাদের প্রাথমিক চিকিৎসা ও মানবিক সহায়তা দিয়েছে।
কেএনএলএর রাজনৈতিক শাখার নেতা সাও থামাইন তুন জানিয়েছেন, সীমান্ত এলাকায় সংঘর্ষের সময় বিদ্রোহীরা কিছু সামরিক ফ্রন্ট পোস্ট নিয়ন্ত্রণে নিয়েছে। তিনি বলেন, কিছু সেনা আমাদের পক্ষে যোগ দিয়েছে, আবার কেউ কেউ পালিয়ে থাইল্যান্ডে চলে গেছে। ২০২১ সালে সামরিক অভ্যুত্থানের পর থেকে মায়ানমার রক্তক্ষয়ী গৃহযুদ্ধে জর্জরিত। সেনাবাহিনী এখন দেশব্যাপী জাতিগত সশস্ত্র গোষ্ঠী ও গণতন্ত্রপন্থি প্রতিরোধ বাহিনীর সম্মিলিত জোটের বিরুদ্ধে লড়াই চালাচ্ছে।
জাতিসংঘের তথ্য অনুযায়ী, মায়ানমারে চলমান সংঘর্ষের কারণে এ পর্যন্ত প্রায় ৮১ হাজার মানুষ থাইল্যান্ডে আশ্রয় নিয়েছেন।
এদিকে, মায়ানমারের কেন্দ্রীয় সাগাইং অঞ্চলে একটি বৌদ্ধ মঠে সামরিক বাহিনীর বিমান হামলায় অন্তত ২২ জন বেসামরিক লোক নিহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে প্রতিরোধ বাহিনী ও স্থানীয়রা। নিহতদের মধ্যে তিনজন শিশু রয়েছে। শুক্রবার গভীর রাতে লিন তা লু নামের গ্রামে এ হামলা চালানো হয়। এক প্রতিরোধ যোদ্ধা বলেন, অন্তর্বর্তীকালীন বাস্তুচ্যুতরা ওই মঠে আশ্রয় নিয়েছিল। তারা ভেবেছিল মঠে থাকলে নিরাপদ থাকবে। কিন্তু সেখানেও বোমা ফেলা হয়েছে।