যুক্তরাষ্ট্রের অভিবাসন এজেন্টরা বৃহস্পতিবার ক্যালিফোর্নিয়ার একটি গাঁজা নার্সারিতে অভিযান চালিয়ে প্রায় ২০০ জন অবৈধ অভিবাসী শ্রমিককে গ্রেপ্তার করেছে।
এক শ্রমিক অধিকার আন্দোলনকারী গোষ্ঠীর দাবি, এ অভিযানে আহত এক শ্রমিক শুক্রবার মারা গেছেন। এর পর যুক্তরাষ্ট্রের এক ফেডারেল আদালত ট্রাম্প প্রশাসনকে অবৈধ অভিবাসীদের আটক করতে তাদের সবচেয়ে আক্রমণাত্মক কৌশলগুলো সাময়িকভাবে বন্ধ রাখার নির্দেশ দিয়েছে।
ক্যালিফোর্নিয়ার দক্ষিণাঞ্চলের গ্রামীণ এলাকায় অভিযান চলাকালে বহু অভিবাসী-অধিকার আন্দোলনকারী ফেডারেল এজেন্টদের বাধা দিলে দুইপক্ষের মধ্যে উত্তেজনা তৈরি হয়।
যুক্তরাষ্ট্রে অবৈধ অভিবাসীদের আটক করে নিজ দেশে ফেরত পাঠানোর উদ্যোগের অংশ হিসেবে এই অভিযান পরিচালনা করা হয়। খামারটির শ্রমিকরা লক্ষ্যস্থল ছিল কি না, এ নিয়ে কর্তৃপক্ষের বক্তব্যে ভিন্নতা দেখা গেছে। সরকারি হিসাব অনুযায়ী, খামারের প্রায় অর্ধেক শ্রমিকের বৈধ অনুমতিপত্র ছিল না।
যুক্তরাষ্ট্রের ডিপার্টমেন্ট অব হোমল্যান্ড সিকিউরিটি (ডিএইচএস) জানিয়েছে, গাঁজা উৎপাদনকারী খামারটির দুটি অবস্থানে অভিযান চালিয়ে প্রায় ২০০ জন অভিবাসীকে গ্রেপ্তার করা হয়।
এক ইমেইল বিবৃতিতে ডিএইচএস জানায়, খামারটিতে ১০ জন শিশু অভিবাসীও পাওয়া গেছে। কাস্টমস অ্যান্ড বর্ডার প্রটেকশন কমিশনার রডনি স্কট সামাজিক মাধ্যমে জানিয়েছেন, শিশু শ্রম আইন লঙ্ঘনের অভিযোগে খামারটির বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু হয়েছে।
ক্যালিফোর্নিয়ার অন্যতম শীর্ষ গাঁজা কোম্পানি গ্লাস হাউজ ব্র্যান্ডস অভিযানের বিষয়ে কোনো মন্তব্য করেনি।
অভিযান চলাকালে দৃশ্যগুলো ছিল বিশৃঙ্খল। হেলমেট ও মুখোশ পরা ফেডারেল এজেন্টরা ক্ষুব্ধ আন্দোলনকারীদের হটাতে কাঁদুনে গ্যাস ও স্মোক ক্যানিস্টার ব্যবহার করেন।
যুক্তরাষ্ট্রের ইউনাইটেড ফার্ম ওয়ার্কার্সের সহসভাপতি এলিজাবেথ স্ট্রেটার জানান, অভিযানের সময় খামারের একটি ভবনের ৩০ ফুট উঁচু অংশ ধসে পড়ে কয়েকজন শ্রমিক আহত হন এবং তাদের একজন শুক্রবার মারা যান।
মারা যাওয়া শ্রমিককে জেইম অ্যালানিস হিসেবে শনাক্ত করা হয়েছে। তার পরিবার ‘গোফান্ডমি’-তে একটি ভেরিফায়েড পেজ খুলে অর্থ সংগ্রহ করছে, যাতে অ্যালানিসকে মেক্সিকোতে কবর দেওয়া যায়।
অভিযানের সময় মার্কিন নাগরিকদেরও আটক করা হয়েছে এবং তাদের কয়েকজনের খোঁজ মেলেনি বলে অভিযোগ করেছেন স্ট্রেটার।
ডিএইচএস অবশ্য দাবি করেছে, মৃত শ্রমিকের জন্য তাদের এজেন্টরা দায়ী নন। তাদের ভাষ্য অনুযায়ী, “আইনশৃঙ্খলা বাহিনী তাকে অনুসরণ না করলেও সে একটি গ্রিন হাউজের ছাদে উঠে পড়ে যায় এবং ৩০ ফুট নিচে পড়ে যায়।”
ডিএইচএস জানায়, সঙ্গে সঙ্গে জরুরি চিকিৎসা দল ডেকে তাকে হাসপাতালে পাঠানো হয়েছিল।
রোববার, ১৩ জুলাই ২০২৫
যুক্তরাষ্ট্রের অভিবাসন এজেন্টরা বৃহস্পতিবার ক্যালিফোর্নিয়ার একটি গাঁজা নার্সারিতে অভিযান চালিয়ে প্রায় ২০০ জন অবৈধ অভিবাসী শ্রমিককে গ্রেপ্তার করেছে।
এক শ্রমিক অধিকার আন্দোলনকারী গোষ্ঠীর দাবি, এ অভিযানে আহত এক শ্রমিক শুক্রবার মারা গেছেন। এর পর যুক্তরাষ্ট্রের এক ফেডারেল আদালত ট্রাম্প প্রশাসনকে অবৈধ অভিবাসীদের আটক করতে তাদের সবচেয়ে আক্রমণাত্মক কৌশলগুলো সাময়িকভাবে বন্ধ রাখার নির্দেশ দিয়েছে।
ক্যালিফোর্নিয়ার দক্ষিণাঞ্চলের গ্রামীণ এলাকায় অভিযান চলাকালে বহু অভিবাসী-অধিকার আন্দোলনকারী ফেডারেল এজেন্টদের বাধা দিলে দুইপক্ষের মধ্যে উত্তেজনা তৈরি হয়।
যুক্তরাষ্ট্রে অবৈধ অভিবাসীদের আটক করে নিজ দেশে ফেরত পাঠানোর উদ্যোগের অংশ হিসেবে এই অভিযান পরিচালনা করা হয়। খামারটির শ্রমিকরা লক্ষ্যস্থল ছিল কি না, এ নিয়ে কর্তৃপক্ষের বক্তব্যে ভিন্নতা দেখা গেছে। সরকারি হিসাব অনুযায়ী, খামারের প্রায় অর্ধেক শ্রমিকের বৈধ অনুমতিপত্র ছিল না।
যুক্তরাষ্ট্রের ডিপার্টমেন্ট অব হোমল্যান্ড সিকিউরিটি (ডিএইচএস) জানিয়েছে, গাঁজা উৎপাদনকারী খামারটির দুটি অবস্থানে অভিযান চালিয়ে প্রায় ২০০ জন অভিবাসীকে গ্রেপ্তার করা হয়।
এক ইমেইল বিবৃতিতে ডিএইচএস জানায়, খামারটিতে ১০ জন শিশু অভিবাসীও পাওয়া গেছে। কাস্টমস অ্যান্ড বর্ডার প্রটেকশন কমিশনার রডনি স্কট সামাজিক মাধ্যমে জানিয়েছেন, শিশু শ্রম আইন লঙ্ঘনের অভিযোগে খামারটির বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু হয়েছে।
ক্যালিফোর্নিয়ার অন্যতম শীর্ষ গাঁজা কোম্পানি গ্লাস হাউজ ব্র্যান্ডস অভিযানের বিষয়ে কোনো মন্তব্য করেনি।
অভিযান চলাকালে দৃশ্যগুলো ছিল বিশৃঙ্খল। হেলমেট ও মুখোশ পরা ফেডারেল এজেন্টরা ক্ষুব্ধ আন্দোলনকারীদের হটাতে কাঁদুনে গ্যাস ও স্মোক ক্যানিস্টার ব্যবহার করেন।
যুক্তরাষ্ট্রের ইউনাইটেড ফার্ম ওয়ার্কার্সের সহসভাপতি এলিজাবেথ স্ট্রেটার জানান, অভিযানের সময় খামারের একটি ভবনের ৩০ ফুট উঁচু অংশ ধসে পড়ে কয়েকজন শ্রমিক আহত হন এবং তাদের একজন শুক্রবার মারা যান।
মারা যাওয়া শ্রমিককে জেইম অ্যালানিস হিসেবে শনাক্ত করা হয়েছে। তার পরিবার ‘গোফান্ডমি’-তে একটি ভেরিফায়েড পেজ খুলে অর্থ সংগ্রহ করছে, যাতে অ্যালানিসকে মেক্সিকোতে কবর দেওয়া যায়।
অভিযানের সময় মার্কিন নাগরিকদেরও আটক করা হয়েছে এবং তাদের কয়েকজনের খোঁজ মেলেনি বলে অভিযোগ করেছেন স্ট্রেটার।
ডিএইচএস অবশ্য দাবি করেছে, মৃত শ্রমিকের জন্য তাদের এজেন্টরা দায়ী নন। তাদের ভাষ্য অনুযায়ী, “আইনশৃঙ্খলা বাহিনী তাকে অনুসরণ না করলেও সে একটি গ্রিন হাউজের ছাদে উঠে পড়ে যায় এবং ৩০ ফুট নিচে পড়ে যায়।”
ডিএইচএস জানায়, সঙ্গে সঙ্গে জরুরি চিকিৎসা দল ডেকে তাকে হাসপাতালে পাঠানো হয়েছিল।