নাইজেরিয়ার সাবেক প্রেসিডেন্ট মুহাম্মাদু বুহারি আর নেই। দীর্ঘদিন ধরে অসুস্থ থাকা এই প্রভাবশালী নেতা রোববার লন্ডনের একটি ক্লিনিকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৮২ বছর।
নাইজেরিয়ার বর্তমান প্রেসিডেন্ট বোলা টিনুবুর মুখপাত্র জানান, স্থানীয় সময় বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে বুহারির মৃত্যু হয়। রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় তার মরদেহ নিজ দেশে ফেরত আনার প্রস্তুতি চলছে। দাফনের জন্য ভাইস প্রেসিডেন্ট কাশিম শেতিমা ও চিফ অব স্টাফকে লন্ডনে পাঠানো হয়েছে। মুসলিম ধর্মানুসারী বুহারিকে তার নিজ রাজ্য উত্তরপশ্চিমাঞ্চলীয় কাটসিনায় দাফন করা হবে।
বুহারি প্রথম নেতৃত্বে আসেন ১৯৮০-এর দশকে, যখন সামরিক অভ্যুত্থানের মাধ্যমে নাইজেরিয়ার ক্ষমতা দখল করেছিলেন। দুর্নীতিবিরোধী কঠোর অবস্থানের কারণে তিনি একনিষ্ঠ সমর্থক গড়ে তুলেছিলেন। পরবর্তীতে নিজেকে "রূপান্তরিত গণতন্ত্রী" বলে দাবি করে সামরিক পোশাকের বদলে কাফতান ও নামাজের টুপি পরে গণতান্ত্রিক রাজনীতিতে যুক্ত হন।
২০১৫ সালে গণভোটে তিনি তৎকালীন প্রেসিডেন্ট গুডলাক জোনাথনকে পরাজিত করে ইতিহাস গড়েন। এটি ছিল নাইজেরিয়ার ইতিহাসে প্রথম কোনো ক্ষমতাসীন প্রেসিডেন্টের নির্বাচনে পরাজয়। এই নির্বাচনকেই এখনও পর্যন্ত দেশের সবচেয়ে স্বচ্ছ ও প্রতিযোগিতাপূর্ণ নির্বাচন হিসেবে বিবেচনা করা হয়।
প্রেসিডেন্ট হিসেবে বুহারির শাসনকাল মিশ্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করে। তিনি দুর্নীতিবিরোধী কঠোর অবস্থানে অটল থাকলেও নিরাপত্তা পরিস্থিতির অবনতি তাকে চাপে ফেলে। উত্তরপূর্বাঞ্চলে সক্রিয় সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলোর সহিংসতা ছড়িয়ে পড়ে উত্তরপশ্চিম ও দক্ষিণপূর্বাঞ্চলেও। অনেক এলাকা কার্যত সরকারের নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায়।
দীর্ঘ রাজনৈতিক জীবনে মুহাম্মাদু বুহারি একাধারে সামরিক শাসক, গণতান্ত্রিক প্রেসিডেন্ট এবং দুর্নীতিবিরোধী সংগ্রামের প্রতীক ছিলেন। “আমি সবার এবং আমি কারও নই”—এই বক্তব্য দিয়ে তিনি নিজের অবস্থান ব্যাখ্যা করতেন।
সোমবার, ১৪ জুলাই ২০২৫
নাইজেরিয়ার সাবেক প্রেসিডেন্ট মুহাম্মাদু বুহারি আর নেই। দীর্ঘদিন ধরে অসুস্থ থাকা এই প্রভাবশালী নেতা রোববার লন্ডনের একটি ক্লিনিকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৮২ বছর।
নাইজেরিয়ার বর্তমান প্রেসিডেন্ট বোলা টিনুবুর মুখপাত্র জানান, স্থানীয় সময় বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে বুহারির মৃত্যু হয়। রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় তার মরদেহ নিজ দেশে ফেরত আনার প্রস্তুতি চলছে। দাফনের জন্য ভাইস প্রেসিডেন্ট কাশিম শেতিমা ও চিফ অব স্টাফকে লন্ডনে পাঠানো হয়েছে। মুসলিম ধর্মানুসারী বুহারিকে তার নিজ রাজ্য উত্তরপশ্চিমাঞ্চলীয় কাটসিনায় দাফন করা হবে।
বুহারি প্রথম নেতৃত্বে আসেন ১৯৮০-এর দশকে, যখন সামরিক অভ্যুত্থানের মাধ্যমে নাইজেরিয়ার ক্ষমতা দখল করেছিলেন। দুর্নীতিবিরোধী কঠোর অবস্থানের কারণে তিনি একনিষ্ঠ সমর্থক গড়ে তুলেছিলেন। পরবর্তীতে নিজেকে "রূপান্তরিত গণতন্ত্রী" বলে দাবি করে সামরিক পোশাকের বদলে কাফতান ও নামাজের টুপি পরে গণতান্ত্রিক রাজনীতিতে যুক্ত হন।
২০১৫ সালে গণভোটে তিনি তৎকালীন প্রেসিডেন্ট গুডলাক জোনাথনকে পরাজিত করে ইতিহাস গড়েন। এটি ছিল নাইজেরিয়ার ইতিহাসে প্রথম কোনো ক্ষমতাসীন প্রেসিডেন্টের নির্বাচনে পরাজয়। এই নির্বাচনকেই এখনও পর্যন্ত দেশের সবচেয়ে স্বচ্ছ ও প্রতিযোগিতাপূর্ণ নির্বাচন হিসেবে বিবেচনা করা হয়।
প্রেসিডেন্ট হিসেবে বুহারির শাসনকাল মিশ্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করে। তিনি দুর্নীতিবিরোধী কঠোর অবস্থানে অটল থাকলেও নিরাপত্তা পরিস্থিতির অবনতি তাকে চাপে ফেলে। উত্তরপূর্বাঞ্চলে সক্রিয় সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলোর সহিংসতা ছড়িয়ে পড়ে উত্তরপশ্চিম ও দক্ষিণপূর্বাঞ্চলেও। অনেক এলাকা কার্যত সরকারের নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায়।
দীর্ঘ রাজনৈতিক জীবনে মুহাম্মাদু বুহারি একাধারে সামরিক শাসক, গণতান্ত্রিক প্রেসিডেন্ট এবং দুর্নীতিবিরোধী সংগ্রামের প্রতীক ছিলেন। “আমি সবার এবং আমি কারও নই”—এই বক্তব্য দিয়ে তিনি নিজের অবস্থান ব্যাখ্যা করতেন।