সিরিয়ার দক্ষিণাঞ্চলীয় শহর সুয়েইদাতে বেদুইন সুন্নি ও সংখ্যালঘু দ্রুজ সম্প্রদায়ের মধ্যে ভয়াবহ সাম্প্রদায়িক সংঘর্ষে অন্তত ৩০ জন নিহত হয়েছে। আহত হয়েছেন শতাধিক। বিবিসি ও সিরিয়ার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।
ধর্মীয় উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ায় সরকারি বাহিনী মোতায়েন করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা চলছে। সংঘর্ষটি ঘটেছে রবিবার দিবাগত রাতে, যা সোমবার ভোরে আরও সহিংস রূপ নেয়।
সিরিয়ান অবজারভেটরি ফর হিউম্যান রাইটস নিহতের সংখ্যা ৩৭ বলে জানিয়েছে। তারা বলছে, এই সংঘাত সাম্প্রতিক সময়ের অন্যতম ভয়াবহ।
গত বছরের ডিসেম্বরে দীর্ঘদিনের প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদকে ক্ষমতাচ্যুত করে সুন্নি ইসলামপন্থি বিদ্রোহী জোট হায়াত তাহরির আল-শাম (এইচটিএস) দেশটিতে অন্তর্বর্তী সরকার গঠন করে। এরপর থেকেই সাম্প্রদায়িক সংঘর্ষ বেড়ে গেছে।
দ্রুজরা মূলত শিয়া ইসলামের একটি উপগোষ্ঠী। সিরিয়ার পাশাপাশি তারা লেবানন, জর্ডান ও ইসরায়েলেও বসবাস করে। আসাদের শাসনামলে তারা নীরব সমর্থক হিসেবে পরিচিত ছিল। কিন্তু নতুন সরকারের অধীনে তারা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে বলে অভিযোগ রয়েছে।
সিরিয়ার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, সংঘর্ষ থামাতে সরকারি বাহিনী সরাসরি হস্তক্ষেপ শুরু করেছে। সুয়েইদার গভর্নর মুস্তাফা আল-বাকুর জনগণকে ‘আত্মসংযম’ প্রদর্শন ও জাতীয় ঐক্যের আহ্বানে সাড়া দেওয়ার অনুরোধ জানিয়েছেন। বিভিন্ন ধর্মীয় নেতারাও শান্তির বার্তা দিয়েছেন।
এ বছরের এপ্রিলে এবং মে মাসেও দ্রুজ যোদ্ধাদের সঙ্গে নিরাপত্তা বাহিনীর সংঘর্ষে কয়েক ডজন মানুষ নিহত হয়েছিল। সাম্প্রতিক মাসগুলোতে আলাওয়াইত সম্প্রদায়ের লোকজনও হত্যাকাণ্ডের শিকার হয়েছে। এমনকি দামেস্কের গির্জায় হামলার ঘটনাও ঘটেছে।
এইচটিএসকে যুক্তরাষ্ট্র সম্প্রতি তাদের বিদেশি সন্ত্রাসী সংগঠনের তালিকা থেকে সরিয়ে নিয়েছে। একই সময়ে যুক্তরাজ্যের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডেভিড ল্যামি সিরিয়া সফর করেছেন, যা গত এক যুগের মধ্যে প্রথম কোনো ব্রিটিশ মন্ত্রীর দেশটিতে যাত্রা।
সোমবার, ১৪ জুলাই ২০২৫
সিরিয়ার দক্ষিণাঞ্চলীয় শহর সুয়েইদাতে বেদুইন সুন্নি ও সংখ্যালঘু দ্রুজ সম্প্রদায়ের মধ্যে ভয়াবহ সাম্প্রদায়িক সংঘর্ষে অন্তত ৩০ জন নিহত হয়েছে। আহত হয়েছেন শতাধিক। বিবিসি ও সিরিয়ার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।
ধর্মীয় উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ায় সরকারি বাহিনী মোতায়েন করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা চলছে। সংঘর্ষটি ঘটেছে রবিবার দিবাগত রাতে, যা সোমবার ভোরে আরও সহিংস রূপ নেয়।
সিরিয়ান অবজারভেটরি ফর হিউম্যান রাইটস নিহতের সংখ্যা ৩৭ বলে জানিয়েছে। তারা বলছে, এই সংঘাত সাম্প্রতিক সময়ের অন্যতম ভয়াবহ।
গত বছরের ডিসেম্বরে দীর্ঘদিনের প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদকে ক্ষমতাচ্যুত করে সুন্নি ইসলামপন্থি বিদ্রোহী জোট হায়াত তাহরির আল-শাম (এইচটিএস) দেশটিতে অন্তর্বর্তী সরকার গঠন করে। এরপর থেকেই সাম্প্রদায়িক সংঘর্ষ বেড়ে গেছে।
দ্রুজরা মূলত শিয়া ইসলামের একটি উপগোষ্ঠী। সিরিয়ার পাশাপাশি তারা লেবানন, জর্ডান ও ইসরায়েলেও বসবাস করে। আসাদের শাসনামলে তারা নীরব সমর্থক হিসেবে পরিচিত ছিল। কিন্তু নতুন সরকারের অধীনে তারা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে বলে অভিযোগ রয়েছে।
সিরিয়ার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, সংঘর্ষ থামাতে সরকারি বাহিনী সরাসরি হস্তক্ষেপ শুরু করেছে। সুয়েইদার গভর্নর মুস্তাফা আল-বাকুর জনগণকে ‘আত্মসংযম’ প্রদর্শন ও জাতীয় ঐক্যের আহ্বানে সাড়া দেওয়ার অনুরোধ জানিয়েছেন। বিভিন্ন ধর্মীয় নেতারাও শান্তির বার্তা দিয়েছেন।
এ বছরের এপ্রিলে এবং মে মাসেও দ্রুজ যোদ্ধাদের সঙ্গে নিরাপত্তা বাহিনীর সংঘর্ষে কয়েক ডজন মানুষ নিহত হয়েছিল। সাম্প্রতিক মাসগুলোতে আলাওয়াইত সম্প্রদায়ের লোকজনও হত্যাকাণ্ডের শিকার হয়েছে। এমনকি দামেস্কের গির্জায় হামলার ঘটনাও ঘটেছে।
এইচটিএসকে যুক্তরাষ্ট্র সম্প্রতি তাদের বিদেশি সন্ত্রাসী সংগঠনের তালিকা থেকে সরিয়ে নিয়েছে। একই সময়ে যুক্তরাজ্যের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডেভিড ল্যামি সিরিয়া সফর করেছেন, যা গত এক যুগের মধ্যে প্রথম কোনো ব্রিটিশ মন্ত্রীর দেশটিতে যাত্রা।