alt

আন্তর্জাতিক

বেপরোয়া হুতি, ২০ মাসে ৭০ জাহাজে হামলা

বিদেশী সংবাদ মাধ্যম : মঙ্গলবার, ১৫ জুলাই ২০২৫

লোহিত সাগরে একের পর এক জাহাজে হামলা করছে হুতি -এএফপি

২০২৩ সালের নভেম্বরের পর থেকে ইরান-সমর্থিত হুতি সশস্ত্র গ্রুপটি ইসরায়েলের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ৭০টির বেশি জাহাজে হামলা চালিয়েছে। সর্বশেষ গত সপ্তাহে লোহিত সাগরে তারা দুটি জাহাজ ডুবিয়ে দেয়। বর্তমানে সশস্ত্র গোষ্ঠীটি আরও বেপরোয়া হয়ে উঠেছে। জেরুজালেম পোস্ট জানায়, সর্বশেষ হামলায় একটি জাহাজের বেশ কয়েকজন ক্রুকে হত্যা করে হুতিরা। এখন প্রশ্ন হল, তারা হঠাৎ কেন বেপরোয়া হয়ে উঠেছে এবং সামনে আরও জাহাজে হামলা করবে কিনা।

প্রতিবেদনে বলা হয়, হুতিরা দাবি করে, তারা ইসরায়েল সংশ্লিষ্ট জাহাজগুলোকে লক্ষ্য করে হামলা চালায়। ইসরায়েলের বন্দরে নোঙর করা জাহাজও তাদের লক্ষ্যবস্তু। এসব জাহাজে তারা ভবিষ্যতেও হামলা করবে বলে ঘোষণা দিয়ে রেখেছে। তবে তারা এমন অনেক জাহাজে হামলা করেছে, যেগুলোর সঙ্গে ইসরায়েলের কোনো সম্পর্ক নেই।

গত ৭ জুলাই হুতি বিদ্রোহীরা জাহাজ ম্যাজিক সি-তে হামলা করে। হামলার পরও জাহাজটির ২২ জন ক্রু সদস্য প্রাণে বেঁচে যান। জাহাজটি ছোট ছিল। দ্রুতগামী জাহাজের একটি বহরে তারা কামিকাজে ড্রোন দিয়ে হামলা চালায়। পরে ইটার্নিটি সি নামে আরেকটি জাহাজে হামলা করে তারা। দুটি জাহাজই ডুবে যায়। হামলায় ইটার্নিটি সি জাহাজের বেশ কয়েকজন ক্রু নিহত ও নিখোঁজ হন। জাহাজটিতে ২৫ জন আরোহী ছিলেন। ১০ জন ক্রুকে অন্য জাহাজ এসে উদ্ধার করে। অন্যদের হুতিরা অপহরণ করে।

ওই দুই জাহাজে হামলায় হয়েছিল ইয়েমেনের উপকূল থেকে প্রায় ৫১ নটিক্যাল মাইল দূরে লোহিত সাগরের মাঝখানে আন্তর্জাতিক জলসীমায়। হুতিরা স্পষ্টতই এই দূরপাল্লার আক্রমণের পরিকল্পনা করেছিল। তাদের ছোট আক্রমণকারী জাহাজ দ্রুত ছুটে আসে এবং জাহাজগুলোতে হামলা করে। এক্ষেত্রে দেখা যায়, কয়েক ঘণ্টার জলপথ পাড়ি দিয়ে তারা হামলার মিশন সম্পন্ন করে। ড্রোন হামলা করতে আরও সময় নিতে হয় তাদের। নিখুঁত পরিকল্পনা ছাড়া এই হামলা সম্ভব না।

ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল এক বর্ণনায় জানায়, ওই দুই জাহাজে হামলার সময় হুতিরা মরিয়া হয়ে চেষ্টা করেছিল। তবে তাদের বিপরীতে কোনো জাহাজ সহায়তায় এগিয়ে আসেনি। জানা যায়, হুতিরা তাদের জাহাজে পতাকা উড়িয়ে দ্রুতগতিতে টার্গেট করা জাহাজে হামলা চালিয়েছিল। দূর থেকে এসে চলমান বড় জাহাজে হামলা করা মূলত দুঃসাধ্য কাজ। প্রথমে ড্রোন দিয়ে হামলা করা, তারপর জাহাজটিতে চড়ে বড় সহজ কাজ নয়। হামলাটি অন্তত দু’দিন সময় নিয়ে ঘটানো হয়েছিল।

সবচেয়ে ভয়ংকর বিষয় হলো, হুতিদের হামলার সময় কোনো জাহাজকে এগিয়ে আসতে দেখা যায় না। ২০২৩ সালে এ বিষয়টিকে মাথায় নিয়ে ‘প্রোসপারিটি গার্ডিয়ান’ নামে একটি আন্তর্জাতিক জোট গঠন করা হয়েছিল। গত মার্চে যুক্তরাষ্ট্র হুতিদের আক্রমণ ঠেকাতে পাল্টা হামলা শুরু করে। তবে সর্বশেষ ঘটনায় দেখা যায়, মার্কিন নৌবাহিনীর (সেন্টকম) আওতাধীন জলসীমায় হুতিরা আক্রমণ করলেও কোনো সহায়তা আসেনি। ব্রিটিশ, ফরাসি কিংবা চীনা নৌবাহিনীর অবস্থানও এই এলাকায় রয়েছে। কিন্তু তাদের পক্ষ থেকেও কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।

সাধারণত মার্কিন নৌবাহিনীর হাতে কয়েকটি ডেস্ট্রয়ার জাহাজ, ক্রুজার এসকর্ট জাহাজ ও অন্যান্য জাহাজ রয়েছে। আরব সাগর বা ভারত মহাসাগরে এগুলোর অবস্থান করার কথা। কিন্তু তাদের কার্যক্রমের ব্যাপারে কোনো তথ্য মেলে না।

বিশ্লেষকরা বলেন, দশকব্যাপী যুদ্ধের পর যুদ্ধবিরতির আলোচনায় গতি আসছে বলে মনে হচ্ছে। লোহিত সাগরে জাহাজে হুতিদের হামলা ইয়েমেনে শান্তি প্রক্রিয়ার জন্য হুমকি হতে পারে। জাতিসংঘ গেল ডিসেম্বরের শেষে ঘোষণা দেয়, সমঝোতার ক্ষেত্রে বড় ধরনের অগ্রগতি হয়েছে। তবে বিশেষজ্ঞরা সতর্ক করে দিয়ে বলেছেন, লোহিত সাগরে হুতিদের কর্মকা- চূড়ান্ত চুক্তির পথ থেকে বিচ্যুত করতে পারে।

কিছু বিশ্লেষকের ভয়, উচ্চাকাঙ্ক্ষার প্রসারে গোষ্ঠীটি হয়তো তাদের বিশাল সংখ্যক সদস্য ব্যবহারে প্রলুব্ধ হতে পারে। গত কয়েক সপ্তাহে মারিবের চারপাশে ৫০ হাজার যোদ্ধা মোতায়েন করেছে। মারিব হলো আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত ইয়েমেনি সরকারের শেষ শক্ত ঘাঁটি। আরেকদল বিশ্লেষক উল্লেখ করেছেন, হুতিরা সৌদি আরবের সঙ্গে সম্পর্ক ঘনিষ্ট করতে চাইবে।

হুতিরা আনসার আল্লাহ (আল্লাহর সমর্থক) নামে পরিচিত। তাদের গোষ্ঠীটি সশস্ত্র, যেটি রাজধানী সানা এবং সৌদি আরবের কাছাকাছি পশ্চিম ও উত্তর অংশসহ ইয়েমেনের বেশিরভাগ অঞ্চল নিয়ন্ত্রণ করে থাকে।

১৯৯০ এর দশকে হুতিদের উত্থান। ২০১৪ সালে ইয়েমেন সরকারের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করে গোষ্ঠীটি নিজের অবস্থান জানান দেয়। হুতিরা ইরানের সমর্থনে সৌদি নেতৃত্বাধীন সামরিক জোটের সঙ্গে লড়াই করে কয়েক বছর কাটিয়ে দিয়েছে।

যুদ্ধরত দুই পক্ষ বারবার শান্তি আলোচনার চেষ্টাও করেছে।

লেবানন-সিরিয়ায় ইসরায়েলের হামলা

ছবি

ট্রাম্পের কঠোর শুল্ক আরোপের হুমকিতে চাপ নয়, বরং স্বস্তিতে রাশিয়া

মে মাসে ইরানের তেল রপ্তানিতে সর্বকালের রেকর্ড

ছবি

জোটে ভাঙন, অস্তিত্ব সংকটে নেতানিয়াহুর সরকার

ইসরায়েলিদের ঠিকাদার নিয়োগ দিয়ে গাজায় বাড়িঘর ধ্বংস করছে সেনারা

ছবি

দালাই লামার উত্তরাধিকারের ওপর বেইজিংয়ের অধিকার দাবি, নয়াদিল্লিকে সতর্ক থাকার পরামর্শ

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর ইউরোপ সবচেয়ে বড় হুমকির মুখে : ম্যাখোঁ

ছবি

দুই হাজার বছর আগে ডুবে যাওয়া শহরের খোঁজ

কাশ্মীরের মুখ্যমন্ত্রীকে গৃহবন্দি করল ভারত

ছবি

আফগানিস্তানের তালেবান সরকারকে কী কারণে স্বীকৃতি দিল রাশিয়া

সিরিয়ায় সাম্প্রদায়িক সংঘর্ষ, নিহত ৩০

ছবি

গাজায় ইসরায়েলের বর্বরতা চলছেই, নিহত ৫৮ হাজার ছাড়াল

ছবি

সিরিয়ায় বেদুইন সুন্নি-দ্রুজ সংঘর্ষে নিহত অন্তত ৩০

ছবি

ইসরায়েলি হামলায় আহত হয়েছিলেন ইরানের প্রেসিডেন্ট, জরুরি পথে পালিয়ে বাঁচেন

ছবি

নাইজেরিয়ার সাবেক প্রেসিডেন্ট মুহাম্মাদু বুহারি আর নেই

ছবি

ইসরায়েলের পদক্ষেপে উদ্বেগ, গাজার পরিস্থিতি ঠেকাতে ব্রিটিশ এমপিদের চিঠি

ছবি

গণহত্যা রুখতে ২০টির বেশি দেশের সম্মেলনে বাংলাদেশেরও অংশগ্রহণ

ছবি

শুল্কহার কমিয়ে সুবিধাজনক অবস্থানে যেতে চায় ভারত

ছবি

অভিযানের সময় আহত শ্রমিকের মৃত্যু, আক্রমণাত্মক কৌশল স্থগিতের নির্দেশ আদালতের

যুক্তরাষ্ট্র হামলা না চালানোর নিশ্চয়তা দিলে আলোচনায় বসবে ইরান

ছবি

বিশ্বের সর্বাধিক মুসলিম জনসংখ্যার দেশ হতে চলেছে ভারত

ইউক্রেনে রাশিয়ার যে কোন কাজের প্রতি নিঃশর্ত সমর্থনের ঘোষণা কিমের

ছবি

পুতিনকে নিয়ে ‘হতাশ’ ট্রাম্পের পরবর্তী সিদ্ধান্ত কী হবে

মায়ানমারে সংঘাত, থাই সীমান্ত দিয়ে পালাল শতাধিক সেনা

ছবি

মধ্যপ্রাচ্যের ভবিষ্যৎ অনিশ্চিত করে তুলছে ‘নীরব বিপ্লব’

ছবি

গাজায় ত্রাণ নিতে গিয়ে ২৪ জন নিহত, ইসরায়েলের বিরুদ্ধে গুলি চালানোর অভিযোগ

ছবি

এয়ার ইন্ডিয়া উড়োজাহাজ দুর্ঘটনার কারণ: সুইচের অপ্রত্যাশিত বন্ধ হওয়া, তদন্তে জানা গেছে

ছবি

মাত্র ১২ দিনেই যুদ্ধবিরতি’, ইরানের পাল্টা হামলায় তেল আবিবে ভয়াবহ ক্ষয়ক্ষতি

১২ দিনের যুদ্ধে ৫০০ ইসরায়েলি নিহত: ইরান

ছবি

ত্রাণ নিতে গিয়ে প্রাণ গেছে ৮০০ ফিলিস্তিনির

মায়ানমারে বৌদ্ধ মঠে বিমান হামলায় নিহত ২৩

ছবি

হুথিদের সাহায্য করে কারা, কীভাবে তারা অস্ত্র পায়?

কুর্দি বিদ্রোহীদের অস্ত্র সমর্পণে তুরস্কের জয় হয়েছে : এরদোয়ান

ছবি

‘বিধ্বস্ত হওয়ার আগে জ্বালানি সুইচ বন্ধ হয় এয়ার ইন্ডিয়ার প্লেনের’

ছবি

‘আমি জ্বালানির সুইচ বন্ধ করিনি’: বিধ্বস্তের আগে পাইলট

ছবি

‘মিথ্যা অভিযোগে আটক ও মানহানি’, যুক্তরাষ্ট্র সরকারের বিরুদ্ধে আদালতে গেলেন ফিলিস্তিনি ছাত্রনেতা

tab

আন্তর্জাতিক

বেপরোয়া হুতি, ২০ মাসে ৭০ জাহাজে হামলা

বিদেশী সংবাদ মাধ্যম

লোহিত সাগরে একের পর এক জাহাজে হামলা করছে হুতি -এএফপি

মঙ্গলবার, ১৫ জুলাই ২০২৫

২০২৩ সালের নভেম্বরের পর থেকে ইরান-সমর্থিত হুতি সশস্ত্র গ্রুপটি ইসরায়েলের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ৭০টির বেশি জাহাজে হামলা চালিয়েছে। সর্বশেষ গত সপ্তাহে লোহিত সাগরে তারা দুটি জাহাজ ডুবিয়ে দেয়। বর্তমানে সশস্ত্র গোষ্ঠীটি আরও বেপরোয়া হয়ে উঠেছে। জেরুজালেম পোস্ট জানায়, সর্বশেষ হামলায় একটি জাহাজের বেশ কয়েকজন ক্রুকে হত্যা করে হুতিরা। এখন প্রশ্ন হল, তারা হঠাৎ কেন বেপরোয়া হয়ে উঠেছে এবং সামনে আরও জাহাজে হামলা করবে কিনা।

প্রতিবেদনে বলা হয়, হুতিরা দাবি করে, তারা ইসরায়েল সংশ্লিষ্ট জাহাজগুলোকে লক্ষ্য করে হামলা চালায়। ইসরায়েলের বন্দরে নোঙর করা জাহাজও তাদের লক্ষ্যবস্তু। এসব জাহাজে তারা ভবিষ্যতেও হামলা করবে বলে ঘোষণা দিয়ে রেখেছে। তবে তারা এমন অনেক জাহাজে হামলা করেছে, যেগুলোর সঙ্গে ইসরায়েলের কোনো সম্পর্ক নেই।

গত ৭ জুলাই হুতি বিদ্রোহীরা জাহাজ ম্যাজিক সি-তে হামলা করে। হামলার পরও জাহাজটির ২২ জন ক্রু সদস্য প্রাণে বেঁচে যান। জাহাজটি ছোট ছিল। দ্রুতগামী জাহাজের একটি বহরে তারা কামিকাজে ড্রোন দিয়ে হামলা চালায়। পরে ইটার্নিটি সি নামে আরেকটি জাহাজে হামলা করে তারা। দুটি জাহাজই ডুবে যায়। হামলায় ইটার্নিটি সি জাহাজের বেশ কয়েকজন ক্রু নিহত ও নিখোঁজ হন। জাহাজটিতে ২৫ জন আরোহী ছিলেন। ১০ জন ক্রুকে অন্য জাহাজ এসে উদ্ধার করে। অন্যদের হুতিরা অপহরণ করে।

ওই দুই জাহাজে হামলায় হয়েছিল ইয়েমেনের উপকূল থেকে প্রায় ৫১ নটিক্যাল মাইল দূরে লোহিত সাগরের মাঝখানে আন্তর্জাতিক জলসীমায়। হুতিরা স্পষ্টতই এই দূরপাল্লার আক্রমণের পরিকল্পনা করেছিল। তাদের ছোট আক্রমণকারী জাহাজ দ্রুত ছুটে আসে এবং জাহাজগুলোতে হামলা করে। এক্ষেত্রে দেখা যায়, কয়েক ঘণ্টার জলপথ পাড়ি দিয়ে তারা হামলার মিশন সম্পন্ন করে। ড্রোন হামলা করতে আরও সময় নিতে হয় তাদের। নিখুঁত পরিকল্পনা ছাড়া এই হামলা সম্ভব না।

ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল এক বর্ণনায় জানায়, ওই দুই জাহাজে হামলার সময় হুতিরা মরিয়া হয়ে চেষ্টা করেছিল। তবে তাদের বিপরীতে কোনো জাহাজ সহায়তায় এগিয়ে আসেনি। জানা যায়, হুতিরা তাদের জাহাজে পতাকা উড়িয়ে দ্রুতগতিতে টার্গেট করা জাহাজে হামলা চালিয়েছিল। দূর থেকে এসে চলমান বড় জাহাজে হামলা করা মূলত দুঃসাধ্য কাজ। প্রথমে ড্রোন দিয়ে হামলা করা, তারপর জাহাজটিতে চড়ে বড় সহজ কাজ নয়। হামলাটি অন্তত দু’দিন সময় নিয়ে ঘটানো হয়েছিল।

সবচেয়ে ভয়ংকর বিষয় হলো, হুতিদের হামলার সময় কোনো জাহাজকে এগিয়ে আসতে দেখা যায় না। ২০২৩ সালে এ বিষয়টিকে মাথায় নিয়ে ‘প্রোসপারিটি গার্ডিয়ান’ নামে একটি আন্তর্জাতিক জোট গঠন করা হয়েছিল। গত মার্চে যুক্তরাষ্ট্র হুতিদের আক্রমণ ঠেকাতে পাল্টা হামলা শুরু করে। তবে সর্বশেষ ঘটনায় দেখা যায়, মার্কিন নৌবাহিনীর (সেন্টকম) আওতাধীন জলসীমায় হুতিরা আক্রমণ করলেও কোনো সহায়তা আসেনি। ব্রিটিশ, ফরাসি কিংবা চীনা নৌবাহিনীর অবস্থানও এই এলাকায় রয়েছে। কিন্তু তাদের পক্ষ থেকেও কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।

সাধারণত মার্কিন নৌবাহিনীর হাতে কয়েকটি ডেস্ট্রয়ার জাহাজ, ক্রুজার এসকর্ট জাহাজ ও অন্যান্য জাহাজ রয়েছে। আরব সাগর বা ভারত মহাসাগরে এগুলোর অবস্থান করার কথা। কিন্তু তাদের কার্যক্রমের ব্যাপারে কোনো তথ্য মেলে না।

বিশ্লেষকরা বলেন, দশকব্যাপী যুদ্ধের পর যুদ্ধবিরতির আলোচনায় গতি আসছে বলে মনে হচ্ছে। লোহিত সাগরে জাহাজে হুতিদের হামলা ইয়েমেনে শান্তি প্রক্রিয়ার জন্য হুমকি হতে পারে। জাতিসংঘ গেল ডিসেম্বরের শেষে ঘোষণা দেয়, সমঝোতার ক্ষেত্রে বড় ধরনের অগ্রগতি হয়েছে। তবে বিশেষজ্ঞরা সতর্ক করে দিয়ে বলেছেন, লোহিত সাগরে হুতিদের কর্মকা- চূড়ান্ত চুক্তির পথ থেকে বিচ্যুত করতে পারে।

কিছু বিশ্লেষকের ভয়, উচ্চাকাঙ্ক্ষার প্রসারে গোষ্ঠীটি হয়তো তাদের বিশাল সংখ্যক সদস্য ব্যবহারে প্রলুব্ধ হতে পারে। গত কয়েক সপ্তাহে মারিবের চারপাশে ৫০ হাজার যোদ্ধা মোতায়েন করেছে। মারিব হলো আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত ইয়েমেনি সরকারের শেষ শক্ত ঘাঁটি। আরেকদল বিশ্লেষক উল্লেখ করেছেন, হুতিরা সৌদি আরবের সঙ্গে সম্পর্ক ঘনিষ্ট করতে চাইবে।

হুতিরা আনসার আল্লাহ (আল্লাহর সমর্থক) নামে পরিচিত। তাদের গোষ্ঠীটি সশস্ত্র, যেটি রাজধানী সানা এবং সৌদি আরবের কাছাকাছি পশ্চিম ও উত্তর অংশসহ ইয়েমেনের বেশিরভাগ অঞ্চল নিয়ন্ত্রণ করে থাকে।

১৯৯০ এর দশকে হুতিদের উত্থান। ২০১৪ সালে ইয়েমেন সরকারের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করে গোষ্ঠীটি নিজের অবস্থান জানান দেয়। হুতিরা ইরানের সমর্থনে সৌদি নেতৃত্বাধীন সামরিক জোটের সঙ্গে লড়াই করে কয়েক বছর কাটিয়ে দিয়েছে।

যুদ্ধরত দুই পক্ষ বারবার শান্তি আলোচনার চেষ্টাও করেছে।

back to top