alt

আন্তর্জাতিক

ভারত-মিয়ানমার বাণিজ্য করিডরের প্রস্তাব রাশিয়ার, লক্ষ্য দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া

বিদেশী সংবাদ মাধ্যম : বুধবার, ১৬ জুলাই ২০২৫

রাশিয়ার উৎপাদিত পণ্য দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশগুলোর বাজারে প্রবেশ করাতে চায় মস্কো। আর এ লক্ষ্য মিয়ানমার হয়ে ভারতের ভেতর দিয়ে একটি বাণিজ্য করিডর গঠনের প্রস্তাবও দেওয়া হয়েছে। এই প্রস্তাবের আলোকে মিয়ানমার ও রাশিয়া ভারতকে এই নতুন প্রকল্পে যুক্ত হতে চাপ দিচ্ছে। একই সঙ্গে, এই করিডরের অন্যতম লক্ষ্য মিয়ানমারের জান্তা সরকারের ওপর আরোপিত পশ্চিমা নিষেধাজ্ঞা বাইপাস করা।

থাইল্যান্ড থেকে প্রকাশিত মিয়ানমারের সংবাদমাধ্যম ইরাবতীর খবরে বলা হয়েছে, মিয়ানমারের জান্তা সরকার এবং রাশিয়া ভারতের মাধ্যমে এক নতুন বাণিজ্য করিডর প্রতিষ্ঠার চেষ্টা করছে। এটি এক উচ্চাভিলাষী ত্রিপক্ষীয় প্রস্তাব, যা নিষেধাজ্ঞায় জর্জরিত এবং অর্থসংকটে থাকা মিয়ানমার সরকারের জন্য একটি সহায়ক ব্যবস্থা হতে পারে।

গত সোমবার নেপিদোতে মিয়ানমারের যোগাযোগ ও পরিবহনমন্ত্রী জেনারেল মিয়া তুন উ এবং রাশিয়ার রসকংগ্রেস ইনভেস্টমেন্ট ফান্ডের পরিচালক আলেকজান্ডার সের্গেইভিচ শাতিরভের নেতৃত্বে রুশ প্রতিনিধিদলের মধ্যে এই প্রকল্প নিয়ে আলোচনা হয়।

আলোচনায় মূলত ভারতের মুম্বাই বন্দরের মাধ্যমে রাশিয়াকে মিয়ানমারের ইয়াঙ্গুন বন্দরের সঙ্গে যুক্ত করার এক লজিস্টিক রুট তৈরির পরিকল্পনা নিয়ে আলোচনা হয়। গত মাসে রাশিয়ার সেন্ট পিটার্সবার্গে অনুষ্ঠিত ২৮ তম আন্তর্জাতিক অর্থনৈতিক ফোরামে মিয়া তুন উ ইয়াঙ্গুনকে রাশিয়ার এশিয়া অঞ্চলে রপ্তানির জন্য কৌশলগত ট্রান্সশিপমেন্ট হাব হিসেবে তুলে ধরেন। তিনি বলেন, রাশিয়া থেকে পণ্য ইয়াঙ্গুন বন্দরের মাধ্যমে স্থল ও রেলপথে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার অন্যান্য গন্তব্যে পাঠানো যেতে পারে।

প্রকল্পের বিস্তারিত এখনো প্রকাশ না করা হলেও জান্তা মিডিয়া জানিয়েছে, মিয়া তুন উ এবং রাশিয়ান প্রতিনিধিদল রাশিয়া থেকে উচ্চমানের সার আমদানি এবং দ্বিপক্ষীয় ই-কমার্স উদ্যোগ সম্প্রসারণের বিষয়ে আলোচনা করেছেন। গত ফেব্রুয়ারিতে নেপিদোতে রাশিয়া-মিয়ানমার বাণিজ্য ও অর্থনৈতিক সহযোগিতা বিষয়ক পঞ্চম আন্তঃসরকারি কমিশনের সভায় জান্তা সরকার রাশিয়ান নেতৃত্বাধীন ইউরেশিয়ান ইকোনমিক ইউনিয়নে (ইএইইউ) যোগ দেওয়ার আগ্রহ প্রকাশ করে, যাতে ইউরোপীয় বাজারে প্রবেশ করা যায়। মিয়ানমার সরকার রাশিয়াকে এশিয়ার বাজারে প্রবেশের সুযোগ দেওয়ার পাশাপাশি দেশের পরিবহন অবকাঠামোতে রাশিয়ার বিনিয়োগ ও শিল্প সহযোগিতার আমন্ত্রণ জানায়।

এই পরিকল্পিত করিডরটি যুক্তরাষ্ট্র ও তার মিত্রদের কঠোর নিষেধাজ্ঞার মধ্যে উভয় দেশের জন্য বিকল্প বাণিজ্য সহযোগিতা গড়ে তোলার একটি বৃহত্তর প্রচেষ্টাকেই তুলে ধরে। মিয়ানমারের সামরিক সরকার কূটনৈতিকভাবে রাশিয়া ও অন্যান্য আঞ্চলিক শক্তির সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক গড়ে তুলতে সক্রিয়ভাবে চেষ্টা করছে। এর মধ্যে রয়েছে ব্রিকস এবং সাংহাই কোঅপারেশন অর্গানাইজেশন বা এসসিও—এর পূর্ণ সদস্যপদ লাভের চেষ্টা। এই দুই সংস্থাতেই মিয়ানমার বর্তমানে ডায়ালগ পার্টনার। গত মাসে বেলারুশ সফরে মিন অং হ্লাইং রাশিয়ান নেতৃত্বাধীন ইএইইউ—এ পর্যবেক্ষক হিসেবে মিয়ানমারের অন্তর্ভুক্তির আহ্বান জানান।

এই প্রস্তাবিত রাশিয়া-ভারত-মিয়ানমার করিডর সম্পর্কে নয়া দিল্লি এখনো কোনো মন্তব্য করেনি। এটি ভারতের চলমান কলাদান মাল্টি-মোডাল ট্রানজিট ট্রান্সপোর্ট প্রকল্পের সঙ্গে ওভারল্যাপ বা সংযোগ স্থাপন করতে পারে, যা ভারতের ‘অ্যাক্ট ইস্ট’ নীতির একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ।

উল্লেখ্য, ২০০৮ সালে শুরু হওয়া কলাদান প্রকল্প ভারতের পূর্ব উপকূলকে দেশটির উত্তর-পূর্বাঞ্চলের প্রত্যন্ত রাজ্যগুলোর সঙ্গে সংযুক্ত করতে এবং দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার সঙ্গে অর্থনৈতিক একীকরণের কাজে সহায়তা করছে। এই করিডর কলকাতা বন্দরকে বঙ্গোপসাগর হয়ে রাখাইন রাজ্যের সিতওয়ে বন্দরের সঙ্গে সংযুক্ত করে, তারপর কলাদান নদী হয়ে পালেতওয়া এবং সেখান থেকে সড়কপথে ভারত-মিয়ানমার সীমান্তের জোরিনপুঁই পর্যন্ত বিস্তৃত।

এই প্রকল্পের সমুদ্র ও নদী অংশের কাজ শেষ হলেও ১০৯ কিলোমিটার দীর্ঘ সড়ক অংশ রাখাইনে চলমান সংঘর্ষ, ঠিকাদারি বিরোধ ও জমি অধিগ্রহণের সমস্যার কারণে বারবার বিলম্বিত হচ্ছে। বাধা সত্ত্বেও, ভারত ২০২৭ সালের মধ্যে এই প্রকল্প শেষ করার অঙ্গীকার করেছে। এই প্রকল্পকে ভারত আঞ্চলিক কৌশল এবং চীনের বেল্ট অ্যান্ড রোড উদ্যোগের ভূরাজনৈতিক ভারসাম্য হিসেবে দেখছে। এই ত্রিপক্ষীয় করিডর বাস্তবায়িত হলে এটি রাশিয়ার জন্য গুরুত্বপূর্ণ অর্থনৈতিক পথ খুলে দেবে, বিশেষ করে যখন তার বৈশ্বিক বাণিজ্য বিকল্পগুলো ক্রমশ সীমিত হয়ে আসছে।

সংঘাতে থমথমে সিরিয়া, নিহত বেড়ে ২০৩

নতুন রাজনৈতিক দল খুললেন ইমরানের প্রাক্তন স্ত্রী

ছবি

ব্যক্তিগত তথ্য ফাঁসের পর হাজারো আফগানকে সরিয়ে নেয় যুক্তরাজ্য

হঠাৎ ট্রাম্পের ফোন, ঘুম থেকে তুলে সাংবাদিককে দিলেন সাক্ষাৎকার

ছবি

তাইওয়ান নিয়ে উত্তেজনায় নিরাপত্তা শঙ্কার কথা জানাল জাপান

লেবানন-সিরিয়ায় ইসরায়েলের হামলা

ছবি

ট্রাম্পের কঠোর শুল্ক আরোপের হুমকিতে চাপ নয়, বরং স্বস্তিতে রাশিয়া

মে মাসে ইরানের তেল রপ্তানিতে সর্বকালের রেকর্ড

ছবি

জোটে ভাঙন, অস্তিত্ব সংকটে নেতানিয়াহুর সরকার

ইসরায়েলিদের ঠিকাদার নিয়োগ দিয়ে গাজায় বাড়িঘর ধ্বংস করছে সেনারা

ছবি

বেপরোয়া হুতি, ২০ মাসে ৭০ জাহাজে হামলা

ছবি

দালাই লামার উত্তরাধিকারের ওপর বেইজিংয়ের অধিকার দাবি, নয়াদিল্লিকে সতর্ক থাকার পরামর্শ

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর ইউরোপ সবচেয়ে বড় হুমকির মুখে : ম্যাখোঁ

ছবি

দুই হাজার বছর আগে ডুবে যাওয়া শহরের খোঁজ

কাশ্মীরের মুখ্যমন্ত্রীকে গৃহবন্দি করল ভারত

ছবি

আফগানিস্তানের তালেবান সরকারকে কী কারণে স্বীকৃতি দিল রাশিয়া

সিরিয়ায় সাম্প্রদায়িক সংঘর্ষ, নিহত ৩০

ছবি

গাজায় ইসরায়েলের বর্বরতা চলছেই, নিহত ৫৮ হাজার ছাড়াল

ছবি

সিরিয়ায় বেদুইন সুন্নি-দ্রুজ সংঘর্ষে নিহত অন্তত ৩০

ছবি

ইসরায়েলি হামলায় আহত হয়েছিলেন ইরানের প্রেসিডেন্ট, জরুরি পথে পালিয়ে বাঁচেন

ছবি

নাইজেরিয়ার সাবেক প্রেসিডেন্ট মুহাম্মাদু বুহারি আর নেই

ছবি

ইসরায়েলের পদক্ষেপে উদ্বেগ, গাজার পরিস্থিতি ঠেকাতে ব্রিটিশ এমপিদের চিঠি

ছবি

গণহত্যা রুখতে ২০টির বেশি দেশের সম্মেলনে বাংলাদেশেরও অংশগ্রহণ

ছবি

শুল্কহার কমিয়ে সুবিধাজনক অবস্থানে যেতে চায় ভারত

ছবি

অভিযানের সময় আহত শ্রমিকের মৃত্যু, আক্রমণাত্মক কৌশল স্থগিতের নির্দেশ আদালতের

যুক্তরাষ্ট্র হামলা না চালানোর নিশ্চয়তা দিলে আলোচনায় বসবে ইরান

ছবি

বিশ্বের সর্বাধিক মুসলিম জনসংখ্যার দেশ হতে চলেছে ভারত

ইউক্রেনে রাশিয়ার যে কোন কাজের প্রতি নিঃশর্ত সমর্থনের ঘোষণা কিমের

ছবি

পুতিনকে নিয়ে ‘হতাশ’ ট্রাম্পের পরবর্তী সিদ্ধান্ত কী হবে

মায়ানমারে সংঘাত, থাই সীমান্ত দিয়ে পালাল শতাধিক সেনা

ছবি

মধ্যপ্রাচ্যের ভবিষ্যৎ অনিশ্চিত করে তুলছে ‘নীরব বিপ্লব’

ছবি

গাজায় ত্রাণ নিতে গিয়ে ২৪ জন নিহত, ইসরায়েলের বিরুদ্ধে গুলি চালানোর অভিযোগ

ছবি

এয়ার ইন্ডিয়া উড়োজাহাজ দুর্ঘটনার কারণ: সুইচের অপ্রত্যাশিত বন্ধ হওয়া, তদন্তে জানা গেছে

ছবি

মাত্র ১২ দিনেই যুদ্ধবিরতি’, ইরানের পাল্টা হামলায় তেল আবিবে ভয়াবহ ক্ষয়ক্ষতি

১২ দিনের যুদ্ধে ৫০০ ইসরায়েলি নিহত: ইরান

ছবি

ত্রাণ নিতে গিয়ে প্রাণ গেছে ৮০০ ফিলিস্তিনির

tab

আন্তর্জাতিক

ভারত-মিয়ানমার বাণিজ্য করিডরের প্রস্তাব রাশিয়ার, লক্ষ্য দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া

বিদেশী সংবাদ মাধ্যম

বুধবার, ১৬ জুলাই ২০২৫

রাশিয়ার উৎপাদিত পণ্য দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশগুলোর বাজারে প্রবেশ করাতে চায় মস্কো। আর এ লক্ষ্য মিয়ানমার হয়ে ভারতের ভেতর দিয়ে একটি বাণিজ্য করিডর গঠনের প্রস্তাবও দেওয়া হয়েছে। এই প্রস্তাবের আলোকে মিয়ানমার ও রাশিয়া ভারতকে এই নতুন প্রকল্পে যুক্ত হতে চাপ দিচ্ছে। একই সঙ্গে, এই করিডরের অন্যতম লক্ষ্য মিয়ানমারের জান্তা সরকারের ওপর আরোপিত পশ্চিমা নিষেধাজ্ঞা বাইপাস করা।

থাইল্যান্ড থেকে প্রকাশিত মিয়ানমারের সংবাদমাধ্যম ইরাবতীর খবরে বলা হয়েছে, মিয়ানমারের জান্তা সরকার এবং রাশিয়া ভারতের মাধ্যমে এক নতুন বাণিজ্য করিডর প্রতিষ্ঠার চেষ্টা করছে। এটি এক উচ্চাভিলাষী ত্রিপক্ষীয় প্রস্তাব, যা নিষেধাজ্ঞায় জর্জরিত এবং অর্থসংকটে থাকা মিয়ানমার সরকারের জন্য একটি সহায়ক ব্যবস্থা হতে পারে।

গত সোমবার নেপিদোতে মিয়ানমারের যোগাযোগ ও পরিবহনমন্ত্রী জেনারেল মিয়া তুন উ এবং রাশিয়ার রসকংগ্রেস ইনভেস্টমেন্ট ফান্ডের পরিচালক আলেকজান্ডার সের্গেইভিচ শাতিরভের নেতৃত্বে রুশ প্রতিনিধিদলের মধ্যে এই প্রকল্প নিয়ে আলোচনা হয়।

আলোচনায় মূলত ভারতের মুম্বাই বন্দরের মাধ্যমে রাশিয়াকে মিয়ানমারের ইয়াঙ্গুন বন্দরের সঙ্গে যুক্ত করার এক লজিস্টিক রুট তৈরির পরিকল্পনা নিয়ে আলোচনা হয়। গত মাসে রাশিয়ার সেন্ট পিটার্সবার্গে অনুষ্ঠিত ২৮ তম আন্তর্জাতিক অর্থনৈতিক ফোরামে মিয়া তুন উ ইয়াঙ্গুনকে রাশিয়ার এশিয়া অঞ্চলে রপ্তানির জন্য কৌশলগত ট্রান্সশিপমেন্ট হাব হিসেবে তুলে ধরেন। তিনি বলেন, রাশিয়া থেকে পণ্য ইয়াঙ্গুন বন্দরের মাধ্যমে স্থল ও রেলপথে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার অন্যান্য গন্তব্যে পাঠানো যেতে পারে।

প্রকল্পের বিস্তারিত এখনো প্রকাশ না করা হলেও জান্তা মিডিয়া জানিয়েছে, মিয়া তুন উ এবং রাশিয়ান প্রতিনিধিদল রাশিয়া থেকে উচ্চমানের সার আমদানি এবং দ্বিপক্ষীয় ই-কমার্স উদ্যোগ সম্প্রসারণের বিষয়ে আলোচনা করেছেন। গত ফেব্রুয়ারিতে নেপিদোতে রাশিয়া-মিয়ানমার বাণিজ্য ও অর্থনৈতিক সহযোগিতা বিষয়ক পঞ্চম আন্তঃসরকারি কমিশনের সভায় জান্তা সরকার রাশিয়ান নেতৃত্বাধীন ইউরেশিয়ান ইকোনমিক ইউনিয়নে (ইএইইউ) যোগ দেওয়ার আগ্রহ প্রকাশ করে, যাতে ইউরোপীয় বাজারে প্রবেশ করা যায়। মিয়ানমার সরকার রাশিয়াকে এশিয়ার বাজারে প্রবেশের সুযোগ দেওয়ার পাশাপাশি দেশের পরিবহন অবকাঠামোতে রাশিয়ার বিনিয়োগ ও শিল্প সহযোগিতার আমন্ত্রণ জানায়।

এই পরিকল্পিত করিডরটি যুক্তরাষ্ট্র ও তার মিত্রদের কঠোর নিষেধাজ্ঞার মধ্যে উভয় দেশের জন্য বিকল্প বাণিজ্য সহযোগিতা গড়ে তোলার একটি বৃহত্তর প্রচেষ্টাকেই তুলে ধরে। মিয়ানমারের সামরিক সরকার কূটনৈতিকভাবে রাশিয়া ও অন্যান্য আঞ্চলিক শক্তির সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক গড়ে তুলতে সক্রিয়ভাবে চেষ্টা করছে। এর মধ্যে রয়েছে ব্রিকস এবং সাংহাই কোঅপারেশন অর্গানাইজেশন বা এসসিও—এর পূর্ণ সদস্যপদ লাভের চেষ্টা। এই দুই সংস্থাতেই মিয়ানমার বর্তমানে ডায়ালগ পার্টনার। গত মাসে বেলারুশ সফরে মিন অং হ্লাইং রাশিয়ান নেতৃত্বাধীন ইএইইউ—এ পর্যবেক্ষক হিসেবে মিয়ানমারের অন্তর্ভুক্তির আহ্বান জানান।

এই প্রস্তাবিত রাশিয়া-ভারত-মিয়ানমার করিডর সম্পর্কে নয়া দিল্লি এখনো কোনো মন্তব্য করেনি। এটি ভারতের চলমান কলাদান মাল্টি-মোডাল ট্রানজিট ট্রান্সপোর্ট প্রকল্পের সঙ্গে ওভারল্যাপ বা সংযোগ স্থাপন করতে পারে, যা ভারতের ‘অ্যাক্ট ইস্ট’ নীতির একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ।

উল্লেখ্য, ২০০৮ সালে শুরু হওয়া কলাদান প্রকল্প ভারতের পূর্ব উপকূলকে দেশটির উত্তর-পূর্বাঞ্চলের প্রত্যন্ত রাজ্যগুলোর সঙ্গে সংযুক্ত করতে এবং দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার সঙ্গে অর্থনৈতিক একীকরণের কাজে সহায়তা করছে। এই করিডর কলকাতা বন্দরকে বঙ্গোপসাগর হয়ে রাখাইন রাজ্যের সিতওয়ে বন্দরের সঙ্গে সংযুক্ত করে, তারপর কলাদান নদী হয়ে পালেতওয়া এবং সেখান থেকে সড়কপথে ভারত-মিয়ানমার সীমান্তের জোরিনপুঁই পর্যন্ত বিস্তৃত।

এই প্রকল্পের সমুদ্র ও নদী অংশের কাজ শেষ হলেও ১০৯ কিলোমিটার দীর্ঘ সড়ক অংশ রাখাইনে চলমান সংঘর্ষ, ঠিকাদারি বিরোধ ও জমি অধিগ্রহণের সমস্যার কারণে বারবার বিলম্বিত হচ্ছে। বাধা সত্ত্বেও, ভারত ২০২৭ সালের মধ্যে এই প্রকল্প শেষ করার অঙ্গীকার করেছে। এই প্রকল্পকে ভারত আঞ্চলিক কৌশল এবং চীনের বেল্ট অ্যান্ড রোড উদ্যোগের ভূরাজনৈতিক ভারসাম্য হিসেবে দেখছে। এই ত্রিপক্ষীয় করিডর বাস্তবায়িত হলে এটি রাশিয়ার জন্য গুরুত্বপূর্ণ অর্থনৈতিক পথ খুলে দেবে, বিশেষ করে যখন তার বৈশ্বিক বাণিজ্য বিকল্পগুলো ক্রমশ সীমিত হয়ে আসছে।

back to top