বৈশ্বিক জলবায়ু পরিবর্তনের প্রেক্ষাপটে ইউরোপে তাপপ্রবাহ প্রতি বছরই অপেক্ষাকৃত বাড়ছে। চলতি বছরের শুরুতে ইউরোপে অপ্রত্যাশিতভাবে তাপপ্রবাহ দেখা দেয়। তাপমাত্রার দুটি বড় উল্লস্ফন ইতোমধ্যে লাখ লাখ মানুষের জীবনে প্রভাব ফেলেছে। তৃতীয়টি মহাদেশের কিছু অংশকে গ্রাস করেছে। জুনের শেষ থেকে চলতি জুলাইয়ের মাঝামাঝি পর্যন্ত তাপমাত্রা বেড়ে সর্বোচ্চ ৪৬ ডিগ্রি সেলসিয়াসে পৌঁছায়। পশ্চিম ইউরোপের কিছু জায়গায় রেকর্ডভাঙা তাপ অনুভূত হয়েছে।
বুধবার আলজাজিরার প্রতিবেদনে এসব তথ্য উঠে আসে। প্রতিবেদনে বলা হয়, গ্রিসে দাবানলের কারণে বিপুলসংখ্যক লোককে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। অন্যদিকে ফ্রান্সে জরুরি ব্যবস্থা নেয়ায় স্কুল, এমনকি আইফেল টাওয়ারও বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। ইতালিতে ঘরের বাইরে শ্রমের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপের ফলে অনেক শ্রমিক ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন।
স্পেনের পরিবেশ মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, উচ্চ তাপমাত্রার কারণে দুই মাসে এক হাজার ১৮০ জন মারা গেছেন, যা গত বছরের একই সময়ের তুলনায় উল্লেখযোগ্যভাবে বেশি। একটি সমীক্ষা অনুসারে, ২৩ জুন থেকে ২ জুলাই পর্যন্ত ইউরোপের ১২টি শহরে তাপজনিত কারণে দুই হাজার ৩০০ জনের প্রাণ গেছে।
ইম্পেরিয়াল কলেজ লন্ডন ও লন্ডন স্কুল অব হাইজিন অ্যান্ড ট্রপিক্যাল মেডিসিনের গবেষকদের মতে, এসব মৃত্যুর প্রায় এক হাজার ৫০০ জন জলবায়ু পরিবর্তনের সঙ্গে সম্পর্কিত। ইম্পেরিয়াল কলেজ লন্ডনের গবেষক ড. বেন ক্লার্ক বলেন, ‘জলবায়ু পরিবর্তন পরিস্থিতিকে আগের চেয়ে উল্লেখযোগ্যভাবে গরম করে তুলেছে, যা এটিকে অনেক বেশি বিপজ্জনক করে তুলেছে।’
চলতি বছরে এরই মধ্যে তিনটি ভয়াবহ তাপপ্রবাহ মোকাবিলা করছে ইউরোপ। মহাদেশটিতে প্রথম তাপপ্রবাহ গত ১৭ থেকে ২২ জুনের মধ্যে সর্বোচ্চ পর্যায়ে পৌঁছায়। এর প্রভাব পড়ে পশ্চিম ও দক্ষিণ ইউরোপে।
দ্বিতীয় তাপপ্রবাহটি আসে গত ৩০ জুন থেকে ২ জুলাইয়ের মধ্যে। এ সময় তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস ছাড়িয়ে যায়। তবে স্পেন ও পর্তুগালের কিছু শহরে ৪৬ ডিগ্রি সেলসিয়াসে পৌঁছায়।
প্রশ্ন উঠছে, কেন ইউরোপজুড়ে এ তাপপ্রাবহ? গবেষকরা দেখেছেন– পশ্চিম ইউরোপের ওপর একটি ‘তাপ গম্বুজ’ রয়েছে, যা উচ্চচাপের মাধ্যমে তাপ বাড়াচ্ছে। এটি একটি ঢাকনার মতো কাজ করে, যা গরম বাতাসকে তার নিচে আটকে রাখে। আবহাওয়া ব্যবস্থার চাপ বাতাসকে একটি গরম গম্বুজ আকৃতির ভরের দিকে ঠেলে দেয়। ফলে এটি দীর্ঘ সময় ধরে অত্যধিক উচ্চ তাপমাত্রার সৃষ্টি করে।
বৃহস্পতিবার, ১৭ জুলাই ২০২৫
বৈশ্বিক জলবায়ু পরিবর্তনের প্রেক্ষাপটে ইউরোপে তাপপ্রবাহ প্রতি বছরই অপেক্ষাকৃত বাড়ছে। চলতি বছরের শুরুতে ইউরোপে অপ্রত্যাশিতভাবে তাপপ্রবাহ দেখা দেয়। তাপমাত্রার দুটি বড় উল্লস্ফন ইতোমধ্যে লাখ লাখ মানুষের জীবনে প্রভাব ফেলেছে। তৃতীয়টি মহাদেশের কিছু অংশকে গ্রাস করেছে। জুনের শেষ থেকে চলতি জুলাইয়ের মাঝামাঝি পর্যন্ত তাপমাত্রা বেড়ে সর্বোচ্চ ৪৬ ডিগ্রি সেলসিয়াসে পৌঁছায়। পশ্চিম ইউরোপের কিছু জায়গায় রেকর্ডভাঙা তাপ অনুভূত হয়েছে।
বুধবার আলজাজিরার প্রতিবেদনে এসব তথ্য উঠে আসে। প্রতিবেদনে বলা হয়, গ্রিসে দাবানলের কারণে বিপুলসংখ্যক লোককে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। অন্যদিকে ফ্রান্সে জরুরি ব্যবস্থা নেয়ায় স্কুল, এমনকি আইফেল টাওয়ারও বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। ইতালিতে ঘরের বাইরে শ্রমের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপের ফলে অনেক শ্রমিক ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন।
স্পেনের পরিবেশ মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, উচ্চ তাপমাত্রার কারণে দুই মাসে এক হাজার ১৮০ জন মারা গেছেন, যা গত বছরের একই সময়ের তুলনায় উল্লেখযোগ্যভাবে বেশি। একটি সমীক্ষা অনুসারে, ২৩ জুন থেকে ২ জুলাই পর্যন্ত ইউরোপের ১২টি শহরে তাপজনিত কারণে দুই হাজার ৩০০ জনের প্রাণ গেছে।
ইম্পেরিয়াল কলেজ লন্ডন ও লন্ডন স্কুল অব হাইজিন অ্যান্ড ট্রপিক্যাল মেডিসিনের গবেষকদের মতে, এসব মৃত্যুর প্রায় এক হাজার ৫০০ জন জলবায়ু পরিবর্তনের সঙ্গে সম্পর্কিত। ইম্পেরিয়াল কলেজ লন্ডনের গবেষক ড. বেন ক্লার্ক বলেন, ‘জলবায়ু পরিবর্তন পরিস্থিতিকে আগের চেয়ে উল্লেখযোগ্যভাবে গরম করে তুলেছে, যা এটিকে অনেক বেশি বিপজ্জনক করে তুলেছে।’
চলতি বছরে এরই মধ্যে তিনটি ভয়াবহ তাপপ্রবাহ মোকাবিলা করছে ইউরোপ। মহাদেশটিতে প্রথম তাপপ্রবাহ গত ১৭ থেকে ২২ জুনের মধ্যে সর্বোচ্চ পর্যায়ে পৌঁছায়। এর প্রভাব পড়ে পশ্চিম ও দক্ষিণ ইউরোপে।
দ্বিতীয় তাপপ্রবাহটি আসে গত ৩০ জুন থেকে ২ জুলাইয়ের মধ্যে। এ সময় তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস ছাড়িয়ে যায়। তবে স্পেন ও পর্তুগালের কিছু শহরে ৪৬ ডিগ্রি সেলসিয়াসে পৌঁছায়।
প্রশ্ন উঠছে, কেন ইউরোপজুড়ে এ তাপপ্রাবহ? গবেষকরা দেখেছেন– পশ্চিম ইউরোপের ওপর একটি ‘তাপ গম্বুজ’ রয়েছে, যা উচ্চচাপের মাধ্যমে তাপ বাড়াচ্ছে। এটি একটি ঢাকনার মতো কাজ করে, যা গরম বাতাসকে তার নিচে আটকে রাখে। আবহাওয়া ব্যবস্থার চাপ বাতাসকে একটি গরম গম্বুজ আকৃতির ভরের দিকে ঠেলে দেয়। ফলে এটি দীর্ঘ সময় ধরে অত্যধিক উচ্চ তাপমাত্রার সৃষ্টি করে।