যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প ইউক্রেনে অস্ত্র সরবরাহ পুনরায় শুরুর ঘোষণা দেওয়ার পর এই পদক্ষেপকে ঘনিষ্ঠভাবে পর্যবেক্ষণের কথা জানিয়েছে রাশিয়া। বুধবার ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ বলেন, আমরা বিষয়টি সতর্কতার সঙ্গে দেখছি। কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আলজাজিরা এ খবর জানিয়েছে।
রাশিয়ার সরকারি বার্তা সংস্থাগুলো জানায়, ট্রাম্প ও রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের মধ্যে নতুন কোনও ফোনালাপ নির্ধারিত না থাকলেও প্রয়োজনে দ্রুত ব্যবস্থা নেয়া সম্ভব। সোমবার এক ঘোষণায় ট্রাম্প বলেন, আগামী সেপ্টেম্বরের শুরু পর্যন্ত পুতিনের হাতে সময় আছে একটি শান্তিচুক্তির জন্য। অন্যথায় রাশিয়ার ওপর ব্যাপক নিষেধাজ্ঞা আসবে। তিনি বলেন, এটা হবে গৌণ শুল্ক। যা রাশিয়ার বাণিজ্যিক অংশীদারদের ওপর আরোপ করা হবে। রাশিয়াকে বিশ্ব অর্থনীতি থেকে বিচ্ছিন্ন করবে।
এই হুঁশিয়ারি ট্রাম্পের পক্ষ থেকে এখন পর্যন্ত রাশিয়ার প্রতি সবচেয়ে কঠোর বার্তা বলেই বিবেচনা করা হচ্ছে। ট্রাম্প জানিয়েছেন, ইউক্রেনকে আরও অস্ত্র দেওয়া হবে এবং ইউরোপীয় মিত্রদের মাধ্যমে ‘বিলিয়ন বিলিয়ন ডলারের’ মার্কিন সামরিক সরঞ্জাম পাঠানো হবে। এর মধ্যে রয়েছে প্যাট্রিয়ট আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা, যা ইউক্রেনকে রুশ ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলা প্রতিহত করতে সহায়তা করবে।
তবে ট্রাম্প বলেন, আমি ইউক্রেনকে অস্ত্র দিচ্ছি, কিন্তু মস্কো আঘাত করা উচিত নয়। এর আগে ফিন্যান্সিয়াল টাইমস এক প্রতিবেদনে জানিয়েছিল, ৪ জুলাই জেলেনস্কির সঙ্গে ফোনালাপে ট্রাম্প জানতে চেয়েছিলেন, আপনারা মস্কো বা সেন্ট পিটার্সবার্গ আঘাত করতে পারবেন কি না? ট্রাম্প পরে হোয়াইট হাউসে সাংবাদিকদের বলেন, আমি চাই না তারা মস্কোকে লক্ষ্য করুক।
ইতোমধ্যে ইউক্রেনের খারকিভ, ভিনিৎসিয়া ও ক্রিভি রিহ শহরে রাশিয়া ৪০০ ড্রোন ও একটি ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে। ইউক্রেনীয় কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, অন্তত ১৫ জন আহত হয়েছে এবং গুরুত্বপূর্ণ বিদ্যুৎ অবকাঠামো ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
ডিটিইকে নামের ইউক্রেনের একটি বেসরকারি বিদ্যুৎ কোম্পানি জানিয়েছে, ক্রিভি রিহ ও ডিনিপ্রোপেট্রোভস্ক অঞ্চলে ৮০ হাজার পরিবার বিদ্যুৎহীন হয়ে পড়েছে।
বিশ্লেষকরা বলছেন, ট্রাম্পের হুমকির মুখেও পুতিনের কৌশলে এখনও কোনও পরিবর্তন দেখা যাচ্ছে না। ক্রেমলিনের ‘শান্ত থাকো, কাজ চালিয়ে যাও’ মনোভাব এখনও অব্যাহত রয়েছে।
ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি বুধবার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্স-এ লিখেছেন, রাশিয়া তাদের সন্ত্রাসী কৌশল বদলায়নি। এর জবাব দিতে হলে আমাদের আরও প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা, আরও ইন্টারসেপ্টর ক্ষেপণাস্ত্র এবং আরও কঠোর সিদ্ধান্ত নিতে হবে। এদিকে রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় দাবি করেছে, তারা পূর্ব ইউক্রেনের ডনেস্ক অঞ্চলের নভোখাতসকে নামের একটি বসতি দখল করেছে। তবে এই দাবি এখনও স্বতন্ত্রভাবে যাচাই করতে পারেনি পশ্চিমা কোনও সংবাদমাধ্যম।
নভেম্বরের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের আগে ট্রাম্প বারবার দাবি করেছিলেন যে, দায়িত্ব নেওয়ার ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই যুদ্ধ শেষ করবেন। কিন্তু বাস্তবে ছয়বার ট্রাম্প-পুতিন ফোনালাপ এবং একাধিক দফায় রাশিয়া-ইউক্রেন-যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে বৈঠক হলেও এখনও কোনও অস্ত্রবিরতির ঘোষণা আসেনি।
বৃহস্পতিবার, ১৭ জুলাই ২০২৫
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প ইউক্রেনে অস্ত্র সরবরাহ পুনরায় শুরুর ঘোষণা দেওয়ার পর এই পদক্ষেপকে ঘনিষ্ঠভাবে পর্যবেক্ষণের কথা জানিয়েছে রাশিয়া। বুধবার ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ বলেন, আমরা বিষয়টি সতর্কতার সঙ্গে দেখছি। কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আলজাজিরা এ খবর জানিয়েছে।
রাশিয়ার সরকারি বার্তা সংস্থাগুলো জানায়, ট্রাম্প ও রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের মধ্যে নতুন কোনও ফোনালাপ নির্ধারিত না থাকলেও প্রয়োজনে দ্রুত ব্যবস্থা নেয়া সম্ভব। সোমবার এক ঘোষণায় ট্রাম্প বলেন, আগামী সেপ্টেম্বরের শুরু পর্যন্ত পুতিনের হাতে সময় আছে একটি শান্তিচুক্তির জন্য। অন্যথায় রাশিয়ার ওপর ব্যাপক নিষেধাজ্ঞা আসবে। তিনি বলেন, এটা হবে গৌণ শুল্ক। যা রাশিয়ার বাণিজ্যিক অংশীদারদের ওপর আরোপ করা হবে। রাশিয়াকে বিশ্ব অর্থনীতি থেকে বিচ্ছিন্ন করবে।
এই হুঁশিয়ারি ট্রাম্পের পক্ষ থেকে এখন পর্যন্ত রাশিয়ার প্রতি সবচেয়ে কঠোর বার্তা বলেই বিবেচনা করা হচ্ছে। ট্রাম্প জানিয়েছেন, ইউক্রেনকে আরও অস্ত্র দেওয়া হবে এবং ইউরোপীয় মিত্রদের মাধ্যমে ‘বিলিয়ন বিলিয়ন ডলারের’ মার্কিন সামরিক সরঞ্জাম পাঠানো হবে। এর মধ্যে রয়েছে প্যাট্রিয়ট আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা, যা ইউক্রেনকে রুশ ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলা প্রতিহত করতে সহায়তা করবে।
তবে ট্রাম্প বলেন, আমি ইউক্রেনকে অস্ত্র দিচ্ছি, কিন্তু মস্কো আঘাত করা উচিত নয়। এর আগে ফিন্যান্সিয়াল টাইমস এক প্রতিবেদনে জানিয়েছিল, ৪ জুলাই জেলেনস্কির সঙ্গে ফোনালাপে ট্রাম্প জানতে চেয়েছিলেন, আপনারা মস্কো বা সেন্ট পিটার্সবার্গ আঘাত করতে পারবেন কি না? ট্রাম্প পরে হোয়াইট হাউসে সাংবাদিকদের বলেন, আমি চাই না তারা মস্কোকে লক্ষ্য করুক।
ইতোমধ্যে ইউক্রেনের খারকিভ, ভিনিৎসিয়া ও ক্রিভি রিহ শহরে রাশিয়া ৪০০ ড্রোন ও একটি ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে। ইউক্রেনীয় কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, অন্তত ১৫ জন আহত হয়েছে এবং গুরুত্বপূর্ণ বিদ্যুৎ অবকাঠামো ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
ডিটিইকে নামের ইউক্রেনের একটি বেসরকারি বিদ্যুৎ কোম্পানি জানিয়েছে, ক্রিভি রিহ ও ডিনিপ্রোপেট্রোভস্ক অঞ্চলে ৮০ হাজার পরিবার বিদ্যুৎহীন হয়ে পড়েছে।
বিশ্লেষকরা বলছেন, ট্রাম্পের হুমকির মুখেও পুতিনের কৌশলে এখনও কোনও পরিবর্তন দেখা যাচ্ছে না। ক্রেমলিনের ‘শান্ত থাকো, কাজ চালিয়ে যাও’ মনোভাব এখনও অব্যাহত রয়েছে।
ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি বুধবার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্স-এ লিখেছেন, রাশিয়া তাদের সন্ত্রাসী কৌশল বদলায়নি। এর জবাব দিতে হলে আমাদের আরও প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা, আরও ইন্টারসেপ্টর ক্ষেপণাস্ত্র এবং আরও কঠোর সিদ্ধান্ত নিতে হবে। এদিকে রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় দাবি করেছে, তারা পূর্ব ইউক্রেনের ডনেস্ক অঞ্চলের নভোখাতসকে নামের একটি বসতি দখল করেছে। তবে এই দাবি এখনও স্বতন্ত্রভাবে যাচাই করতে পারেনি পশ্চিমা কোনও সংবাদমাধ্যম।
নভেম্বরের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের আগে ট্রাম্প বারবার দাবি করেছিলেন যে, দায়িত্ব নেওয়ার ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই যুদ্ধ শেষ করবেন। কিন্তু বাস্তবে ছয়বার ট্রাম্প-পুতিন ফোনালাপ এবং একাধিক দফায় রাশিয়া-ইউক্রেন-যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে বৈঠক হলেও এখনও কোনও অস্ত্রবিরতির ঘোষণা আসেনি।