ইসরায়েল বা যুক্তরাষ্ট্র নতুন করে ইরানের ওপর হামলা চালালে তার জবাবে আরও বড় আঘাত হানার প্রস্তুতি রয়েছে তেহরানের। বুধবার এমন হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেছেন ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলি খামেনি। রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে প্রচারিত বক্তব্যে তিনি বলেন, আমাদের জাতি যুক্তরাষ্ট্র এবং তার পোষা কুকুর জায়নবাদি ইসরায়েলের মুখোমুখি হতে প্রস্তুত, এটা গর্বের বিষয়। রয়টার্স এ খবর জানিয়েছে।
গত মাসে ইরান-ইসরায়েল ১২ দিনের যুদ্ধের পর যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েল যৌথভাবে ইরানের পারমাণবিক স্থাপনায় হামলা চালায়। যুক্তরাষ্ট্র দাবি করে, ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচি অস্ত্র তৈরির উদ্দেশ্যে পরিচালিত। তবে তেহরান বলছে, এ কর্মসূচি সম্পূর্ণ বেসামরিক। খামেনি বলেন, আমরা যে ঘাঁটিতে হামলা চালিয়েছি, তা ছিল যুক্তরাষ্ট্রের একটি অতি গুরুত্বপূর্ণ আঞ্চলিক ঘাঁটি। কাতারে আল-উদেইদ ঘাঁটিতে ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র হামলা ছিল একটি সংকেত মাত্র।
তিনি আরও বলেছেন, এর চেয়েও বড় আঘাত হানা সম্ভব। অন্যদিকে, ইরানের ওপর বাড়তে থাকা আন্তর্জাতিক চাপের মধ্যে ফ্রান্স, যুক্তরাজ্য ও জার্মানি ঘোষণা দিয়েছে, আগস্টের শেষ নাগাদ পারমাণবিক আলোচনায় অগ্রগতি না হলে জাতিসংঘের ‘স্ন্যাপব্যাক’ ব্যবস্থায় পুরোনো নিষেধাজ্ঞা পুনর্বহাল করা হবে।
খামেনি তার বক্তব্যে বলেছেন, আমরা কখনোই কূটনৈতিক বা সামরিক ময়দানে দুর্বলতা নিয়ে প্রবেশ করি না। আমাদের হাতে সব সময়ই শক্তির ভিত্তি থাকে। তিনি আরও বলেন, আমাদের কূটনীতিকদের উচিত নির্দেশনা অনুসরণ করে নির্ভীকভাবে তাদের কাজ চালিয়ে যাওয়া। তবে কী নির্দেশনার কথা তিনি বলেছেন, তা স্পষ্ট করেননি।
বুধবার ইরানের পার্লামেন্ট এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, যতক্ষণ না যুক্তরাষ্ট্র আলোচনার পূর্বশর্ত পূরণ করছে, ততক্ষণ পারমাণবিক আলোচনা পুনরায় শুরুর কোনো যৌক্তিকতা নেই।
বৃহস্পতিবার, ১৭ জুলাই ২০২৫
ইসরায়েল বা যুক্তরাষ্ট্র নতুন করে ইরানের ওপর হামলা চালালে তার জবাবে আরও বড় আঘাত হানার প্রস্তুতি রয়েছে তেহরানের। বুধবার এমন হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেছেন ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলি খামেনি। রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে প্রচারিত বক্তব্যে তিনি বলেন, আমাদের জাতি যুক্তরাষ্ট্র এবং তার পোষা কুকুর জায়নবাদি ইসরায়েলের মুখোমুখি হতে প্রস্তুত, এটা গর্বের বিষয়। রয়টার্স এ খবর জানিয়েছে।
গত মাসে ইরান-ইসরায়েল ১২ দিনের যুদ্ধের পর যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েল যৌথভাবে ইরানের পারমাণবিক স্থাপনায় হামলা চালায়। যুক্তরাষ্ট্র দাবি করে, ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচি অস্ত্র তৈরির উদ্দেশ্যে পরিচালিত। তবে তেহরান বলছে, এ কর্মসূচি সম্পূর্ণ বেসামরিক। খামেনি বলেন, আমরা যে ঘাঁটিতে হামলা চালিয়েছি, তা ছিল যুক্তরাষ্ট্রের একটি অতি গুরুত্বপূর্ণ আঞ্চলিক ঘাঁটি। কাতারে আল-উদেইদ ঘাঁটিতে ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র হামলা ছিল একটি সংকেত মাত্র।
তিনি আরও বলেছেন, এর চেয়েও বড় আঘাত হানা সম্ভব। অন্যদিকে, ইরানের ওপর বাড়তে থাকা আন্তর্জাতিক চাপের মধ্যে ফ্রান্স, যুক্তরাজ্য ও জার্মানি ঘোষণা দিয়েছে, আগস্টের শেষ নাগাদ পারমাণবিক আলোচনায় অগ্রগতি না হলে জাতিসংঘের ‘স্ন্যাপব্যাক’ ব্যবস্থায় পুরোনো নিষেধাজ্ঞা পুনর্বহাল করা হবে।
খামেনি তার বক্তব্যে বলেছেন, আমরা কখনোই কূটনৈতিক বা সামরিক ময়দানে দুর্বলতা নিয়ে প্রবেশ করি না। আমাদের হাতে সব সময়ই শক্তির ভিত্তি থাকে। তিনি আরও বলেন, আমাদের কূটনীতিকদের উচিত নির্দেশনা অনুসরণ করে নির্ভীকভাবে তাদের কাজ চালিয়ে যাওয়া। তবে কী নির্দেশনার কথা তিনি বলেছেন, তা স্পষ্ট করেননি।
বুধবার ইরানের পার্লামেন্ট এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, যতক্ষণ না যুক্তরাষ্ট্র আলোচনার পূর্বশর্ত পূরণ করছে, ততক্ষণ পারমাণবিক আলোচনা পুনরায় শুরুর কোনো যৌক্তিকতা নেই।