সিরিয়ার দক্ষিণাঞ্চলের সুয়েইদা প্রদেশে সাম্প্রতিক সাম্প্রদায়িক সহিংসতায় অন্তত ৫৯৪ জন নিহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে যুক্তরাজ্যভিত্তিক পর্যবেক্ষক সংস্থা ‘সিরিয়ান অবজারভেটরি ফর হিউম্যান রাইটস’ (এসওএইচআর)। রোববার থেকে ছড়িয়ে পড়া এই সংঘর্ষকে নজিরবিহীন বর্বরতা হিসেবে বর্ণনা করেছে সংস্থাটি।
এসওএইচআরের তথ্য অনুযায়ী, নিহতদের মধ্যে সংখ্যালঘু দ্রুজ সম্প্রদায়ের ৩০০ জন রয়েছেন—যার মধ্যে ১৪৫ জন যোদ্ধা ও বাকিরা বেসামরিক নাগরিক। এদের মধ্যে ৮৩ জনকে সিরিয়ার সরকারি বাহিনী ‘নির্বিচারে হত্যা’ করেছে বলে অভিযোগ করা হয়েছে। সংঘর্ষে সিরিয়ার সরকারি বাহিনীর ২৫৭ জন এবং ১৮ বেদুইন যোদ্ধাও নিহত হয়েছেন। এছাড়া তিন বেসামরিক বেদুইনকেও দ্রুজ যোদ্ধারা হত্যা করেছেন।
এই সংঘর্ষের সূচনা হয়েছে বেদুইন ও দ্রুজ সম্প্রদায়ের মধ্যে বিরোধ থেকে। পরিস্থিতি আরও জটিল হয় যখন ইসরায়েল সিরিয়ার সরকারি বাহিনীর বিরুদ্ধে বিমান হামলা চালায়। ওই হামলায় সরকারি বাহিনীর ১৫ সদস্য নিহত হন। ইসরায়েল জানায়, তারা সুয়েইদা থেকে সরকারি বাহিনীকে সরিয়ে দিতে ও দ্রুজদের রক্ষায় এই হামলা চালিয়েছে।
এসওএইচআরের নিহতের সংখ্যা তাৎক্ষণিকভাবে যাচাই করতে না পারলেও সিরিয়ার নিরাপত্তা সূত্র নিহতের সংখ্যা ৩০০ বলে জানিয়েছে। অপরদিকে, আরেক পর্যবেক্ষক সংস্থা ‘সিরিয়ান নেটওয়ার্ক ফর হিউম্যান রাইটস’ ১৬৯ জন বেসামরিক নিহতের তথ্য নথিভুক্ত করেছে।
বৃহস্পতিবার সুয়েইদা শহর থেকে সেনা প্রত্যাহার করে নেওয়ার আগে সিরিয়ার সরকার একতরফা যুদ্ধবিরতির ঘোষণা দেয়। কিন্তু দ্রুজ নেতা শেখ হিকমত আল-হাজরি ওই যুদ্ধবিরতি প্রত্যাখ্যান করে বলেন, “প্রদেশ সম্পূর্ণ মুক্ত না হওয়া পর্যন্ত লড়াই চলবে।” এই নেতা সরকারি বাহিনীর বিরুদ্ধে লড়াইয়ে নেতৃত্ব দিয়েছেন এবং ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক গড়ার পক্ষেও মত দিয়েছেন। তবে দ্রুজদের অপর অংশ সিরিয়ার বর্তমান ক্ষমতাসীনদের সঙ্গে থাকার পক্ষে।
এই সহিংসতার মধ্যে ইসরায়েলের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে। ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু বলেছেন, “আমরা সিরিয়ার সেনাবাহিনীকে দক্ষিণাঞ্চলে প্রবেশ করতে দেবো না এবং দ্রুজদের ক্ষতিগ্রস্ত হতে দেবো না।” তিনি সিরিয়ায় স্বার্থ রক্ষায় বলপ্রয়োগ অব্যাহত রাখার ঘোষণা দেন।
বুধবার ইসরায়েলি হামলায় দামেস্কে সিরিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় এবং প্রেসিডেন্ট প্রাসাদের আশপাশে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। অন্তর্বর্তী প্রেসিডেন্ট আহমেদ আল-শারা এক বিবৃতিতে ইসরায়েলের হামলাকে দেশকে অস্থিতিশীল করার অপচেষ্টা বলে মন্তব্য করেন। তিনি দ্রুজদের অধিকার ও স্বাধীনতা সুরক্ষাকে সরকারের সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার বলেও আশ্বাস দেন।
শুক্রবার, ১৮ জুলাই ২০২৫
সিরিয়ার দক্ষিণাঞ্চলের সুয়েইদা প্রদেশে সাম্প্রতিক সাম্প্রদায়িক সহিংসতায় অন্তত ৫৯৪ জন নিহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে যুক্তরাজ্যভিত্তিক পর্যবেক্ষক সংস্থা ‘সিরিয়ান অবজারভেটরি ফর হিউম্যান রাইটস’ (এসওএইচআর)। রোববার থেকে ছড়িয়ে পড়া এই সংঘর্ষকে নজিরবিহীন বর্বরতা হিসেবে বর্ণনা করেছে সংস্থাটি।
এসওএইচআরের তথ্য অনুযায়ী, নিহতদের মধ্যে সংখ্যালঘু দ্রুজ সম্প্রদায়ের ৩০০ জন রয়েছেন—যার মধ্যে ১৪৫ জন যোদ্ধা ও বাকিরা বেসামরিক নাগরিক। এদের মধ্যে ৮৩ জনকে সিরিয়ার সরকারি বাহিনী ‘নির্বিচারে হত্যা’ করেছে বলে অভিযোগ করা হয়েছে। সংঘর্ষে সিরিয়ার সরকারি বাহিনীর ২৫৭ জন এবং ১৮ বেদুইন যোদ্ধাও নিহত হয়েছেন। এছাড়া তিন বেসামরিক বেদুইনকেও দ্রুজ যোদ্ধারা হত্যা করেছেন।
এই সংঘর্ষের সূচনা হয়েছে বেদুইন ও দ্রুজ সম্প্রদায়ের মধ্যে বিরোধ থেকে। পরিস্থিতি আরও জটিল হয় যখন ইসরায়েল সিরিয়ার সরকারি বাহিনীর বিরুদ্ধে বিমান হামলা চালায়। ওই হামলায় সরকারি বাহিনীর ১৫ সদস্য নিহত হন। ইসরায়েল জানায়, তারা সুয়েইদা থেকে সরকারি বাহিনীকে সরিয়ে দিতে ও দ্রুজদের রক্ষায় এই হামলা চালিয়েছে।
এসওএইচআরের নিহতের সংখ্যা তাৎক্ষণিকভাবে যাচাই করতে না পারলেও সিরিয়ার নিরাপত্তা সূত্র নিহতের সংখ্যা ৩০০ বলে জানিয়েছে। অপরদিকে, আরেক পর্যবেক্ষক সংস্থা ‘সিরিয়ান নেটওয়ার্ক ফর হিউম্যান রাইটস’ ১৬৯ জন বেসামরিক নিহতের তথ্য নথিভুক্ত করেছে।
বৃহস্পতিবার সুয়েইদা শহর থেকে সেনা প্রত্যাহার করে নেওয়ার আগে সিরিয়ার সরকার একতরফা যুদ্ধবিরতির ঘোষণা দেয়। কিন্তু দ্রুজ নেতা শেখ হিকমত আল-হাজরি ওই যুদ্ধবিরতি প্রত্যাখ্যান করে বলেন, “প্রদেশ সম্পূর্ণ মুক্ত না হওয়া পর্যন্ত লড়াই চলবে।” এই নেতা সরকারি বাহিনীর বিরুদ্ধে লড়াইয়ে নেতৃত্ব দিয়েছেন এবং ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক গড়ার পক্ষেও মত দিয়েছেন। তবে দ্রুজদের অপর অংশ সিরিয়ার বর্তমান ক্ষমতাসীনদের সঙ্গে থাকার পক্ষে।
এই সহিংসতার মধ্যে ইসরায়েলের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে। ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু বলেছেন, “আমরা সিরিয়ার সেনাবাহিনীকে দক্ষিণাঞ্চলে প্রবেশ করতে দেবো না এবং দ্রুজদের ক্ষতিগ্রস্ত হতে দেবো না।” তিনি সিরিয়ায় স্বার্থ রক্ষায় বলপ্রয়োগ অব্যাহত রাখার ঘোষণা দেন।
বুধবার ইসরায়েলি হামলায় দামেস্কে সিরিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় এবং প্রেসিডেন্ট প্রাসাদের আশপাশে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। অন্তর্বর্তী প্রেসিডেন্ট আহমেদ আল-শারা এক বিবৃতিতে ইসরায়েলের হামলাকে দেশকে অস্থিতিশীল করার অপচেষ্টা বলে মন্তব্য করেন। তিনি দ্রুজদের অধিকার ও স্বাধীনতা সুরক্ষাকে সরকারের সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার বলেও আশ্বাস দেন।