কাশ্মীরে ভয়াবহ জঙ্গি হামলার পর লস্কর-ই-তৈয়বার শাখা হিসেবে পরিচিত ‘দ্য রেজিস্ট্যান্স ফ্রন্ট’কে (টিআরএফ) ‘বিদেশি সন্ত্রাসী সংগঠন’ হিসেবে তালিকাভুক্ত করেছে যুক্তরাষ্ট্র। বৃহস্পতিবার এ ঘোষণা দেন দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও।
রয়টার্স জানায়, গত ২২ এপ্রিল ভারত নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরের পেহেলগামে ভয়াবহ এক হামলায় ২৬ জন নিহত হন। প্রাথমিকভাবে এর দায় স্বীকার করলেও পরে টিআরএফ তা অস্বীকার করে। এই ঘটনার পর যুক্তরাষ্ট্র ‘বিশেষভাবে মনোনীত বৈশ্বিক সন্ত্রাসী’ হিসেবেও সংগঠনটিকে তালিকাভুক্ত করে।
রুবিও বলেন, লস্কর-ই-তৈয়বারের ছদ্মবেশী সংগঠন টিআরএফ-কে নিষিদ্ধ করে যুক্তরাষ্ট্র প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্পের ‘ন্যায়বিচার চাওয়ার আহ্বানে’ সাড়া দিয়েছে।
দিল্লিভিত্তিক গবেষণা সংস্থা ‘সাউথ এশিয়া টেররিজম পোর্টাল’-এর তথ্যমতে, ২০১৯ সালে গঠিত TRF মূলত লস্কর-ই-তৈয়বারের শাখা সংগঠন হিসেবে কাজ করছে। এলইটি-কে বহু আগেই সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে তালিকাভুক্ত করেছে যুক্তরাষ্ট্র, যার বিরুদ্ধে ২০০৮ সালের মুম্বাই হামলা-সহ একাধিক প্রাণঘাতী হামলার অভিযোগ রয়েছে।
ওয়াশিংটনভিত্তিক বিশ্লেষক মাইকেল কুগেলম্যান বলেন, টিআরএফ-কে নিষিদ্ধ করার সিদ্ধান্ত কেবল ভারত-পাকিস্তান সংঘর্ষের প্রেক্ষাপটেই নয়, যুক্তরাষ্ট্র-ভারত সম্পর্ককেও সহায়তা করবে। এই পদক্ষেপ নয়াদিল্লির দৃষ্টিভঙ্গির প্রতি ওয়াশিংটনের সমর্থনের প্রতিফলন।
প্রসঙ্গত, পেহেলগাম হামলার পর ভারত-পাকিস্তান সীমান্তে উত্তেজনা চরমে পৌঁছায়। ৭ মে ভারতীয় যুদ্ধবিমান পাকিস্তান সীমান্তে ‘সন্ত্রাসী অবকাঠামো’ লক্ষ্য করে হামলা চালায়। জবাবে পাকিস্তানও পাল্টা হামলা চালায়। ১০ মে যুদ্ধবিরতি কার্যকর হয়।
ট্রাম্প দাবি করেন, তার মধ্যস্থতায় যুদ্ধবিরতি হয়েছে। তবে ভারত তা প্রত্যাখ্যান করে জানায়, দুই দেশ নিজেদের উদ্যোগেই এই সিদ্ধান্ত নেয়।
কাশ্মীরকে কেন্দ্র করে দীর্ঘদিন ধরে ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে উত্তেজনা চলমান। দুই দেশই কাশ্মীরকে নিজেদের অন্তর্ভুক্ত দাবি করে এবং এ নিয়ে তারা একাধিকবার যুদ্ধে জড়িয়েছে। মার্কিন নীতিনির্ধারকদের মতে, চীনের প্রভাব মোকাবেলায় ভারতকে পাশে পেতে এই অঞ্চলে ওয়াশিংটনের কূটনৈতিক অবস্থান আরও গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠছে।
শুক্রবার, ১৮ জুলাই ২০২৫
কাশ্মীরে ভয়াবহ জঙ্গি হামলার পর লস্কর-ই-তৈয়বার শাখা হিসেবে পরিচিত ‘দ্য রেজিস্ট্যান্স ফ্রন্ট’কে (টিআরএফ) ‘বিদেশি সন্ত্রাসী সংগঠন’ হিসেবে তালিকাভুক্ত করেছে যুক্তরাষ্ট্র। বৃহস্পতিবার এ ঘোষণা দেন দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও।
রয়টার্স জানায়, গত ২২ এপ্রিল ভারত নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরের পেহেলগামে ভয়াবহ এক হামলায় ২৬ জন নিহত হন। প্রাথমিকভাবে এর দায় স্বীকার করলেও পরে টিআরএফ তা অস্বীকার করে। এই ঘটনার পর যুক্তরাষ্ট্র ‘বিশেষভাবে মনোনীত বৈশ্বিক সন্ত্রাসী’ হিসেবেও সংগঠনটিকে তালিকাভুক্ত করে।
রুবিও বলেন, লস্কর-ই-তৈয়বারের ছদ্মবেশী সংগঠন টিআরএফ-কে নিষিদ্ধ করে যুক্তরাষ্ট্র প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্পের ‘ন্যায়বিচার চাওয়ার আহ্বানে’ সাড়া দিয়েছে।
দিল্লিভিত্তিক গবেষণা সংস্থা ‘সাউথ এশিয়া টেররিজম পোর্টাল’-এর তথ্যমতে, ২০১৯ সালে গঠিত TRF মূলত লস্কর-ই-তৈয়বারের শাখা সংগঠন হিসেবে কাজ করছে। এলইটি-কে বহু আগেই সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে তালিকাভুক্ত করেছে যুক্তরাষ্ট্র, যার বিরুদ্ধে ২০০৮ সালের মুম্বাই হামলা-সহ একাধিক প্রাণঘাতী হামলার অভিযোগ রয়েছে।
ওয়াশিংটনভিত্তিক বিশ্লেষক মাইকেল কুগেলম্যান বলেন, টিআরএফ-কে নিষিদ্ধ করার সিদ্ধান্ত কেবল ভারত-পাকিস্তান সংঘর্ষের প্রেক্ষাপটেই নয়, যুক্তরাষ্ট্র-ভারত সম্পর্ককেও সহায়তা করবে। এই পদক্ষেপ নয়াদিল্লির দৃষ্টিভঙ্গির প্রতি ওয়াশিংটনের সমর্থনের প্রতিফলন।
প্রসঙ্গত, পেহেলগাম হামলার পর ভারত-পাকিস্তান সীমান্তে উত্তেজনা চরমে পৌঁছায়। ৭ মে ভারতীয় যুদ্ধবিমান পাকিস্তান সীমান্তে ‘সন্ত্রাসী অবকাঠামো’ লক্ষ্য করে হামলা চালায়। জবাবে পাকিস্তানও পাল্টা হামলা চালায়। ১০ মে যুদ্ধবিরতি কার্যকর হয়।
ট্রাম্প দাবি করেন, তার মধ্যস্থতায় যুদ্ধবিরতি হয়েছে। তবে ভারত তা প্রত্যাখ্যান করে জানায়, দুই দেশ নিজেদের উদ্যোগেই এই সিদ্ধান্ত নেয়।
কাশ্মীরকে কেন্দ্র করে দীর্ঘদিন ধরে ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে উত্তেজনা চলমান। দুই দেশই কাশ্মীরকে নিজেদের অন্তর্ভুক্ত দাবি করে এবং এ নিয়ে তারা একাধিকবার যুদ্ধে জড়িয়েছে। মার্কিন নীতিনির্ধারকদের মতে, চীনের প্রভাব মোকাবেলায় ভারতকে পাশে পেতে এই অঞ্চলে ওয়াশিংটনের কূটনৈতিক অবস্থান আরও গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠছে।