alt

আন্তর্জাতিক

মুম্বাইয়ে ট্রেন বিস্ফোরণ মামলা: ১৯ বছর পর সাজাপ্রাপ্ত সবাই খালাস

বিদেশী সংবাদ মাধ্যম : সোমবার, ২১ জুলাই ২০২৫

ভারতের মুম্বাইয়ে লোকাল ট্রেনে ধারাবাহিক বিস্ফোরণ মামলায় বেকসুর খালাস পেলেন নিম্ন আদালতে দোষী সাব্যস্ত সবাই। প্রায় ১৯ বছর পর সোমবার বম্বে হাইকোর্ট সেই রায় খারিজ করে দোষী সাব্যস্ত ১২ জনকেই মুক্তির নির্দেশ দিয়েছেন। ওই ১২ জনের মধ্যে পাঁচজনকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়েছিল, বাকিদের যাবজ্জীবন।

২০০৬ সালের ১১ জুলাই পাঁচ মিনিটের ব্যবধানে ঘটে যাওয়া একের পর এক ট্রেন বিস্ফোরণে ১৮৯ জন নিহত হয়েছিলেন। আহত হয়েছিলেন ৮২৪ জন। ওই ঘটনায় নিম্ন আদালত ২০১৫ সালে ১২ জনকে দোষী সাব্যস্ত করেছিলেন। নিম্ন আদালত ফয়জল শেখ, কমল আনসারি, আসিফ খান, এথসাম সিদ্দিকি ও নাভেদ খানকে মৃত্যুদণ্ডে দণ্ডিত করেছিলেন। বাকিদের বিস্ফোরণের ষড়যন্ত্রে জড়িত থাকার অপরাধে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছিল।

মহারাষ্ট্র রাজ্য সরকার মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করার আবেদন জানিয়েছিল হাইকোর্টে। সেটা ছিল ২০১৫ সাল। দোষী সাব্যস্ত ব্যক্তিরা আরজি জানিয়েছিলেন রায়ের বিরুদ্ধে। দীর্ঘদিন নিষ্পত্তি না হওয়া সেই আবেদনের দ্রুত নিষ্পত্তিতে ২০২৪ সালে হাইকোর্ট বিচারপতি অনিল কিলোর ও বিচারপতি শ্যাম চন্দককে নিয়ে এক বিশেষ বেঞ্চ গঠন করেন। ছয় মাস ধরে লাগাতার ৭৫টি শুনানি শেষে বিচারপতিরা যথোপযুক্ত প্রমাণের অভাবে সবাইকে বেকসুর খালাসের নির্দেশ দেন।

বিচারপতিরা বলেন, অন্য কোনো মামলায় প্রয়োজন না থাকলে সবাইকে ২৫ হাজার রুপির ব্যক্তিগত বন্ডে মুক্তি দেওয়া হোক। অভিযুক্ত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে অকাট্যভাবে কোনো কিছু প্রমাণ করা যায়নি।

মামলাকারীরা অভিযোগ প্রমাণে পুরোপুরি ব্যর্থ হয়েছেন।

মুম্বাই শহরতলি ট্রেনের সাতটি শাখায় ২০০৬ সালের ১১ জুলাই একের পর এক বিস্ফোরণ হয়েছিল। সন্ধ্যাবেলায় প্রতিটি ট্রেনই ছিল অফিসফেরত যাত্রীর ভিড়ে ঠাসা। তদন্তে নেমে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল ১৩ জনকে। আরও ১৫ জনের বিরুদ্ধে তল্লাশি চালানো হয়েছিল, যাঁদের মধ্যে কয়েকজন পাকিস্তানি নাগরিক ছিলেন বলে তদন্তকারী দলের কর্তারা জানিয়েছিলেন।

গ্রেপ্তার হওয়া ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে ওই বছরের নভেম্বরে সন্ত্রাসবাদ দমন বাহিনী মহারাষ্ট্র সংগঠিত অপরাধ দমন আইন ও ইউএপিএ আইনের বিভিন্ন ধারায় চার্জ গঠন করেছিল। ২০১৫ সালে নিম্ন আদালত ১২ জনকে দোষী সাব্যস্ত করে রায় দেন। অভিযোগ থেকে খালাস পেয়েছিলেন মাত্র একজন, আবদুল ওয়াহিদ উদ্দিন মুহাম্মদ শেখ।

লোকাল ট্রেনের সাতটি শাখায় সাতটি প্রথম শ্রেণির কামরায় বিস্ফোরণগুলো ঘটেছিল। বিস্ফোরণের তীব্রতায় মাহিম ও বোরিভিলি স্টেশনে অপেক্ষমাণ যাত্রীরাও হতাহত হন। পাশের লাইনে অন্য ট্রেনের কামরাও ক্ষতিগ্রস্ত হয়। তদন্তকারী দলের অভিযোগ, ওই নাশকতার উদ্দেশ্য ছিল ভারত রাষ্ট্রের বিরুদ্ধাচরণ ও সমাজে আতঙ্ক সৃষ্টি করা। ১৯ বছর ধরে ধৃত ব্যক্তিদের রাজ্যের বিভিন্ন জেলে বন্দী রাখা হয়েছিল।

মামলায় ২৫০ জন প্রত্যক্ষদর্শীর সাক্ষ্য নেওয়া হয়েছিল। রায় ছিল মোট দুই হাজার পৃষ্ঠার। প্রত্যেকেই বিস্ফোরক রাখা এবং সেই ষড়যন্ত্রের সঙ্গে জড়িত থাকার অপরাধে আদালতে দোষী সাব্যস্ত হয়েছিলেন।

বুধবার তুরস্কে শান্তি আলোচনায় বসবে ইউক্রেন ও রাশিয়া : জেলেনস্কি

ছবি

গাজায় ‘এখনই যুদ্ধ থামাতে’ যুক্তরাজ্য ও ফ্রান্সসহ ২৮ দেশের আহ্বান

নির্বাচনে হেরেও ক্ষমতা ছাড়তে নারাজ জাপানের প্রধানমন্ত্রী

স্থল ও আকাশপথে আবারও হামলা শুরু করেছে ইসরায়েল

ছবি

পরমাণু কর্মসূচি নিয়ে যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স ও জার্মানির সঙ্গে আলোচনায় বসবে ইরান

ছবি

নারী-পুরুষকে গুলি করে হত্যার ঘটনায় গ্রেপ্তার ১১

গাজায় ত্রাণপ্রত্যাশী ৯৩ জনকে গুলি করে হত্যা, যুদ্ধের নৃশংসতার নিন্দা জানালেন পোপ

ছবি

ইসরায়েলি হামলার ধাক্কা সামলে আকাশ প্রতিরক্ষা মজবুত করল তেহরান

রাশিয়াকে নতুন করে শান্তি আলোচনার প্রস্তাব জেলেনস্কির

ছবি

যুদ্ধবিরতি সত্ত্বেও সিরিয়ায় ছড়িয়ে পড়ছে সাম্প্রদায়িক সহিংসতা

ফের উত্তালের শঙ্কায় পাকিস্তান, বিক্ষোভে যোগ দিচ্ছেন ইমরান খানের ছেলেরা

ছবি

২৫ বছরে আরও ৪ কোটি ১০ লাখ মানুষ দরিদ্র হবে: বিশ্বব্যাংক

গাজায় এক দিনে আরও শতাধিক ফিলিস্তিনিকে হত্যা করেছে ইসরায়েল

ছবি

ইসরায়েল কি আন্তর্জাতিকভাবে একঘরে হওয়ার পথে

ছবি

তিব্বতে ব্রহ্মপুত্রে চীনের বৃহত্তম বাঁধ নির্মাণ শুরু

ছবি

পাকিস্তানে আগাম বর্ষায় ভয়াবহ দুর্যোগ: মৃতের সংখ্যা বেড়ে ১৮০

ছবি

ভিয়েতনামে হা লং উপসাগরে নৌকাডুবি: ৩৭ পর্যটকের মৃত্যু

ছবি

যুদ্ধবিরতিতে সম্মত সিরিয়া-ইসরায়েল

যুক্তরাষ্ট্রের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান, অস্ত্র ছাড়ছে না হিজবুল্লাহ

ছবি

ভিসা সংকটে যুক্তরাষ্ট্রে ভারতীয় শিক্ষার্থীর সংখ্যা ৭০-৮০ শতাংশ কমেছে

আমার কিছু হলে দায়ী থাকবেন মুনির : ইমরান

ছবি

যুদ্ধবিরতি প্রত্যাখ্যান ইসরায়েলের, লড়াই চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা হামাসের

ছবি

“ভুয়া” প্রতিবেদন নিয়ে ক্ষুব্ধ ট্রাম্প, রুপার্ট মারডকের কোম্পানির বিরুদ্ধে মামলা

ছবি

আইসিসি নিয়ে ট্রাম্পের নির্বাহী আদেশের কার্যকারিতা স্থগিত করলেন মার্কিন বিচারক

ছবি

কাশ্মীর সংঘাতে ভারত-পাকিস্তানের পাঁচ যুদ্ধবিমান ভূপাতিত হয়েছিল: ট্রাম্প

আফগানদের তথ্যের সঙ্গে বেহাত হয়েছে ব্রিটিশ গুপ্তচরদের তথ্যও

ছবি

দিল্লির ২০টির বেশি স্কুলে বোমা হামলার হুমকি, আতঙ্কে শিক্ষার্থী-অভিভাবকরা

দক্ষিণ সিরিয়ায় সাম্প্রতিক সহিংসতায় নিহত প্রায় ৬০০

ছবি

পরিকল্পিতভাবে গাজার সব ভবন ধ্বংস করে দিচ্ছে ইসরায়েল

তৃণমূলের দুঃশাসনে ভুগছে পশ্চিমবঙ্গ : মোদি

ছবি

ইউরোপের অস্ত্রে গাজায় শিশু হত্যা

কাশ্মীরে হামলা: লস্কর-ই-তৈয়বার শাখা টিআরএফকে ‘সন্ত্রাসী সংগঠন’ ঘোষণা যুক্তরাষ্ট্রের

ছবি

অতিরিক্ত হ্যান্ডশেক থেকে ট্রাম্পের হাতে দাগ, জানাল হোয়াইট হাউজ

ছবি

দক্ষিণ সিরিয়ায় সাম্প্রতিক সহিংসতায় নিহত প্রায় ৬০০: এসওএইচআর

ছবি

জ্বালানি সরবরাহ বন্ধ করাই এয়ার ইন্ডিয়া দুর্ঘটনার কারণ: তদন্ত

নতুন হামলার জবাব দিতে প্রস্তুত ইরান, খামেনির হুঁশিয়ারি

tab

আন্তর্জাতিক

মুম্বাইয়ে ট্রেন বিস্ফোরণ মামলা: ১৯ বছর পর সাজাপ্রাপ্ত সবাই খালাস

বিদেশী সংবাদ মাধ্যম

সোমবার, ২১ জুলাই ২০২৫

ভারতের মুম্বাইয়ে লোকাল ট্রেনে ধারাবাহিক বিস্ফোরণ মামলায় বেকসুর খালাস পেলেন নিম্ন আদালতে দোষী সাব্যস্ত সবাই। প্রায় ১৯ বছর পর সোমবার বম্বে হাইকোর্ট সেই রায় খারিজ করে দোষী সাব্যস্ত ১২ জনকেই মুক্তির নির্দেশ দিয়েছেন। ওই ১২ জনের মধ্যে পাঁচজনকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়েছিল, বাকিদের যাবজ্জীবন।

২০০৬ সালের ১১ জুলাই পাঁচ মিনিটের ব্যবধানে ঘটে যাওয়া একের পর এক ট্রেন বিস্ফোরণে ১৮৯ জন নিহত হয়েছিলেন। আহত হয়েছিলেন ৮২৪ জন। ওই ঘটনায় নিম্ন আদালত ২০১৫ সালে ১২ জনকে দোষী সাব্যস্ত করেছিলেন। নিম্ন আদালত ফয়জল শেখ, কমল আনসারি, আসিফ খান, এথসাম সিদ্দিকি ও নাভেদ খানকে মৃত্যুদণ্ডে দণ্ডিত করেছিলেন। বাকিদের বিস্ফোরণের ষড়যন্ত্রে জড়িত থাকার অপরাধে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছিল।

মহারাষ্ট্র রাজ্য সরকার মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করার আবেদন জানিয়েছিল হাইকোর্টে। সেটা ছিল ২০১৫ সাল। দোষী সাব্যস্ত ব্যক্তিরা আরজি জানিয়েছিলেন রায়ের বিরুদ্ধে। দীর্ঘদিন নিষ্পত্তি না হওয়া সেই আবেদনের দ্রুত নিষ্পত্তিতে ২০২৪ সালে হাইকোর্ট বিচারপতি অনিল কিলোর ও বিচারপতি শ্যাম চন্দককে নিয়ে এক বিশেষ বেঞ্চ গঠন করেন। ছয় মাস ধরে লাগাতার ৭৫টি শুনানি শেষে বিচারপতিরা যথোপযুক্ত প্রমাণের অভাবে সবাইকে বেকসুর খালাসের নির্দেশ দেন।

বিচারপতিরা বলেন, অন্য কোনো মামলায় প্রয়োজন না থাকলে সবাইকে ২৫ হাজার রুপির ব্যক্তিগত বন্ডে মুক্তি দেওয়া হোক। অভিযুক্ত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে অকাট্যভাবে কোনো কিছু প্রমাণ করা যায়নি।

মামলাকারীরা অভিযোগ প্রমাণে পুরোপুরি ব্যর্থ হয়েছেন।

মুম্বাই শহরতলি ট্রেনের সাতটি শাখায় ২০০৬ সালের ১১ জুলাই একের পর এক বিস্ফোরণ হয়েছিল। সন্ধ্যাবেলায় প্রতিটি ট্রেনই ছিল অফিসফেরত যাত্রীর ভিড়ে ঠাসা। তদন্তে নেমে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল ১৩ জনকে। আরও ১৫ জনের বিরুদ্ধে তল্লাশি চালানো হয়েছিল, যাঁদের মধ্যে কয়েকজন পাকিস্তানি নাগরিক ছিলেন বলে তদন্তকারী দলের কর্তারা জানিয়েছিলেন।

গ্রেপ্তার হওয়া ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে ওই বছরের নভেম্বরে সন্ত্রাসবাদ দমন বাহিনী মহারাষ্ট্র সংগঠিত অপরাধ দমন আইন ও ইউএপিএ আইনের বিভিন্ন ধারায় চার্জ গঠন করেছিল। ২০১৫ সালে নিম্ন আদালত ১২ জনকে দোষী সাব্যস্ত করে রায় দেন। অভিযোগ থেকে খালাস পেয়েছিলেন মাত্র একজন, আবদুল ওয়াহিদ উদ্দিন মুহাম্মদ শেখ।

লোকাল ট্রেনের সাতটি শাখায় সাতটি প্রথম শ্রেণির কামরায় বিস্ফোরণগুলো ঘটেছিল। বিস্ফোরণের তীব্রতায় মাহিম ও বোরিভিলি স্টেশনে অপেক্ষমাণ যাত্রীরাও হতাহত হন। পাশের লাইনে অন্য ট্রেনের কামরাও ক্ষতিগ্রস্ত হয়। তদন্তকারী দলের অভিযোগ, ওই নাশকতার উদ্দেশ্য ছিল ভারত রাষ্ট্রের বিরুদ্ধাচরণ ও সমাজে আতঙ্ক সৃষ্টি করা। ১৯ বছর ধরে ধৃত ব্যক্তিদের রাজ্যের বিভিন্ন জেলে বন্দী রাখা হয়েছিল।

মামলায় ২৫০ জন প্রত্যক্ষদর্শীর সাক্ষ্য নেওয়া হয়েছিল। রায় ছিল মোট দুই হাজার পৃষ্ঠার। প্রত্যেকেই বিস্ফোরক রাখা এবং সেই ষড়যন্ত্রের সঙ্গে জড়িত থাকার অপরাধে আদালতে দোষী সাব্যস্ত হয়েছিলেন।

back to top