ভারতের মুম্বাইয়ে লোকাল ট্রেনে ধারাবাহিক বিস্ফোরণ মামলায় বেকসুর খালাস পেলেন নিম্ন আদালতে দোষী সাব্যস্ত সবাই। প্রায় ১৯ বছর পর সোমবার বম্বে হাইকোর্ট সেই রায় খারিজ করে দোষী সাব্যস্ত ১২ জনকেই মুক্তির নির্দেশ দিয়েছেন। ওই ১২ জনের মধ্যে পাঁচজনকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়েছিল, বাকিদের যাবজ্জীবন।
২০০৬ সালের ১১ জুলাই পাঁচ মিনিটের ব্যবধানে ঘটে যাওয়া একের পর এক ট্রেন বিস্ফোরণে ১৮৯ জন নিহত হয়েছিলেন। আহত হয়েছিলেন ৮২৪ জন। ওই ঘটনায় নিম্ন আদালত ২০১৫ সালে ১২ জনকে দোষী সাব্যস্ত করেছিলেন। নিম্ন আদালত ফয়জল শেখ, কমল আনসারি, আসিফ খান, এথসাম সিদ্দিকি ও নাভেদ খানকে মৃত্যুদণ্ডে দণ্ডিত করেছিলেন। বাকিদের বিস্ফোরণের ষড়যন্ত্রে জড়িত থাকার অপরাধে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছিল।
মহারাষ্ট্র রাজ্য সরকার মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করার আবেদন জানিয়েছিল হাইকোর্টে। সেটা ছিল ২০১৫ সাল। দোষী সাব্যস্ত ব্যক্তিরা আরজি জানিয়েছিলেন রায়ের বিরুদ্ধে। দীর্ঘদিন নিষ্পত্তি না হওয়া সেই আবেদনের দ্রুত নিষ্পত্তিতে ২০২৪ সালে হাইকোর্ট বিচারপতি অনিল কিলোর ও বিচারপতি শ্যাম চন্দককে নিয়ে এক বিশেষ বেঞ্চ গঠন করেন। ছয় মাস ধরে লাগাতার ৭৫টি শুনানি শেষে বিচারপতিরা যথোপযুক্ত প্রমাণের অভাবে সবাইকে বেকসুর খালাসের নির্দেশ দেন।
বিচারপতিরা বলেন, অন্য কোনো মামলায় প্রয়োজন না থাকলে সবাইকে ২৫ হাজার রুপির ব্যক্তিগত বন্ডে মুক্তি দেওয়া হোক। অভিযুক্ত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে অকাট্যভাবে কোনো কিছু প্রমাণ করা যায়নি।
মামলাকারীরা অভিযোগ প্রমাণে পুরোপুরি ব্যর্থ হয়েছেন।
মুম্বাই শহরতলি ট্রেনের সাতটি শাখায় ২০০৬ সালের ১১ জুলাই একের পর এক বিস্ফোরণ হয়েছিল। সন্ধ্যাবেলায় প্রতিটি ট্রেনই ছিল অফিসফেরত যাত্রীর ভিড়ে ঠাসা। তদন্তে নেমে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল ১৩ জনকে। আরও ১৫ জনের বিরুদ্ধে তল্লাশি চালানো হয়েছিল, যাঁদের মধ্যে কয়েকজন পাকিস্তানি নাগরিক ছিলেন বলে তদন্তকারী দলের কর্তারা জানিয়েছিলেন।
গ্রেপ্তার হওয়া ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে ওই বছরের নভেম্বরে সন্ত্রাসবাদ দমন বাহিনী মহারাষ্ট্র সংগঠিত অপরাধ দমন আইন ও ইউএপিএ আইনের বিভিন্ন ধারায় চার্জ গঠন করেছিল। ২০১৫ সালে নিম্ন আদালত ১২ জনকে দোষী সাব্যস্ত করে রায় দেন। অভিযোগ থেকে খালাস পেয়েছিলেন মাত্র একজন, আবদুল ওয়াহিদ উদ্দিন মুহাম্মদ শেখ।
লোকাল ট্রেনের সাতটি শাখায় সাতটি প্রথম শ্রেণির কামরায় বিস্ফোরণগুলো ঘটেছিল। বিস্ফোরণের তীব্রতায় মাহিম ও বোরিভিলি স্টেশনে অপেক্ষমাণ যাত্রীরাও হতাহত হন। পাশের লাইনে অন্য ট্রেনের কামরাও ক্ষতিগ্রস্ত হয়। তদন্তকারী দলের অভিযোগ, ওই নাশকতার উদ্দেশ্য ছিল ভারত রাষ্ট্রের বিরুদ্ধাচরণ ও সমাজে আতঙ্ক সৃষ্টি করা। ১৯ বছর ধরে ধৃত ব্যক্তিদের রাজ্যের বিভিন্ন জেলে বন্দী রাখা হয়েছিল।
মামলায় ২৫০ জন প্রত্যক্ষদর্শীর সাক্ষ্য নেওয়া হয়েছিল। রায় ছিল মোট দুই হাজার পৃষ্ঠার। প্রত্যেকেই বিস্ফোরক রাখা এবং সেই ষড়যন্ত্রের সঙ্গে জড়িত থাকার অপরাধে আদালতে দোষী সাব্যস্ত হয়েছিলেন।
সোমবার, ২১ জুলাই ২০২৫
ভারতের মুম্বাইয়ে লোকাল ট্রেনে ধারাবাহিক বিস্ফোরণ মামলায় বেকসুর খালাস পেলেন নিম্ন আদালতে দোষী সাব্যস্ত সবাই। প্রায় ১৯ বছর পর সোমবার বম্বে হাইকোর্ট সেই রায় খারিজ করে দোষী সাব্যস্ত ১২ জনকেই মুক্তির নির্দেশ দিয়েছেন। ওই ১২ জনের মধ্যে পাঁচজনকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়েছিল, বাকিদের যাবজ্জীবন।
২০০৬ সালের ১১ জুলাই পাঁচ মিনিটের ব্যবধানে ঘটে যাওয়া একের পর এক ট্রেন বিস্ফোরণে ১৮৯ জন নিহত হয়েছিলেন। আহত হয়েছিলেন ৮২৪ জন। ওই ঘটনায় নিম্ন আদালত ২০১৫ সালে ১২ জনকে দোষী সাব্যস্ত করেছিলেন। নিম্ন আদালত ফয়জল শেখ, কমল আনসারি, আসিফ খান, এথসাম সিদ্দিকি ও নাভেদ খানকে মৃত্যুদণ্ডে দণ্ডিত করেছিলেন। বাকিদের বিস্ফোরণের ষড়যন্ত্রে জড়িত থাকার অপরাধে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছিল।
মহারাষ্ট্র রাজ্য সরকার মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করার আবেদন জানিয়েছিল হাইকোর্টে। সেটা ছিল ২০১৫ সাল। দোষী সাব্যস্ত ব্যক্তিরা আরজি জানিয়েছিলেন রায়ের বিরুদ্ধে। দীর্ঘদিন নিষ্পত্তি না হওয়া সেই আবেদনের দ্রুত নিষ্পত্তিতে ২০২৪ সালে হাইকোর্ট বিচারপতি অনিল কিলোর ও বিচারপতি শ্যাম চন্দককে নিয়ে এক বিশেষ বেঞ্চ গঠন করেন। ছয় মাস ধরে লাগাতার ৭৫টি শুনানি শেষে বিচারপতিরা যথোপযুক্ত প্রমাণের অভাবে সবাইকে বেকসুর খালাসের নির্দেশ দেন।
বিচারপতিরা বলেন, অন্য কোনো মামলায় প্রয়োজন না থাকলে সবাইকে ২৫ হাজার রুপির ব্যক্তিগত বন্ডে মুক্তি দেওয়া হোক। অভিযুক্ত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে অকাট্যভাবে কোনো কিছু প্রমাণ করা যায়নি।
মামলাকারীরা অভিযোগ প্রমাণে পুরোপুরি ব্যর্থ হয়েছেন।
মুম্বাই শহরতলি ট্রেনের সাতটি শাখায় ২০০৬ সালের ১১ জুলাই একের পর এক বিস্ফোরণ হয়েছিল। সন্ধ্যাবেলায় প্রতিটি ট্রেনই ছিল অফিসফেরত যাত্রীর ভিড়ে ঠাসা। তদন্তে নেমে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল ১৩ জনকে। আরও ১৫ জনের বিরুদ্ধে তল্লাশি চালানো হয়েছিল, যাঁদের মধ্যে কয়েকজন পাকিস্তানি নাগরিক ছিলেন বলে তদন্তকারী দলের কর্তারা জানিয়েছিলেন।
গ্রেপ্তার হওয়া ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে ওই বছরের নভেম্বরে সন্ত্রাসবাদ দমন বাহিনী মহারাষ্ট্র সংগঠিত অপরাধ দমন আইন ও ইউএপিএ আইনের বিভিন্ন ধারায় চার্জ গঠন করেছিল। ২০১৫ সালে নিম্ন আদালত ১২ জনকে দোষী সাব্যস্ত করে রায় দেন। অভিযোগ থেকে খালাস পেয়েছিলেন মাত্র একজন, আবদুল ওয়াহিদ উদ্দিন মুহাম্মদ শেখ।
লোকাল ট্রেনের সাতটি শাখায় সাতটি প্রথম শ্রেণির কামরায় বিস্ফোরণগুলো ঘটেছিল। বিস্ফোরণের তীব্রতায় মাহিম ও বোরিভিলি স্টেশনে অপেক্ষমাণ যাত্রীরাও হতাহত হন। পাশের লাইনে অন্য ট্রেনের কামরাও ক্ষতিগ্রস্ত হয়। তদন্তকারী দলের অভিযোগ, ওই নাশকতার উদ্দেশ্য ছিল ভারত রাষ্ট্রের বিরুদ্ধাচরণ ও সমাজে আতঙ্ক সৃষ্টি করা। ১৯ বছর ধরে ধৃত ব্যক্তিদের রাজ্যের বিভিন্ন জেলে বন্দী রাখা হয়েছিল।
মামলায় ২৫০ জন প্রত্যক্ষদর্শীর সাক্ষ্য নেওয়া হয়েছিল। রায় ছিল মোট দুই হাজার পৃষ্ঠার। প্রত্যেকেই বিস্ফোরক রাখা এবং সেই ষড়যন্ত্রের সঙ্গে জড়িত থাকার অপরাধে আদালতে দোষী সাব্যস্ত হয়েছিলেন।