চালিয়েছে। সোমবারের এই হামলার পর নতুন করে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়েছে মধ্যপ্রাচ্যে। ইসরায়েলি প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইসরায়েল কাৎজ হুঁশিয়ারি দিয়েছেন, ‘ইয়েমেনের পরিণতিও হবে ইরানের মতো’। ফরাসি বার্তা সংস্থা এএফপি এ খবর জানিয়েছে। গত এক বছর ধরে হুথি বিদ্রোহীদের বিরুদ্ধে ইসরায়েল হামলা চালালেও সম্প্রতি হুথিদের অবকাঠামো পুনর্গঠনের প্রচেষ্টাকে ঠেকাতে নতুন করে এই হামলা শুরু হয়েছে বলে দাবি করেছে তেল আবিব। ইসরায়েলি প্রতিরক্ষামন্ত্রী কাৎজ বলেছেন, আমরা হুথি সন্ত্রাসী শাসকের ঘাঁটিতে হামলা করেছি। আগে ধ্বংস হওয়া অবকাঠামো যাতে পুনর্গঠিত না হয়, সেটিই ছিল আমাদের লক্ষ্য। হুথি গোষ্ঠীর আল-মাসিরাহ টিভি জানায়, হুদাইদা বন্দরে একাধিক ইসরায়েলি বিমান হামলা হয়েছে। হামলায় বন্দরের জেটি ধ্বংস হয়ে গেছে বলে জানিয়েছেন হুথি-সংযুক্ত এক নিরাপত্তা কর্মকর্তা। পরিচয় গোপন রাখার শর্তে তিনি এএফপিকে বলেছেন, এর আগে জুলাই মাসের ৭ তারিখে যে জেটি ধ্বংস হয় সেটি নতুন করে নির্মাণ করা হচ্ছিল।
বন্দরের একজন কর্মী বলেছেন, যেসব ভারী নির্মাণযন্ত্র আনা হয়েছিল মেরামতের কাজে, সেগুলোই মূলত হামলার লক্ষ্য ছিল। বন্দরের চারপাশ এবং মাছ ধরার নৌকাও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
ইসরায়েলি সেনাবাহিনী এক বিবৃতিতে বলেছে, তারা হুথিদের জ্বালানি ট্যাংক, নৌযান এবং সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে ব্যবহৃত ইরান-সমর্থিত সামরিক স্থাপনা ধ্বংস করেছে। তেল আবিবের দাবি, হুদাইদা বন্দর ব্যবহার করে ইরান থেকে অস্ত্র সরবরাহ করা হচ্ছিলো হুথিদের হাতে। গত বছর নভেম্বর থেকে হুথিরা ইসরায়েলের বিরুদ্ধে লোহিত সাগরে এবং এডেন উপসাগরে ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলা শুরু করে। তারা দাবি করে আসছে, গাজায় ইসরায়েলি আগ্রাসনের বিরুদ্ধে সংহতি প্রকাশেই তারা এই পদক্ষেপ নিয়েছে।
এদিকে উপসাগরীয় অঞ্চলের এক কর্মকর্তা এএফপিকে বলেছেন, রিয়াদে আশঙ্কা করা হচ্ছে, হুথিদের বিরুদ্ধে ইসরায়েলের হামলা বড় পরিসরে ছড়িয়ে পড়তে পারে এবং বিদ্রোহীদের নেতৃত্ব উৎখাতের উদ্দেশ্যে অভিযান শুরু হতে পারে।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে তিনি আরও বলেছেন, যদি এমন হয়, তবে গোটা অঞ্চলই বিশৃঙ্খলায় পড়ে যাবে।
হুথিরা এর আগে এক দশকেরও বেশি সময় ধরে সৌদি নেতৃত্বাধীন জোটের সঙ্গে যুদ্ধ করেও টিকে ছিল। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে সেই সংঘাত কমলেও এখন আবার নতুন করে উত্তেজনা শুরু হয়েছে। গত ১৩ জুন ইসরায়েল ইরানের বেশ কিছু সামরিক ও পারমাণবিক স্থাপনায় আকস্মিক হামলা চালিয়েছিল। এর প্রতিক্রিয়ায় ২২ জুন যুক্তরাষ্ট্রও ইরানের ফরদো, ইস্পাহান ও নাতাঞ্জে পারমাণবিক স্থাপনায় হামলা চালায়।
এই পরিস্থিতিতে ইয়েমেনকেও ‘তেহরানের পরিণতির’ হুমকি দেওয়া কূটনৈতিকভাবে তাৎপর্যপূর্ণ এবং সংঘাতকে আরও বিস্তৃত করে তুলতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন পর্যবেক্ষকরা। হুথিদের সাম্প্রতিক হামলায় লোহিত সাগর ও আশপাশের সমুদ্রপথে বাণিজ্যিক জাহাজ চলাচল মারাত্মকভাবে বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। যদিও হুথিদের দাবি, ইসরায়েল-সংশ্লিষ্ট জাহাজগুলোই কেবল তাদের লক্ষ্য।
মঙ্গলবার, ২২ জুলাই ২০২৫
চালিয়েছে। সোমবারের এই হামলার পর নতুন করে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়েছে মধ্যপ্রাচ্যে। ইসরায়েলি প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইসরায়েল কাৎজ হুঁশিয়ারি দিয়েছেন, ‘ইয়েমেনের পরিণতিও হবে ইরানের মতো’। ফরাসি বার্তা সংস্থা এএফপি এ খবর জানিয়েছে। গত এক বছর ধরে হুথি বিদ্রোহীদের বিরুদ্ধে ইসরায়েল হামলা চালালেও সম্প্রতি হুথিদের অবকাঠামো পুনর্গঠনের প্রচেষ্টাকে ঠেকাতে নতুন করে এই হামলা শুরু হয়েছে বলে দাবি করেছে তেল আবিব। ইসরায়েলি প্রতিরক্ষামন্ত্রী কাৎজ বলেছেন, আমরা হুথি সন্ত্রাসী শাসকের ঘাঁটিতে হামলা করেছি। আগে ধ্বংস হওয়া অবকাঠামো যাতে পুনর্গঠিত না হয়, সেটিই ছিল আমাদের লক্ষ্য। হুথি গোষ্ঠীর আল-মাসিরাহ টিভি জানায়, হুদাইদা বন্দরে একাধিক ইসরায়েলি বিমান হামলা হয়েছে। হামলায় বন্দরের জেটি ধ্বংস হয়ে গেছে বলে জানিয়েছেন হুথি-সংযুক্ত এক নিরাপত্তা কর্মকর্তা। পরিচয় গোপন রাখার শর্তে তিনি এএফপিকে বলেছেন, এর আগে জুলাই মাসের ৭ তারিখে যে জেটি ধ্বংস হয় সেটি নতুন করে নির্মাণ করা হচ্ছিল।
বন্দরের একজন কর্মী বলেছেন, যেসব ভারী নির্মাণযন্ত্র আনা হয়েছিল মেরামতের কাজে, সেগুলোই মূলত হামলার লক্ষ্য ছিল। বন্দরের চারপাশ এবং মাছ ধরার নৌকাও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
ইসরায়েলি সেনাবাহিনী এক বিবৃতিতে বলেছে, তারা হুথিদের জ্বালানি ট্যাংক, নৌযান এবং সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে ব্যবহৃত ইরান-সমর্থিত সামরিক স্থাপনা ধ্বংস করেছে। তেল আবিবের দাবি, হুদাইদা বন্দর ব্যবহার করে ইরান থেকে অস্ত্র সরবরাহ করা হচ্ছিলো হুথিদের হাতে। গত বছর নভেম্বর থেকে হুথিরা ইসরায়েলের বিরুদ্ধে লোহিত সাগরে এবং এডেন উপসাগরে ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলা শুরু করে। তারা দাবি করে আসছে, গাজায় ইসরায়েলি আগ্রাসনের বিরুদ্ধে সংহতি প্রকাশেই তারা এই পদক্ষেপ নিয়েছে।
এদিকে উপসাগরীয় অঞ্চলের এক কর্মকর্তা এএফপিকে বলেছেন, রিয়াদে আশঙ্কা করা হচ্ছে, হুথিদের বিরুদ্ধে ইসরায়েলের হামলা বড় পরিসরে ছড়িয়ে পড়তে পারে এবং বিদ্রোহীদের নেতৃত্ব উৎখাতের উদ্দেশ্যে অভিযান শুরু হতে পারে।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে তিনি আরও বলেছেন, যদি এমন হয়, তবে গোটা অঞ্চলই বিশৃঙ্খলায় পড়ে যাবে।
হুথিরা এর আগে এক দশকেরও বেশি সময় ধরে সৌদি নেতৃত্বাধীন জোটের সঙ্গে যুদ্ধ করেও টিকে ছিল। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে সেই সংঘাত কমলেও এখন আবার নতুন করে উত্তেজনা শুরু হয়েছে। গত ১৩ জুন ইসরায়েল ইরানের বেশ কিছু সামরিক ও পারমাণবিক স্থাপনায় আকস্মিক হামলা চালিয়েছিল। এর প্রতিক্রিয়ায় ২২ জুন যুক্তরাষ্ট্রও ইরানের ফরদো, ইস্পাহান ও নাতাঞ্জে পারমাণবিক স্থাপনায় হামলা চালায়।
এই পরিস্থিতিতে ইয়েমেনকেও ‘তেহরানের পরিণতির’ হুমকি দেওয়া কূটনৈতিকভাবে তাৎপর্যপূর্ণ এবং সংঘাতকে আরও বিস্তৃত করে তুলতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন পর্যবেক্ষকরা। হুথিদের সাম্প্রতিক হামলায় লোহিত সাগর ও আশপাশের সমুদ্রপথে বাণিজ্যিক জাহাজ চলাচল মারাত্মকভাবে বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। যদিও হুথিদের দাবি, ইসরায়েল-সংশ্লিষ্ট জাহাজগুলোই কেবল তাদের লক্ষ্য।