হঠাৎ করেই বৈদেশিক সহায়তা বন্ধ করে দিয়েছে ডনাল্ড ট্রাম্প প্রশাসন। এতে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে থমকে গেছে পানি ও স্যানিটেশন প্রকল্প। ফলে এখন নতুন করে ঝুঁকিতে পড়েছে লাখ লাখ মানুষের জীবন। বার্তা সংস্থা রয়টার্সের এক অনুসন্ধানে জানা গেছে, অর্থের অভাবে আফ্রিকা ও এশিয়ার অন্তত ২১টি অর্ধসমাপ্ত প্রকল্পে কাজ বন্ধ হয়ে গেছে।
জানুয়ারি থেকে শত শত কোটি ডলারের বরাদ্দ বাতিল করেছে ট্রাম্প প্রশাসন। এতে পাওনা না পেয়ে নির্মাণসামগ্রী ফেলে রেখে চলে গেছেন শ্রমিকরা। পড়ে আছে অর্ধেক খনন করা কূপ, কোথাও আবার খোলা অবস্থায় পড়ে আছে লোহার পাইপ ও সিমেন্টের বস্তা। নেপালে নির্মাণাধীন ১০০টিরও বেশি নিরাপদ খাবার পানি সরবরাহ প্রকল্প বন্ধ হয়ে গেছে। পাহাড়ি এলাকায় ছড়িয়ে-ছিটিয়ে পড়ে আছে পাইপ আর ৬ হাজার ৫০০ বস্তা সিমেন্ট। নেপালের পানি মন্ত্রী জানিয়েছেন, এখন নিজেদের অর্থেই এই প্রকল্প শেষ করতে হবে।
লেবাননে পানির জন্য সৌরবিদ্যুৎ সরবরাহের একটি প্রকল্প বন্ধ হয়ে গেছে। এতে চাকরি চলে গেছে প্রায় ৭০ জনের। বিদ্যুৎ সরবরাহ চালু রাখতে এখন সেখানে ডিজেল ব্যবহার করতে হচ্ছে। কেনিয়ার তাইতা তাভেতা কাউন্টিতে অর্ধসমাপ্ত সেচ খাল এখন উল্টো বন্যার ঝুঁকি বাড়িয়েছে। খালের দেয়ালগুলো প্লাস্টার না করায় যে কোনো সময় তা ধসে পড়তে পারে। তখন বন্যার মুখে পড়বে বিস্তীর্ণ অঞ্চলের ফসলি জমি। পড়ে থাকা সিমেন্ট ও স্টিল বিক্রি করে কিছু কাজ চালিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করছেন স্থানীয়রা।
এই প্রকল্পগুলো আগে কখনও বিতর্কিত ছিল না। ২০১৪ সালে মার্কিন কংগ্রেস সর্বসম্মতভাবে পানির প্রকল্পে দ্বিগুণ বরাদ্দ দিয়েছিল। ফলে শিশুদের ডায়রিয়া কমেছে, মেয়েরা স্কুলে যেতে পেরেছে, তরুণদের উগ্রপন্থি গোষ্ঠীর কাছে যাওয়া কমেছে। কিন্তু ট্রাম্প প্রশাসন অভিযোগ তুলেছেন, ইউএসএইড পানি প্রকল্পের বাইরেও এলজিবিটি অধিকার রক্ষার মতো বিষয়েও অর্থ ব্যয় করছিল।
কঙ্গোতে এখন অচল পড়ে থাকা পানি সরবরাহ কেন্দ্র পরিণত হয়েছে শিশুদের খেলার মাঠে।
সেখানে পানি আনতে গিয়ে অপহরণের ঘটনাও ঘটছে। ৩৮ বছর বয়সী স্থানীয় এক নারী এভেলিন এমবাসওয়া বলেন, ‘আমার ১৬ বছরের ছেলে গেল মাসে পানি আনতে গিয়ে আর ফেরেনি। মেয়েদের সেখানে পাঠালে ধর্ষণের শিকার হয়, ছেলেরা অপহৃত হয়। সবকিছুর মূল কারণ, পানির সংকট।’
কেনিয়ার তাইতা তাভেতায় দেড় লাখ মানুষের জন্য ৫ বছরের ১০ কোটি ডলারের প্রকল্প ছিল। কিন্তু জানুয়ারিতে এর কাজ বন্ধ হয়ে যায়। এখন খোলা এসব খালে হরহামেশাই শিশু ও গবাদিপশুদের পড়ে যাওয়ার ঘটনা ঘটছে। এ বিষয়ে নাইরোবির মার্কিন দূতাবাসের এক মেমোতে বলা হয়েছে, এই অসমাপ্ত প্রকল্প আমেরিকার ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করবে। এতে নতুন সদস্য সংগ্রহের সুযোগ পাবে উগ্রপন্থি গোষ্ঠীগুলো।
মঙ্গলবার, ২২ জুলাই ২০২৫
হঠাৎ করেই বৈদেশিক সহায়তা বন্ধ করে দিয়েছে ডনাল্ড ট্রাম্প প্রশাসন। এতে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে থমকে গেছে পানি ও স্যানিটেশন প্রকল্প। ফলে এখন নতুন করে ঝুঁকিতে পড়েছে লাখ লাখ মানুষের জীবন। বার্তা সংস্থা রয়টার্সের এক অনুসন্ধানে জানা গেছে, অর্থের অভাবে আফ্রিকা ও এশিয়ার অন্তত ২১টি অর্ধসমাপ্ত প্রকল্পে কাজ বন্ধ হয়ে গেছে।
জানুয়ারি থেকে শত শত কোটি ডলারের বরাদ্দ বাতিল করেছে ট্রাম্প প্রশাসন। এতে পাওনা না পেয়ে নির্মাণসামগ্রী ফেলে রেখে চলে গেছেন শ্রমিকরা। পড়ে আছে অর্ধেক খনন করা কূপ, কোথাও আবার খোলা অবস্থায় পড়ে আছে লোহার পাইপ ও সিমেন্টের বস্তা। নেপালে নির্মাণাধীন ১০০টিরও বেশি নিরাপদ খাবার পানি সরবরাহ প্রকল্প বন্ধ হয়ে গেছে। পাহাড়ি এলাকায় ছড়িয়ে-ছিটিয়ে পড়ে আছে পাইপ আর ৬ হাজার ৫০০ বস্তা সিমেন্ট। নেপালের পানি মন্ত্রী জানিয়েছেন, এখন নিজেদের অর্থেই এই প্রকল্প শেষ করতে হবে।
লেবাননে পানির জন্য সৌরবিদ্যুৎ সরবরাহের একটি প্রকল্প বন্ধ হয়ে গেছে। এতে চাকরি চলে গেছে প্রায় ৭০ জনের। বিদ্যুৎ সরবরাহ চালু রাখতে এখন সেখানে ডিজেল ব্যবহার করতে হচ্ছে। কেনিয়ার তাইতা তাভেতা কাউন্টিতে অর্ধসমাপ্ত সেচ খাল এখন উল্টো বন্যার ঝুঁকি বাড়িয়েছে। খালের দেয়ালগুলো প্লাস্টার না করায় যে কোনো সময় তা ধসে পড়তে পারে। তখন বন্যার মুখে পড়বে বিস্তীর্ণ অঞ্চলের ফসলি জমি। পড়ে থাকা সিমেন্ট ও স্টিল বিক্রি করে কিছু কাজ চালিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করছেন স্থানীয়রা।
এই প্রকল্পগুলো আগে কখনও বিতর্কিত ছিল না। ২০১৪ সালে মার্কিন কংগ্রেস সর্বসম্মতভাবে পানির প্রকল্পে দ্বিগুণ বরাদ্দ দিয়েছিল। ফলে শিশুদের ডায়রিয়া কমেছে, মেয়েরা স্কুলে যেতে পেরেছে, তরুণদের উগ্রপন্থি গোষ্ঠীর কাছে যাওয়া কমেছে। কিন্তু ট্রাম্প প্রশাসন অভিযোগ তুলেছেন, ইউএসএইড পানি প্রকল্পের বাইরেও এলজিবিটি অধিকার রক্ষার মতো বিষয়েও অর্থ ব্যয় করছিল।
কঙ্গোতে এখন অচল পড়ে থাকা পানি সরবরাহ কেন্দ্র পরিণত হয়েছে শিশুদের খেলার মাঠে।
সেখানে পানি আনতে গিয়ে অপহরণের ঘটনাও ঘটছে। ৩৮ বছর বয়সী স্থানীয় এক নারী এভেলিন এমবাসওয়া বলেন, ‘আমার ১৬ বছরের ছেলে গেল মাসে পানি আনতে গিয়ে আর ফেরেনি। মেয়েদের সেখানে পাঠালে ধর্ষণের শিকার হয়, ছেলেরা অপহৃত হয়। সবকিছুর মূল কারণ, পানির সংকট।’
কেনিয়ার তাইতা তাভেতায় দেড় লাখ মানুষের জন্য ৫ বছরের ১০ কোটি ডলারের প্রকল্প ছিল। কিন্তু জানুয়ারিতে এর কাজ বন্ধ হয়ে যায়। এখন খোলা এসব খালে হরহামেশাই শিশু ও গবাদিপশুদের পড়ে যাওয়ার ঘটনা ঘটছে। এ বিষয়ে নাইরোবির মার্কিন দূতাবাসের এক মেমোতে বলা হয়েছে, এই অসমাপ্ত প্রকল্প আমেরিকার ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করবে। এতে নতুন সদস্য সংগ্রহের সুযোগ পাবে উগ্রপন্থি গোষ্ঠীগুলো।