গাজা উপত্যকায় খাদ্য সংকট ভয়াবহ রূপ নিয়েছে। জাতিসংঘের বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচি (WFP) জানিয়েছে, সেখানে প্রতি তিনজনের একজন না খেয়ে দিন পার করছেন।
পুষ্টিহীনতায় ভুগছেন হাজারো শিশু ও নারী, যাদের অন্তত ৯০ হাজার জনের জরুরি চিকিৎসা প্রয়োজন।
শুক্রবার (২৫ জুলাই) গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্যমতে, অনাহার ও অপুষ্টিতে আরও ৯ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে ইসরায়েল-হামাস যুদ্ধ শুরুর পর থেকে ক্ষুধা ও অপুষ্টিতে মোট মৃত্যুর সংখ্যা দাঁড়াল ১২২ জনে।
অবরুদ্ধ গাজায় পণ্য সরবরাহ ও ত্রাণ সহায়তা প্রবেশে কঠোর নিয়ন্ত্রণ আরোপ করেছে ইসরায়েল। যদিও তারা দাবি করছে, বর্তমানে ত্রাণ প্রবেশে কোনো বাধা নেই এবং সব দোষ হামাসের।
তবে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় এই দাবি মানছে না। জার্মানি, ফ্রান্স ও যুক্তরাজ্য এক যৌথ বিবৃতিতে ইসরায়েলের প্রতি অবিলম্বে গাজায় মানবিক সহায়তা প্রবেশের ওপর বিধিনিষেধ তুলে নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে। একই সঙ্গে তারা চলমান যুদ্ধ বন্ধ করে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার আইন মেনে চলার আহ্বানও জানিয়েছে।
জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের এক সম্মেলনে বলেন, “আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের উদাসীনতা ও নিষ্ক্রিয়তা ব্যাখ্যার ঊর্ধ্বে। এখানে নেই করুণা, নেই মানবতা।”
তিনি আরও জানান, ২৭ মে থেকে এখন পর্যন্ত ইসরায়েলি বাহিনীর গুলিতে এক হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন, যারা কেবল খাদ্যের সন্ধানে ছিল।
ত্রাণ প্রবেশের বিকল্প পন্থা হিসেবে আকাশপথে ত্রাণ ফেলতে চায় সংযুক্ত আরব আমিরাত ও জর্ডান। তবে জর্ডানের একজন কর্মকর্তা জানিয়েছেন, ইসরায়েল থেকে এখনো তারা সে অনুমতি পাননি। বিভিন্ন সাহায্য সংস্থা বিমান থেকে ত্রাণ সরবরাহকে ‘অকার্যকর ও ঝুঁকিপূর্ণ’ বলেও সতর্ক করেছে।
এদিকে যুদ্ধবিরতি ও জিম্মি মুক্তি নিয়ে হামাস-ইসরায়েল আলোচনা ফের অনিশ্চয়তায় পড়েছে। কাতারে চলমান মধ্যস্থতায় অংশ নেওয়া যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েল তাদের প্রতিনিধি দল ফিরিয়ে নিয়েছে।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এ বিষয়ে বলেন, “হামাস আসলে কোনো চুক্তি করতে চায় না। আমার মনে হয়, তারা মরতেই চায়।”
হামাস এর জবাবে বিস্ময় প্রকাশ করে জানায়, আলোচনায় অগ্রগতি এখনো থেমে যায়নি, এবং আগামী সপ্তাহেই দোহায় ফেরার কথা রয়েছে ইসরায়েলি প্রতিনিধিদলের।
উল্লেখ্য, ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর হামাসের এক হামলায় ইসরায়েলে ১,২০০ জন নিহত ও ২৫১ জন জিম্মি হওয়ার পর ইসরায়েল গাজায় সামরিক অভিযান শুরু করে। গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুসারে, এ পর্যন্ত ইসরায়েলি অভিযানে ৫৯ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন।
---
শনিবার, ২৬ জুলাই ২০২৫
গাজা উপত্যকায় খাদ্য সংকট ভয়াবহ রূপ নিয়েছে। জাতিসংঘের বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচি (WFP) জানিয়েছে, সেখানে প্রতি তিনজনের একজন না খেয়ে দিন পার করছেন।
পুষ্টিহীনতায় ভুগছেন হাজারো শিশু ও নারী, যাদের অন্তত ৯০ হাজার জনের জরুরি চিকিৎসা প্রয়োজন।
শুক্রবার (২৫ জুলাই) গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্যমতে, অনাহার ও অপুষ্টিতে আরও ৯ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে ইসরায়েল-হামাস যুদ্ধ শুরুর পর থেকে ক্ষুধা ও অপুষ্টিতে মোট মৃত্যুর সংখ্যা দাঁড়াল ১২২ জনে।
অবরুদ্ধ গাজায় পণ্য সরবরাহ ও ত্রাণ সহায়তা প্রবেশে কঠোর নিয়ন্ত্রণ আরোপ করেছে ইসরায়েল। যদিও তারা দাবি করছে, বর্তমানে ত্রাণ প্রবেশে কোনো বাধা নেই এবং সব দোষ হামাসের।
তবে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় এই দাবি মানছে না। জার্মানি, ফ্রান্স ও যুক্তরাজ্য এক যৌথ বিবৃতিতে ইসরায়েলের প্রতি অবিলম্বে গাজায় মানবিক সহায়তা প্রবেশের ওপর বিধিনিষেধ তুলে নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে। একই সঙ্গে তারা চলমান যুদ্ধ বন্ধ করে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার আইন মেনে চলার আহ্বানও জানিয়েছে।
জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের এক সম্মেলনে বলেন, “আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের উদাসীনতা ও নিষ্ক্রিয়তা ব্যাখ্যার ঊর্ধ্বে। এখানে নেই করুণা, নেই মানবতা।”
তিনি আরও জানান, ২৭ মে থেকে এখন পর্যন্ত ইসরায়েলি বাহিনীর গুলিতে এক হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন, যারা কেবল খাদ্যের সন্ধানে ছিল।
ত্রাণ প্রবেশের বিকল্প পন্থা হিসেবে আকাশপথে ত্রাণ ফেলতে চায় সংযুক্ত আরব আমিরাত ও জর্ডান। তবে জর্ডানের একজন কর্মকর্তা জানিয়েছেন, ইসরায়েল থেকে এখনো তারা সে অনুমতি পাননি। বিভিন্ন সাহায্য সংস্থা বিমান থেকে ত্রাণ সরবরাহকে ‘অকার্যকর ও ঝুঁকিপূর্ণ’ বলেও সতর্ক করেছে।
এদিকে যুদ্ধবিরতি ও জিম্মি মুক্তি নিয়ে হামাস-ইসরায়েল আলোচনা ফের অনিশ্চয়তায় পড়েছে। কাতারে চলমান মধ্যস্থতায় অংশ নেওয়া যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েল তাদের প্রতিনিধি দল ফিরিয়ে নিয়েছে।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এ বিষয়ে বলেন, “হামাস আসলে কোনো চুক্তি করতে চায় না। আমার মনে হয়, তারা মরতেই চায়।”
হামাস এর জবাবে বিস্ময় প্রকাশ করে জানায়, আলোচনায় অগ্রগতি এখনো থেমে যায়নি, এবং আগামী সপ্তাহেই দোহায় ফেরার কথা রয়েছে ইসরায়েলি প্রতিনিধিদলের।
উল্লেখ্য, ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর হামাসের এক হামলায় ইসরায়েলে ১,২০০ জন নিহত ও ২৫১ জন জিম্মি হওয়ার পর ইসরায়েল গাজায় সামরিক অভিযান শুরু করে। গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুসারে, এ পর্যন্ত ইসরায়েলি অভিযানে ৫৯ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন।
---