alt

আন্তর্জাতিক

মালয়েশিয়ায় আনোয়ার ইব্রাহিমের পদত্যাগ দাবিতে ব্যাপক বিক্ষোভ, মাহথিরও সমর্থনে

সংবাদ অনলাইন রিপোর্ট : রোববার, ২৭ জুলাই ২০২৫

মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী আনোয়ার ইব্রাহিমের পদত্যাগের দাবিতে রাজধানী কুয়ালালামপুরে শনিবার অনুষ্ঠিত এক বিশাল সমাবেশে হাজার হাজার মানুষ অংশ নিয়েছেন।

জীবিকা ব্যয় বেড়ে যাওয়া ও প্রতিশ্রুত সংস্কার বাস্তবায়নে ব্যর্থতার অভিযোগে দেশজুড়ে তৈরি হওয়া গণ-অসন্তোষ এই প্রতিবাদের পেছনে মূল কারণ বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।

কুয়ালালামপুরের ‘স্বাধীনতা স্কয়ার’-এ আয়োজিত এ সমাবেশে পুলিশের হিসাব মতে প্রায় ১৮ হাজার মানুষ জড়ো হন। প্রতিবাদকারীদের অনেকেই কালো টি-শার্ট পরে এবং কপালে ‘আনোয়ার পদত্যাগ কর’ লেখা রুমাল বেঁধে মিছিলসহযোগে রাজধানীর কেন্দ্রস্থলে সমবেত হন।

বিরোধী নেতাদের সরব উপস্থিতি

সমাবেশে অংশ নেন দেশটির শীর্ষস্থানীয় বিরোধীদলীয় নেতারা। বক্তব্যে তারা আনোয়ার সরকারের নানা নীতির সমালোচনা করেন। ব্যতিক্রম ছিল না সাবেক প্রধানমন্ত্রী মাহথির মোহাম্মদেরও। সদ্য ১০০ বছরে পা দেওয়া মাহথির নিজেও এই সমাবেশে যোগ দেন এবং আনোয়ারের বিরুদ্ধে ক্ষমতার অপব্যবহারের অভিযোগ তোলেন।

তিনি বলেন, “যারা নিরপরাধ, তাদের অভিযুক্ত করা হয়েছে; আর যারা অপরাধ করেছে, তাদের ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।”

সংস্কার না হওয়ায় হতাশা

২০২২ সালের নভেম্বরে আনোয়ার ক্ষমতায় আসেন একটি সংস্কারমুখী প্ল্যাটফর্ম নিয়ে। তবে তার সরকারের কর কাঠামো সংস্কার, ভর্তুকি কমানো এবং বিক্রয় ও সেবা কর (SST) বাড়ানোর মতো পদক্ষেপগুলো জনসাধারণের মধ্যে অসন্তোষ বাড়িয়েছে। এতে করে নিত্যপণ্যের দাম বাড়তে পারে বলে শঙ্কা প্রকাশ করেছেন নাগরিকরা।

জনদাবির মুখে প্রতিশ্রুতি

অসন্তোষ প্রশমনে সম্প্রতি আনোয়ার নগদ সহায়তা, দরিদ্র পরিবারে ভর্তুকি বৃদ্ধি ও জ্বালানির দাম কমানোর প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। তবে এসব উদ্যোগ প্রতিবাদ প্রশমনে কতটা কার্যকর হবে তা নিয়ে সংশয় রয়ে গেছে।

দীর্ঘদিনের দ্বন্দ্ব

আনোয়ার ও মাহথিরের সম্পর্ক মালয়েশিয়ার রাজনীতিতে দীর্ঘদিন ধরেই আলোচিত। এক সময়ের রাজনৈতিক অভিভাবক-শিষ্য সম্পর্ক থেকে তারা পরস্পরের প্রতিদ্বন্দ্বীতে পরিণত হন। ২০১৮ সালে বারিসান ন্যাশনাল সরকারকে হটাতে তারা একজোট হলেও, ক্ষমতায় এসে তা টিকতে পারেনি দুই বছরের বেশি।

ছবি

গাজামুখী ত্রাণবাহী জাহাজ থামিয়ে আরোহীদের ‘অপহরণের’ অভিযোগ এফএফসির

ছবি

যুদ্ধবিরতিতে সম্মতি কম্বোডিয়া-থাইল্যান্ড, আলোচনায় আগ্রহী দুই পক্ষ : ট্রাম্প

ছবি

কাঠমান্ডু ট্র্যাজেডি: ৭ বছর পর আদালতের রায়, ক্ষতিপূরণ দিতে নির্দেশ

ছবি

ইরানে আবারও হামলার পরিকল্পনা করছে ইসরায়েল

‘ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দিন’, স্টারমারকে চিঠি ২ শতাধিক ব্রিটিশ এমপির

ছবি

গাজায় প্রতি তিনজনে একজন না খেয়ে দিন পার করছেন : জাতিসংঘ

রাশিয়া থেকে নিজেদের স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণ করল ইরান

ছবি

কম্বোডিয়া ‘অবিলম্বে যুদ্ধবিরতি’ চায়, থাইল্যান্ড নিশ্চুপ

ভারতকে সবচেয়ে বিশ্বস্ত মিত্র বললেন মালদ্বীপের প্রেসিডেন্ট

ছবি

‘অভিবাসন ইউরোপকে শেষ করে দিচ্ছে’: ট্রাম্প

ছবি

ইরানে আদালত ভবনে জঙ্গি হামলায় নিহত ৫, দায় স্বীকার করলো জায়েশ আল-আদল

ছবি

ফিলিস্তিনকে এখনই স্বীকৃতি নয়: ইতালির প্রধানমন্ত্রী মেলোনি

ছবি

থাই-কম্বোডিয়া সংঘাত: কম্বোডিয়ার ‘অবিলম্বে অস্ত্রবিরতির’ আহ্বান

ছবি

গাজা খাদ্য সংকট, অনাহারে প্রতি তিনজনের একজন: বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচি

ছবি

‘বন্ধু’ এপস্টিনকে শুভেচ্ছা জানিয়ে চিঠি দিয়েছিলেন ট্রাম্প-ক্লিনটন

ছবি

সীমান্তে গোলাবর্ষণ ও ভারী অস্ত্রের সংঘাতে উত্তপ্ত থাই-কম্বোডিয়া সম্পর্ক

অনাহারের ঝুঁকিতে গাজার সাংবাদিকরা, সংবাদ সংস্থাগুলোর সতর্কতা

ছবি

ম্যাখোঁর সিদ্ধান্তে ক্ষুব্ধ ইসরায়েল-যুক্তরাষ্ট্র

প্রয়োজনে আবার ভাষা আন্দোলন হবে, মাতৃভাষাকে রক্ষা করতেই হবে : মমতা

ছবি

খেতে না পেয়ে অজ্ঞান হচ্ছেন গাজাবাসী

বিশ্বজুড়ে বড় ধরনের ইন্টারনেট বিভ্রাট, আড়াই ঘণ্টা অচল স্টারলিংক

ছবি

থাইল্যান্ড-কম্বোডিয়া পুরোনো বিরোধ নতুন সংঘাতে রূপ নিল কেন

যুদ্ধে নজরদারি ও তথ্য সংগ্রহে ‘সাইবার তেলাপোকা’ উদ্ভাবন জার্মানির

ছবি

শান্তি আলোচনা শেষ হতেই রাশিয়া-ইউক্রেন পাল্টাপাল্টি ড্রোন হামলা

৪৯ আরোহীসহ রুশ বিমান বিধ্বস্ত, সব যাত্রী নিহত!

ছবি

কেন সংঘর্ষে জড়িয়েছে থাইল্যান্ড ও কম্বোডিয়া?

শুল্ক হার ১৫ শতাংশের নিচে নয়, ঘোষণা ট্রাম্পের

ছবি

গাজায় অন্তহীন দুঃস্বপ্ন, ক্ষুধায় পথে পথে পড়ে আছে মানুষ

ছবি

থাইল্যান্ড-কম্বোডিয়া সীমান্তে সংঘর্ষ, কূটনৈতিক সম্পর্ক অবনমিত

ছবি

জলবায়ু পরিবর্তনে দায়ী দেশের বিরুদ্ধে মামলার সুযোগ দিলো জাতিসংঘ আদালত

ছবি

ভারতে আল-কায়েদার চার সদস্য গ্রেপ্তার, ফোনে ‘অটো-ডিলিট অ্যাপ’ ব্যবহার

আইন ভাঙলে বাতিল হবে ভিসা, কড়া হুঁশিয়ারি যুক্তরাষ্ট্রের

ছবি

পশ্চিমাদের ঠেকাতে ত্রিপক্ষীয় ঐক্য, তেহরানে রাশিয়া-চীন-ইরান বৈঠক

যুদ্ধবিরতি টেকসই নয়, ইসরায়েলের সঙ্গে যুদ্ধের জন্য ইরান প্রস্তুত : পেজেশকিয়ান

ছবি

যুক্তরাষ্ট্র-জাপান ‘বিশাল’ বাণিজ্য চুক্তির ঘোষণা ট্রাম্পের

ইরানের বিরুদ্ধে যুদ্ধ এখনো শেষ হয়নি : ইসরায়েলি সেনাপ্রধান

tab

আন্তর্জাতিক

মালয়েশিয়ায় আনোয়ার ইব্রাহিমের পদত্যাগ দাবিতে ব্যাপক বিক্ষোভ, মাহথিরও সমর্থনে

সংবাদ অনলাইন রিপোর্ট

রোববার, ২৭ জুলাই ২০২৫

মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী আনোয়ার ইব্রাহিমের পদত্যাগের দাবিতে রাজধানী কুয়ালালামপুরে শনিবার অনুষ্ঠিত এক বিশাল সমাবেশে হাজার হাজার মানুষ অংশ নিয়েছেন।

জীবিকা ব্যয় বেড়ে যাওয়া ও প্রতিশ্রুত সংস্কার বাস্তবায়নে ব্যর্থতার অভিযোগে দেশজুড়ে তৈরি হওয়া গণ-অসন্তোষ এই প্রতিবাদের পেছনে মূল কারণ বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।

কুয়ালালামপুরের ‘স্বাধীনতা স্কয়ার’-এ আয়োজিত এ সমাবেশে পুলিশের হিসাব মতে প্রায় ১৮ হাজার মানুষ জড়ো হন। প্রতিবাদকারীদের অনেকেই কালো টি-শার্ট পরে এবং কপালে ‘আনোয়ার পদত্যাগ কর’ লেখা রুমাল বেঁধে মিছিলসহযোগে রাজধানীর কেন্দ্রস্থলে সমবেত হন।

বিরোধী নেতাদের সরব উপস্থিতি

সমাবেশে অংশ নেন দেশটির শীর্ষস্থানীয় বিরোধীদলীয় নেতারা। বক্তব্যে তারা আনোয়ার সরকারের নানা নীতির সমালোচনা করেন। ব্যতিক্রম ছিল না সাবেক প্রধানমন্ত্রী মাহথির মোহাম্মদেরও। সদ্য ১০০ বছরে পা দেওয়া মাহথির নিজেও এই সমাবেশে যোগ দেন এবং আনোয়ারের বিরুদ্ধে ক্ষমতার অপব্যবহারের অভিযোগ তোলেন।

তিনি বলেন, “যারা নিরপরাধ, তাদের অভিযুক্ত করা হয়েছে; আর যারা অপরাধ করেছে, তাদের ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।”

সংস্কার না হওয়ায় হতাশা

২০২২ সালের নভেম্বরে আনোয়ার ক্ষমতায় আসেন একটি সংস্কারমুখী প্ল্যাটফর্ম নিয়ে। তবে তার সরকারের কর কাঠামো সংস্কার, ভর্তুকি কমানো এবং বিক্রয় ও সেবা কর (SST) বাড়ানোর মতো পদক্ষেপগুলো জনসাধারণের মধ্যে অসন্তোষ বাড়িয়েছে। এতে করে নিত্যপণ্যের দাম বাড়তে পারে বলে শঙ্কা প্রকাশ করেছেন নাগরিকরা।

জনদাবির মুখে প্রতিশ্রুতি

অসন্তোষ প্রশমনে সম্প্রতি আনোয়ার নগদ সহায়তা, দরিদ্র পরিবারে ভর্তুকি বৃদ্ধি ও জ্বালানির দাম কমানোর প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। তবে এসব উদ্যোগ প্রতিবাদ প্রশমনে কতটা কার্যকর হবে তা নিয়ে সংশয় রয়ে গেছে।

দীর্ঘদিনের দ্বন্দ্ব

আনোয়ার ও মাহথিরের সম্পর্ক মালয়েশিয়ার রাজনীতিতে দীর্ঘদিন ধরেই আলোচিত। এক সময়ের রাজনৈতিক অভিভাবক-শিষ্য সম্পর্ক থেকে তারা পরস্পরের প্রতিদ্বন্দ্বীতে পরিণত হন। ২০১৮ সালে বারিসান ন্যাশনাল সরকারকে হটাতে তারা একজোট হলেও, ক্ষমতায় এসে তা টিকতে পারেনি দুই বছরের বেশি।

back to top