গাজাবাসীর জন্য মানবিক সহায়তা নিয়ে যাওয়া একটি ত্রাণবাহী জাহাজকে আন্তর্জাতিক জলসীমা থেকেই থামিয়ে দিয়েছে ইসরায়েলি বাহিনী। অভিযানে জাহাজের আরোহীদের ‘অপহরণ’ করা হয়েছে বলেও অভিযোগ করেছে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার জোট ফ্রিডম ফ্লোটিলা কোয়ালিশন (এফএফসি)।
এক বিবৃতিতে এফএফসি জানায়, ‘হান্দালা’ নামের জাহাজটি স্থানীয় সময় শনিবার রাত পৌনে ১২টার দিকে গাজা উপকূল থেকে প্রায় ৪০ নটিক্যাল মাইল বা ৪৭ কিলোমিটার দূরে ছিল। সে সময় ইসরায়েলি বাহিনী হস্তক্ষেপ করে এবং জাহাজটির সঙ্গে সব ধরনের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়।
বিবৃতিতে বলা হয়, ইসরায়েলি বাহিনী জাহাজে থাকা ক্যামেরাগুলো বন্ধ করে দেয় এবং onboard মালামাল জব্দ করে। জাহাজটি শিশুখাদ্য, ওষুধ, খাবার এবং ডায়াপারসহ ‘জীবন রক্ষাকারী’ ত্রাণসামগ্রী বহন করছিল।
এফএফসি দাবি করেছে, এ ঘটনায় আন্তর্জাতিক সমুদ্র আইন স্পষ্টভাবে লঙ্ঘিত হয়েছে। কারণ, অভিযানটি সংঘটিত হয়েছে আন্তর্জাতিক জলসীমায়—ফিলিস্তিন জলসীমার বাইরে।
২১ আরোহী, ১০ দেশের নাগরিক
এফএফসি জানিয়েছে, জাহাজটিতে ১০টি দেশের মোট ২১ জন আরোহী ছিলেন। তাদের মধ্যে ১৯ জন আন্তর্জাতিক অধিকারকর্মী এবং ২ জন সাংবাদিক, যারা আল-জাজিরার হয়ে কাজ করছিলেন।
হামাসের প্রতিক্রিয়া
এ ঘটনায় তীব্র নিন্দা জানিয়েছে ফিলিস্তিনের সশস্ত্র সংগঠন হামাস। এক বিবৃতিতে সংগঠনটি অভিযানে ইসরায়েলকে ‘জলদস্যুতা’ চালানোর অভিযোগ এনে জাতিসংঘের প্রতি বিষয়টি নিয়ে ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে।
> “আমরা জাহাজে থাকা অধিকারকর্মীদের নিরাপত্তাহীনতার জন্য নেতানিয়াহু সরকারকে দায়ী করছি,” বলা হয়েছে হামাসের বিবৃতিতে।
তারা আরও বলেছে, অবরুদ্ধ গাজাবাসীর জন্য ত্রাণ পৌঁছাতে এ ধরনের মানবিক উদ্যোগ থামানো যাবে না। ‘ইহুদিবাদী হুমকির’ মুখেও যারা ত্রাণ নিয়ে গেছেন, তাদের সাহসিকতার প্রশংসা করেছে সংগঠনটি।
এই ঘটনার আগে গত ১৩ জুন ‘ম্যাডলিন’ নামে আরেকটি ত্রাণবাহী জাহাজ থেকে ৬ অধিকারকর্মীকে আটক করে ইসরায়েল। পরে আন্তর্জাতিক চাপের মুখে তাদের মুক্তি দেওয়া হয়।
---
রোববার, ২৭ জুলাই ২০২৫
গাজাবাসীর জন্য মানবিক সহায়তা নিয়ে যাওয়া একটি ত্রাণবাহী জাহাজকে আন্তর্জাতিক জলসীমা থেকেই থামিয়ে দিয়েছে ইসরায়েলি বাহিনী। অভিযানে জাহাজের আরোহীদের ‘অপহরণ’ করা হয়েছে বলেও অভিযোগ করেছে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার জোট ফ্রিডম ফ্লোটিলা কোয়ালিশন (এফএফসি)।
এক বিবৃতিতে এফএফসি জানায়, ‘হান্দালা’ নামের জাহাজটি স্থানীয় সময় শনিবার রাত পৌনে ১২টার দিকে গাজা উপকূল থেকে প্রায় ৪০ নটিক্যাল মাইল বা ৪৭ কিলোমিটার দূরে ছিল। সে সময় ইসরায়েলি বাহিনী হস্তক্ষেপ করে এবং জাহাজটির সঙ্গে সব ধরনের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়।
বিবৃতিতে বলা হয়, ইসরায়েলি বাহিনী জাহাজে থাকা ক্যামেরাগুলো বন্ধ করে দেয় এবং onboard মালামাল জব্দ করে। জাহাজটি শিশুখাদ্য, ওষুধ, খাবার এবং ডায়াপারসহ ‘জীবন রক্ষাকারী’ ত্রাণসামগ্রী বহন করছিল।
এফএফসি দাবি করেছে, এ ঘটনায় আন্তর্জাতিক সমুদ্র আইন স্পষ্টভাবে লঙ্ঘিত হয়েছে। কারণ, অভিযানটি সংঘটিত হয়েছে আন্তর্জাতিক জলসীমায়—ফিলিস্তিন জলসীমার বাইরে।
২১ আরোহী, ১০ দেশের নাগরিক
এফএফসি জানিয়েছে, জাহাজটিতে ১০টি দেশের মোট ২১ জন আরোহী ছিলেন। তাদের মধ্যে ১৯ জন আন্তর্জাতিক অধিকারকর্মী এবং ২ জন সাংবাদিক, যারা আল-জাজিরার হয়ে কাজ করছিলেন।
হামাসের প্রতিক্রিয়া
এ ঘটনায় তীব্র নিন্দা জানিয়েছে ফিলিস্তিনের সশস্ত্র সংগঠন হামাস। এক বিবৃতিতে সংগঠনটি অভিযানে ইসরায়েলকে ‘জলদস্যুতা’ চালানোর অভিযোগ এনে জাতিসংঘের প্রতি বিষয়টি নিয়ে ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে।
> “আমরা জাহাজে থাকা অধিকারকর্মীদের নিরাপত্তাহীনতার জন্য নেতানিয়াহু সরকারকে দায়ী করছি,” বলা হয়েছে হামাসের বিবৃতিতে।
তারা আরও বলেছে, অবরুদ্ধ গাজাবাসীর জন্য ত্রাণ পৌঁছাতে এ ধরনের মানবিক উদ্যোগ থামানো যাবে না। ‘ইহুদিবাদী হুমকির’ মুখেও যারা ত্রাণ নিয়ে গেছেন, তাদের সাহসিকতার প্রশংসা করেছে সংগঠনটি।
এই ঘটনার আগে গত ১৩ জুন ‘ম্যাডলিন’ নামে আরেকটি ত্রাণবাহী জাহাজ থেকে ৬ অধিকারকর্মীকে আটক করে ইসরায়েল। পরে আন্তর্জাতিক চাপের মুখে তাদের মুক্তি দেওয়া হয়।
---