alt

আন্তর্জাতিক

গাজায় অপুষ্টি উদ্বেগজনক পর্যায়ে, সতর্ক করল ডব্লিউএইচও

বিদেশী সংবাদ মাধ্যম : সোমবার, ২৮ জুলাই ২০২৫

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) সতর্ক করে বলেছে, ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় অপুষ্টির মাত্রা উদ্বেগজনক পর্যায়ে পৌঁছেছে, তা বিপজ্জনক গতিপথে রয়েছে। দীর্ঘ বিরতির পর গাজায় উড়োজাহাজ থেকে ত্রাণসামগ্রী ফেলার কার্যক্রম আবার শুরুর পর ডব্লিউএইচওর কাছ থেকে এ সতর্কবার্তা এল।

রোববার জর্ডান ও সংযুক্ত আরব আমিরাত গাজায় উড়োজাহাজ থেকে ত্রাণসামগ্রী ফেলে। এর আগে ইসরায়েল জানায়, তারা গাজার কিছু অংশে প্রতিদিন ১০ ঘণ্টা করে যুদ্ধ বন্ধ রাখবে। যাকে তারা বলছে, ‘কৌশলগত বিরতি’। এ বিরতির আওতায় জাতিসংঘের ত্রাণবহরের জন্য করিডর তৈরি করে দেওয়ার কথাও জানায় তারা। ইসরায়েলের দাবি, গাজাবাসীকে ইচ্ছাকৃতভাবে অনাহারে রাখার যে ‘মিথ্যা অভিযোগ’ উঠেছে, তা খণ্ডন করতেই এ বিশেষ ব্যবস্থাগুলো নেওয়া হয়েছে। ইসরায়েলের ভাষ্য, হামাস ইচ্ছাকৃতভাবে এমন অভিযোগ তুলে বিশ্বের সামনে ইসরায়েলের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করার চেষ্টা করছে।

জর্ডানের সামরিক বাহিনী বলেছে, গাজাবাসীর জন্য ত্রাণসামগ্রী পৌঁছে দিতে তারা সংযুক্ত আরব আমিরাতের সঙ্গে কাজ করছে। ইতিমধ্যে তারা উড়োজাহাজ দিয়ে তিন দফায় গাজায় ২৫ টন ত্রাণসামগ্রী ফেলেছে। এ ছাড়া মিসর হয়ে ত্রাণবাহী লরির একটি বহর গাজায় প্রবেশ করেছে। আরেকটি বহর ঢোকার কথা রয়েছে জর্ডান থেকে। তবে গাজার মধ্যাঞ্চলে একটি ত্রাণবহর যে পথে অগ্রসর হচ্ছিল, তার পাশেই ইসরায়েলি বাহিনীর গুলিতে অন্তত ৯ জন নিহত ও ৫৪ জন আহত হয়েছেন বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকেরা। এমনকি গত শনিবার যুদ্ধ সাময়িক বন্ধের বিষয়টি কার্যকরের এক ঘণ্টার মাথায় গাজার একটি আবাসিক এলাকায় বিমান হামলা চালায় ইসরায়েল।

স্থানীয় সূত্রগুলো বিবিসিকে জানিয়েছে, গাজার মধ্যাঞ্চলের নেতজারিন করিডরের সালাহ আল-দিন সড়কে জাতিসংঘের ত্রাণবহরের অপেক্ষায় বহু মানুষ জড়ো হয়েছিলেন। সেখানেই গুলির ঘটনা ঘটে। হতাহত ব্যক্তিদের নুসাইরাতের আল-আওদা হাসপাতালে নেওয়া হয় বলে জানান হাসপাতালটির একজন চিকিৎসা কর্মকর্তা।

ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী বলেছে, তাদের সেনাদের দিকে কিছু সন্দেহভাজন ব্যক্তি এগিয়ে আসছিলেন। তাই সেনারা সতর্কবার্তা হিসেবে গুলি ছোড়েন। তবে এ ঘটনায় কেউ হতাহত হয়েছেন কি না, সে বিষয়ে তারা কিছু জানে না। অবরুদ্ধ গাজায় ত্রাণসহায়তা প্রবেশ করতে না দেওয়া নিয়ে সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলোতে তীব্র আন্তর্জাতিক চাপের মুখে পড়ে ইসরায়েল। এর মধ্যে গাজায় চরম খাদ্যসংকট ও অনাহারের ঘটনা নিয়ে একের পর এক প্রতিবেদন প্রকাশিত হতে থাকে। এ চাপে পড়ে ইসরায়েল এখন কিছুটা নমনীয় হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

জাতিসংঘের বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচি (ডব্লিউএফপি) বলেছে, গাজার এক-তৃতীয়াংশ মানুষ কয়েক দিন ধরে না খেয়ে দিন পার করছে। আর প্রতি চারজনের একজন দুর্ভিক্ষসদৃশ পরিস্থিতির মধ্যে রয়েছে। যুক্তরাজ্যের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডেভিড ল্যামি বলেছেন, উড়োজাহাজ থেকে ত্রাণ ফেলা চরম দুর্ভোগ লাঘবে সহায়ক হবে। তবে গাজায় ত্রাণসহায়তা পাঠানোর একমাত্র কার্যকর ও টেকসই উপায় হলো স্থলপথ।

জাতিসংঘের মানবাধিকারবিষয়ক হাইকমিশনার ফলকার টুর্ক। তিনি বলেছেন, প্রতিদিন গাজায় আরও ধ্বংস, আরও হত্যাকাণ্ড ও ফিলিস্তিনিদের বিরুদ্ধে আরও অমানবিকতা চলছে। এদিকে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প জানিয়েছেন, তাঁর প্রশাসন গাজায় আরও ত্রাণ পাঠাবে। তবে তিনি এ কথাও বলেন, এটি একটি আন্তর্জাতিক সমস্যা, যুক্তরাষ্ট্রের সমস্যা নয়।

এদিকে, বিমান থেকে গাজায় ২৫ টন খাবার ফেলেছে জর্ডান ও আরব আমিরাত। জর্ডানের রয়েল এয়ার ফোর্স আরব আমিরাতকে সঙ্গে নিয়ে গাজায় ২৫ জন খাবার এবং প্রয়োজনীয় মানবিক সহায়তা ফেলেছে। এতে অংশ নিয়েছে জর্ডানের সি-১৩০ মডেলের দুটি এবং আরব আমিরাতের একটি বিমান। গাজার একাধিক স্থানে এসব খাবার ফেলা হয়। জর্ডানের রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনের খবরে আরও জানানো হয়েছে, গাজায় যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর আকাশ থেকে ১২৭ বার সেখানে খাবার ফেলা হয়েছে জর্ডান।

এদিকে অবরুদ্ধ গাজা ভূখণ্ডে ভয়াবহ যুদ্ধ, দুর্ভিক্ষ ও মানবিক বিপর্যয়ের মধ্যেই ইসরায়েল ১০ ঘণ্টার ‘কৌশলগত বিরতির’ ঘোষণা দিয়েছে। প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে রাত ৮টা (স্থানীয় সময়) পর্যন্ত আল-মাওয়াসি, দেইর আল-বালাহ ও গাজা সিটির নির্দিষ্ট এলাকায় কার্যকর থাকবে। এমন পদক্ষেপের উদ্দেশ্য হিসেবে বলা হয়েছে, মানবিক সহায়তা পৌঁছাতে সহায়ক পরিবেশ সৃষ্টি করা।

তবে বিরতির ঘোষণার পরপরই রোববার ভোর থেকে ইসরায়েলি বাহিনীর হামলায় অন্তত ১৫ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন, যাদের মধ্যে নারী ও শিশুও রয়েছে। এর আগের দিন শনিবার ইসরায়েলি হামলায় প্রাণ হারিয়েছেন ৭১ জন, যাদের মধ্যে ৪২ জন ছিলেন ত্রাণের আশায় জড়ো হওয়া অসহায় মানুষ।

গাজায় আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘন করছে ইসরায়েল: অস্ট্রেলিয়ান প্রধানমন্ত্রী

ছবি

বাণিজ্যযুদ্ধ এড়াল যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপীয় ইউনিয়ন

ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র বিশ্বের সর্বাধুনিক প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাকে ভেদ করেছে

ছবি

দক্ষিণ ইউরোপজুড়ে দাবানল, হুমকির মুখে তুরস্কের বুরসা

সিরিয়ায় সেপ্টেম্বরে ভোট

ছবি

ভারতের দুই মন্দিরে পদদলনের ঘটনায় নিহত ১০, আহত অর্ধশতাধিক

ছবি

তুরস্ক-গ্রিসসহ দক্ষিণ ইউরোপজুড়ে দাবানলে বিপর্যয়, বুরসা শহর হুমকিতে

ছবি

যুক্তরাষ্ট্র-ইইউ বাণিজ্য চুক্তি: ইউরোপীয় পণ্যে ১৫% শুল্ক, ‘সবচেয়ে বড় চুক্তি’ বললেন ট্রাম্প

ছবি

জার্মানিতে ট্রেন লাইনচ্যুত হয়ে নিহত ৩, আহত বহু

দাবানলে বিপর্যস্ত গ্রিস, সরিয়ে নেয়া হচ্ছে স্থানীয়দের

ছবি

গাজার কিছু অংশে ‘মানবিক বিরতি’ ঘোষণা ইসরায়েলের

ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দেয়া নিয়ে বিভাজিত ইউরোপ

ছবি

মালয়েশিয়ায় প্রধানমন্ত্রীর পদত্যাগ দাবিতে হাজারো মানুষের বিক্ষোভ

কানাডায় দাবানল, ধোঁয়ায় আচ্ছন্ন নিউইয়র্কে সতর্কতা জারি

ছবি

থাইল্যান্ড-কম্বোডিয়ার সংঘাত আরও দীর্ঘায়িত হওয়ার শঙ্কা

ছবি

গাজামুখী ত্রাণবাহী জাহাজ থামিয়ে আরোহীদের ‘অপহরণের’ অভিযোগ এফএফসির

ছবি

যুদ্ধবিরতিতে সম্মতি কম্বোডিয়া-থাইল্যান্ড, আলোচনায় আগ্রহী দুই পক্ষ : ট্রাম্প

ছবি

কাঠমান্ডু ট্র্যাজেডি: ৭ বছর পর আদালতের রায়, ক্ষতিপূরণ দিতে নির্দেশ

ছবি

মালয়েশিয়ায় আনোয়ার ইব্রাহিমের পদত্যাগ দাবিতে ব্যাপক বিক্ষোভ, মাহথিরও সমর্থনে

ছবি

ইরানে আবারও হামলার পরিকল্পনা করছে ইসরায়েল

‘ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দিন’, স্টারমারকে চিঠি ২ শতাধিক ব্রিটিশ এমপির

ছবি

গাজায় প্রতি তিনজনে একজন না খেয়ে দিন পার করছেন : জাতিসংঘ

রাশিয়া থেকে নিজেদের স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণ করল ইরান

ছবি

কম্বোডিয়া ‘অবিলম্বে যুদ্ধবিরতি’ চায়, থাইল্যান্ড নিশ্চুপ

ভারতকে সবচেয়ে বিশ্বস্ত মিত্র বললেন মালদ্বীপের প্রেসিডেন্ট

ছবি

‘অভিবাসন ইউরোপকে শেষ করে দিচ্ছে’: ট্রাম্প

ছবি

ইরানে আদালত ভবনে জঙ্গি হামলায় নিহত ৫, দায় স্বীকার করলো জায়েশ আল-আদল

ছবি

ফিলিস্তিনকে এখনই স্বীকৃতি নয়: ইতালির প্রধানমন্ত্রী মেলোনি

ছবি

থাই-কম্বোডিয়া সংঘাত: কম্বোডিয়ার ‘অবিলম্বে অস্ত্রবিরতির’ আহ্বান

ছবি

গাজা খাদ্য সংকট, অনাহারে প্রতি তিনজনের একজন: বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচি

ছবি

‘বন্ধু’ এপস্টিনকে শুভেচ্ছা জানিয়ে চিঠি দিয়েছিলেন ট্রাম্প-ক্লিনটন

ছবি

সীমান্তে গোলাবর্ষণ ও ভারী অস্ত্রের সংঘাতে উত্তপ্ত থাই-কম্বোডিয়া সম্পর্ক

অনাহারের ঝুঁকিতে গাজার সাংবাদিকরা, সংবাদ সংস্থাগুলোর সতর্কতা

ছবি

ম্যাখোঁর সিদ্ধান্তে ক্ষুব্ধ ইসরায়েল-যুক্তরাষ্ট্র

প্রয়োজনে আবার ভাষা আন্দোলন হবে, মাতৃভাষাকে রক্ষা করতেই হবে : মমতা

ছবি

খেতে না পেয়ে অজ্ঞান হচ্ছেন গাজাবাসী

tab

আন্তর্জাতিক

গাজায় অপুষ্টি উদ্বেগজনক পর্যায়ে, সতর্ক করল ডব্লিউএইচও

বিদেশী সংবাদ মাধ্যম

সোমবার, ২৮ জুলাই ২০২৫

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) সতর্ক করে বলেছে, ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় অপুষ্টির মাত্রা উদ্বেগজনক পর্যায়ে পৌঁছেছে, তা বিপজ্জনক গতিপথে রয়েছে। দীর্ঘ বিরতির পর গাজায় উড়োজাহাজ থেকে ত্রাণসামগ্রী ফেলার কার্যক্রম আবার শুরুর পর ডব্লিউএইচওর কাছ থেকে এ সতর্কবার্তা এল।

রোববার জর্ডান ও সংযুক্ত আরব আমিরাত গাজায় উড়োজাহাজ থেকে ত্রাণসামগ্রী ফেলে। এর আগে ইসরায়েল জানায়, তারা গাজার কিছু অংশে প্রতিদিন ১০ ঘণ্টা করে যুদ্ধ বন্ধ রাখবে। যাকে তারা বলছে, ‘কৌশলগত বিরতি’। এ বিরতির আওতায় জাতিসংঘের ত্রাণবহরের জন্য করিডর তৈরি করে দেওয়ার কথাও জানায় তারা। ইসরায়েলের দাবি, গাজাবাসীকে ইচ্ছাকৃতভাবে অনাহারে রাখার যে ‘মিথ্যা অভিযোগ’ উঠেছে, তা খণ্ডন করতেই এ বিশেষ ব্যবস্থাগুলো নেওয়া হয়েছে। ইসরায়েলের ভাষ্য, হামাস ইচ্ছাকৃতভাবে এমন অভিযোগ তুলে বিশ্বের সামনে ইসরায়েলের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করার চেষ্টা করছে।

জর্ডানের সামরিক বাহিনী বলেছে, গাজাবাসীর জন্য ত্রাণসামগ্রী পৌঁছে দিতে তারা সংযুক্ত আরব আমিরাতের সঙ্গে কাজ করছে। ইতিমধ্যে তারা উড়োজাহাজ দিয়ে তিন দফায় গাজায় ২৫ টন ত্রাণসামগ্রী ফেলেছে। এ ছাড়া মিসর হয়ে ত্রাণবাহী লরির একটি বহর গাজায় প্রবেশ করেছে। আরেকটি বহর ঢোকার কথা রয়েছে জর্ডান থেকে। তবে গাজার মধ্যাঞ্চলে একটি ত্রাণবহর যে পথে অগ্রসর হচ্ছিল, তার পাশেই ইসরায়েলি বাহিনীর গুলিতে অন্তত ৯ জন নিহত ও ৫৪ জন আহত হয়েছেন বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকেরা। এমনকি গত শনিবার যুদ্ধ সাময়িক বন্ধের বিষয়টি কার্যকরের এক ঘণ্টার মাথায় গাজার একটি আবাসিক এলাকায় বিমান হামলা চালায় ইসরায়েল।

স্থানীয় সূত্রগুলো বিবিসিকে জানিয়েছে, গাজার মধ্যাঞ্চলের নেতজারিন করিডরের সালাহ আল-দিন সড়কে জাতিসংঘের ত্রাণবহরের অপেক্ষায় বহু মানুষ জড়ো হয়েছিলেন। সেখানেই গুলির ঘটনা ঘটে। হতাহত ব্যক্তিদের নুসাইরাতের আল-আওদা হাসপাতালে নেওয়া হয় বলে জানান হাসপাতালটির একজন চিকিৎসা কর্মকর্তা।

ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী বলেছে, তাদের সেনাদের দিকে কিছু সন্দেহভাজন ব্যক্তি এগিয়ে আসছিলেন। তাই সেনারা সতর্কবার্তা হিসেবে গুলি ছোড়েন। তবে এ ঘটনায় কেউ হতাহত হয়েছেন কি না, সে বিষয়ে তারা কিছু জানে না। অবরুদ্ধ গাজায় ত্রাণসহায়তা প্রবেশ করতে না দেওয়া নিয়ে সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলোতে তীব্র আন্তর্জাতিক চাপের মুখে পড়ে ইসরায়েল। এর মধ্যে গাজায় চরম খাদ্যসংকট ও অনাহারের ঘটনা নিয়ে একের পর এক প্রতিবেদন প্রকাশিত হতে থাকে। এ চাপে পড়ে ইসরায়েল এখন কিছুটা নমনীয় হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

জাতিসংঘের বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচি (ডব্লিউএফপি) বলেছে, গাজার এক-তৃতীয়াংশ মানুষ কয়েক দিন ধরে না খেয়ে দিন পার করছে। আর প্রতি চারজনের একজন দুর্ভিক্ষসদৃশ পরিস্থিতির মধ্যে রয়েছে। যুক্তরাজ্যের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডেভিড ল্যামি বলেছেন, উড়োজাহাজ থেকে ত্রাণ ফেলা চরম দুর্ভোগ লাঘবে সহায়ক হবে। তবে গাজায় ত্রাণসহায়তা পাঠানোর একমাত্র কার্যকর ও টেকসই উপায় হলো স্থলপথ।

জাতিসংঘের মানবাধিকারবিষয়ক হাইকমিশনার ফলকার টুর্ক। তিনি বলেছেন, প্রতিদিন গাজায় আরও ধ্বংস, আরও হত্যাকাণ্ড ও ফিলিস্তিনিদের বিরুদ্ধে আরও অমানবিকতা চলছে। এদিকে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প জানিয়েছেন, তাঁর প্রশাসন গাজায় আরও ত্রাণ পাঠাবে। তবে তিনি এ কথাও বলেন, এটি একটি আন্তর্জাতিক সমস্যা, যুক্তরাষ্ট্রের সমস্যা নয়।

এদিকে, বিমান থেকে গাজায় ২৫ টন খাবার ফেলেছে জর্ডান ও আরব আমিরাত। জর্ডানের রয়েল এয়ার ফোর্স আরব আমিরাতকে সঙ্গে নিয়ে গাজায় ২৫ জন খাবার এবং প্রয়োজনীয় মানবিক সহায়তা ফেলেছে। এতে অংশ নিয়েছে জর্ডানের সি-১৩০ মডেলের দুটি এবং আরব আমিরাতের একটি বিমান। গাজার একাধিক স্থানে এসব খাবার ফেলা হয়। জর্ডানের রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনের খবরে আরও জানানো হয়েছে, গাজায় যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর আকাশ থেকে ১২৭ বার সেখানে খাবার ফেলা হয়েছে জর্ডান।

এদিকে অবরুদ্ধ গাজা ভূখণ্ডে ভয়াবহ যুদ্ধ, দুর্ভিক্ষ ও মানবিক বিপর্যয়ের মধ্যেই ইসরায়েল ১০ ঘণ্টার ‘কৌশলগত বিরতির’ ঘোষণা দিয়েছে। প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে রাত ৮টা (স্থানীয় সময়) পর্যন্ত আল-মাওয়াসি, দেইর আল-বালাহ ও গাজা সিটির নির্দিষ্ট এলাকায় কার্যকর থাকবে। এমন পদক্ষেপের উদ্দেশ্য হিসেবে বলা হয়েছে, মানবিক সহায়তা পৌঁছাতে সহায়ক পরিবেশ সৃষ্টি করা।

তবে বিরতির ঘোষণার পরপরই রোববার ভোর থেকে ইসরায়েলি বাহিনীর হামলায় অন্তত ১৫ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন, যাদের মধ্যে নারী ও শিশুও রয়েছে। এর আগের দিন শনিবার ইসরায়েলি হামলায় প্রাণ হারিয়েছেন ৭১ জন, যাদের মধ্যে ৪২ জন ছিলেন ত্রাণের আশায় জড়ো হওয়া অসহায় মানুষ।

back to top