দক্ষিণ ইউরোপজুড়ে দাবানলের ভয়াবহতা ক্রমেই বাড়ছে। তুরস্কের চতুর্থ বৃহত্তম শহর বুরসাকে ঘিরে থাকা পাহাড়ি এলাকায় দাবানলের ছড়িয়ে পড়ায় শহরটি এখন সরাসরি হুমকির মুখে। এরই মধ্যে সাড়ে তিন হাজারের বেশি মানুষকে নিরাপদে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে, প্রাণ হারিয়েছেন অন্তত দুইজন। ফ্রান্স টোয়েন্টিফোর লিখেছে, গ্রিস, বুলগেরিয়া ও মন্টেনেগ্রোকেও অস্বাভাবিক উচ্চ তাপমাত্রা, খরা ও প্রবল বাতাসের ছড়িয়ে পড়া দাবানলের বিরুদ্ধে লড়াই চালিয়ে যেতে হচ্ছে।
উত্তর-পশ্চিম তুরস্কের বুরসা শহরকে ঘিরে থাকা পাহাড়ি বনে রোববার রাতে দ্রুত দাবানল ছড়িয়ে পড়ে, তাতে পূর্বাঞ্চলীয় উপশহরগুলোর রাতের আকাশে লাল আভা দেখা দেয়। জুনের শেষ দিক থেকে প্রতিদিনই তুরস্কে একাধিক ভয়াবহ দাবানল দেখা গেছে। শুক্রবার সরকার ইজমির ও বিলেজিক প্রদেশকে দুর্যোগপূর্ণ এলাকা ঘোষণা করেছে।
তুরস্কের বনমন্ত্রী ইব্রাহিম ইউমাকলি জানান, রোববার রাতে বুরসার উত্তর-পূর্ব দিকের গ্রামগুলো থেকে ৩,৫১৫ জন মানুষকে নিরাপদে সরিয়ে নেওয়া হয়। সেখানে আগুন নেভাতে ১,৯০০ জনের বেশি দমকলকর্মী কাজ করছেন। বুরসা ও রাজধানী আঙ্কারার মধ্যে সংযোগকারী মহাসড়ক বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। একজন দমকলকর্মী হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন বলে জানিয়েছেন শহরের মেয়র মুস্তাফা বোজবে। তিনি বলেন, শহরের আশপাশের তিন হাজার হেক্টর (৭,৪১৩ একর) এলাকা পুড়ে গেছে।
স্থানীয় সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, বুরসার বাইরে একটি পানি ট্যাঙ্কার খাদে পড়ে একজন নিহত ও দুজন গুরুতর আহত হয়েছেন।
বিরোধী দলের সংসদ সদস্য ওরহান সারিবাল এ পরিস্থিতিকে ‘প্রলয়’ বলে বর্ণনা করেছেন।
সকালে বাতাস কিছুটা কমে আসায় দমকল বাহিনী কিছুটা স্বস্তি পায়। তবে টেলিভিশনে প্রচারিত ভিডিওতে দেখা যায়, যেখানে আগে কৃষিজমি ও পাইন গাছ ছিল, সেখানে এখন ছাই ছড়িয়ে আছে। মন্ত্রী ইউমাকলি জানান, শনিবার সারা দেশে ৮৪টি পৃথক আগুনের সঙ্গে লড়াই করেছে ফায়ার সার্ভিস। দেশটির উত্তর-পশ্চিম অঞ্চল সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিতে রয়েছে, ওই অঞ্চলের কারাবুকে মঙ্গলবার থেকে দাবানল চলছে এবং ১৯টি গ্রাম থেকে ১ হাজার ৮৩৯ জনকে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।
বুরসা ও কারাবুক ছাড়াও দক্ষিণ তুরস্কের কাহরামানমারাশ অঞ্চলে একটি বড় দাবানল চলছে। মন্ত্রী সতর্ক করেছেন, যেসব আগুন পুরোপুরি নেভেনি, বাতাসের গতি বেড়ে গেলে সেগুলো আবার জ্বলতে পারে। দুর্যোগ কবলিত এলাকাগুলো থেকে গবাদি পশু ও পোষা প্রাণীদের উদ্ধার করতে অগ্নিনির্বাপক ও উদ্ধারকর্মীরা লড়াই চালিয়ে যাচ্ছেন। স্থানীয় গণমাধ্যমে দাবানলে আটকে পড়া বন্যপ্রাণীদের উদ্ধারের ছবি দেখা গেছে।
স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি তাপমাত্রা, খরাভাব এবং প্রবল বাতাস এই দাবানলের মূল কারণ। তুরস্কের আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, শুক্রবার দক্ষিণ-পূর্বের সিরনাক প্রদেশে দেশটির ইতিহাসে সর্বোচ্চ ৫০.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়। জুলাই মাসে আরও ১৩২ স্থানে রেকর্ড তাপমাত্রা দেখা যায়। গত কয়েক সপ্তাহে অন্তত ১৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে ১০ জন উদ্ধারকর্মী ও বনকর্মী রয়েছেন, যারা বুধবার পশ্চিম তুরস্কের এসকিশেহির অঞ্চলে আগুনে নিহত হন।
সোমবার, ২৮ জুলাই ২০২৫
দক্ষিণ ইউরোপজুড়ে দাবানলের ভয়াবহতা ক্রমেই বাড়ছে। তুরস্কের চতুর্থ বৃহত্তম শহর বুরসাকে ঘিরে থাকা পাহাড়ি এলাকায় দাবানলের ছড়িয়ে পড়ায় শহরটি এখন সরাসরি হুমকির মুখে। এরই মধ্যে সাড়ে তিন হাজারের বেশি মানুষকে নিরাপদে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে, প্রাণ হারিয়েছেন অন্তত দুইজন। ফ্রান্স টোয়েন্টিফোর লিখেছে, গ্রিস, বুলগেরিয়া ও মন্টেনেগ্রোকেও অস্বাভাবিক উচ্চ তাপমাত্রা, খরা ও প্রবল বাতাসের ছড়িয়ে পড়া দাবানলের বিরুদ্ধে লড়াই চালিয়ে যেতে হচ্ছে।
উত্তর-পশ্চিম তুরস্কের বুরসা শহরকে ঘিরে থাকা পাহাড়ি বনে রোববার রাতে দ্রুত দাবানল ছড়িয়ে পড়ে, তাতে পূর্বাঞ্চলীয় উপশহরগুলোর রাতের আকাশে লাল আভা দেখা দেয়। জুনের শেষ দিক থেকে প্রতিদিনই তুরস্কে একাধিক ভয়াবহ দাবানল দেখা গেছে। শুক্রবার সরকার ইজমির ও বিলেজিক প্রদেশকে দুর্যোগপূর্ণ এলাকা ঘোষণা করেছে।
তুরস্কের বনমন্ত্রী ইব্রাহিম ইউমাকলি জানান, রোববার রাতে বুরসার উত্তর-পূর্ব দিকের গ্রামগুলো থেকে ৩,৫১৫ জন মানুষকে নিরাপদে সরিয়ে নেওয়া হয়। সেখানে আগুন নেভাতে ১,৯০০ জনের বেশি দমকলকর্মী কাজ করছেন। বুরসা ও রাজধানী আঙ্কারার মধ্যে সংযোগকারী মহাসড়ক বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। একজন দমকলকর্মী হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন বলে জানিয়েছেন শহরের মেয়র মুস্তাফা বোজবে। তিনি বলেন, শহরের আশপাশের তিন হাজার হেক্টর (৭,৪১৩ একর) এলাকা পুড়ে গেছে।
স্থানীয় সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, বুরসার বাইরে একটি পানি ট্যাঙ্কার খাদে পড়ে একজন নিহত ও দুজন গুরুতর আহত হয়েছেন।
বিরোধী দলের সংসদ সদস্য ওরহান সারিবাল এ পরিস্থিতিকে ‘প্রলয়’ বলে বর্ণনা করেছেন।
সকালে বাতাস কিছুটা কমে আসায় দমকল বাহিনী কিছুটা স্বস্তি পায়। তবে টেলিভিশনে প্রচারিত ভিডিওতে দেখা যায়, যেখানে আগে কৃষিজমি ও পাইন গাছ ছিল, সেখানে এখন ছাই ছড়িয়ে আছে। মন্ত্রী ইউমাকলি জানান, শনিবার সারা দেশে ৮৪টি পৃথক আগুনের সঙ্গে লড়াই করেছে ফায়ার সার্ভিস। দেশটির উত্তর-পশ্চিম অঞ্চল সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিতে রয়েছে, ওই অঞ্চলের কারাবুকে মঙ্গলবার থেকে দাবানল চলছে এবং ১৯টি গ্রাম থেকে ১ হাজার ৮৩৯ জনকে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।
বুরসা ও কারাবুক ছাড়াও দক্ষিণ তুরস্কের কাহরামানমারাশ অঞ্চলে একটি বড় দাবানল চলছে। মন্ত্রী সতর্ক করেছেন, যেসব আগুন পুরোপুরি নেভেনি, বাতাসের গতি বেড়ে গেলে সেগুলো আবার জ্বলতে পারে। দুর্যোগ কবলিত এলাকাগুলো থেকে গবাদি পশু ও পোষা প্রাণীদের উদ্ধার করতে অগ্নিনির্বাপক ও উদ্ধারকর্মীরা লড়াই চালিয়ে যাচ্ছেন। স্থানীয় গণমাধ্যমে দাবানলে আটকে পড়া বন্যপ্রাণীদের উদ্ধারের ছবি দেখা গেছে।
স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি তাপমাত্রা, খরাভাব এবং প্রবল বাতাস এই দাবানলের মূল কারণ। তুরস্কের আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, শুক্রবার দক্ষিণ-পূর্বের সিরনাক প্রদেশে দেশটির ইতিহাসে সর্বোচ্চ ৫০.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়। জুলাই মাসে আরও ১৩২ স্থানে রেকর্ড তাপমাত্রা দেখা যায়। গত কয়েক সপ্তাহে অন্তত ১৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে ১০ জন উদ্ধারকর্মী ও বনকর্মী রয়েছেন, যারা বুধবার পশ্চিম তুরস্কের এসকিশেহির অঞ্চলে আগুনে নিহত হন।