গাজায় ইসরায়েলের আগ্রাসনকে গণহত্যা বলে আখ্যায়িত করেছে দেশটির দুই শীর্ষস্থানীয় মানবাধিকার সংস্থা—বতসেলেম ও ফিজিশিয়ানস ফর হিউম্যান রাইটস। সোমবার প্রকাশিত এক যৌথ প্রতিবেদনে তারা জানিয়েছে, শুধু ফিলিস্তিনি পরিচয়ের কারণেই গাজার সাধারণ মানুষদের দীর্ঘ সময় ধরে নিশানা করে আসছে ইসরায়েল।
প্রতিবেদনে বলা হয়, গত অক্টোবর থেকে ইসরায়েল যে নৃশংসতা চালিয়ে যাচ্ছে, তা ফিলিস্তিনি সমাজে ভয়াবহ এবং বহুক্ষেত্রে অপূরণীয় ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। এ হামলায় এখন পর্যন্ত প্রায় ৬০ হাজার ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন।
বতসেলেমের পরিচালক ইউলি নোভাক বলেন, “আমরা যা দেখতে পাচ্ছি, তা এক গোষ্ঠীকে ধ্বংস করতে পরিকল্পিতভাবে চালানো হামলা। এটি স্পষ্টতই গণহত্যা।” তিনি বলেন, “প্রত্যেককেই এখন নিজেকে প্রশ্ন করতে হবে—গণহত্যার মুখে আপনি কী করবেন?”
অন্যদিকে ফিজিশিয়ানস ফর হিউম্যান রাইটস-এর প্রতিবেদনে গাজার স্বাস্থ্যব্যবস্থার ওপর ধারাবাহিকভাবে চালানো হামলাগুলোর বিস্তারিত তুলে ধরা হয়। সংস্থাটির পরিচালক গায় শালেভ বলেন, “শুধু স্বাস্থ্য খাতের ওপর হামলাই আন্তর্জাতিক গণহত্যা কনভেনশনের আওতায় এই যুদ্ধকে গণহত্যায় পরিণত করেছে।”
মানবাধিকার সংস্থা দুটি অভিযোগ করেছে, ইসরায়েলের পশ্চিমা মিত্ররা এই গণহত্যার সহায়তায় সক্রিয় ভূমিকা রেখেছে। তাদের মতে, এই রাষ্ট্রগুলো শুধু নৈতিকভাবেই নয়, বরং আইনি দিক থেকেও দায় এড়াতে পারে না।
৭ অক্টোবর হামাসের হামলার পর ইসরায়েল গাজায় যেভাবে নির্বিচার হামলা চালাচ্ছে, তার কঠোর সমালোচনা করে মানবাধিকার সংস্থা দুটি বলেছে, গণহত্যা বন্ধে পশ্চিমা বিশ্বের এখনই কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া উচিত।
মঙ্গলবার, ২৯ জুলাই ২০২৫
গাজায় ইসরায়েলের আগ্রাসনকে গণহত্যা বলে আখ্যায়িত করেছে দেশটির দুই শীর্ষস্থানীয় মানবাধিকার সংস্থা—বতসেলেম ও ফিজিশিয়ানস ফর হিউম্যান রাইটস। সোমবার প্রকাশিত এক যৌথ প্রতিবেদনে তারা জানিয়েছে, শুধু ফিলিস্তিনি পরিচয়ের কারণেই গাজার সাধারণ মানুষদের দীর্ঘ সময় ধরে নিশানা করে আসছে ইসরায়েল।
প্রতিবেদনে বলা হয়, গত অক্টোবর থেকে ইসরায়েল যে নৃশংসতা চালিয়ে যাচ্ছে, তা ফিলিস্তিনি সমাজে ভয়াবহ এবং বহুক্ষেত্রে অপূরণীয় ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। এ হামলায় এখন পর্যন্ত প্রায় ৬০ হাজার ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন।
বতসেলেমের পরিচালক ইউলি নোভাক বলেন, “আমরা যা দেখতে পাচ্ছি, তা এক গোষ্ঠীকে ধ্বংস করতে পরিকল্পিতভাবে চালানো হামলা। এটি স্পষ্টতই গণহত্যা।” তিনি বলেন, “প্রত্যেককেই এখন নিজেকে প্রশ্ন করতে হবে—গণহত্যার মুখে আপনি কী করবেন?”
অন্যদিকে ফিজিশিয়ানস ফর হিউম্যান রাইটস-এর প্রতিবেদনে গাজার স্বাস্থ্যব্যবস্থার ওপর ধারাবাহিকভাবে চালানো হামলাগুলোর বিস্তারিত তুলে ধরা হয়। সংস্থাটির পরিচালক গায় শালেভ বলেন, “শুধু স্বাস্থ্য খাতের ওপর হামলাই আন্তর্জাতিক গণহত্যা কনভেনশনের আওতায় এই যুদ্ধকে গণহত্যায় পরিণত করেছে।”
মানবাধিকার সংস্থা দুটি অভিযোগ করেছে, ইসরায়েলের পশ্চিমা মিত্ররা এই গণহত্যার সহায়তায় সক্রিয় ভূমিকা রেখেছে। তাদের মতে, এই রাষ্ট্রগুলো শুধু নৈতিকভাবেই নয়, বরং আইনি দিক থেকেও দায় এড়াতে পারে না।
৭ অক্টোবর হামাসের হামলার পর ইসরায়েল গাজায় যেভাবে নির্বিচার হামলা চালাচ্ছে, তার কঠোর সমালোচনা করে মানবাধিকার সংস্থা দুটি বলেছে, গণহত্যা বন্ধে পশ্চিমা বিশ্বের এখনই কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া উচিত।