alt

আন্তর্জাতিক

মায়ানমারের বিরল খনিজে নজর, বিদ্রোহীদের সঙ্গে হাত মেলাতে চায় যুক্তরাষ্ট্র

বিদেশী সংবাদ মাধ্যম : মঙ্গলবার, ২৯ জুলাই ২০২৫

চীনের দখলে থাকা বিরল খনিজের বাজারে আধিপত্য প্রতিষ্ঠায় এবার মায়ানমারের দিকে নজর দিচ্ছে ট্রাম্প প্রশাসন। দেশটির গুরুত্বপূর্ণ খনিজ অঞ্চলের নিয়ন্ত্রণ রয়েছে জাতিগত বিদ্রোহীদের হাতে, আর সেই বাস্তবতায় যুক্তরাষ্ট্র এবার এসব বিদ্রোহী গোষ্ঠীর সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করছে। এমনকি মায়ানমারের সামরিক জান্তার ওপর দেওয়া নিষেধাজ্ঞাও শিথিল করার পথে হাঁটছে ওয়াশিংটন।

ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম রয়টার্স জানায়, কাচিন রাজ্যে বিরল খনিজের খনিগুলোর নিয়ন্ত্রণ এখন ‘কাচিন ইন্ডিপেনডেন্স আর্মি’ (কেআইএ)-এর হাতে। এসব খনিজ এতদিন রপ্তানি হতো চীনে। কিন্তু এখন যুক্তরাষ্ট্র চায়, ওই খনিজ ভারতে প্রক্রিয়াজাত করে পরে যুক্তরাষ্ট্রে নিয়ে আসা হোক। এজন্য কেআইএ-এর সঙ্গে সরাসরি চুক্তি কিংবা জান্তাকে পাশে নিয়ে মধ্যস্থতার কথাও ভাবা হচ্ছে। বিশ্লেষকদের মতে, ট্রাম্প প্রশাসনের এসব প্রস্তাব শুধু চীনের প্রভাব হ্রাসই নয়, একই সঙ্গে ভূরাজনৈতিক এক বড় উত্তরণের ইঙ্গিতও দিচ্ছে। তবে বাস্তবায়ন চ্যালেঞ্জসঙ্কুল—খনিজ খনিগুলো দুর্গম এলাকায় এবং সেখানে যেকোনো বহিরাগত পদক্ষেপে চীনের বাধা দেওয়ার সম্ভাবনাও প্রবল।

এদিকে, মায়ানমারে শান্তি আনার নামে যুক্তরাষ্ট্রের এমন আগ্রহকে অনেকে দেখছেন বাডুজ্যিক ও কৌশলগত স্বার্থসিদ্ধির অংশ হিসেবে।

বিশ্লেষক বারটিল লিন্টনার বলেন, “চীনের নাকের ডগা থেকে খনিজ বের করে ভারতে পাঠানোটা শুধু কঠিন নয়, প্রায় অসম্ভব। এই এলাকা পাহাড়ঘেরা, রাস্তা প্রায় নেই, আর চীন নিশ্চুপ থাকবে তা ভাবাও ভুল।”

যদিও এখনো আনুষ্ঠানিকভাবে কোনো কৌশল চূড়ান্ত করেনি ট্রাম্প প্রশাসন, তবে সূত্র বলছে, জান্তা সরকারের কিছু ঘনিষ্ঠ কর্মকর্তার ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার ইতোমধ্যে শুরু হয়েছে। এমনকি জান্তা প্রধান মিন অং হ্লাইংয়ের সঙ্গে ট্রাম্পের চিঠি চালাচালিও হয়েছে, যেখানে ট্রাম্প জান্তা প্রধানের উদ্দেশে ব্যক্তিগতভাবে শুল্ক কমানোর হুমকি দিয়ে চিঠি দিয়েছেন এবং হ্লাইং তার জবাবে ওয়াশিংটনে আলোচনার প্রস্তাব দিয়েছেন।

বিশেষজ্ঞদের আশঙ্কা, এই প্রক্রিয়া একদিকে মায়ানমারে সেনাশাসনের বৈধতা দিতে পারে, অন্যদিকে যুক্তরাষ্ট্রের ‘গণতন্ত্র ও মানবাধিকারের’ অবস্থানকেও প্রশ্নবিদ্ধ করে তুলবে। তবে যুক্তরাষ্ট্রের একাধিক সূত্র বলছে, কৌশলগত স্বার্থ ও সরবরাহ-নির্ভরতা কমানোর লক্ষ্যেই এই আলোচনা হচ্ছে, যার প্রাথমিক ফোকাস বিরল খনিজ।

ছবি

রাশিয়ায় ভূমিকম্পের পর জাপানে সুনামি: সরানো হলো ফুকুশিমা পারমাণবিক কেন্দ্রের কর্মীদের

ছবি

রাশিয়ায় ৮.৮ মাত্রার ভূমিকম্পের পর জাপানে সুনামি, প্রশান্ত মহাসাগরজুড়ে সতর্কতা

গাজার মানুষ প্রকৃত অনাহারে : ট্রাম্প

ইউক্রেনে রাশিয়ার মুহুর্মুহু হামলা, নিহত ২০

ছবি

যুক্তরাজ্যে অভিবাসনবিরোধী বিক্ষোভ ঘিরে ফের সহিংসতার আশঙ্কা

ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা ছাড়া ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক নয় : সৌদি আরব

ছবি

গাজায় পানিও এখন মারণাস্ত্র

ছবি

চীনে বন্যায় নিহত অন্তত ৩০, ক্ষতিগ্রস্ত লাখো মানুষ

ছবি

নিউ ইয়র্কে বন্দুকধারীর গুলিতে নিহত ৪, পরে হামলাকারীর আত্মহত্যা

ছবি

গাজায় গণহত্যা চালাচ্ছে ইসরায়েল: ইসরায়েলভিত্তিক দুই মানবাধিকার সংস্থা

গাজায় আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘন করছে ইসরায়েল: অস্ট্রেলিয়ান প্রধানমন্ত্রী

ছবি

বাণিজ্যযুদ্ধ এড়াল যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপীয় ইউনিয়ন

ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র বিশ্বের সর্বাধুনিক প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাকে ভেদ করেছে

ছবি

দক্ষিণ ইউরোপজুড়ে দাবানল, হুমকির মুখে তুরস্কের বুরসা

সিরিয়ায় সেপ্টেম্বরে ভোট

ছবি

গাজায় অপুষ্টি উদ্বেগজনক পর্যায়ে, সতর্ক করল ডব্লিউএইচও

ছবি

ভারতের দুই মন্দিরে পদদলনের ঘটনায় নিহত ১০, আহত অর্ধশতাধিক

ছবি

তুরস্ক-গ্রিসসহ দক্ষিণ ইউরোপজুড়ে দাবানলে বিপর্যয়, বুরসা শহর হুমকিতে

ছবি

যুক্তরাষ্ট্র-ইইউ বাণিজ্য চুক্তি: ইউরোপীয় পণ্যে ১৫% শুল্ক, ‘সবচেয়ে বড় চুক্তি’ বললেন ট্রাম্প

ছবি

জার্মানিতে ট্রেন লাইনচ্যুত হয়ে নিহত ৩, আহত বহু

দাবানলে বিপর্যস্ত গ্রিস, সরিয়ে নেয়া হচ্ছে স্থানীয়দের

ছবি

গাজার কিছু অংশে ‘মানবিক বিরতি’ ঘোষণা ইসরায়েলের

ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দেয়া নিয়ে বিভাজিত ইউরোপ

ছবি

মালয়েশিয়ায় প্রধানমন্ত্রীর পদত্যাগ দাবিতে হাজারো মানুষের বিক্ষোভ

কানাডায় দাবানল, ধোঁয়ায় আচ্ছন্ন নিউইয়র্কে সতর্কতা জারি

ছবি

থাইল্যান্ড-কম্বোডিয়ার সংঘাত আরও দীর্ঘায়িত হওয়ার শঙ্কা

ছবি

গাজামুখী ত্রাণবাহী জাহাজ থামিয়ে আরোহীদের ‘অপহরণের’ অভিযোগ এফএফসির

ছবি

যুদ্ধবিরতিতে সম্মতি কম্বোডিয়া-থাইল্যান্ড, আলোচনায় আগ্রহী দুই পক্ষ : ট্রাম্প

ছবি

কাঠমান্ডু ট্র্যাজেডি: ৭ বছর পর আদালতের রায়, ক্ষতিপূরণ দিতে নির্দেশ

ছবি

মালয়েশিয়ায় আনোয়ার ইব্রাহিমের পদত্যাগ দাবিতে ব্যাপক বিক্ষোভ, মাহথিরও সমর্থনে

ছবি

ইরানে আবারও হামলার পরিকল্পনা করছে ইসরায়েল

‘ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দিন’, স্টারমারকে চিঠি ২ শতাধিক ব্রিটিশ এমপির

ছবি

গাজায় প্রতি তিনজনে একজন না খেয়ে দিন পার করছেন : জাতিসংঘ

রাশিয়া থেকে নিজেদের স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণ করল ইরান

ছবি

কম্বোডিয়া ‘অবিলম্বে যুদ্ধবিরতি’ চায়, থাইল্যান্ড নিশ্চুপ

ভারতকে সবচেয়ে বিশ্বস্ত মিত্র বললেন মালদ্বীপের প্রেসিডেন্ট

tab

আন্তর্জাতিক

মায়ানমারের বিরল খনিজে নজর, বিদ্রোহীদের সঙ্গে হাত মেলাতে চায় যুক্তরাষ্ট্র

বিদেশী সংবাদ মাধ্যম

মঙ্গলবার, ২৯ জুলাই ২০২৫

চীনের দখলে থাকা বিরল খনিজের বাজারে আধিপত্য প্রতিষ্ঠায় এবার মায়ানমারের দিকে নজর দিচ্ছে ট্রাম্প প্রশাসন। দেশটির গুরুত্বপূর্ণ খনিজ অঞ্চলের নিয়ন্ত্রণ রয়েছে জাতিগত বিদ্রোহীদের হাতে, আর সেই বাস্তবতায় যুক্তরাষ্ট্র এবার এসব বিদ্রোহী গোষ্ঠীর সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করছে। এমনকি মায়ানমারের সামরিক জান্তার ওপর দেওয়া নিষেধাজ্ঞাও শিথিল করার পথে হাঁটছে ওয়াশিংটন।

ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম রয়টার্স জানায়, কাচিন রাজ্যে বিরল খনিজের খনিগুলোর নিয়ন্ত্রণ এখন ‘কাচিন ইন্ডিপেনডেন্স আর্মি’ (কেআইএ)-এর হাতে। এসব খনিজ এতদিন রপ্তানি হতো চীনে। কিন্তু এখন যুক্তরাষ্ট্র চায়, ওই খনিজ ভারতে প্রক্রিয়াজাত করে পরে যুক্তরাষ্ট্রে নিয়ে আসা হোক। এজন্য কেআইএ-এর সঙ্গে সরাসরি চুক্তি কিংবা জান্তাকে পাশে নিয়ে মধ্যস্থতার কথাও ভাবা হচ্ছে। বিশ্লেষকদের মতে, ট্রাম্প প্রশাসনের এসব প্রস্তাব শুধু চীনের প্রভাব হ্রাসই নয়, একই সঙ্গে ভূরাজনৈতিক এক বড় উত্তরণের ইঙ্গিতও দিচ্ছে। তবে বাস্তবায়ন চ্যালেঞ্জসঙ্কুল—খনিজ খনিগুলো দুর্গম এলাকায় এবং সেখানে যেকোনো বহিরাগত পদক্ষেপে চীনের বাধা দেওয়ার সম্ভাবনাও প্রবল।

এদিকে, মায়ানমারে শান্তি আনার নামে যুক্তরাষ্ট্রের এমন আগ্রহকে অনেকে দেখছেন বাডুজ্যিক ও কৌশলগত স্বার্থসিদ্ধির অংশ হিসেবে।

বিশ্লেষক বারটিল লিন্টনার বলেন, “চীনের নাকের ডগা থেকে খনিজ বের করে ভারতে পাঠানোটা শুধু কঠিন নয়, প্রায় অসম্ভব। এই এলাকা পাহাড়ঘেরা, রাস্তা প্রায় নেই, আর চীন নিশ্চুপ থাকবে তা ভাবাও ভুল।”

যদিও এখনো আনুষ্ঠানিকভাবে কোনো কৌশল চূড়ান্ত করেনি ট্রাম্প প্রশাসন, তবে সূত্র বলছে, জান্তা সরকারের কিছু ঘনিষ্ঠ কর্মকর্তার ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার ইতোমধ্যে শুরু হয়েছে। এমনকি জান্তা প্রধান মিন অং হ্লাইংয়ের সঙ্গে ট্রাম্পের চিঠি চালাচালিও হয়েছে, যেখানে ট্রাম্প জান্তা প্রধানের উদ্দেশে ব্যক্তিগতভাবে শুল্ক কমানোর হুমকি দিয়ে চিঠি দিয়েছেন এবং হ্লাইং তার জবাবে ওয়াশিংটনে আলোচনার প্রস্তাব দিয়েছেন।

বিশেষজ্ঞদের আশঙ্কা, এই প্রক্রিয়া একদিকে মায়ানমারে সেনাশাসনের বৈধতা দিতে পারে, অন্যদিকে যুক্তরাষ্ট্রের ‘গণতন্ত্র ও মানবাধিকারের’ অবস্থানকেও প্রশ্নবিদ্ধ করে তুলবে। তবে যুক্তরাষ্ট্রের একাধিক সূত্র বলছে, কৌশলগত স্বার্থ ও সরবরাহ-নির্ভরতা কমানোর লক্ষ্যেই এই আলোচনা হচ্ছে, যার প্রাথমিক ফোকাস বিরল খনিজ।

back to top