চীনের দখলে থাকা বিরল খনিজের বাজারে আধিপত্য প্রতিষ্ঠায় এবার মায়ানমারের দিকে নজর দিচ্ছে ট্রাম্প প্রশাসন। দেশটির গুরুত্বপূর্ণ খনিজ অঞ্চলের নিয়ন্ত্রণ রয়েছে জাতিগত বিদ্রোহীদের হাতে, আর সেই বাস্তবতায় যুক্তরাষ্ট্র এবার এসব বিদ্রোহী গোষ্ঠীর সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করছে। এমনকি মায়ানমারের সামরিক জান্তার ওপর দেওয়া নিষেধাজ্ঞাও শিথিল করার পথে হাঁটছে ওয়াশিংটন।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম রয়টার্স জানায়, কাচিন রাজ্যে বিরল খনিজের খনিগুলোর নিয়ন্ত্রণ এখন ‘কাচিন ইন্ডিপেনডেন্স আর্মি’ (কেআইএ)-এর হাতে। এসব খনিজ এতদিন রপ্তানি হতো চীনে। কিন্তু এখন যুক্তরাষ্ট্র চায়, ওই খনিজ ভারতে প্রক্রিয়াজাত করে পরে যুক্তরাষ্ট্রে নিয়ে আসা হোক। এজন্য কেআইএ-এর সঙ্গে সরাসরি চুক্তি কিংবা জান্তাকে পাশে নিয়ে মধ্যস্থতার কথাও ভাবা হচ্ছে। বিশ্লেষকদের মতে, ট্রাম্প প্রশাসনের এসব প্রস্তাব শুধু চীনের প্রভাব হ্রাসই নয়, একই সঙ্গে ভূরাজনৈতিক এক বড় উত্তরণের ইঙ্গিতও দিচ্ছে। তবে বাস্তবায়ন চ্যালেঞ্জসঙ্কুল—খনিজ খনিগুলো দুর্গম এলাকায় এবং সেখানে যেকোনো বহিরাগত পদক্ষেপে চীনের বাধা দেওয়ার সম্ভাবনাও প্রবল।
এদিকে, মায়ানমারে শান্তি আনার নামে যুক্তরাষ্ট্রের এমন আগ্রহকে অনেকে দেখছেন বাডুজ্যিক ও কৌশলগত স্বার্থসিদ্ধির অংশ হিসেবে।
বিশ্লেষক বারটিল লিন্টনার বলেন, “চীনের নাকের ডগা থেকে খনিজ বের করে ভারতে পাঠানোটা শুধু কঠিন নয়, প্রায় অসম্ভব। এই এলাকা পাহাড়ঘেরা, রাস্তা প্রায় নেই, আর চীন নিশ্চুপ থাকবে তা ভাবাও ভুল।”
যদিও এখনো আনুষ্ঠানিকভাবে কোনো কৌশল চূড়ান্ত করেনি ট্রাম্প প্রশাসন, তবে সূত্র বলছে, জান্তা সরকারের কিছু ঘনিষ্ঠ কর্মকর্তার ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার ইতোমধ্যে শুরু হয়েছে। এমনকি জান্তা প্রধান মিন অং হ্লাইংয়ের সঙ্গে ট্রাম্পের চিঠি চালাচালিও হয়েছে, যেখানে ট্রাম্প জান্তা প্রধানের উদ্দেশে ব্যক্তিগতভাবে শুল্ক কমানোর হুমকি দিয়ে চিঠি দিয়েছেন এবং হ্লাইং তার জবাবে ওয়াশিংটনে আলোচনার প্রস্তাব দিয়েছেন।
বিশেষজ্ঞদের আশঙ্কা, এই প্রক্রিয়া একদিকে মায়ানমারে সেনাশাসনের বৈধতা দিতে পারে, অন্যদিকে যুক্তরাষ্ট্রের ‘গণতন্ত্র ও মানবাধিকারের’ অবস্থানকেও প্রশ্নবিদ্ধ করে তুলবে। তবে যুক্তরাষ্ট্রের একাধিক সূত্র বলছে, কৌশলগত স্বার্থ ও সরবরাহ-নির্ভরতা কমানোর লক্ষ্যেই এই আলোচনা হচ্ছে, যার প্রাথমিক ফোকাস বিরল খনিজ।
মঙ্গলবার, ২৯ জুলাই ২০২৫
চীনের দখলে থাকা বিরল খনিজের বাজারে আধিপত্য প্রতিষ্ঠায় এবার মায়ানমারের দিকে নজর দিচ্ছে ট্রাম্প প্রশাসন। দেশটির গুরুত্বপূর্ণ খনিজ অঞ্চলের নিয়ন্ত্রণ রয়েছে জাতিগত বিদ্রোহীদের হাতে, আর সেই বাস্তবতায় যুক্তরাষ্ট্র এবার এসব বিদ্রোহী গোষ্ঠীর সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করছে। এমনকি মায়ানমারের সামরিক জান্তার ওপর দেওয়া নিষেধাজ্ঞাও শিথিল করার পথে হাঁটছে ওয়াশিংটন।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম রয়টার্স জানায়, কাচিন রাজ্যে বিরল খনিজের খনিগুলোর নিয়ন্ত্রণ এখন ‘কাচিন ইন্ডিপেনডেন্স আর্মি’ (কেআইএ)-এর হাতে। এসব খনিজ এতদিন রপ্তানি হতো চীনে। কিন্তু এখন যুক্তরাষ্ট্র চায়, ওই খনিজ ভারতে প্রক্রিয়াজাত করে পরে যুক্তরাষ্ট্রে নিয়ে আসা হোক। এজন্য কেআইএ-এর সঙ্গে সরাসরি চুক্তি কিংবা জান্তাকে পাশে নিয়ে মধ্যস্থতার কথাও ভাবা হচ্ছে। বিশ্লেষকদের মতে, ট্রাম্প প্রশাসনের এসব প্রস্তাব শুধু চীনের প্রভাব হ্রাসই নয়, একই সঙ্গে ভূরাজনৈতিক এক বড় উত্তরণের ইঙ্গিতও দিচ্ছে। তবে বাস্তবায়ন চ্যালেঞ্জসঙ্কুল—খনিজ খনিগুলো দুর্গম এলাকায় এবং সেখানে যেকোনো বহিরাগত পদক্ষেপে চীনের বাধা দেওয়ার সম্ভাবনাও প্রবল।
এদিকে, মায়ানমারে শান্তি আনার নামে যুক্তরাষ্ট্রের এমন আগ্রহকে অনেকে দেখছেন বাডুজ্যিক ও কৌশলগত স্বার্থসিদ্ধির অংশ হিসেবে।
বিশ্লেষক বারটিল লিন্টনার বলেন, “চীনের নাকের ডগা থেকে খনিজ বের করে ভারতে পাঠানোটা শুধু কঠিন নয়, প্রায় অসম্ভব। এই এলাকা পাহাড়ঘেরা, রাস্তা প্রায় নেই, আর চীন নিশ্চুপ থাকবে তা ভাবাও ভুল।”
যদিও এখনো আনুষ্ঠানিকভাবে কোনো কৌশল চূড়ান্ত করেনি ট্রাম্প প্রশাসন, তবে সূত্র বলছে, জান্তা সরকারের কিছু ঘনিষ্ঠ কর্মকর্তার ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার ইতোমধ্যে শুরু হয়েছে। এমনকি জান্তা প্রধান মিন অং হ্লাইংয়ের সঙ্গে ট্রাম্পের চিঠি চালাচালিও হয়েছে, যেখানে ট্রাম্প জান্তা প্রধানের উদ্দেশে ব্যক্তিগতভাবে শুল্ক কমানোর হুমকি দিয়ে চিঠি দিয়েছেন এবং হ্লাইং তার জবাবে ওয়াশিংটনে আলোচনার প্রস্তাব দিয়েছেন।
বিশেষজ্ঞদের আশঙ্কা, এই প্রক্রিয়া একদিকে মায়ানমারে সেনাশাসনের বৈধতা দিতে পারে, অন্যদিকে যুক্তরাষ্ট্রের ‘গণতন্ত্র ও মানবাধিকারের’ অবস্থানকেও প্রশ্নবিদ্ধ করে তুলবে। তবে যুক্তরাষ্ট্রের একাধিক সূত্র বলছে, কৌশলগত স্বার্থ ও সরবরাহ-নির্ভরতা কমানোর লক্ষ্যেই এই আলোচনা হচ্ছে, যার প্রাথমিক ফোকাস বিরল খনিজ।