রাশিয়ার দূরপ্রাচ্যের কামচাটকা উপকূলে ৮.৮ মাত্রার একটি ভয়াবহ ভূমিকম্প আঘাত হেনেছে। ভূমিকম্পটির পরপরই প্রায় চার মিটার উচ্চতার সুনামি আছড়ে পড়ে জাপানের উত্তরাঞ্চল হোক্কাইডো উপকূলে। বিস্তীর্ণ প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে উচ্চমাত্রার সুনামি সতর্কতা জারি করা হয়েছে।
মার্কিন ভূতাত্ত্বিক জরিপ সংস্থা ইউএসজিএস জানায়, বুধবার সকাল ৮টা ২৫ মিনিটে রিখটার স্কেলে ভূমিকম্পটির মাত্রা ছিল শুরুতে ৮। পরে তা সংশোধন করে ৮.৮ বলা হয়। উৎপত্তিস্থল ছিল রাশিয়ার পেত্রোপাভলোভস্ক-কামচাত্সকি শহর থেকে প্রায় ১৩৬ কিলোমিটার পূর্বে, সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে ১৯.৩ কিলোমিটার গভীরে।
ভূমিকম্পের পর পরই কামচাটকা অঞ্চলে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির খবর এসেছে। কিছু ঘরবাড়ি ধসে পড়েছে এবং কয়েকজন আহত হয়েছেন বলে নিশ্চিত করেছে স্থানীয় প্রশাসন। রাশিয়ার ভূ-তাত্ত্বিক কর্তৃপক্ষ বলছে, এটি ১৯৫২ সালের পর অঞ্চলটিতে সবচেয়ে শক্তিশালী ভূমিকম্প।
কামচাটকার গভর্নর ভ্লাদিমির সলোদভ এক ভিডিও বার্তায় জানান, “আজকের ভূমিকম্প ছিল ভয়াবহ, গত কয়েক দশকে এর তুলনা নেই।” স্থানীয় জরুরি ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, উপকূলীয় এলাকায় ৩ থেকে ৪ মিটার উচ্চতার সুনামি ঢেউ আঘাত হেনেছে।
এদিকে ভূমিকম্পের প্রভাবে উত্তর জাপানের হোক্কাইডো উপকূলে ৩০ সেন্টিমিটার উচ্চতার প্রথম সুনামি ঢেউ আছড়ে পড়ে। আরও বড় ঢেউ আসতে পারে এমন আশঙ্কায় পুরো উপকূলজুড়ে জারি করা হয়েছে সতর্কতা। উপকূলীয় এলাকার মানুষজনকে দ্রুত সরিয়ে নেওয়া হয়েছে, বিশেষ করে পূর্ব হোক্কাইডোর নেমুরো শহরের বাসিন্দারা পাহাড়ে আশ্রয় নিয়েছেন।
পরিস্থিতির গুরুত্ব বিবেচনায় জাপানের ফুকুশিমা দাই-ইচি ও দাইনি পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র থেকে কর্মীদের সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। টোকিও ইলেকট্রিক পাওয়ার কোম্পানি (টেপকো) জানিয়েছে, এখন পর্যন্ত পারমাণবিক স্থাপনাগুলোতে কোনো ধরনের অস্বাভাবিকতা বা ক্ষতির তথ্য পাওয়া যায়নি। তবে সুনামি সতর্কতা ঘনিষ্ঠভাবে পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে।
উল্লেখ্য, ২০১১ সালের ৯ মাত্রার ভূমিকম্প ও সুনামিতে ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল ফুকুশিমা পারমাণবিক কেন্দ্র। সেই স্মৃতি মাথায় রেখেই এবারের পরিস্থিতিতে সর্বোচ্চ সতর্কতা অবলম্বন করছে জাপান সরকার।
হাওয়াই, চিলি, সলোমন দ্বীপপুঞ্জ, এমনকি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পশ্চিম উপকূলেও সুনামি সতর্কতা জারি করা হয়েছে। হাওয়াইয়ের জরুরি ব্যবস্থাপনা বিভাগ এক বিবৃতিতে জানায়, “ধ্বংসাত্মক সুনামি ঢেউ যে কোনো সময় হাওয়াই উপকূলে পৌঁছাতে পারে।”
এদিকে রাশিয়ার সেভেরো-কুরিলস্ক শহরের বন্দর ও মাছ প্রক্রিয়াজাতকরণ কারখানা আংশিকভাবে প্লাবিত হয়েছে। বাসিন্দাদের নিরাপদে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।
রাশিয়ার দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা মন্ত্রণালয় ও বিজ্ঞান একাডেমি আশঙ্কা করছে, আফটারশক আরও কয়েকদিন চলতে পারে।
কামচাটকা ও জাপানের এই অঞ্চলগুলো ‘প্যাসিফিক রিং অব ফায়ার’-এর অংশ, যেখানে ঘন ঘন ভূমিকম্প ও আগ্নেয়গিরির অগ্ন্যুৎপাত ঘটে থাকে।
বুধবার, ৩০ জুলাই ২০২৫
রাশিয়ার দূরপ্রাচ্যের কামচাটকা উপকূলে ৮.৮ মাত্রার একটি ভয়াবহ ভূমিকম্প আঘাত হেনেছে। ভূমিকম্পটির পরপরই প্রায় চার মিটার উচ্চতার সুনামি আছড়ে পড়ে জাপানের উত্তরাঞ্চল হোক্কাইডো উপকূলে। বিস্তীর্ণ প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে উচ্চমাত্রার সুনামি সতর্কতা জারি করা হয়েছে।
মার্কিন ভূতাত্ত্বিক জরিপ সংস্থা ইউএসজিএস জানায়, বুধবার সকাল ৮টা ২৫ মিনিটে রিখটার স্কেলে ভূমিকম্পটির মাত্রা ছিল শুরুতে ৮। পরে তা সংশোধন করে ৮.৮ বলা হয়। উৎপত্তিস্থল ছিল রাশিয়ার পেত্রোপাভলোভস্ক-কামচাত্সকি শহর থেকে প্রায় ১৩৬ কিলোমিটার পূর্বে, সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে ১৯.৩ কিলোমিটার গভীরে।
ভূমিকম্পের পর পরই কামচাটকা অঞ্চলে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির খবর এসেছে। কিছু ঘরবাড়ি ধসে পড়েছে এবং কয়েকজন আহত হয়েছেন বলে নিশ্চিত করেছে স্থানীয় প্রশাসন। রাশিয়ার ভূ-তাত্ত্বিক কর্তৃপক্ষ বলছে, এটি ১৯৫২ সালের পর অঞ্চলটিতে সবচেয়ে শক্তিশালী ভূমিকম্প।
কামচাটকার গভর্নর ভ্লাদিমির সলোদভ এক ভিডিও বার্তায় জানান, “আজকের ভূমিকম্প ছিল ভয়াবহ, গত কয়েক দশকে এর তুলনা নেই।” স্থানীয় জরুরি ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, উপকূলীয় এলাকায় ৩ থেকে ৪ মিটার উচ্চতার সুনামি ঢেউ আঘাত হেনেছে।
এদিকে ভূমিকম্পের প্রভাবে উত্তর জাপানের হোক্কাইডো উপকূলে ৩০ সেন্টিমিটার উচ্চতার প্রথম সুনামি ঢেউ আছড়ে পড়ে। আরও বড় ঢেউ আসতে পারে এমন আশঙ্কায় পুরো উপকূলজুড়ে জারি করা হয়েছে সতর্কতা। উপকূলীয় এলাকার মানুষজনকে দ্রুত সরিয়ে নেওয়া হয়েছে, বিশেষ করে পূর্ব হোক্কাইডোর নেমুরো শহরের বাসিন্দারা পাহাড়ে আশ্রয় নিয়েছেন।
পরিস্থিতির গুরুত্ব বিবেচনায় জাপানের ফুকুশিমা দাই-ইচি ও দাইনি পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র থেকে কর্মীদের সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। টোকিও ইলেকট্রিক পাওয়ার কোম্পানি (টেপকো) জানিয়েছে, এখন পর্যন্ত পারমাণবিক স্থাপনাগুলোতে কোনো ধরনের অস্বাভাবিকতা বা ক্ষতির তথ্য পাওয়া যায়নি। তবে সুনামি সতর্কতা ঘনিষ্ঠভাবে পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে।
উল্লেখ্য, ২০১১ সালের ৯ মাত্রার ভূমিকম্প ও সুনামিতে ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল ফুকুশিমা পারমাণবিক কেন্দ্র। সেই স্মৃতি মাথায় রেখেই এবারের পরিস্থিতিতে সর্বোচ্চ সতর্কতা অবলম্বন করছে জাপান সরকার।
হাওয়াই, চিলি, সলোমন দ্বীপপুঞ্জ, এমনকি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পশ্চিম উপকূলেও সুনামি সতর্কতা জারি করা হয়েছে। হাওয়াইয়ের জরুরি ব্যবস্থাপনা বিভাগ এক বিবৃতিতে জানায়, “ধ্বংসাত্মক সুনামি ঢেউ যে কোনো সময় হাওয়াই উপকূলে পৌঁছাতে পারে।”
এদিকে রাশিয়ার সেভেরো-কুরিলস্ক শহরের বন্দর ও মাছ প্রক্রিয়াজাতকরণ কারখানা আংশিকভাবে প্লাবিত হয়েছে। বাসিন্দাদের নিরাপদে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।
রাশিয়ার দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা মন্ত্রণালয় ও বিজ্ঞান একাডেমি আশঙ্কা করছে, আফটারশক আরও কয়েকদিন চলতে পারে।
কামচাটকা ও জাপানের এই অঞ্চলগুলো ‘প্যাসিফিক রিং অব ফায়ার’-এর অংশ, যেখানে ঘন ঘন ভূমিকম্প ও আগ্নেয়গিরির অগ্ন্যুৎপাত ঘটে থাকে।