alt

আন্তর্জাতিক

জনগণের সমর্থন হারাচ্ছেন ট্রাম্প

বিদেশী সংবাদ মাধ্যম : বৃহস্পতিবার, ৩১ জুলাই ২০২৫

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প ক্রমেই জনসমর্থন হারাচ্ছেন। সাম্প্রতিক নীতিমালা, বিশেষ করে শুল্কবিষয়ক সিদ্ধান্তের কারণে দেশের ভেতরেই তার বিরুদ্ধে অসন্তোষ বাড়ছে। তবে রিপাবলিকান দলের এই নেতার জনপ্রিয়তা কমলেও, দল হিসেবে এখনো ডেমোক্র্যাটদের চেয়ে এগিয়ে রয়েছে তার দল। এমনই চিত্র উঠে এসেছে যুক্তরাষ্ট্রের একাধিক জরিপে।

বিশ্লেষকদের মতে, ট্রাম্পের শুল্কনীতি ও মূল্যস্ফীতির প্রভাব নিয়ে জনমনে নেতিবাচক প্রতিক্রিয়া দেখা গেলেও, ডেমোক্রেটিক পার্টি সেই অসন্তোষকে নিজেদের পক্ষে টানতে ব্যর্থ হয়েছে। ২০২৬ সালের মধ্যবর্তী নির্বাচনকে সামনে রেখে তৈরি হওয়া এই রাজনৈতিক পরিবেশে ডেমোক্র্যাটদের জন্য নতুন সম্ভাবনা তৈরি হলেও তা এখনো কাজে লাগাতে পারেনি দলটি।

বিশ্ববাণিজ্যে অংশীদার দেশগুলোর ওপর ট্রাম্প যে নতুন শুল্ক আরোপ করছেন, তার বাস্তবায়ন শুরু হতে যাচ্ছে এক দিনের মধ্যেই। যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনীতিতেও এই সিদ্ধান্তের বিরূপ প্রভাব পড়বে বলে সতর্ক করেছেন অর্থনীতিবিদরা। আমদানিনির্ভর পণ্যের দাম বাড়লে নাগরিকদের জীবনযাত্রার খরচ বাড়ার ঝুঁকি তৈরি হবে।

সিএনএনের একটি প্রতিবেদনে বলা হয়, প্রেসিডেন্ট হিসেবে ট্রাম্পের প্রতি সমর্থন হ্রাস পেলেও ডেমোক্র্যাটদের প্রতি আস্থা দেখাতে পারছেন না অনেক ভোটার। ফলে ভোটাররা দল হিসেবে রিপাবলিকানদেরই বেশি সমর্থন জানাচ্ছেন। এদিকে ওয়াল স্ট্রিট জার্নালের এক জরিপে দেখা গেছে, যুক্তরাষ্ট্রে গত তিন দশকের মধ্যে ডেমোক্র্যাটিক পার্টি এবার সবচেয়ে খারাপ জনপ্রিয়তা দেখিয়েছে।

জরিপে অংশ নেওয়া ৬৩ শতাংশ ভোটার ডেমোক্র্যাটদের সম্পর্কে বিরূপ মনোভাব প্রকাশ করেছেন। শুধু ৩৩ শতাংশ ছিলেন ইতিবাচক।

একই ধরনের ফল মিলেছে সিএনএনের জরিপেও। ১৯৯২ সালের পর এবারই প্রথমবারের মতো এত কম নম্বর পেয়েছে ডেমোক্র্যাটিক পার্টি। বিশ্লেষকরা বলছেন, ট্রাম্পের নেতিবাচক ইমেজ থাকা সত্ত্বেও ডেমোক্র্যাটদের পক্ষে ভোটারদের আস্থা তৈরি না হওয়া দলের জন্য বড় ধরনের রাজনৈতিক সংকট ডেকে আনতে পারে।

যুক্তরাষ্ট্রের রাজনৈতিক ইতিহাস বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, গৃহযুদ্ধ-পরবর্তী সময়ে কেবল চারটি মধ্যবর্তী নির্বাচনে ক্ষমতাসীন দল সুবিধাজনক অবস্থানে ছিল। বাকি প্রতিবারেই বিরোধী দল হাউজ অব রিপ্রেজেন্টেটিভসে এগিয়ে ছিল। এই রেকর্ড মাথায় রেখে বিশ্লেষকরা মনে করছেন, এখনও ডেমোক্র্যাটদের ঘুরে দাঁড়ানোর সুযোগ আছে—তবে সেটা কাজে লাগাতে হলে এখনই জনগণের আস্থা ফেরানোর প্রচেষ্টা জোরদার করতে হবে।

নির্বাচনকে সামনে রেখে মায়ানমারে অন্তর্বর্তী সরকার গঠন

ছবি

পর্যটকদের জন্য দ্বার খুলে দিচ্ছে তুর্কমিনিস্তান

পশ্চিমাদের সতর্ক করলেন জাতিসংঘ মহাসচিব

ছবি

বন্ধু থেকে প্রতিবেশী, কাউকেই ছাড় দেননি ট্রাম্প

পাকিস্তানে ইমরান খানের দলের শতাধিক নেতাকর্মীর কারাদণ্ড

ছবি

গাজায় ইসরায়েলি আগ্রাসন তীব্র ক্ষুধায় ঝুঁকিতে এক প্রজন্মের ‘স্বাস্থ্য ও সুস্থতা’

ছবি

শুল্কে রাজস্ব বাড়লেও পণ্যমূল্যে ঊর্ধ্বগতি, বৈরী বাণিজ্য ঘাটতিও

ছবি

কয়েক ডজন দেশের পণ্যে নতুন শুল্ক দিলো ট্রাম্প

ছবি

মায়ানমারে জরুরি অবস্থা প্রত্যাহার, ডিসেম্বরে নির্বাচন

ভারত-রাশিয়া তাদের অর্থনীতি ডোবাক, মাথা ঘামাই না : ট্রাম্প

ছবি

রাশিয়ায় ভয়াবহ ভূমিকম্পেও সুনামির ধাক্কা প্রবল হলো না যে কারণে

ছবি

ভারতের ওপর শুল্ক, পাকিস্তানের সঙ্গে তেল চুক্তি ট্রাম্পের

ছবি

ইরানের পণ্য বাণিজ্যে জড়িত থাকার অভিযোগে ভারতের ৬ প্রতিষ্ঠানের ওপর ট্রাম্প প্রশাসনের নিষেধাজ্ঞা

ছবি

ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দেওয়ার পরিকল্পনা কানাডার

ছবি

ব্রাজিলের ওপর ৫০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করলেন ট্রাম্প

ছবি

গাজায় ২৪ ঘণ্টায় ১০৪ জনের মৃত্যু, অপুষ্টিতেই ৭

গাজার দৃশ্য নাৎসি ক্যাম্পের চেয়েও ভয়াবহ : এরদোয়ান

ছবি

গাজায় হামলার নিন্দা জানালেও ইসরায়েলের সঙ্গে বাণিজ্য চালিয়ে যাচ্ছে যেসব দেশ

ভারতের ওপর এবার ২৫ শতাংশ শুল্ক আরোপের হুমকি ট্রাম্পের

ছবি

বিশ্বজুড়ে ‘ভালো থাকা’ মানুষের সংখ্যা বাড়ছে, পিছিয়ে দক্ষিণ এশিয়া

জন্মহার বাড়াতে চীনের নতুন উদ্যোগ

ছবি

জাপান সরাচ্ছে ১৯ লাখ মানুষ, লণ্ডভণ্ড রুশ বন্দর

ছবি

সুনামি: জাপানে ১৯ লাখ মানুষকে সরানো হয়েছে, রুশ বন্দর লণ্ডভণ্ড

ছবি

রাশিয়ায় ভূমিকম্পের পর জাপানে সুনামি: সরানো হলো ফুকুশিমা পারমাণবিক কেন্দ্রের কর্মীদের

ছবি

রাশিয়ায় ৮.৮ মাত্রার ভূমিকম্পের পর জাপানে সুনামি, প্রশান্ত মহাসাগরজুড়ে সতর্কতা

গাজার মানুষ প্রকৃত অনাহারে : ট্রাম্প

ছবি

মায়ানমারের বিরল খনিজে নজর, বিদ্রোহীদের সঙ্গে হাত মেলাতে চায় যুক্তরাষ্ট্র

ইউক্রেনে রাশিয়ার মুহুর্মুহু হামলা, নিহত ২০

ছবি

যুক্তরাজ্যে অভিবাসনবিরোধী বিক্ষোভ ঘিরে ফের সহিংসতার আশঙ্কা

ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা ছাড়া ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক নয় : সৌদি আরব

ছবি

গাজায় পানিও এখন মারণাস্ত্র

ছবি

চীনে বন্যায় নিহত অন্তত ৩০, ক্ষতিগ্রস্ত লাখো মানুষ

ছবি

নিউ ইয়র্কে বন্দুকধারীর গুলিতে নিহত ৪, পরে হামলাকারীর আত্মহত্যা

ছবি

গাজায় গণহত্যা চালাচ্ছে ইসরায়েল: ইসরায়েলভিত্তিক দুই মানবাধিকার সংস্থা

গাজায় আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘন করছে ইসরায়েল: অস্ট্রেলিয়ান প্রধানমন্ত্রী

ছবি

বাণিজ্যযুদ্ধ এড়াল যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপীয় ইউনিয়ন

tab

আন্তর্জাতিক

জনগণের সমর্থন হারাচ্ছেন ট্রাম্প

বিদেশী সংবাদ মাধ্যম

বৃহস্পতিবার, ৩১ জুলাই ২০২৫

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প ক্রমেই জনসমর্থন হারাচ্ছেন। সাম্প্রতিক নীতিমালা, বিশেষ করে শুল্কবিষয়ক সিদ্ধান্তের কারণে দেশের ভেতরেই তার বিরুদ্ধে অসন্তোষ বাড়ছে। তবে রিপাবলিকান দলের এই নেতার জনপ্রিয়তা কমলেও, দল হিসেবে এখনো ডেমোক্র্যাটদের চেয়ে এগিয়ে রয়েছে তার দল। এমনই চিত্র উঠে এসেছে যুক্তরাষ্ট্রের একাধিক জরিপে।

বিশ্লেষকদের মতে, ট্রাম্পের শুল্কনীতি ও মূল্যস্ফীতির প্রভাব নিয়ে জনমনে নেতিবাচক প্রতিক্রিয়া দেখা গেলেও, ডেমোক্রেটিক পার্টি সেই অসন্তোষকে নিজেদের পক্ষে টানতে ব্যর্থ হয়েছে। ২০২৬ সালের মধ্যবর্তী নির্বাচনকে সামনে রেখে তৈরি হওয়া এই রাজনৈতিক পরিবেশে ডেমোক্র্যাটদের জন্য নতুন সম্ভাবনা তৈরি হলেও তা এখনো কাজে লাগাতে পারেনি দলটি।

বিশ্ববাণিজ্যে অংশীদার দেশগুলোর ওপর ট্রাম্প যে নতুন শুল্ক আরোপ করছেন, তার বাস্তবায়ন শুরু হতে যাচ্ছে এক দিনের মধ্যেই। যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনীতিতেও এই সিদ্ধান্তের বিরূপ প্রভাব পড়বে বলে সতর্ক করেছেন অর্থনীতিবিদরা। আমদানিনির্ভর পণ্যের দাম বাড়লে নাগরিকদের জীবনযাত্রার খরচ বাড়ার ঝুঁকি তৈরি হবে।

সিএনএনের একটি প্রতিবেদনে বলা হয়, প্রেসিডেন্ট হিসেবে ট্রাম্পের প্রতি সমর্থন হ্রাস পেলেও ডেমোক্র্যাটদের প্রতি আস্থা দেখাতে পারছেন না অনেক ভোটার। ফলে ভোটাররা দল হিসেবে রিপাবলিকানদেরই বেশি সমর্থন জানাচ্ছেন। এদিকে ওয়াল স্ট্রিট জার্নালের এক জরিপে দেখা গেছে, যুক্তরাষ্ট্রে গত তিন দশকের মধ্যে ডেমোক্র্যাটিক পার্টি এবার সবচেয়ে খারাপ জনপ্রিয়তা দেখিয়েছে।

জরিপে অংশ নেওয়া ৬৩ শতাংশ ভোটার ডেমোক্র্যাটদের সম্পর্কে বিরূপ মনোভাব প্রকাশ করেছেন। শুধু ৩৩ শতাংশ ছিলেন ইতিবাচক।

একই ধরনের ফল মিলেছে সিএনএনের জরিপেও। ১৯৯২ সালের পর এবারই প্রথমবারের মতো এত কম নম্বর পেয়েছে ডেমোক্র্যাটিক পার্টি। বিশ্লেষকরা বলছেন, ট্রাম্পের নেতিবাচক ইমেজ থাকা সত্ত্বেও ডেমোক্র্যাটদের পক্ষে ভোটারদের আস্থা তৈরি না হওয়া দলের জন্য বড় ধরনের রাজনৈতিক সংকট ডেকে আনতে পারে।

যুক্তরাষ্ট্রের রাজনৈতিক ইতিহাস বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, গৃহযুদ্ধ-পরবর্তী সময়ে কেবল চারটি মধ্যবর্তী নির্বাচনে ক্ষমতাসীন দল সুবিধাজনক অবস্থানে ছিল। বাকি প্রতিবারেই বিরোধী দল হাউজ অব রিপ্রেজেন্টেটিভসে এগিয়ে ছিল। এই রেকর্ড মাথায় রেখে বিশ্লেষকরা মনে করছেন, এখনও ডেমোক্র্যাটদের ঘুরে দাঁড়ানোর সুযোগ আছে—তবে সেটা কাজে লাগাতে হলে এখনই জনগণের আস্থা ফেরানোর প্রচেষ্টা জোরদার করতে হবে।

back to top