বিশ্ববাণিজ্যে নতুন করে উত্তেজনা ছড়ালেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার রাতে (বাংলাদেশ সময় শুক্রবার সকাল ১০টা) এক নির্বাহী আদেশে তিনি কয়েক ডজন দেশের পণ্যের ওপর ১০ থেকে ৪১ শতাংশ পর্যন্ত বাড়তি শুল্ক আরোপ করেছেন।
সবচেয়ে বড় ধাক্কা খেয়েছে প্রতিবেশী কানাডা। দেশটির পণ্যে শুল্ক ২৫ থেকে বাড়িয়ে ৩৫ শতাংশ করা হয়েছে, যা তাৎক্ষণিকভাবে কার্যকর হয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্রের প্রকাশিত তালিকা অনুযায়ী, ভারতের পণ্যে নতুন শুল্ক হার ২৫ শতাংশ, বাংলাদেশের জন্য ২০ শতাংশ, শ্রীলঙ্কার ওপরও ২০ শতাংশ, পাকিস্তানকে ১৯ শতাংশ, আর আফগানিস্তানের পণ্যে শুল্ক নির্ধারণ করা হয়েছে ১৫ শতাংশ।
তালিকায় যেসব দেশের নাম নেই, তাদের জন্য পূর্ববর্তী ১০ শতাংশ শুল্কই বহাল থাকছে। তবে এসব দেশের জন্যও ভবিষ্যতে নতুন হার নির্ধারণ করা হতে পারে বলে ইঙ্গিত মিলেছে হোয়াইট হাউজ সূত্রে।
প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের এ আদেশ অনুযায়ী, এসব নতুন শুল্ক হার আগামী ৭ আগস্ট থেকে কার্যকর হবে।
বাণিজ্য চুক্তিতে পৌঁছাতে ব্যর্থ হওয়ায় ৭০টিরও বেশি দেশের ওপর এ বাড়তি শুল্ক বসানো হয়েছে। এর মধ্যে সিরিয়ার পণ্যে সর্বোচ্চ ৪১ শতাংশ শুল্ক নির্ধারণ করা হয়েছে।
সিরিয়ার পর লাওস ও মায়ানমারকে গুণতে হবে ৪০ শতাংশ, সুইজারল্যান্ডের ওপর ৩৯ শতাংশ, ইরাক ও সার্বিয়া ৩৫ শতাংশ, আর দক্ষিণ আফ্রিকা ও লিবিয়ার পণ্যে ৩০ শতাংশ শুল্ক বসেছে।
হোয়াইট হাউজের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, কানাডা থেকে যুক্তরাষ্ট্রে অবৈধ মাদক প্রবেশে অটোয়ার ‘নিষ্ক্রিয়তা’ বড় কারণ, যার ফলেই ওই দেশের পণ্যে শুল্ক বাড়ানো হয়েছে।
তবে ট্রাম্প তার ঘনিষ্ঠ মিত্র মেক্সিকোর ওপর এই মুহূর্তে শুল্ক আরোপ করেননি। দেশটিকে ৯০ দিনের জন্য ছাড় দেওয়া হয়েছে।
চলতি বছরের এপ্রিল মাসে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প তার প্রথম শুল্ক পরিকল্পনা ঘোষণা করেন। তবে বিশ্বজুড়ে উদ্বেগ বাড়ায় তিনি তা সাময়িক স্থগিত করেন, যেন বিভিন্ন দেশ যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে নতুন বাণিজ্য চুক্তিতে পৌঁছাতে পারে।
ইতোমধ্যে যুক্তরাজ্য, ইউরোপীয় ইউনিয়ন, জাপান, চীন, ভিয়েতনাম, ইন্দোনেশিয়া, ফিলিপিন্স ও দক্ষিণ কোরিয়া যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাণিজ্য চুক্তিতে পৌঁছেছে। তারা সবাই শর্ত হিসেবে বেশি মার্কিন পণ্য কেনার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে।
শুল্ক ফাঁকি দিতে তৃতীয় দেশের মাধ্যমে পণ্য পাঠানো রপ্তানিকারকদের জন্যও বড় ধাক্কা এসেছে। তাদেরকে ৪০ শতাংশ শুল্ক গুণতে হবে—এটি কার্যত পণ্য রপ্তানির একটি কঠোর প্রতিবন্ধকতা হিসেবেই দেখা হচ্ছে
শুক্রবার, ০১ আগস্ট ২০২৫
বিশ্ববাণিজ্যে নতুন করে উত্তেজনা ছড়ালেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার রাতে (বাংলাদেশ সময় শুক্রবার সকাল ১০টা) এক নির্বাহী আদেশে তিনি কয়েক ডজন দেশের পণ্যের ওপর ১০ থেকে ৪১ শতাংশ পর্যন্ত বাড়তি শুল্ক আরোপ করেছেন।
সবচেয়ে বড় ধাক্কা খেয়েছে প্রতিবেশী কানাডা। দেশটির পণ্যে শুল্ক ২৫ থেকে বাড়িয়ে ৩৫ শতাংশ করা হয়েছে, যা তাৎক্ষণিকভাবে কার্যকর হয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্রের প্রকাশিত তালিকা অনুযায়ী, ভারতের পণ্যে নতুন শুল্ক হার ২৫ শতাংশ, বাংলাদেশের জন্য ২০ শতাংশ, শ্রীলঙ্কার ওপরও ২০ শতাংশ, পাকিস্তানকে ১৯ শতাংশ, আর আফগানিস্তানের পণ্যে শুল্ক নির্ধারণ করা হয়েছে ১৫ শতাংশ।
তালিকায় যেসব দেশের নাম নেই, তাদের জন্য পূর্ববর্তী ১০ শতাংশ শুল্কই বহাল থাকছে। তবে এসব দেশের জন্যও ভবিষ্যতে নতুন হার নির্ধারণ করা হতে পারে বলে ইঙ্গিত মিলেছে হোয়াইট হাউজ সূত্রে।
প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের এ আদেশ অনুযায়ী, এসব নতুন শুল্ক হার আগামী ৭ আগস্ট থেকে কার্যকর হবে।
বাণিজ্য চুক্তিতে পৌঁছাতে ব্যর্থ হওয়ায় ৭০টিরও বেশি দেশের ওপর এ বাড়তি শুল্ক বসানো হয়েছে। এর মধ্যে সিরিয়ার পণ্যে সর্বোচ্চ ৪১ শতাংশ শুল্ক নির্ধারণ করা হয়েছে।
সিরিয়ার পর লাওস ও মায়ানমারকে গুণতে হবে ৪০ শতাংশ, সুইজারল্যান্ডের ওপর ৩৯ শতাংশ, ইরাক ও সার্বিয়া ৩৫ শতাংশ, আর দক্ষিণ আফ্রিকা ও লিবিয়ার পণ্যে ৩০ শতাংশ শুল্ক বসেছে।
হোয়াইট হাউজের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, কানাডা থেকে যুক্তরাষ্ট্রে অবৈধ মাদক প্রবেশে অটোয়ার ‘নিষ্ক্রিয়তা’ বড় কারণ, যার ফলেই ওই দেশের পণ্যে শুল্ক বাড়ানো হয়েছে।
তবে ট্রাম্প তার ঘনিষ্ঠ মিত্র মেক্সিকোর ওপর এই মুহূর্তে শুল্ক আরোপ করেননি। দেশটিকে ৯০ দিনের জন্য ছাড় দেওয়া হয়েছে।
চলতি বছরের এপ্রিল মাসে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প তার প্রথম শুল্ক পরিকল্পনা ঘোষণা করেন। তবে বিশ্বজুড়ে উদ্বেগ বাড়ায় তিনি তা সাময়িক স্থগিত করেন, যেন বিভিন্ন দেশ যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে নতুন বাণিজ্য চুক্তিতে পৌঁছাতে পারে।
ইতোমধ্যে যুক্তরাজ্য, ইউরোপীয় ইউনিয়ন, জাপান, চীন, ভিয়েতনাম, ইন্দোনেশিয়া, ফিলিপিন্স ও দক্ষিণ কোরিয়া যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাণিজ্য চুক্তিতে পৌঁছেছে। তারা সবাই শর্ত হিসেবে বেশি মার্কিন পণ্য কেনার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে।
শুল্ক ফাঁকি দিতে তৃতীয় দেশের মাধ্যমে পণ্য পাঠানো রপ্তানিকারকদের জন্যও বড় ধাক্কা এসেছে। তাদেরকে ৪০ শতাংশ শুল্ক গুণতে হবে—এটি কার্যত পণ্য রপ্তানির একটি কঠোর প্রতিবন্ধকতা হিসেবেই দেখা হচ্ছে