পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের দল পিটিআইয়ের শতাধিক নেতাকর্মীকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দিয়েছে দেশটির একটি সন্ত্রাসবিরোধী আদালত। বৃহস্পতিবার (৩১ জুলাই) আদালতের এক আদেশে জানানো হয়েছে, ২০২৩ সালে সেনা স্থাপনাগুলোর ওপর হামলার সঙ্গে জড়িত দাঙ্গার অভিযোগে তাদের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স এ খবর জানিয়েছে।
আদালত জানিয়েছে, অভিযুক্তদের মধ্যে ৫৮ জনকে ১০ বছর করে কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। এই ৫৮ জনের মধ্যে সংসদ সদস্য এবং জ্যেষ্ঠ নেতারাও রয়েছেন। বাকি ব্যক্তিদের এক থেকে তিন বছর পর্যন্ত বিভিন্ন মেয়াদের সাজা দেওয়া হয়েছে।
আদালতের আদেশ অনুযায়ী, অভিযুক্তদের মধ্যে পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ-পিটিআইর জাতীয় ও সিনেটের নেতা ওমর আছুব খান ও শিবলি ফারাজ রয়েছেন। রায়ে বলা হয়েছে, প্রসিকিউশন সন্দেহাতীতভাবে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে তাদের মামলা প্রমাণ করতে সক্ষম হয়েছে।
ইমরান খান ২০২৩ সাল থেকে কারাগারে রয়েছেন। দুর্নীতি, ভূমি জালিয়াতি ও সরকারি গোপন নথি ফাঁস করার অভিযোগে বিচারের মুখোমুখি তিনি। আলাদাভাবে একই দাঙ্গার সঙ্গে জড়িত অভিযোগেও বিচারের মুখোমুখি হচ্ছেন তিনি।
সরকারের অভিযোগ, তিনি এবং তার দলীয় নেতারা ২০২৩ সালের ৯ মে’র বিক্ষোভ উসকে দিয়েছিলেন। এই সময় বিক্ষোভকারীরা রাওয়ালপিন্ডিতে সেনাবাহিনীর সদর দফতরসহ সামরিক ও সরকারি ভবনে হামলা চালায়।
ইমরান খান সব অভিযোগ অস্বীকার করে বলেছেন, এসব মামলা রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত এবং তার দলকে নির্মূল করার জন্য সেনাবাহিনী-সমর্থিত অভিযানের অংশ। সেনাবাহিনী এ অভিযোগ অস্বীকার করেছে। পিটিআই এই রায়ের বিরুদ্ধে আইনি চ্যালেঞ্জ জানাবে বলে জানিয়েছে।
এটি চলতি মাসে দেওয়া তৃতীয় এমন গণদণ্ড, যেখানে ইমরান খানের দলের অন্তত ১৪ জন সংসদ সদস্য রয়েছেন। পাকিস্তানি আইনের অধীনে তারা তাদের সংসদ সদস্যের পদ হারাবে। ফলে ইমরান খানের বিরোধী দলের শক্তি ভেঙে যাবে ইমরান খানের মুক্তির দাবিতে পিটিআই ৫ আগস্ট থেকে নতুন বিক্ষোভ শুরু করার পরিকল্পনা করেছে।
শুক্রবার, ০১ আগস্ট ২০২৫
পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের দল পিটিআইয়ের শতাধিক নেতাকর্মীকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দিয়েছে দেশটির একটি সন্ত্রাসবিরোধী আদালত। বৃহস্পতিবার (৩১ জুলাই) আদালতের এক আদেশে জানানো হয়েছে, ২০২৩ সালে সেনা স্থাপনাগুলোর ওপর হামলার সঙ্গে জড়িত দাঙ্গার অভিযোগে তাদের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স এ খবর জানিয়েছে।
আদালত জানিয়েছে, অভিযুক্তদের মধ্যে ৫৮ জনকে ১০ বছর করে কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। এই ৫৮ জনের মধ্যে সংসদ সদস্য এবং জ্যেষ্ঠ নেতারাও রয়েছেন। বাকি ব্যক্তিদের এক থেকে তিন বছর পর্যন্ত বিভিন্ন মেয়াদের সাজা দেওয়া হয়েছে।
আদালতের আদেশ অনুযায়ী, অভিযুক্তদের মধ্যে পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ-পিটিআইর জাতীয় ও সিনেটের নেতা ওমর আছুব খান ও শিবলি ফারাজ রয়েছেন। রায়ে বলা হয়েছে, প্রসিকিউশন সন্দেহাতীতভাবে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে তাদের মামলা প্রমাণ করতে সক্ষম হয়েছে।
ইমরান খান ২০২৩ সাল থেকে কারাগারে রয়েছেন। দুর্নীতি, ভূমি জালিয়াতি ও সরকারি গোপন নথি ফাঁস করার অভিযোগে বিচারের মুখোমুখি তিনি। আলাদাভাবে একই দাঙ্গার সঙ্গে জড়িত অভিযোগেও বিচারের মুখোমুখি হচ্ছেন তিনি।
সরকারের অভিযোগ, তিনি এবং তার দলীয় নেতারা ২০২৩ সালের ৯ মে’র বিক্ষোভ উসকে দিয়েছিলেন। এই সময় বিক্ষোভকারীরা রাওয়ালপিন্ডিতে সেনাবাহিনীর সদর দফতরসহ সামরিক ও সরকারি ভবনে হামলা চালায়।
ইমরান খান সব অভিযোগ অস্বীকার করে বলেছেন, এসব মামলা রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত এবং তার দলকে নির্মূল করার জন্য সেনাবাহিনী-সমর্থিত অভিযানের অংশ। সেনাবাহিনী এ অভিযোগ অস্বীকার করেছে। পিটিআই এই রায়ের বিরুদ্ধে আইনি চ্যালেঞ্জ জানাবে বলে জানিয়েছে।
এটি চলতি মাসে দেওয়া তৃতীয় এমন গণদণ্ড, যেখানে ইমরান খানের দলের অন্তত ১৪ জন সংসদ সদস্য রয়েছেন। পাকিস্তানি আইনের অধীনে তারা তাদের সংসদ সদস্যের পদ হারাবে। ফলে ইমরান খানের বিরোধী দলের শক্তি ভেঙে যাবে ইমরান খানের মুক্তির দাবিতে পিটিআই ৫ আগস্ট থেকে নতুন বিক্ষোভ শুরু করার পরিকল্পনা করেছে।