নতুন শুল্কনীতি
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প যুক্তরাষ্ট্রের প্রধান বাডুজ্যিক অংশীদারদের ওপর নতুন করে শুল্ক আরোপের ঘোষণা দিয়েছেন। এক সপ্তাহের মধ্যে কার্যকর হতে যাওয়া এই শুল্কনীতিতে একাধিক দেশ ও খাত অন্তর্ভুক্ত হয়েছে, যার মধ্যে রয়েছে কিছু পণ্যের ওপর উচ্চহারে শুল্ক এবং কিছু দেশের জন্য শর্তসাপেক্ষ ছাড়।
বৃহস্পতিবার (৩১ জুলাই) এই নতুন শুল্ক পরিকল্পনা প্রকাশ করেন ট্রাম্প। এতে সিরিয়ার জন্য শুল্ক হার সর্বোচ্চ ৪১ শতাংশ পর্যন্ত নির্ধারণ করা হয়েছে। পাশাপাশি কানাডার ওপর ২৫ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ৩৫ শতাংশ শুল্ক আরোপ করা হয়েছে। ট্রাম্প বুধবার (৩০ জুলাই) জানান, ভারতের পণ্যের ওপর ২৫ শতাংশ শুল্ক আরোপ করা হবে ১ আগস্ট থেকে। যদিও আগে এই হার আরও বেশি হওয়ার সম্ভাবনা ছিল। অথচ ভারতকে ‘বন্ধুরাষ্ট্র’ বলেই উল্লেখ করে এসেছেন ট্রাম্প।
ভারতের রাশিয়ার কাছ থেকে অস্ত্র ও জ্বালানি কেনার কারণেই এই শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে বলে জানান ট্রাম্প। তিনি বলেন, ভারত রাশিয়ার সঙ্গে যা খুশি করতে পারে। তারা চাইলে একসঙ্গে তাদের ধ্বংসপ্রায় অর্থনীতিকে নিয়ে ডুবে যাক।
যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিবেশী দেশ ও অন্যতম বাণিজ্য অংশীদার কানাডা। তবে ট্রাম্প বৃহস্পতিবার (৩১ জুলাই) বলেন, কানাডার কিছু পণ্যের ওপর শুল্ক ২৫ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ৩৫ শতাংশ করা হচ্ছে। তিনি জানান, কানাডার প্রধানমন্ত্রী মার্ক কার্নি জাতিসংঘে ফিলিস্তিন রাষ্ট্রকে স্বীকৃতি দেয়ার পরিকল্পনার কথা জানানোর পর এই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্রের আরেক প্রতিবেশী দেশ মেক্সিকো। এই দেশটির ওপর শুল্ক বৃদ্ধির পরিকল্পনা ৯০ দিনের জন্য স্থগিত করেছেন ট্রাম্প। মেক্সিকান প্রেসিডেন্ট ক্লাউদিয়া শেইনবাউমের সঙ্গে ফোনালাপের পর এই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।
যুক্তরাষ্ট্রের অন্যতম মিত্র দেশ দক্ষিণ কোরিয়া। শুল্ক কার্যকর হওয়ার কয়েক দিন আগেই ওয়াশিংটন ও সিউলের মধ্যে সমঝোতা হয়। এতে দক্ষিণ কোরিয়ার পণ্যের ওপর ২৫ শতাংশের পরিবর্তে ১৫ শতাংশ শুল্ক আরোপে সম্মতি দেয় যুক্তরাষ্ট্র।
ট্রাম্প জানান, দক্ষিণ কোরিয়া যুক্তরাষ্ট্রে ৩৫০ বিলিয়ন ডলারের বিনিয়োগ এবং ১০০ বিলিয়ন ডলারের তরল প্রাকৃতিক গ্যাস (এলএনজি) ও জ্বালানি কিনতে সম্মত হয়েছে। অটোমোবাইলের ওপর শুল্কও ১৫ শতাংশই থাকবে বলে জানিয়েছে সিউল।
ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) অধিকাংশ দেশকেই যুক্তরাষ্ট্রের মিত্র বলে গণ্য করা হয়। এরপরও এই জোটের দেশগুলো থেকে যুক্তরাষ্ট্রে আসা বেশিরভাগ পণ্যের ওপর ট্রাম্প প্রথমে ৩০ শতাংশ শুল্ক আরোপের হুমকি দেন। কিন্তু দুই পক্ষের সমঝোতার ফলে সেই হার কমিয়ে ১৫ শতাংশ করা হয়েছে।
ব্রাজিলের ওপর ট্রাম্পের শুল্ক আরোপের সিদ্ধান্ত রাজনৈতিকভাবে অনুপ্রাডুত বলে মনে করা হচ্ছে। ব্রাজিল থেকে আমদানি করা পণ্যের ওপর ৫০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করা হলেও তা ১ আগস্ট থেকে ৬ আগস্ট পর্যন্ত স্থগিত থাকবে। তবে কমলার রস ও বেসামরিক বিমান এই শুল্ক থেকে অব্যাহতি পাবে।
এদিকে, ট্রাম্পের এই নতুন শুল্কনীতির ফলে বৈশ্বিক বাণিজ্যে উত্তেজনা বাড়তে পারে বলে বিশ্লেষকরা মনে করছেন। বহু দেশের জন্যই এটি হয়ে উঠছে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সম্পর্ক নির্ধারণে একটি রাজনৈতিক পরীক্ষা।
নতুন শুল্কনীতি
শুক্রবার, ০১ আগস্ট ২০২৫
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প যুক্তরাষ্ট্রের প্রধান বাডুজ্যিক অংশীদারদের ওপর নতুন করে শুল্ক আরোপের ঘোষণা দিয়েছেন। এক সপ্তাহের মধ্যে কার্যকর হতে যাওয়া এই শুল্কনীতিতে একাধিক দেশ ও খাত অন্তর্ভুক্ত হয়েছে, যার মধ্যে রয়েছে কিছু পণ্যের ওপর উচ্চহারে শুল্ক এবং কিছু দেশের জন্য শর্তসাপেক্ষ ছাড়।
বৃহস্পতিবার (৩১ জুলাই) এই নতুন শুল্ক পরিকল্পনা প্রকাশ করেন ট্রাম্প। এতে সিরিয়ার জন্য শুল্ক হার সর্বোচ্চ ৪১ শতাংশ পর্যন্ত নির্ধারণ করা হয়েছে। পাশাপাশি কানাডার ওপর ২৫ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ৩৫ শতাংশ শুল্ক আরোপ করা হয়েছে। ট্রাম্প বুধবার (৩০ জুলাই) জানান, ভারতের পণ্যের ওপর ২৫ শতাংশ শুল্ক আরোপ করা হবে ১ আগস্ট থেকে। যদিও আগে এই হার আরও বেশি হওয়ার সম্ভাবনা ছিল। অথচ ভারতকে ‘বন্ধুরাষ্ট্র’ বলেই উল্লেখ করে এসেছেন ট্রাম্প।
ভারতের রাশিয়ার কাছ থেকে অস্ত্র ও জ্বালানি কেনার কারণেই এই শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে বলে জানান ট্রাম্প। তিনি বলেন, ভারত রাশিয়ার সঙ্গে যা খুশি করতে পারে। তারা চাইলে একসঙ্গে তাদের ধ্বংসপ্রায় অর্থনীতিকে নিয়ে ডুবে যাক।
যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিবেশী দেশ ও অন্যতম বাণিজ্য অংশীদার কানাডা। তবে ট্রাম্প বৃহস্পতিবার (৩১ জুলাই) বলেন, কানাডার কিছু পণ্যের ওপর শুল্ক ২৫ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ৩৫ শতাংশ করা হচ্ছে। তিনি জানান, কানাডার প্রধানমন্ত্রী মার্ক কার্নি জাতিসংঘে ফিলিস্তিন রাষ্ট্রকে স্বীকৃতি দেয়ার পরিকল্পনার কথা জানানোর পর এই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্রের আরেক প্রতিবেশী দেশ মেক্সিকো। এই দেশটির ওপর শুল্ক বৃদ্ধির পরিকল্পনা ৯০ দিনের জন্য স্থগিত করেছেন ট্রাম্প। মেক্সিকান প্রেসিডেন্ট ক্লাউদিয়া শেইনবাউমের সঙ্গে ফোনালাপের পর এই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।
যুক্তরাষ্ট্রের অন্যতম মিত্র দেশ দক্ষিণ কোরিয়া। শুল্ক কার্যকর হওয়ার কয়েক দিন আগেই ওয়াশিংটন ও সিউলের মধ্যে সমঝোতা হয়। এতে দক্ষিণ কোরিয়ার পণ্যের ওপর ২৫ শতাংশের পরিবর্তে ১৫ শতাংশ শুল্ক আরোপে সম্মতি দেয় যুক্তরাষ্ট্র।
ট্রাম্প জানান, দক্ষিণ কোরিয়া যুক্তরাষ্ট্রে ৩৫০ বিলিয়ন ডলারের বিনিয়োগ এবং ১০০ বিলিয়ন ডলারের তরল প্রাকৃতিক গ্যাস (এলএনজি) ও জ্বালানি কিনতে সম্মত হয়েছে। অটোমোবাইলের ওপর শুল্কও ১৫ শতাংশই থাকবে বলে জানিয়েছে সিউল।
ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) অধিকাংশ দেশকেই যুক্তরাষ্ট্রের মিত্র বলে গণ্য করা হয়। এরপরও এই জোটের দেশগুলো থেকে যুক্তরাষ্ট্রে আসা বেশিরভাগ পণ্যের ওপর ট্রাম্প প্রথমে ৩০ শতাংশ শুল্ক আরোপের হুমকি দেন। কিন্তু দুই পক্ষের সমঝোতার ফলে সেই হার কমিয়ে ১৫ শতাংশ করা হয়েছে।
ব্রাজিলের ওপর ট্রাম্পের শুল্ক আরোপের সিদ্ধান্ত রাজনৈতিকভাবে অনুপ্রাডুত বলে মনে করা হচ্ছে। ব্রাজিল থেকে আমদানি করা পণ্যের ওপর ৫০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করা হলেও তা ১ আগস্ট থেকে ৬ আগস্ট পর্যন্ত স্থগিত থাকবে। তবে কমলার রস ও বেসামরিক বিমান এই শুল্ক থেকে অব্যাহতি পাবে।
এদিকে, ট্রাম্পের এই নতুন শুল্কনীতির ফলে বৈশ্বিক বাণিজ্যে উত্তেজনা বাড়তে পারে বলে বিশ্লেষকরা মনে করছেন। বহু দেশের জন্যই এটি হয়ে উঠছে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সম্পর্ক নির্ধারণে একটি রাজনৈতিক পরীক্ষা।