alt

আন্তর্জাতিক

পর্যটকদের জন্য দ্বার খুলে দিচ্ছে তুর্কমিনিস্তান

বিদেশী সংবাদ মাধ্যম : শুক্রবার, ০১ আগস্ট ২০২৫

সাবেক সোভিয়েত রাষ্ট্র তুর্কমিনিস্তান এত দিন ছিল বিশ্বের সবচেয়ে বিচ্ছিন্ন দেশগুলোর একটি। কিন্তু সম্প্রতি দেশটির সরকার ভিসা প্রক্রিয়া সহজ করার ঘোষণা দেওয়ায় আশাবাদী হচ্ছেন ভ্রমণপ্রেমীরা। তবে গত এপ্রিলে নতুন নিয়মের ঘোষণা এলেও এখনো এটি বাস্তবায়নের কোনো সুনির্দিষ্ট তারিখ জানানো হয়নি।

বৃহস্পতিবার (৩১ জুলাই) সিএনএন জানিয়েছে, দীর্ঘদিন ধরে তুর্কমিনিস্তানে ভ্রমণ করতে হলে সরকার অনুমোদিত ট্যুর অপারেটরের মাধ্যমে ভ্রমণের পরিকল্পনা করতে হতো। শুধু তা-ই নয়, এর জন্য দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে ‘লেটার অব ইন্ট্রোডাকশন’ নিতে হতো। জটিল এই প্রক্রিয়া শেষ করতে প্রায় সময়ই এক মাস সময় লেগে যায়। নতুন নিয়ম অনুযায়ী, এই চিঠির প্রয়োজনীয়তা উঠে যেতে পারে এবং অনলাইন আবেদন ব্যবস্থা চালু হলে বিদেশিদের ভিসা পাওয়া সহজ হবে বলে আশা করা হচ্ছে।

তারপরও স্থানীয় গাইড ছাড়া ব্যক্তিগতভাবে দেশটিতে প্রবেশ করা কঠিন হবে বলেই ধারণা করা হচ্ছে। তুর্কমিনিস্তানের সবচেয়ে আকর্ষণীয় স্থান হলো ‘দারভাজা গ্যাস ক্রেটার’। এটি ‘নরকের দরজা’ নামে পরিচিত। সোভিয়েত আমলে দুর্ঘটনাবশত তৈরি হওয়া এই জ্বলন্ত গর্তে এখনো আগুন জ্বলছে। তবে সাম্প্রতিক বছরগুলোতে এই আগুনের তীব্রতা কিছুটা কমে এসেছে। গন্তব্যটি রাজধানী আশগাবাত থেকে চার ঘণ্টার পথ। পর্যটকেরা সেখানে বিশেষ ধরনের ‘ইয়র্ট ক্যাম্পে’ রাত কাটিয়ে আগুনের উত্তাপ ও স্ফুলিঙ্গ উপভোগ করেন।

তবে দারভাজা ছাড়াও তুর্কমিনিস্তানে আছে ইতিহাসে মোড়া সিল্ক রোডের শহরগুলো। আছে কুনিয়া-উরগেনচের মিনার ও সমাধিসৌধ, মেরভের ধ্বংসাবশেষ এবং আশগাবাত শহরের সাদা মার্বেলে গড়া ভবনসমূহ। আশগাবাত শহরের অদ্ভুত স্থাপত্যগুলোর মধ্যে অন্যতম হলো তেল ও গ্যাস মন্ত্রণালয়ের লাইটার-আকৃতির ভবন, কিংবা পৃথিবীর সবচেয়ে বড় ইনডোর ফেরিস হুইল। এগুলো শহরটিকে এক বৈচিত্র্যপূর্ণ রূপ দিয়েছে।

নরওয়ের লেখক ও নৃতত্ত্ববিদ এরিকা ফ্যাটল্যান্ড বলেন, ‘আশগাবাত সম্ভবত সবচেয়ে অদ্ভুত রাজধানী, যা আমি দেখেছি। পুরো শহর যেন এক ভুতুড়ে সাদা রাজপ্রাসাদ।’ তুর্কমিনিস্তানের এই বিচ্ছিন্নতা শুরু হয় ১৯৯১ সালে স্বাধীনতার পর থেকেই। সে সময় দেশটির নেতা সাপারমুরাত নিয়াজভ সোভিয়েত ধারাকে পরিত্যাগ না করে বরং একনায়কতন্ত্রের পথে হাঁটেন। বিশাল গ্যাস সম্পদ থাকার কারণে দেশটি বহির্বিশ্বের সহযোগিতা ছাড়াই টিকে থাকতে পেরেছে। নিয়াজভের মৃত্যুর পরেও দেশটির নীতি খুব বেশি বদলায়নি।

ছবি

ইসরায়েলি কূটনীতিকদের আমিরাত ছাড়ার নির্দেশ

নির্বাচনকে সামনে রেখে মায়ানমারে অন্তর্বর্তী সরকার গঠন

পশ্চিমাদের সতর্ক করলেন জাতিসংঘ মহাসচিব

ছবি

বন্ধু থেকে প্রতিবেশী, কাউকেই ছাড় দেননি ট্রাম্প

পাকিস্তানে ইমরান খানের দলের শতাধিক নেতাকর্মীর কারাদণ্ড

ছবি

গাজায় ইসরায়েলি আগ্রাসন তীব্র ক্ষুধায় ঝুঁকিতে এক প্রজন্মের ‘স্বাস্থ্য ও সুস্থতা’

ছবি

শুল্কে রাজস্ব বাড়লেও পণ্যমূল্যে ঊর্ধ্বগতি, বৈরী বাণিজ্য ঘাটতিও

ছবি

কয়েক ডজন দেশের পণ্যে নতুন শুল্ক দিলো ট্রাম্প

জনগণের সমর্থন হারাচ্ছেন ট্রাম্প

ছবি

মায়ানমারে জরুরি অবস্থা প্রত্যাহার, ডিসেম্বরে নির্বাচন

ভারত-রাশিয়া তাদের অর্থনীতি ডোবাক, মাথা ঘামাই না : ট্রাম্প

ছবি

রাশিয়ায় ভয়াবহ ভূমিকম্পেও সুনামির ধাক্কা প্রবল হলো না যে কারণে

ছবি

ভারতের ওপর শুল্ক, পাকিস্তানের সঙ্গে তেল চুক্তি ট্রাম্পের

ছবি

ইরানের পণ্য বাণিজ্যে জড়িত থাকার অভিযোগে ভারতের ৬ প্রতিষ্ঠানের ওপর ট্রাম্প প্রশাসনের নিষেধাজ্ঞা

ছবি

ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দেওয়ার পরিকল্পনা কানাডার

ছবি

ব্রাজিলের ওপর ৫০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করলেন ট্রাম্প

ছবি

গাজায় ২৪ ঘণ্টায় ১০৪ জনের মৃত্যু, অপুষ্টিতেই ৭

গাজার দৃশ্য নাৎসি ক্যাম্পের চেয়েও ভয়াবহ : এরদোয়ান

ছবি

গাজায় হামলার নিন্দা জানালেও ইসরায়েলের সঙ্গে বাণিজ্য চালিয়ে যাচ্ছে যেসব দেশ

ভারতের ওপর এবার ২৫ শতাংশ শুল্ক আরোপের হুমকি ট্রাম্পের

ছবি

বিশ্বজুড়ে ‘ভালো থাকা’ মানুষের সংখ্যা বাড়ছে, পিছিয়ে দক্ষিণ এশিয়া

জন্মহার বাড়াতে চীনের নতুন উদ্যোগ

ছবি

জাপান সরাচ্ছে ১৯ লাখ মানুষ, লণ্ডভণ্ড রুশ বন্দর

ছবি

সুনামি: জাপানে ১৯ লাখ মানুষকে সরানো হয়েছে, রুশ বন্দর লণ্ডভণ্ড

ছবি

রাশিয়ায় ভূমিকম্পের পর জাপানে সুনামি: সরানো হলো ফুকুশিমা পারমাণবিক কেন্দ্রের কর্মীদের

ছবি

রাশিয়ায় ৮.৮ মাত্রার ভূমিকম্পের পর জাপানে সুনামি, প্রশান্ত মহাসাগরজুড়ে সতর্কতা

গাজার মানুষ প্রকৃত অনাহারে : ট্রাম্প

ছবি

মায়ানমারের বিরল খনিজে নজর, বিদ্রোহীদের সঙ্গে হাত মেলাতে চায় যুক্তরাষ্ট্র

ইউক্রেনে রাশিয়ার মুহুর্মুহু হামলা, নিহত ২০

ছবি

যুক্তরাজ্যে অভিবাসনবিরোধী বিক্ষোভ ঘিরে ফের সহিংসতার আশঙ্কা

ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা ছাড়া ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক নয় : সৌদি আরব

ছবি

গাজায় পানিও এখন মারণাস্ত্র

ছবি

চীনে বন্যায় নিহত অন্তত ৩০, ক্ষতিগ্রস্ত লাখো মানুষ

ছবি

নিউ ইয়র্কে বন্দুকধারীর গুলিতে নিহত ৪, পরে হামলাকারীর আত্মহত্যা

ছবি

গাজায় গণহত্যা চালাচ্ছে ইসরায়েল: ইসরায়েলভিত্তিক দুই মানবাধিকার সংস্থা

গাজায় আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘন করছে ইসরায়েল: অস্ট্রেলিয়ান প্রধানমন্ত্রী

tab

আন্তর্জাতিক

পর্যটকদের জন্য দ্বার খুলে দিচ্ছে তুর্কমিনিস্তান

বিদেশী সংবাদ মাধ্যম

শুক্রবার, ০১ আগস্ট ২০২৫

সাবেক সোভিয়েত রাষ্ট্র তুর্কমিনিস্তান এত দিন ছিল বিশ্বের সবচেয়ে বিচ্ছিন্ন দেশগুলোর একটি। কিন্তু সম্প্রতি দেশটির সরকার ভিসা প্রক্রিয়া সহজ করার ঘোষণা দেওয়ায় আশাবাদী হচ্ছেন ভ্রমণপ্রেমীরা। তবে গত এপ্রিলে নতুন নিয়মের ঘোষণা এলেও এখনো এটি বাস্তবায়নের কোনো সুনির্দিষ্ট তারিখ জানানো হয়নি।

বৃহস্পতিবার (৩১ জুলাই) সিএনএন জানিয়েছে, দীর্ঘদিন ধরে তুর্কমিনিস্তানে ভ্রমণ করতে হলে সরকার অনুমোদিত ট্যুর অপারেটরের মাধ্যমে ভ্রমণের পরিকল্পনা করতে হতো। শুধু তা-ই নয়, এর জন্য দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে ‘লেটার অব ইন্ট্রোডাকশন’ নিতে হতো। জটিল এই প্রক্রিয়া শেষ করতে প্রায় সময়ই এক মাস সময় লেগে যায়। নতুন নিয়ম অনুযায়ী, এই চিঠির প্রয়োজনীয়তা উঠে যেতে পারে এবং অনলাইন আবেদন ব্যবস্থা চালু হলে বিদেশিদের ভিসা পাওয়া সহজ হবে বলে আশা করা হচ্ছে।

তারপরও স্থানীয় গাইড ছাড়া ব্যক্তিগতভাবে দেশটিতে প্রবেশ করা কঠিন হবে বলেই ধারণা করা হচ্ছে। তুর্কমিনিস্তানের সবচেয়ে আকর্ষণীয় স্থান হলো ‘দারভাজা গ্যাস ক্রেটার’। এটি ‘নরকের দরজা’ নামে পরিচিত। সোভিয়েত আমলে দুর্ঘটনাবশত তৈরি হওয়া এই জ্বলন্ত গর্তে এখনো আগুন জ্বলছে। তবে সাম্প্রতিক বছরগুলোতে এই আগুনের তীব্রতা কিছুটা কমে এসেছে। গন্তব্যটি রাজধানী আশগাবাত থেকে চার ঘণ্টার পথ। পর্যটকেরা সেখানে বিশেষ ধরনের ‘ইয়র্ট ক্যাম্পে’ রাত কাটিয়ে আগুনের উত্তাপ ও স্ফুলিঙ্গ উপভোগ করেন।

তবে দারভাজা ছাড়াও তুর্কমিনিস্তানে আছে ইতিহাসে মোড়া সিল্ক রোডের শহরগুলো। আছে কুনিয়া-উরগেনচের মিনার ও সমাধিসৌধ, মেরভের ধ্বংসাবশেষ এবং আশগাবাত শহরের সাদা মার্বেলে গড়া ভবনসমূহ। আশগাবাত শহরের অদ্ভুত স্থাপত্যগুলোর মধ্যে অন্যতম হলো তেল ও গ্যাস মন্ত্রণালয়ের লাইটার-আকৃতির ভবন, কিংবা পৃথিবীর সবচেয়ে বড় ইনডোর ফেরিস হুইল। এগুলো শহরটিকে এক বৈচিত্র্যপূর্ণ রূপ দিয়েছে।

নরওয়ের লেখক ও নৃতত্ত্ববিদ এরিকা ফ্যাটল্যান্ড বলেন, ‘আশগাবাত সম্ভবত সবচেয়ে অদ্ভুত রাজধানী, যা আমি দেখেছি। পুরো শহর যেন এক ভুতুড়ে সাদা রাজপ্রাসাদ।’ তুর্কমিনিস্তানের এই বিচ্ছিন্নতা শুরু হয় ১৯৯১ সালে স্বাধীনতার পর থেকেই। সে সময় দেশটির নেতা সাপারমুরাত নিয়াজভ সোভিয়েত ধারাকে পরিত্যাগ না করে বরং একনায়কতন্ত্রের পথে হাঁটেন। বিশাল গ্যাস সম্পদ থাকার কারণে দেশটি বহির্বিশ্বের সহযোগিতা ছাড়াই টিকে থাকতে পেরেছে। নিয়াজভের মৃত্যুর পরেও দেশটির নীতি খুব বেশি বদলায়নি।

back to top