alt

আন্তর্জাতিক

‘অস্তিত্ব সংকটের’ মধ্য দিয়ে যাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র : বাইডেন

বিদেশী সংবাদ মাধ্যম : শনিবার, ০২ আগস্ট ২০২৫

যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বলেছেন, দেশটি এখন এক ‘অস্তিত্ব সংকটের’ মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। শিকাগোয় ন্যাশনাল বার অ্যাসোসিয়েশনের ১০০তম বার্ষিক পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, ‘১৯৬০-এর দশকের পর এই প্রথম মার্কিন প্রান্তিক জনগোষ্ঠী এত বড় আক্রমণের মুখে পড়েছে।’

১৯২৫ সালে প্রতিষ্ঠিত ন্যাশনাল বার অ্যাসোসিয়েশন যুক্তরাষ্ট্রের সবচেয়ে বড় এবং প্রাচীন কৃষ্ণাঙ্গ আইনজীবী, বিচারক ও প্রফেসরদের সংগঠন। বাইডেন তাঁর বক্তব্যে কৃষ্ণাঙ্গ আইনজীবীদের নাগরিক অধিকার আন্দোলনে ভূমিকার কথা তুলে ধরেন এবং বলেন, ‘এই উত্তরাধিকারের ধারাবাহিকতা রক্ষা করা আজ জরুরি হয়ে দাঁড়িয়েছে।’

যুক্তরাষ্ট্রের বিচার ব্যবস্থার ওপর গুরুত্ব আরোপ করে তিনি বলেন, ট্রাম্প প্রশাসন ইতিহাস, সমতা এবং ন্যায়বিচারের ধারণাকেই মুছে দিতে চাচ্ছে। আইনজীবী প্রতিষ্ঠানগুলোও এখন রাজনৈতিক চাপের কাছে নতিস্বীকার করছে। ন্যায়বিচারের পক্ষে দাঁড়ানোর বদলে তারা ক্ষমতার কাছে মাথা নিচু করছে। এটা হতাশাজনক।

ট্রাম্প প্রশাসনের অভিবাসী আইনের বিরুদ্ধে অভিযোগ করে বলেন, কিছু রাজনীতিক বৈধ অভিবাসীদের গ্রেপ্তার ও পরিবার থেকে বিচ্ছিন্ন করার দৃশ্য দেখে আনন্দ পান। এটাই কি ন্যায়বিচার? বাইডেনের প্রেসিডেন্সির শেষ দিকে তাঁর মানসিক সক্ষমতা ও শারীরিক অবস্থাকে কেন্দ্র করে ব্যাপক প্রশ্ন ওঠে। এ নিয়ে তাঁর ঘনিষ্ঠ সহযোগীরা বিষয়টি ‘গোপন করার’ চেষ্টা করেছেন বলেও অভিযোগ এসেছে সাম্প্রতিক এক গোয়েন্দা প্রতিবেদনে। এ বিষয়ে সরাসরি কিছু না বললেও, তাঁর রাজনৈতিক জীবনের দুটি বড় ঘটনা– যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে সবচেয়ে কম বয়সে সিনেটর নির্বাচিত হওয়া এবং সবচেয়ে বেশি বয়সে প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়ার কথা স্মরণ করিয়ে দেন তিনি।

নিজের শারীরিক ও মানসিক সক্ষমতা নিয়ে চলমান বিতর্কের মধ্যেই বলেন, তিনি তাঁর প্রেসিডেন্সির ওপর একটি স্মৃতিচারণমূলক বই লিখছেন। তিনি বলেন, ‘আমি ক্যান্সারের সঙ্গে লড়ছি, কিন্তু এখনও কাজ করে যাচ্ছি।’ বক্তৃতাজুড়ে ট্রাম্প প্রশাসনের কড়া সমালোচনা করেন বাইডেন। এর আগে জুন মাসেও একাধিক অনুষ্ঠানে বর্তমান প্রশাসনের নীতির কঠোর সমালোচনা করেছিলেন তিনি। খবর সিএনএনের।

ফের হামলা হলে ‘ভুতুড়ে শহরে’ পরিণত হবে তেল আবিব : ইরান

ছবি

শুল্কের অর্থে ঘাটতি সামলাতে পারবে কি যুক্তরাষ্ট্র

ছবি

পাকিস্তানে তেলের বিশাল ভাণ্ডার কী আদৌ আছে?

ইসরায়েলি কূটনীতিকদের আরব আমিরাত ছাড়ার নির্দেশ

ছবি

এক টুকরো খাবারের জন্য প্রাণ গেছে দেড় হাজার ফিলিস্তিনির

ছবি

হামলার হুমকিতে করাচির হোটেলগুলোতে মার্কিন কর্মকর্তাদের যাতায়াত সীমিত

ছবি

মেদভেদেভের হুঁশিয়ারিতে ক্ষুব্ধ ট্রাম্প, রাশিয়ার কাছে দুটি পারমাণবিক সাবমেরিন মোতায়েনের নির্দেশ

ছবি

ইসরায়েলি কূটনীতিকদের আমিরাত ছাড়ার নির্দেশ

নির্বাচনকে সামনে রেখে মায়ানমারে অন্তর্বর্তী সরকার গঠন

ছবি

পর্যটকদের জন্য দ্বার খুলে দিচ্ছে তুর্কমিনিস্তান

পশ্চিমাদের সতর্ক করলেন জাতিসংঘ মহাসচিব

ছবি

বন্ধু থেকে প্রতিবেশী, কাউকেই ছাড় দেননি ট্রাম্প

পাকিস্তানে ইমরান খানের দলের শতাধিক নেতাকর্মীর কারাদণ্ড

ছবি

গাজায় ইসরায়েলি আগ্রাসন তীব্র ক্ষুধায় ঝুঁকিতে এক প্রজন্মের ‘স্বাস্থ্য ও সুস্থতা’

ছবি

শুল্কে রাজস্ব বাড়লেও পণ্যমূল্যে ঊর্ধ্বগতি, বৈরী বাণিজ্য ঘাটতিও

ছবি

কয়েক ডজন দেশের পণ্যে নতুন শুল্ক দিলো ট্রাম্প

জনগণের সমর্থন হারাচ্ছেন ট্রাম্প

ছবি

মায়ানমারে জরুরি অবস্থা প্রত্যাহার, ডিসেম্বরে নির্বাচন

ভারত-রাশিয়া তাদের অর্থনীতি ডোবাক, মাথা ঘামাই না : ট্রাম্প

ছবি

রাশিয়ায় ভয়াবহ ভূমিকম্পেও সুনামির ধাক্কা প্রবল হলো না যে কারণে

ছবি

ভারতের ওপর শুল্ক, পাকিস্তানের সঙ্গে তেল চুক্তি ট্রাম্পের

ছবি

ইরানের পণ্য বাণিজ্যে জড়িত থাকার অভিযোগে ভারতের ৬ প্রতিষ্ঠানের ওপর ট্রাম্প প্রশাসনের নিষেধাজ্ঞা

ছবি

ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দেওয়ার পরিকল্পনা কানাডার

ছবি

ব্রাজিলের ওপর ৫০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করলেন ট্রাম্প

ছবি

গাজায় ২৪ ঘণ্টায় ১০৪ জনের মৃত্যু, অপুষ্টিতেই ৭

গাজার দৃশ্য নাৎসি ক্যাম্পের চেয়েও ভয়াবহ : এরদোয়ান

ছবি

গাজায় হামলার নিন্দা জানালেও ইসরায়েলের সঙ্গে বাণিজ্য চালিয়ে যাচ্ছে যেসব দেশ

ভারতের ওপর এবার ২৫ শতাংশ শুল্ক আরোপের হুমকি ট্রাম্পের

ছবি

বিশ্বজুড়ে ‘ভালো থাকা’ মানুষের সংখ্যা বাড়ছে, পিছিয়ে দক্ষিণ এশিয়া

জন্মহার বাড়াতে চীনের নতুন উদ্যোগ

ছবি

জাপান সরাচ্ছে ১৯ লাখ মানুষ, লণ্ডভণ্ড রুশ বন্দর

ছবি

সুনামি: জাপানে ১৯ লাখ মানুষকে সরানো হয়েছে, রুশ বন্দর লণ্ডভণ্ড

ছবি

রাশিয়ায় ভূমিকম্পের পর জাপানে সুনামি: সরানো হলো ফুকুশিমা পারমাণবিক কেন্দ্রের কর্মীদের

ছবি

রাশিয়ায় ৮.৮ মাত্রার ভূমিকম্পের পর জাপানে সুনামি, প্রশান্ত মহাসাগরজুড়ে সতর্কতা

গাজার মানুষ প্রকৃত অনাহারে : ট্রাম্প

ছবি

মায়ানমারের বিরল খনিজে নজর, বিদ্রোহীদের সঙ্গে হাত মেলাতে চায় যুক্তরাষ্ট্র

tab

আন্তর্জাতিক

‘অস্তিত্ব সংকটের’ মধ্য দিয়ে যাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র : বাইডেন

বিদেশী সংবাদ মাধ্যম

শনিবার, ০২ আগস্ট ২০২৫

যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বলেছেন, দেশটি এখন এক ‘অস্তিত্ব সংকটের’ মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। শিকাগোয় ন্যাশনাল বার অ্যাসোসিয়েশনের ১০০তম বার্ষিক পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, ‘১৯৬০-এর দশকের পর এই প্রথম মার্কিন প্রান্তিক জনগোষ্ঠী এত বড় আক্রমণের মুখে পড়েছে।’

১৯২৫ সালে প্রতিষ্ঠিত ন্যাশনাল বার অ্যাসোসিয়েশন যুক্তরাষ্ট্রের সবচেয়ে বড় এবং প্রাচীন কৃষ্ণাঙ্গ আইনজীবী, বিচারক ও প্রফেসরদের সংগঠন। বাইডেন তাঁর বক্তব্যে কৃষ্ণাঙ্গ আইনজীবীদের নাগরিক অধিকার আন্দোলনে ভূমিকার কথা তুলে ধরেন এবং বলেন, ‘এই উত্তরাধিকারের ধারাবাহিকতা রক্ষা করা আজ জরুরি হয়ে দাঁড়িয়েছে।’

যুক্তরাষ্ট্রের বিচার ব্যবস্থার ওপর গুরুত্ব আরোপ করে তিনি বলেন, ট্রাম্প প্রশাসন ইতিহাস, সমতা এবং ন্যায়বিচারের ধারণাকেই মুছে দিতে চাচ্ছে। আইনজীবী প্রতিষ্ঠানগুলোও এখন রাজনৈতিক চাপের কাছে নতিস্বীকার করছে। ন্যায়বিচারের পক্ষে দাঁড়ানোর বদলে তারা ক্ষমতার কাছে মাথা নিচু করছে। এটা হতাশাজনক।

ট্রাম্প প্রশাসনের অভিবাসী আইনের বিরুদ্ধে অভিযোগ করে বলেন, কিছু রাজনীতিক বৈধ অভিবাসীদের গ্রেপ্তার ও পরিবার থেকে বিচ্ছিন্ন করার দৃশ্য দেখে আনন্দ পান। এটাই কি ন্যায়বিচার? বাইডেনের প্রেসিডেন্সির শেষ দিকে তাঁর মানসিক সক্ষমতা ও শারীরিক অবস্থাকে কেন্দ্র করে ব্যাপক প্রশ্ন ওঠে। এ নিয়ে তাঁর ঘনিষ্ঠ সহযোগীরা বিষয়টি ‘গোপন করার’ চেষ্টা করেছেন বলেও অভিযোগ এসেছে সাম্প্রতিক এক গোয়েন্দা প্রতিবেদনে। এ বিষয়ে সরাসরি কিছু না বললেও, তাঁর রাজনৈতিক জীবনের দুটি বড় ঘটনা– যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে সবচেয়ে কম বয়সে সিনেটর নির্বাচিত হওয়া এবং সবচেয়ে বেশি বয়সে প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়ার কথা স্মরণ করিয়ে দেন তিনি।

নিজের শারীরিক ও মানসিক সক্ষমতা নিয়ে চলমান বিতর্কের মধ্যেই বলেন, তিনি তাঁর প্রেসিডেন্সির ওপর একটি স্মৃতিচারণমূলক বই লিখছেন। তিনি বলেন, ‘আমি ক্যান্সারের সঙ্গে লড়ছি, কিন্তু এখনও কাজ করে যাচ্ছি।’ বক্তৃতাজুড়ে ট্রাম্প প্রশাসনের কড়া সমালোচনা করেন বাইডেন। এর আগে জুন মাসেও একাধিক অনুষ্ঠানে বর্তমান প্রশাসনের নীতির কঠোর সমালোচনা করেছিলেন তিনি। খবর সিএনএনের।

back to top