হোয়াইট হাউসে দ্বিতীয় মেয়াদে ফেরার পর মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প বিশ্ব বাণিজ্য ব্যবস্থাকে একের পর এক ধাক্কা দিয়ে যাচ্ছেন। গত বৃহস্পতিবার নতুন নির্বাহী আদেশে ৯২টির বেশি দেশের ওপর নতুন পাল্টা শুল্কহার ঘোষণা করেন ট্রাম্প। নতুন সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, সেগুলো আগামী সাত দিনের মধ্যে কার্যকর হবে। ট্রাম্প যে শুল্ক বসিয়েছেন, শেষ পর্যন্ত তা দিতে হবে মার্কিন কোম্পানিগুলোকেই, যারা বিভিন্ন পণ্য বিদেশ থেকে আমদানি করছেন। যুক্তরাষ্ট্র ও বিশ্বের অর্থনীতিতে মার্কিন প্রেসিডেন্টের এ সিদ্ধান্তের প্রভাব এক রকম হবে না।
রাজস্ব আয় বাড়বে: ইয়েল বিশ্ববিদ্যালয়ের বাজেট ল্যাবের হিসাব অনুযায়ী, চলতি বছরের ২৮ জুলাই আমদানি পণ্যে যুক্তরাষ্ট্রের আরোপিত গড় কার্যকর শুল্ক দাঁড়িয়েছে ১৮ দশমিক ২ শতাংশে, ১৯৩৪ সালের পর যা সর্বোচ্চ। ট্রাম্প প্রেসিডেন্ট হওয়ার আগে ২০২৪ সালে এই গড় কার্যকর শুল্ক ছিল মাত্র ২ দশমিক ৪ শতাংশ। এই বাড়তি শুল্কের ফলে যুক্তরাষ্ট্রের রাজস্ব আয় ব্যাপক পরিমাণ বাড়বে।
বাণিজ্য ঘাটতি বাড়ছেই: ট্রাম্পের হিসাবে, দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য ঘাটতিই প্রমাণ করে বিভিন্ন দেশ যুক্তরাষ্ট্রের কাছ থেকে ফায়দা নিচ্ছে, তারা যুক্তরাষ্ট্রে বেশি পণ্য বিক্রি করছে, কিনছে কম। তাঁর শুল্ক আরোপের একটি যুক্তি হলো, এই ভারসাম্যহীনতা দূর করা। কিন্তু বাস্তবে দেখা গেল, হুট করে যুক্তরাষ্ট্রে আমদানির পরিমাণ বেড়ে গেছে। ফলে বাণিজ্য ঘাটতি তো কমেইনি, উল্টো বেড়েছে। বেশির ভাগ অর্থনীতিবিদই বলছেন, দীর্ঘ মেয়াদে যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্য ঘাটতি কমিয়ে আনতে ট্রাম্প প্রশাসনকে হিমশিম খেতেই হবে।
রপ্তানি কমাচ্ছে চীন: ট্রাম্প বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম অর্থনীতি চীনের ওপরও শাস্তিমূলক শুল্ক চাপিয়েছেন। এক পর্যায়ে এই শুল্ক পৌঁছে গিয়েছিল ১৪৫ শতাংশে। এখন ৩০ শতাংশে নামলেও যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের মধ্যে বাণিজ্যে যে বৈরিতা, তাতে এর প্রভাবও কম নয়। ২০২৫ সালের প্রথম ছয় মাসে যুক্তরাষ্ট্রে টাকার অঙ্কে চীনের রপ্তানি কমেছে প্রায় ১১ শতাংশ।
অন্যদের মধ্যে বাণিজ্য চুক্তি: ট্রাম্পের বাণিজ্য যুদ্ধের প্রতিক্রিয়ায় অনেক দেশ পাল্টা শুল্ক বাড়ানোর পরিবর্তে অন্যান্য দেশের সঙ্গে বাণিজ্য সম্পর্ক জোরদারের পথে হাঁটছে। যুক্তরাজ্য ও ভারত নিজেদের মধ্যে বাণিজ্য চুক্তি সম্পন্ন করেছে, যা নিয়ে তাদের মধ্যে তিন বছর ধরে আলোচনা চলছিল।
ইউরোপিয়ান ফ্রি ট্রেড অ্যাসোসিয়েশন (ইএফটিএ) নামে পরিচিত জোটভুক্ত দেশ নরওয়ে, আইসল্যান্ড, সুইজারল্যান্ড ও লিখটেনস্টেইন মার্কোসুর নামে পরিচিত লাতিন আমেরিকার অনেক দেশের একটি জোটের সঙ্গেও নতুন বাণিজ্যিক চুক্তি করে ফেলেছে।
যুক্তরাষ্ট্রে বাড়ছে পণ্যের দাম: অর্থনীতিবিদরা আগেই সতর্ক করেছিলেন, ট্রাম্পের শুল্কের কারণে আমদানির খরচ বেড়ে যাবে, যা প্রকারান্তরে পণ্যের দাম বাড়াবে। তুলনামূলকভাবে জানুয়ারিতে বেশি ছিল, ৩ শতাংশ। সর্বশেষ সরকারি তথ্যে পরিস্থিতি বদলে যাওয়ার লক্ষণ দেখছেন অর্থনীতিবিদরা। এর মানে হলো, ট্রাম্পের শুল্কের ধাক্কা মার্কিন বাজারে পড়তে শুরু করেছে।
শনিবার, ০২ আগস্ট ২০২৫
হোয়াইট হাউসে দ্বিতীয় মেয়াদে ফেরার পর মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প বিশ্ব বাণিজ্য ব্যবস্থাকে একের পর এক ধাক্কা দিয়ে যাচ্ছেন। গত বৃহস্পতিবার নতুন নির্বাহী আদেশে ৯২টির বেশি দেশের ওপর নতুন পাল্টা শুল্কহার ঘোষণা করেন ট্রাম্প। নতুন সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, সেগুলো আগামী সাত দিনের মধ্যে কার্যকর হবে। ট্রাম্প যে শুল্ক বসিয়েছেন, শেষ পর্যন্ত তা দিতে হবে মার্কিন কোম্পানিগুলোকেই, যারা বিভিন্ন পণ্য বিদেশ থেকে আমদানি করছেন। যুক্তরাষ্ট্র ও বিশ্বের অর্থনীতিতে মার্কিন প্রেসিডেন্টের এ সিদ্ধান্তের প্রভাব এক রকম হবে না।
রাজস্ব আয় বাড়বে: ইয়েল বিশ্ববিদ্যালয়ের বাজেট ল্যাবের হিসাব অনুযায়ী, চলতি বছরের ২৮ জুলাই আমদানি পণ্যে যুক্তরাষ্ট্রের আরোপিত গড় কার্যকর শুল্ক দাঁড়িয়েছে ১৮ দশমিক ২ শতাংশে, ১৯৩৪ সালের পর যা সর্বোচ্চ। ট্রাম্প প্রেসিডেন্ট হওয়ার আগে ২০২৪ সালে এই গড় কার্যকর শুল্ক ছিল মাত্র ২ দশমিক ৪ শতাংশ। এই বাড়তি শুল্কের ফলে যুক্তরাষ্ট্রের রাজস্ব আয় ব্যাপক পরিমাণ বাড়বে।
বাণিজ্য ঘাটতি বাড়ছেই: ট্রাম্পের হিসাবে, দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য ঘাটতিই প্রমাণ করে বিভিন্ন দেশ যুক্তরাষ্ট্রের কাছ থেকে ফায়দা নিচ্ছে, তারা যুক্তরাষ্ট্রে বেশি পণ্য বিক্রি করছে, কিনছে কম। তাঁর শুল্ক আরোপের একটি যুক্তি হলো, এই ভারসাম্যহীনতা দূর করা। কিন্তু বাস্তবে দেখা গেল, হুট করে যুক্তরাষ্ট্রে আমদানির পরিমাণ বেড়ে গেছে। ফলে বাণিজ্য ঘাটতি তো কমেইনি, উল্টো বেড়েছে। বেশির ভাগ অর্থনীতিবিদই বলছেন, দীর্ঘ মেয়াদে যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্য ঘাটতি কমিয়ে আনতে ট্রাম্প প্রশাসনকে হিমশিম খেতেই হবে।
রপ্তানি কমাচ্ছে চীন: ট্রাম্প বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম অর্থনীতি চীনের ওপরও শাস্তিমূলক শুল্ক চাপিয়েছেন। এক পর্যায়ে এই শুল্ক পৌঁছে গিয়েছিল ১৪৫ শতাংশে। এখন ৩০ শতাংশে নামলেও যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের মধ্যে বাণিজ্যে যে বৈরিতা, তাতে এর প্রভাবও কম নয়। ২০২৫ সালের প্রথম ছয় মাসে যুক্তরাষ্ট্রে টাকার অঙ্কে চীনের রপ্তানি কমেছে প্রায় ১১ শতাংশ।
অন্যদের মধ্যে বাণিজ্য চুক্তি: ট্রাম্পের বাণিজ্য যুদ্ধের প্রতিক্রিয়ায় অনেক দেশ পাল্টা শুল্ক বাড়ানোর পরিবর্তে অন্যান্য দেশের সঙ্গে বাণিজ্য সম্পর্ক জোরদারের পথে হাঁটছে। যুক্তরাজ্য ও ভারত নিজেদের মধ্যে বাণিজ্য চুক্তি সম্পন্ন করেছে, যা নিয়ে তাদের মধ্যে তিন বছর ধরে আলোচনা চলছিল।
ইউরোপিয়ান ফ্রি ট্রেড অ্যাসোসিয়েশন (ইএফটিএ) নামে পরিচিত জোটভুক্ত দেশ নরওয়ে, আইসল্যান্ড, সুইজারল্যান্ড ও লিখটেনস্টেইন মার্কোসুর নামে পরিচিত লাতিন আমেরিকার অনেক দেশের একটি জোটের সঙ্গেও নতুন বাণিজ্যিক চুক্তি করে ফেলেছে।
যুক্তরাষ্ট্রে বাড়ছে পণ্যের দাম: অর্থনীতিবিদরা আগেই সতর্ক করেছিলেন, ট্রাম্পের শুল্কের কারণে আমদানির খরচ বেড়ে যাবে, যা প্রকারান্তরে পণ্যের দাম বাড়াবে। তুলনামূলকভাবে জানুয়ারিতে বেশি ছিল, ৩ শতাংশ। সর্বশেষ সরকারি তথ্যে পরিস্থিতি বদলে যাওয়ার লক্ষণ দেখছেন অর্থনীতিবিদরা। এর মানে হলো, ট্রাম্পের শুল্কের ধাক্কা মার্কিন বাজারে পড়তে শুরু করেছে।