alt

আন্তর্জাতিক

ট্রাম্পের সঙ্গে পাকিস্তানি সেনাপ্রধানের ঘনিষ্ঠতা: ভূরাজনীতিতে নতুন মোড়

বিদেশী সংবাদ মাধ্যম : সোমবার, ০৪ আগস্ট ২০২৫

পাকিস্তানের সেনাপ্রধান ফিল্ড মার্শাল অসিম মুনির সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে হোয়াইট হাউজে ব্যক্তিগত মধ্যাহ্নভোজে অংশ নিয়েছেন। বিষয়টি নিয়ে দক্ষিণ এশিয়ার রাজনৈতিক ও কূটনৈতিক অঙ্গনে রীতিমতো তোলপাড় সৃষ্টি হয়েছে।

মাত্র এক মাস আগে ভারতের সঙ্গে সীমান্ত সংঘর্ষের পর গত ১৮ জুন ওয়াশিংটনে এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। এরপর জুলাইয়ের শেষে ট্রাম্প সরকার ভারতের অর্থনীতিকে ‘মৃত’ আখ্যা দিয়ে ২৫ শতাংশ শুল্ক আরোপ এবং পাকিস্তানের সঙ্গে একটি নতুন বাণিজ্য চুক্তির ঘোষণা দেয়- যা স্পষ্টভাবে পাকিস্তানের কূটনৈতিক জয়ের ইঙ্গিত।

২০১১ সালে পাকিস্তানে ওসামা বিন লাদেনকে হত্যা এবং ২০২১ সালে আফগানিস্তান থেকে মার্কিন সেনা প্রত্যাহারের পর পাকিস্তান-যুক্তরাষ্ট্র সম্পর্ক শীতল হয়ে পড়েছিল। কিন্তু এখন বাণিজ্য, সন্ত্রাসবিরোধী সহযোগিতা এবং মধ্যপ্রাচ্য নীতিতে পরামর্শ ভিত্তিক নতুন মিত্রতা গড়ে উঠছে দু’দেশের মধ্যে। তাছাড়া, পাকিস্তানের কাছে আবারও অস্ত্র বিক্রির চিন্তাভাবনা করছে যুক্তরাষ্ট্র। বর্তমানে দক্ষিণ এশীয় দেশটি প্রায় ৮০ শতাংশ অস্ত্রই চীন থেকে আমদানি করে।

পাকিস্তানে কারাবন্দি সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের ব্যাপক জনপ্রিয়তা থাকলেও ভারতের সঙ্গে সাম্প্রতিক উত্তেজনার পর অসিম মুনিরের জনপ্রিয়তা হঠাৎ বেড়েছে।

সেনাবাহিনীর সমর্থনে গঠিত বেসামরিক সরকার পার্লামেন্টে দুই-তৃতীয়াংশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করেছে, যা সংবিধান পরিবর্তনের পথ খুলে দিয়েছে। ফলে গুঞ্জন উঠেছে, অসিম মুনির প্রেসিডেন্ট পদে আসীন হতে পারেন, যা হবে পাকিস্তানের ইতিহাসে চতুর্থ সামরিক শাসনের সূচনা।

তবে সামরিক মুখপাত্র লেফটেন্যান্ট জেনারেল আহমেদ শরীফ চৌধুরী একে ‘সম্পূর্ণ অমূলক’ বলে উড়িয়ে দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, সেনাপ্রধান কট্টর আদর্শবাদী নন, বরং বাস্তববাদী এবং পশ্চিমা বিশ্বের নীতিমালায় অভিজ্ঞ।

ইমামের সন্তান অসিম মুনির মাদরাসায় পড়াশোনা করেছেন এবং পুরো কোরআন হিফজ করেছেন, যা তাকে তার পূর্বসূরিদের থেকে আলাদা করে তোলে। তবে সেনাবাহিনীর ভেতরে তিনি প্রায়ই ধর্ম ব্যবসায়ীদের সমালোচনা করেন।

তিনি পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ পড়েন, কিন্তু রাষ্ট্র পরিচালনায় ধর্মীয় আবেগ প্রয়োগ করেন না। বরং সৌদি যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমানের আধুনিকায়ন কর্মসূচি তার অনুপ্রেরণা। গত ১৬ এপ্রিল এক বক্তৃতায় তিনি কাশ্মীরকে পাকিস্তানের ‘ঘাড়ের শিরা’ বলে উল্লেখ করেন। ভারতের নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরে হামলার ছয় দিন আগে এই বক্তব্য দেন পাকিস্তানে সেনাপ্রধান। পাকিস্তান ওই হামলার দায় অস্বীকার করলেও এটি সেনাপ্রধানের আদর্শিক অবস্থান ও সংকল্প প্রকাশ করে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।

ট্রাম্পের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা অসিম মুনিরকে একটি ভবিষ্যৎ কৌশলগত অবস্থানে নিয়ে গেছে। ট্রাম্পের আশপাশের বিনিয়োগকারী মহল পাকিস্তানের ক্রিপ্টোকারেন্সি ও খনিজ খাতে আগ্রহী হয়ে উঠেছে। একইসঙ্গে, যুক্তরাষ্ট্র পাকিস্তানের দূরল্লার ক্ষেপণাস্ত্র কর্মসূচি নিয়ে সমালোচনা কমিয়ে এনেছে, সহায়তা কার্যক্রম ফের শুরু করেছে এবং সন্ত্রাসবিরোধী লড়াইয়ে অস্ত্র সরবরাহের বিষয়টি বিবেচনা করছে।ট্রাম্পের সঙ্গে পাকিস্তানি সেনাপ্রধানের ঘনিষ্ঠতা: ভূরাজনীতিতে নতুন মোড়

পাকিস্তানের সেনাপ্রধান ফিল্ড মার্শাল অসিম মুনির সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে হোয়াইট হাউজে ব্যক্তিগত মধ্যাহ্নভোজে অংশ নিয়েছেন। বিষয়টি নিয়ে দক্ষিণ এশিয়ার রাজনৈতিক ও কূটনৈতিক অঙ্গনে রীতিমতো তোলপাড় সৃষ্টি হয়েছে।

মাত্র এক মাস আগে ভারতের সঙ্গে সীমান্ত সংঘর্ষের পর গত ১৮ জুন ওয়াশিংটনে এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। এরপর জুলাইয়ের শেষে ট্রাম্প সরকার ভারতের অর্থনীতিকে ‘মৃত’ আখ্যা দিয়ে ২৫ শতাংশ শুল্ক আরোপ এবং পাকিস্তানের সঙ্গে একটি নতুন বাণিজ্য চুক্তির ঘোষণা দেয় — যা স্পষ্টভাবে পাকিস্তানের কূটনৈতিক জয়ের ইঙ্গিত।

২০১১ সালে পাকিস্তানে ওসামা বিন লাদেনকে হত্যা এবং ২০২১ সালে আফগানিস্তান থেকে মার্কিন সেনা প্রত্যাহারের পর পাকিস্তান-যুক্তরাষ্ট্র সম্পর্ক শীতল হয়ে পড়েছিল। কিন্তু এখন বাণিজ্য, সন্ত্রাসবিরোধী সহযোগিতা এবং মধ্যপ্রাচ্য নীতিতে পরামর্শ ভিত্তিক নতুন মিত্রতা গড়ে উঠছে দু’দেশের মধ্যে। তাছাড়া, পাকিস্তানের কাছে আবারও অস্ত্র বিক্রির চিন্তাভাবনা করছে যুক্তরাষ্ট্র। বর্তমানে দক্ষিণ এশীয় দেশটি প্রায় ৮০ শতাংশ অস্ত্রই চীন থেকে আমদানি করে।

পাকিস্তানে কারাবন্দি সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের ব্যাপক জনপ্রিয়তা থাকলেও ভারতের সঙ্গে সাম্প্রতিক উত্তেজনার পর অসিম মুনিরের জনপ্রিয়তা হঠাৎ বেড়েছে।

সেনাবাহিনীর সমর্থনে গঠিত বেসামরিক সরকার পার্লামেন্টে দুই-তৃতীয়াংশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করেছে, যা সংবিধান পরিবর্তনের পথ খুলে দিয়েছে। ফলে গুঞ্জন উঠেছে, অসিম মুনির প্রেসিডেন্ট পদে আসীন হতে পারেন, যা হবে পাকিস্তানের ইতিহাসে চতুর্থ সামরিক শাসনের সূচনা।

তবে সামরিক মুখপাত্র লেফটেন্যান্ট জেনারেল আহমেদ শরীফ চৌধুরী একে ‘সম্পূর্ণ অমূলক’ বলে উড়িয়ে দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, সেনাপ্রধান কট্টর আদর্শবাদী নন, বরং বাস্তববাদী এবং পশ্চিমা বিশ্বের নীতিমালায় অভিজ্ঞ। ইমামের সন্তান অসিম মুনির মাদরাসায় পড়াশোনা করেছেন এবং পুরো কোরআন হিফজ করেছেন, যা তাকে তার পূর্বসূরিদের থেকে আলাদা করে তোলে। তবে সেনাবাহিনীর ভেতরে তিনি প্রায়ই ধর্ম ব্যবসায়ীদের সমালোচনা করেন।

তিনি পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ পড়েন, কিন্তু রাষ্ট্র পরিচালনায় ধর্মীয় আবেগ প্রয়োগ করেন না। বরং সৌদি যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমানের আধুনিকায়ন কর্মসূচি তার অনুপ্রেরণা। গত ১৬ এপ্রিল এক বক্তৃতায় তিনি কাশ্মীরকে পাকিস্তানের ‘ঘাড়ের শিরা’ বলে উল্লেখ করেন। ভারতের নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরে হামলার ছয় দিন আগে এই বক্তব্য দেন পাকিস্তানে সেনাপ্রধান। পাকিস্তান ওই হামলার দায় অস্বীকার করলেও এটি সেনাপ্রধানের আদর্শিক অবস্থান ও সংকল্প প্রকাশ করে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।

ট্রাম্পের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা অসিম মুনিরকে একটি ভবিষ্যৎ কৌশলগত অবস্থানে নিয়ে গেছে। ট্রাম্পের আশপাশের বিনিয়োগকারী মহল পাকিস্তানের ক্রিপ্টোকারেন্সি ও খনিজ খাতে আগ্রহী হয়ে উঠেছে। একইসঙ্গে, যুক্তরাষ্ট্র পাকিস্তানের দূরল্লার ক্ষেপণাস্ত্র কর্মসূচি নিয়ে সমালোচনা কমিয়ে এনেছে, সহায়তা কার্যক্রম ফের শুরু করেছে এবং সন্ত্রাসবিরোধী লড়াইয়ে অস্ত্র সরবরাহের বিষয়টি বিবেচনা করছে।

ছবি

‘একদিনে প্রায় ১ হাজার ২৫০ সেনাকে হারিয়েছে ইউক্রেন’

ছবি

অস্ট্রেলিয়ায় ফিলিস্তিনের পক্ষে লাখো মানুষের মিছিলে অ্যাসাঞ্জ

ছবি

পাকিস্তানের সঙ্গে ১২টি সহযোগিতা চুক্তি সই করল ইরান

ছবি

রাশিয়াকে যুদ্ধে অর্থায়ন করছে ভারত, অভিযোগ যুক্তরাষ্ট্রের

ছবি

বিশ্ব কি পরমাণু যুদ্ধের ঝুঁকির মুখে পড়তে যাচ্ছে

ছবি

যুক্তরাষ্ট্র-রাশিয়া উত্তেজনা, বিশ্ব কোন ঝুঁকির মুখে পড়তে যাচ্ছে

ছবি

আল-আকসা প্রাঙ্গণে প্রথম কোনো ইসরায়েলি মন্ত্রীর প্রকাশ্যে প্রার্থনা

ছবি

‘সুয়েবা ০১’ পিএইচডি করছে

ছবি

সিডনি হারবার ব্রিজে ফিলিস্তিনপন্থীদের বিক্ষোভ, শামিল হলেন অ্যাসাঞ্জও

ফিলিস্তিন রাষ্ট্র না হওয়া পর্যন্ত নিরস্ত্রীকরণের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান হামাসের

ছবি

গাজায় ‘অত্যন্ত অপর্যাপ্ত’ সাহায্য ঢুকছে: জার্মানি

ছবি

পাকিস্তানে শেল বিস্ফোরণ ও ড্রোন হামলায় শিশুসহ নিহত ৬

ছবি

স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা না হওয়া পর্যন্ত অস্ত্র ছাড়বে না হামাস

ফের হামলা হলে ‘ভুতুড়ে শহরে’ পরিণত হবে তেল আবিব : ইরান

ছবি

শুল্কের অর্থে ঘাটতি সামলাতে পারবে কি যুক্তরাষ্ট্র

‘অস্তিত্ব সংকটের’ মধ্য দিয়ে যাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র : বাইডেন

ছবি

পাকিস্তানে তেলের বিশাল ভাণ্ডার কী আদৌ আছে?

ইসরায়েলি কূটনীতিকদের আরব আমিরাত ছাড়ার নির্দেশ

ছবি

এক টুকরো খাবারের জন্য প্রাণ গেছে দেড় হাজার ফিলিস্তিনির

ছবি

হামলার হুমকিতে করাচির হোটেলগুলোতে মার্কিন কর্মকর্তাদের যাতায়াত সীমিত

ছবি

মেদভেদেভের হুঁশিয়ারিতে ক্ষুব্ধ ট্রাম্প, রাশিয়ার কাছে দুটি পারমাণবিক সাবমেরিন মোতায়েনের নির্দেশ

ছবি

ইসরায়েলি কূটনীতিকদের আমিরাত ছাড়ার নির্দেশ

নির্বাচনকে সামনে রেখে মায়ানমারে অন্তর্বর্তী সরকার গঠন

ছবি

পর্যটকদের জন্য দ্বার খুলে দিচ্ছে তুর্কমিনিস্তান

পশ্চিমাদের সতর্ক করলেন জাতিসংঘ মহাসচিব

ছবি

বন্ধু থেকে প্রতিবেশী, কাউকেই ছাড় দেননি ট্রাম্প

পাকিস্তানে ইমরান খানের দলের শতাধিক নেতাকর্মীর কারাদণ্ড

ছবি

গাজায় ইসরায়েলি আগ্রাসন তীব্র ক্ষুধায় ঝুঁকিতে এক প্রজন্মের ‘স্বাস্থ্য ও সুস্থতা’

ছবি

শুল্কে রাজস্ব বাড়লেও পণ্যমূল্যে ঊর্ধ্বগতি, বৈরী বাণিজ্য ঘাটতিও

ছবি

কয়েক ডজন দেশের পণ্যে নতুন শুল্ক দিলো ট্রাম্প

জনগণের সমর্থন হারাচ্ছেন ট্রাম্প

ছবি

মায়ানমারে জরুরি অবস্থা প্রত্যাহার, ডিসেম্বরে নির্বাচন

ভারত-রাশিয়া তাদের অর্থনীতি ডোবাক, মাথা ঘামাই না : ট্রাম্প

ছবি

রাশিয়ায় ভয়াবহ ভূমিকম্পেও সুনামির ধাক্কা প্রবল হলো না যে কারণে

ছবি

ভারতের ওপর শুল্ক, পাকিস্তানের সঙ্গে তেল চুক্তি ট্রাম্পের

ছবি

ইরানের পণ্য বাণিজ্যে জড়িত থাকার অভিযোগে ভারতের ৬ প্রতিষ্ঠানের ওপর ট্রাম্প প্রশাসনের নিষেধাজ্ঞা

tab

আন্তর্জাতিক

ট্রাম্পের সঙ্গে পাকিস্তানি সেনাপ্রধানের ঘনিষ্ঠতা: ভূরাজনীতিতে নতুন মোড়

বিদেশী সংবাদ মাধ্যম

সোমবার, ০৪ আগস্ট ২০২৫

পাকিস্তানের সেনাপ্রধান ফিল্ড মার্শাল অসিম মুনির সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে হোয়াইট হাউজে ব্যক্তিগত মধ্যাহ্নভোজে অংশ নিয়েছেন। বিষয়টি নিয়ে দক্ষিণ এশিয়ার রাজনৈতিক ও কূটনৈতিক অঙ্গনে রীতিমতো তোলপাড় সৃষ্টি হয়েছে।

মাত্র এক মাস আগে ভারতের সঙ্গে সীমান্ত সংঘর্ষের পর গত ১৮ জুন ওয়াশিংটনে এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। এরপর জুলাইয়ের শেষে ট্রাম্প সরকার ভারতের অর্থনীতিকে ‘মৃত’ আখ্যা দিয়ে ২৫ শতাংশ শুল্ক আরোপ এবং পাকিস্তানের সঙ্গে একটি নতুন বাণিজ্য চুক্তির ঘোষণা দেয়- যা স্পষ্টভাবে পাকিস্তানের কূটনৈতিক জয়ের ইঙ্গিত।

২০১১ সালে পাকিস্তানে ওসামা বিন লাদেনকে হত্যা এবং ২০২১ সালে আফগানিস্তান থেকে মার্কিন সেনা প্রত্যাহারের পর পাকিস্তান-যুক্তরাষ্ট্র সম্পর্ক শীতল হয়ে পড়েছিল। কিন্তু এখন বাণিজ্য, সন্ত্রাসবিরোধী সহযোগিতা এবং মধ্যপ্রাচ্য নীতিতে পরামর্শ ভিত্তিক নতুন মিত্রতা গড়ে উঠছে দু’দেশের মধ্যে। তাছাড়া, পাকিস্তানের কাছে আবারও অস্ত্র বিক্রির চিন্তাভাবনা করছে যুক্তরাষ্ট্র। বর্তমানে দক্ষিণ এশীয় দেশটি প্রায় ৮০ শতাংশ অস্ত্রই চীন থেকে আমদানি করে।

পাকিস্তানে কারাবন্দি সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের ব্যাপক জনপ্রিয়তা থাকলেও ভারতের সঙ্গে সাম্প্রতিক উত্তেজনার পর অসিম মুনিরের জনপ্রিয়তা হঠাৎ বেড়েছে।

সেনাবাহিনীর সমর্থনে গঠিত বেসামরিক সরকার পার্লামেন্টে দুই-তৃতীয়াংশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করেছে, যা সংবিধান পরিবর্তনের পথ খুলে দিয়েছে। ফলে গুঞ্জন উঠেছে, অসিম মুনির প্রেসিডেন্ট পদে আসীন হতে পারেন, যা হবে পাকিস্তানের ইতিহাসে চতুর্থ সামরিক শাসনের সূচনা।

তবে সামরিক মুখপাত্র লেফটেন্যান্ট জেনারেল আহমেদ শরীফ চৌধুরী একে ‘সম্পূর্ণ অমূলক’ বলে উড়িয়ে দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, সেনাপ্রধান কট্টর আদর্শবাদী নন, বরং বাস্তববাদী এবং পশ্চিমা বিশ্বের নীতিমালায় অভিজ্ঞ।

ইমামের সন্তান অসিম মুনির মাদরাসায় পড়াশোনা করেছেন এবং পুরো কোরআন হিফজ করেছেন, যা তাকে তার পূর্বসূরিদের থেকে আলাদা করে তোলে। তবে সেনাবাহিনীর ভেতরে তিনি প্রায়ই ধর্ম ব্যবসায়ীদের সমালোচনা করেন।

তিনি পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ পড়েন, কিন্তু রাষ্ট্র পরিচালনায় ধর্মীয় আবেগ প্রয়োগ করেন না। বরং সৌদি যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমানের আধুনিকায়ন কর্মসূচি তার অনুপ্রেরণা। গত ১৬ এপ্রিল এক বক্তৃতায় তিনি কাশ্মীরকে পাকিস্তানের ‘ঘাড়ের শিরা’ বলে উল্লেখ করেন। ভারতের নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরে হামলার ছয় দিন আগে এই বক্তব্য দেন পাকিস্তানে সেনাপ্রধান। পাকিস্তান ওই হামলার দায় অস্বীকার করলেও এটি সেনাপ্রধানের আদর্শিক অবস্থান ও সংকল্প প্রকাশ করে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।

ট্রাম্পের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা অসিম মুনিরকে একটি ভবিষ্যৎ কৌশলগত অবস্থানে নিয়ে গেছে। ট্রাম্পের আশপাশের বিনিয়োগকারী মহল পাকিস্তানের ক্রিপ্টোকারেন্সি ও খনিজ খাতে আগ্রহী হয়ে উঠেছে। একইসঙ্গে, যুক্তরাষ্ট্র পাকিস্তানের দূরল্লার ক্ষেপণাস্ত্র কর্মসূচি নিয়ে সমালোচনা কমিয়ে এনেছে, সহায়তা কার্যক্রম ফের শুরু করেছে এবং সন্ত্রাসবিরোধী লড়াইয়ে অস্ত্র সরবরাহের বিষয়টি বিবেচনা করছে।ট্রাম্পের সঙ্গে পাকিস্তানি সেনাপ্রধানের ঘনিষ্ঠতা: ভূরাজনীতিতে নতুন মোড়

পাকিস্তানের সেনাপ্রধান ফিল্ড মার্শাল অসিম মুনির সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে হোয়াইট হাউজে ব্যক্তিগত মধ্যাহ্নভোজে অংশ নিয়েছেন। বিষয়টি নিয়ে দক্ষিণ এশিয়ার রাজনৈতিক ও কূটনৈতিক অঙ্গনে রীতিমতো তোলপাড় সৃষ্টি হয়েছে।

মাত্র এক মাস আগে ভারতের সঙ্গে সীমান্ত সংঘর্ষের পর গত ১৮ জুন ওয়াশিংটনে এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। এরপর জুলাইয়ের শেষে ট্রাম্প সরকার ভারতের অর্থনীতিকে ‘মৃত’ আখ্যা দিয়ে ২৫ শতাংশ শুল্ক আরোপ এবং পাকিস্তানের সঙ্গে একটি নতুন বাণিজ্য চুক্তির ঘোষণা দেয় — যা স্পষ্টভাবে পাকিস্তানের কূটনৈতিক জয়ের ইঙ্গিত।

২০১১ সালে পাকিস্তানে ওসামা বিন লাদেনকে হত্যা এবং ২০২১ সালে আফগানিস্তান থেকে মার্কিন সেনা প্রত্যাহারের পর পাকিস্তান-যুক্তরাষ্ট্র সম্পর্ক শীতল হয়ে পড়েছিল। কিন্তু এখন বাণিজ্য, সন্ত্রাসবিরোধী সহযোগিতা এবং মধ্যপ্রাচ্য নীতিতে পরামর্শ ভিত্তিক নতুন মিত্রতা গড়ে উঠছে দু’দেশের মধ্যে। তাছাড়া, পাকিস্তানের কাছে আবারও অস্ত্র বিক্রির চিন্তাভাবনা করছে যুক্তরাষ্ট্র। বর্তমানে দক্ষিণ এশীয় দেশটি প্রায় ৮০ শতাংশ অস্ত্রই চীন থেকে আমদানি করে।

পাকিস্তানে কারাবন্দি সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের ব্যাপক জনপ্রিয়তা থাকলেও ভারতের সঙ্গে সাম্প্রতিক উত্তেজনার পর অসিম মুনিরের জনপ্রিয়তা হঠাৎ বেড়েছে।

সেনাবাহিনীর সমর্থনে গঠিত বেসামরিক সরকার পার্লামেন্টে দুই-তৃতীয়াংশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করেছে, যা সংবিধান পরিবর্তনের পথ খুলে দিয়েছে। ফলে গুঞ্জন উঠেছে, অসিম মুনির প্রেসিডেন্ট পদে আসীন হতে পারেন, যা হবে পাকিস্তানের ইতিহাসে চতুর্থ সামরিক শাসনের সূচনা।

তবে সামরিক মুখপাত্র লেফটেন্যান্ট জেনারেল আহমেদ শরীফ চৌধুরী একে ‘সম্পূর্ণ অমূলক’ বলে উড়িয়ে দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, সেনাপ্রধান কট্টর আদর্শবাদী নন, বরং বাস্তববাদী এবং পশ্চিমা বিশ্বের নীতিমালায় অভিজ্ঞ। ইমামের সন্তান অসিম মুনির মাদরাসায় পড়াশোনা করেছেন এবং পুরো কোরআন হিফজ করেছেন, যা তাকে তার পূর্বসূরিদের থেকে আলাদা করে তোলে। তবে সেনাবাহিনীর ভেতরে তিনি প্রায়ই ধর্ম ব্যবসায়ীদের সমালোচনা করেন।

তিনি পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ পড়েন, কিন্তু রাষ্ট্র পরিচালনায় ধর্মীয় আবেগ প্রয়োগ করেন না। বরং সৌদি যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমানের আধুনিকায়ন কর্মসূচি তার অনুপ্রেরণা। গত ১৬ এপ্রিল এক বক্তৃতায় তিনি কাশ্মীরকে পাকিস্তানের ‘ঘাড়ের শিরা’ বলে উল্লেখ করেন। ভারতের নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরে হামলার ছয় দিন আগে এই বক্তব্য দেন পাকিস্তানে সেনাপ্রধান। পাকিস্তান ওই হামলার দায় অস্বীকার করলেও এটি সেনাপ্রধানের আদর্শিক অবস্থান ও সংকল্প প্রকাশ করে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।

ট্রাম্পের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা অসিম মুনিরকে একটি ভবিষ্যৎ কৌশলগত অবস্থানে নিয়ে গেছে। ট্রাম্পের আশপাশের বিনিয়োগকারী মহল পাকিস্তানের ক্রিপ্টোকারেন্সি ও খনিজ খাতে আগ্রহী হয়ে উঠেছে। একইসঙ্গে, যুক্তরাষ্ট্র পাকিস্তানের দূরল্লার ক্ষেপণাস্ত্র কর্মসূচি নিয়ে সমালোচনা কমিয়ে এনেছে, সহায়তা কার্যক্রম ফের শুরু করেছে এবং সন্ত্রাসবিরোধী লড়াইয়ে অস্ত্র সরবরাহের বিষয়টি বিবেচনা করছে।

back to top